সুপার লিগে যেতে সিটি ক্লাবের বিপক্ষে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবকে জিততেই হতো। কিন্তু ২ উইকেটে হেরে সুপার লিগ থেকে ছিটকে গেছে রূপগঞ্জ। অন্যদিকে, আগেই ছিটকে যাওয়া সিটি ক্লাব কেবল কিছু পয়েন্ট বাড়িয়ে নিতে পেরেছে।
শুক্রবার ম্যাচের শেষটা ছিল রোমাঞ্চকর। শেষ ওভারের রোমাঞ্চেই সিটি ক্লাব চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে। ২৩২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা সিটি ক্লাব নবম উইকেটে ৬১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ম্যাচটা নিজেদের করে নিতে পারে।
ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে সিটি ক্লাবের জয়ের জন্য শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১২ রান। আলাউদ্দিন বাবু প্রথম বলটি ওয়াইড দিলে ব্যবধান আরও কমে আসে। পরের বলে বিশাল এক ছক্কা মারায় ব্যবধান ১১ থেকে কমে দাঁড়ায় ৫-এ! তার পর শেষ ৫ বলে ম্যাচটি অনায়াসেই জিতে নেয় সিটি ক্লাব। তবে মাঝারি মানের লক্ষ্যের বিপরীতে যেভাবে খেলতে হতো, সেভাবে শুরু করতে পারেনি তারা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা দলটির ভরসা হয়ে উঠেন তিন নম্বরে নামা শাহরিয়ার কমল। ৯৪ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৬৯ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি।
দারুণ এই জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান নবম উইকেটে রবিউল হক ও ইফরান হোসেনের অবিচ্ছিন্ন ৬১ রানের জুটির। রবিউল ৪০ বলে ৩২ এবং ইফরান ৩১ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থেকেছেন। শেষ ওভারে দারুণ দৃঢ়তা দেখিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিজ্ঞ আলাউদ্দিন বাবুকে রুখে দিয়েছেন ইফরান।
রূপগঞ্জের বোলারদের মধ্যে নাসুম আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও নাঈম হাসান দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। সানজামুল ইসলাম ও মুমিনুল হক নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩১ রান সংগ্রহ করেছে। দলের সবাই কম বেশি রান করলেও কেউ ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ফলে দলীয় স্কোর খুব বেশি বড় হয়নি রূপগঞ্জের। সর্বোচ্চ ৪৩ রানের ইনিংস খেলেছেন ইমরানুজ্জামান। এছাড়া শামীম হোমেন ৩৯, আলাউদ্দিন বাবু ৩৭, অঙ্কিত বাওয়ানে ২৬, নাঈম ইসলাম ২৩, মুমিনুল হক ২১, নাঈম হাসান ১৫ ও ইমতিয়াজ হোসেনের ১২ রানের সুবাদে রূপগঞ্জ ২৩১ রানের পুঁজি পেয়েছে।
রবিউল হক ও রাফসান আল মাহমুদ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া আসিফ, ইফরান, ইফতেখার ও মঈনুল একটি করে উইকেট নিয়েছেন।