রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেফতার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (১ নভেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে আদালতে তোলা হলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন এই আদেশ দেন।
মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য মির্জা আব্বাসকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। তবে মির্জা আব্বাসের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুনানি চলাকালে বিচারকের অনুমতি নিয়ে মির্জা আব্বাস কথা বলতে চান। বিচারক অনুমতি দিলে তিনি বলেন, আমি কিছু কথা বলতে চাই। কখনোই কথা বলি না। আমার কোনও কথায় কিছু মনে করবেন না। আমি ছোট্ট একটা গল্প দিয়ে শুরু করতে চাই। একজন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষককে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মানুষ জানতে চাইলো কী হয়েছিল সেখানে। তিনি উত্তরে বললেন, সেখানে আমার সাইডে লোহা দেখতে পাই। আমি ৫০ বছর রাজনীতি করি। বহু মিছিল করেছি। আন্দোলন করে এরশাদ সরকারের পতন ঘটিয়েছি। এত বছরে এমন কোনও মামলা হয়েছে কিনা তা দেখিনি।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় উপপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মির্জা আব্বাসকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। মামলা ৪৯ জনের নাম উল্লেখসহ ৭০০/৮০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে নয়াপল্টনে সমাবেশ শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ ওরফে আব্বাসের নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় আসামিরা বেআইনিভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে মারাত্মক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সরকারবিরোধী স্লোগান দেয়। তারা জনমনে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি করে শাহজাহানপুর থানাধীন এলাকায় বিভিন্ন প্রকার নাশকতামূলক ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা এবং হত্যার উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে তারা। এ সময় আসামিরা অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহীদবাগ মসজিদ গলির বাসা থেকে মির্জা আব্বাসকে আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুন- মির্জা আব্বাস ও আলাল গ্রেফতার