আফগানদের কাছে প্রথম ম্যাচ হেরে নিজেদের নিজেরাই বিপদে ফেলেছিল নিউজিল্যান্ড। শেষ আটের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তো বটেই, বাকি তিন ম্যাচেই তাদের জিততো হতো। কিন্তু টুর্নামেন্টের অন্যতম আয়োজকরা সেটি হতে দিলে তো! কিউইদের ১৩ রানে হারিয়ে টানা তিন জয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাতে টানা দুই পরাজয়ে ছিটকে যাওয়ার খুব কাছে নিউজিল্যান্ড। শুক্রবার পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে আফগানিস্তান জিতলেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেবে তারা।
ত্রিনিদাদে ১৫০ রানের লক্ষ্য পাওয়া কিউই দল ৯ উইকেটে ১৩৬ রানে থেমেছে। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান করেছে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অথচ মাত্র ৩০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ক্যারিবিয়ানরা বিপর্যয়েই পড়ে গিয়েছিল। তার পর ৭৬ রানে পড়েছে সপ্তম উইকেট। সেখান থেকে শেরফানে রাদারফোর্ডের একার লড়াই ক্যারিবিয়ানদের বড় স্কোর পাইয়ে দিয়েছে। ৩৯ বলে ৬৮ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তাতে ছিল ২টি চার ও ৬টি ছয়। শুরুতে যেভাবে ব্যাটিংটা হয়েছে, তাতে চলতি টুর্নামেন্টের ঐতিহ্য মেনে লো স্কোরিং ম্যাচের আভাস মিলছিল। কিন্তু রাদারফোর্ডের দৃঢ়তায় সেটা সম্ভব হয়নি। ফলে ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি।
জবাবে নিউজিল্যান্ডের যেমন ব্যাটিংটা প্রয়োজন ছিল সেটা মোটেও করতে পারেনি। তিনটি পরিবর্তন এনেও ভাগ্য বদলাতে পারেনি তারা। ৩৯ রানে ফিরেছেন কনওয়ে (৫), ফিন অ্যালেন (২৬) ও কেন উইলিয়ামসন (১)। রাচিন রবীন্দ্র ১০ রানের বেশি করতে পারেননি। লড়াই করার চেষ্টা ছিল গ্লেন ফিলিপসের। কিন্তু ৪০ রানে কাটা পড়েন তিনি। শেষ দিকে মিচেল ম্যান্টনার তিন ছক্কায় বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করলে সেটা হারের ব্যবধান কমিয়েছে মাত্র। তিনি ১২ বলে ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন। ক্যারিবিয়ান পেসার আলজারি জোসেফ ১৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিনে। গুদাকেশ মোটি ২৫ রানে নিয়েছেন ৩টি।
টানা তিন ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গ্রুপ ‘সি’ থেকে টানা দুই জয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে সুপার এইটে যাওয়ার পথে এগিয়ে আফগানিস্তান।