আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু, বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, ছাত্র, পুলিশ ও সাধারণ মানুষসহ সব হত্যার নিন্দা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগ। সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এবং সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেশের বিবেকবান জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
শনিবার (১০ আগস্ট) ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেনের এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের উপ-গ্রন্থণা ও প্রকাশনা সম্পাদক কাইসুর রহমান সিদ্দিকী সোহাগ।
বিবৃতে নেতৃদ্বয় জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীন পদ থেকে পদত্যাগের পর সোমবার (৫ আগস্ট) থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, বিভিন্ন স্থানে হিন্দু, বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, ছাত্র, পুলিশ এবং সাধারণ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা এবং ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি, ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির অফিস, ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউসহ, বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুর্বৃত্তদের হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে। মানুষের বাসাবাড়িতে রাতভর ডাকাতি-দুর্বৃত্তদের বর্বরোচিত হামলায় শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। আমরা বর্বরোচিত এসব হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের কলকারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে হামলা-অগ্নিসংযোগ, শ্রমিকদের আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে সব মালামাল ও যন্ত্রপাতি লুটপাট করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে মানবতাবিরোধী দুর্বৃত্তরা দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু, বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর নারকীয় অত্যাচার চালাচ্ছে। অসংখ্য মানুষ আজ আক্রান্ত ও বিপণ্ন। হুমকি, হত্যা, নির্যাতন, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগসহ নানাবিধ অত্যাচারে দিশাহারা মানুষের আর্তনাদে বাতাস ভারী হয়ে যাচ্ছে।
সব অন্যায়ের তীব্র প্রতিবাদ, সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অপরাধীদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।