বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সুস্থ ও মানসিকভাবে দৃঢ় রয়েছেন। তার প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করায় তিনি নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
এছাড়া ৭ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত লন্ডনে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা করায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমকর্মীদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৬ মে) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবনে প্রবেশের পর দুপুর আড়াইটায় সেখানকার মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান।
ডা. জাহিদ বলেন, সকাল সাড়ে ১০টায় শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিএনপি চেয়ারপারসনকে বহনকারী বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। দীর্ঘ ১৪ ঘণ্টার জার্নির কারণে কিছুটা ক্লান্তিবোধ করলেও নেতাকর্মীদের আবেগ ও ভালোবাসার কারণে বেগম খালেদা জিয়া অনেকটা প্রশান্তি অনুভব করেছেন। দীর্ঘদিন তিনি চিকিৎসাধীন থাকলেও সব সময় জনগণের পাশে ছিলেন। দেশের খোঁজ খবর রেখেছেন।
ডা. জাহিদ বলেন, দেশ-বিদেশে সবার কাছেই সমাদৃত বেগম খালেদা জিয়া। কাতারের সঙ্গে শহীদ জিয়া, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনকে লন্ডনে যেতে সহযোগিতা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন দেশটির আমির। তার প্রতিও তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
অপরদিকে লন্ডনে তাকে সার্বক্ষণিক সময় ও মানসিক সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকায় তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও দলের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে দেয়নি। কিন্তু আল্লাহর রহমতে তিনি সে সুযোগ পেয়েছেন।
তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন, এটা তার রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার ইঙ্গিত কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদ বলেন, এটা সময়ই বলে দেবে। তবে বিগত সরকারের বিভিন্ন হয়রানির কারণে দেড়যুগেরও বেশি সময়ে তিনি দেশে আসতে পারেননি। এখন আসবেন এটাই স্বাভাবিক। তিনি আসবেন আবার যাবেন। হয়তো সহসাই তারেক রহমানকে নিয়ে আবার একসঙ্গে আসবেন।