X
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪
৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

প্রতিপক্ষ পোস্টে যখন মুখোমুখি দুই ভাই, কেমন লাগে তাদের?

তানজীম আহমেদ
১৮ এপ্রিল ২০২৩, ২১:৫২আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৩, ২১:৫৬

দেড় যুগ আগে মামা সোহেল রানা ক্যানারি ওয়ার্ফের হয়ে ইংল্যান্ডে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিলেন। সময়ের পরিক্রমায় আজ সেই মিডফিল্ডার খেলছেন জাতীয় দলে। সেই সময় তাকে দেখেই ফুটবলে নাম লেখান প্রায় কাছাকাছি বয়সী দুই ভাগ্নে সুজন হোসেন ও পাপ্পু হোসেন। দুজনে আবার মামার মতো মিডফিল্ডার হননি, হয়েছেন গোলকিপার। আজ তো আবার দুই ভাই ফেডারেশন কাপে মাঠে ছিলেন একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে। তাতে বড় ভাই সুজনের মোহামেডান হারিয়ে দিয়েছে তিন বছরের ছোট পাপ্পুর চট্টগ্রাম আবাহনীকে। 

মাঠে একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেও খেলা শেষ হলে একে অন্যজনের খোঁজ ঠিকই রাখছেন। চতুর্থবারের মতো মুখোমুখি হয়ে একজন আরেকজনকে শুভকামনা জানাতে ভুল করেননি। সুজনের বয়স ২৭। অনূর্ধ্ব-১৬ থেকে ২৩ দল পর্যন্ত খেলেছেন। তবে কখনও জাতীয় দলে ডাক পাননি। পাপ্পু আবার বড় ভাইকে কিছুটা ছাড়িয়ে গেছেন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকলেও খেলেননি। আনিসুর রহমান জিকো ও শহীদুল আলম সোহেলের ছায়ায় থাকতে হচ্ছে। দুজনেই চাইছেন একসময় জাতীয় দলের হয়ে মাঠে খেলতে।

আরামবাগ একাডেমির কোচ ইব্রাহিম খলিলের কোচিংয়ে তাদের হাতেখড়ি। আজ দুজন প্রিমিয়ার লিগে খেলছেন। সুজন যেমন বাংলা ট্রিবিউনকে বলছিলেন, ‘মামাকে দেখে আমরা ফুটবলে আসি। দুই ভাই ভিন্ন দলে খেলছি। এতে ভালো লাগছে। আসলে নিজেদের মধ্যে একধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। কে ভালো খেলবে। একসময় দেখা যায় আমার দল জিতেছে, আবার কখনও ওর দল।’

সুজন হোসেন ও পাপ্পু হোসেন (ডানে)

দুই ভাই-ই কেন গোলকিপিংটাই বেছে নিলেন? সুজনের জবাব, ‘আসলে একাডেমির কোচ কালা ভাই (ইব্রাহিম খলিল) আমাকে গোলকিপার বানিয়েছিলেন। শুরুর দিকে অন্য পজিশনে খেলতাম। তবে আজ এই পজিশনে খেলে খুশি আমি। আর পাপ্পু শুরু থেকে গোলকিপার ছিল। ফুটবল খেলে ক্যারিয়ার গড়তে পারছি এতেই আনন্দ পাই। তবে আমি স্বপ্ন দেখি একসময় জাতীয় দলে সুযোগ পাবোই। সব বয়সভিত্তিক দলে খেলেছি। শুধু সিনিয়র জাতীয় দল বাকি রয়েছে।’

পাপ্পুর আবার অন্যরকম কথা। যখনই তিন বছরের বড় ভাই মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী থাকেন, টেনশনও কাজ করে। মামা সোহেল ও বড় ভাই সুজনের পর ফুটবলে আসেন পাপ্পু। বড় ভাইয়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে বলেছেন, ‘যখন মাঠে নামি তখন ভাইয়া খারাপভাবে গোল খেলে কষ্ট লাগে, এটা নিজের বেলাতেও। আমি গোল খেলে ভাইয়ার খারাপ লাগে। খেলার আগে আমরা একে অন্যকে বলি ভালো খেলো। আবার কেউ ব্যথা পেলে তখন টেনশনটা বাড়ে।’

রাজবাড়ি থেকে উঠে এসে সাইফ স্পোর্টিং, মোহামেডান ও চট্টগ্রাম আবাহনীতে খেলছেন পাপ্পু। সুজনেরও মোহামেডানসহ অন্য দলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। দুজনেই চাইছেন ফুটবল ক্যারিয়ারটা আরও লম্বা করতে। গোলকিপার হয়ে তেকাঠির নিচে ঠিকঠাকভাবে দায়িত্বটা পালন করে নিতে। পাপ্পুর কথা, ‘আসলে যতদিন ফিট থাকবো, দুই ভাই ফুটবলের সঙ্গে থাকতে চাই।’

/এফএইচএম/
সম্পর্কিত
‘কী করবো, আমাদের শক্তি এতটুকুই’, আবাহনীর হারে বললেন ম্যানেজার
দুই ব্রাজিলিয়ানের নৈপুণ্যে আবাহনীকে হারিয়ে ফাইনালে কিংস
ফাইনালে মোহামেডানের সঙ্গী আবাহনী নাকি কিংস
সর্বশেষ খবর
বাজারে অপরিপক্ব লিচু, খেলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি
বাজারে অপরিপক্ব লিচু, খেলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি
টিভিতে আজকের খেলা (১৭ মে, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (১৭ মে, ২০২৪)
ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
ব্রিটেনে আশ্রয় আবেদন বাতিল, বাংলাদেশিদের দ্রুত ফেরত পাঠাতে চুক্তি
ব্রিটেনে আশ্রয় আবেদন বাতিল, বাংলাদেশিদের দ্রুত ফেরত পাঠাতে চুক্তি
সর্বাধিক পঠিত
সিলেটে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
সিলেটে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
জাহাজে ওঠার পর কোরআনের সুরা শুনিয়ে দস্যুদের নিবৃত্ত করা হয়
জাহাজে ওঠার পর কোরআনের সুরা শুনিয়ে দস্যুদের নিবৃত্ত করা হয়
এমপিও আবেদন সরাসরি অধিদফতরে পাঠানো যাবে না
এমপিও আবেদন সরাসরি অধিদফতরে পাঠানো যাবে না
ফুল দিয়ে বরণ, রিট দিয়ে শুরু কোন্দল!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিফুল দিয়ে বরণ, রিট দিয়ে শুরু কোন্দল!
এডিপি: সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে যে ১০ প্রকল্প
এডিপি: সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে যে ১০ প্রকল্প