জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। তবে জয়ের আনন্দ ছাপিয়ে তাদের পারফরম্যান্স অস্বস্তিদায়ক। প্রথম চার ম্যাচে বোলিং ভালো হলেও ব্যাটিংটা হয়েছে দৃষ্টিকটু। শেষ ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই হতাশা উপহার দিয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। তবে ফিল্ডিংয়ে কোনও ম্যাচেই প্রত্যাশা মেটাতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তারপরও এই সিরিজ থেকে ইতিবাচক অনেক কিছুই খুঁজে পাচ্ছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হেরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শান্ত বলেছেন, ‘অবশ্যই, আমার মনে হয় খুব ভালো একটা সিরিজ গিয়েছে। সিরিজ জিতলে অবশ্যই আত্মবিশ্বাস বাড়ে। আমরা যে পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো করেছিলাম, যে বিষয়গুলো আমাদের দেখার দরকার ছিল, সেগুলো ঠিকঠাকভাবে করতে পেরেছি- এটাই আমাদের তৃপ্তির জায়গা। টপ অর্ডাররা একটা ম্যাচে খুব ভালো শুরু করেছিল। আজকের (রবিবার) ম্যাচ যদি দেখেন, মিডল অর্ডার একটু ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছে। এই রকম বেশ কিছু জায়গা আছে। রিশাদ পুরো সিরিজটাতে খুব ভালো বোলিং করেছে বলে মনে হয় আমার। এই রকম যদি চিন্তা করা যায়, তাহলে অবশ্যই অনেক ইতিবাচক দিক আছে এবং আমরা যেটা আশা করেছিলাম, আমরা প্রায় সেটার কাছাকাছি যেতে পেরেছি।’
নিজেদের পরিকল্পনায় পুরোপুরি সফল না হলেও কাছাকাছি যেতে পেরেছেন বলে দাবি শান্তর। সেই কাছাকাছিটা কী, সেই ব্যাখ্যাও অবশ্য দিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক, ‘কাছাকাছি দিক বলতে স্পিনাররা খুব ভালো বল করেছে। বিশেষ করে রিশাদ ভালো বোলিং করেছে। শেখ মেহেদী ভালো বল করেছে। মাঝখানে ওকে বিরতি দিয়ে তানভীরকে খেলানো হয়েছে, ও ভালো করেছে। সবমিলিয়ে এই ব্যাপারগুলো ভালো ছিল। পাশাপাশি জাকের আলী আজকের ইনিংসটা যেভাবে শেষ করেছে, সেটাও ভালো ছিলো। ছোট ছোট বেশ কিছু জায়গা আছে আমার মনে হয় আমরা আমাদের পরিকল্পনার কাছাকাছি যেতে পেরেছি। তবে অবশ্যই এখানে উন্নতির অনেক জায়গা আছে। ’
সিরিজ জিতলেও ক্রিকেটারদের কাছ থেকে প্রত্যাশামতো পারফরম্যান্স না আসাতেই সমালোচনার শিকার হচ্ছেন তারা। তাহলে কি জিম্বাবুয়ে সহজ কোনও প্রতিপক্ষ বলেই এই সিরিজকে ওতটা গুরুত্ব দেননি ক্রিকেটাররা? এমন প্রশ্নে শান্ত বলেছেন, ‘না। আমরা প্রতি ম্যাচেই গুরুত্ব দিয়ে খেলেছি। শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যে কয়টা ম্যাচ খেললাম প্রতি ম্যাচেই। একটা ম্যাচও হারতে চাইনি। হারাটা দরকার ছিল না। ম্যাচ জিতলে ভালো লাগে। সুতরাং আজকে যে জিততে পারিনি, এজন্য কৃতিত্ব জিম্বাবুয়েকে দিতে হবে।’
ব্যাটারদের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও অধিনায়ক দুই বিভাগের পারফরম্যান্সকে আলাদা করতে চান না, ‘বোলার বা ব্যাটারদের আলাদা করতে চাই না। আমাদের দলটা এমন, প্রত্যেক জায়গায় অবদান রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং আমি অধিনায়ক হিসেবে চাইবো যে বোলাররা প্রতিদিন টিমের হয়ে ভালো কিছু করুক। পাশাপাশি ব্যাটাররাও যেন তাদের দায়িত্বটা ঠিক মতো পালন করে। এখানে আলাদাভাবে বাড়তি কোনও চাপ আমি বোলার কিংবা ব্যাটারদের আমরা দিতে চাই না।’