২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের দায়িত্ব নিয়ে তাদের বদলে দিয়েছেন গ্যারেথ সাউথগেট। অল্পের জন্য দুটি বিশ্বকাপ ও ইউরোতে সাফল্য হাতছাড়া হয়েছে। আরেকটি ইউরো যখন সামনে, তখন থ্রি লায়নদের নিয়ে প্রত্যাশার পারদ আকাশসম। সাউথগেটও ইংল্যান্ডের হয়ে এবারের টুর্নামেন্টকে শেষ সুযোগ হিসেবে দেখছেন, ব্যর্থ হলে কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দিবেন তিনি।
আগামী ডিসেম্বরে সাউথগেটের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। যদিও বিভিন্ন সূত্রে গণমাধ্যমের খবর, তার সঙ্গে সম্পর্ক আরও লম্বা করতে চায় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। সেটা ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত!
সাউথগেটের ওপর ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের আস্থা বাড়াবাড়ি নয়। দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই বছরের মাথায় ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে সেমিফাইনালে তোলেন। তারপর ২০২০ ইউরো ফাইনালে টাইব্রেকারে হারতে হয় ইতালিকে। ২০২২ সালের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যেতে হয়েছে ফ্রান্সকে।
উন্নতির ধারাবাহিকতায় এবার ট্রফি ইংল্যান্ডের ঘরে ফেরার প্রত্যাশা করছে ভক্ত-সমর্থকরা। তাছাড়া জুড বেলিংহ্যাম, কোল পালমার, অ্যান্থনি গর্ডন ও কোবি মাইনুর ক্লাব পারফরম্যান্স আশা জাগাচ্ছে।
দল পুরোপুরি প্রস্তুত। এবার মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়ার পালা। সাউথগেট জার্মান সংবাদপত্র বিল্ড-কে বললেন, ‘আমরা যদি না জিতি (ইউরো), আমি সম্ভবত আর এখানে থাকছি না। তার মানে এটাই হতে যাচ্ছে শেষ সুযোগ।’
ভক্তদের আস্থা হারাতে চান না ৫৩ বছর বয়সী কোচ, ‘আমি মনে করি প্রায় অর্ধেক জাতীয় দলের কোচেরা টুর্নামেন্ট শেষে চলে যাবে, আন্তর্জাতিক ফুটবলে এটা স্বাভাবিক। আমি এখানে প্রায় আট বছর ধরে আছি, আমরা শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। আমি জানি, আপনি সবার সামনে দাঁড়িয়ে বারবার বলতে পারবেন না যে, ‘দয়া করে আরেকটু পাশে থাকুন।’ কারণ একটা সময় লোকেরা আপনার কথায় আস্থা হারাবে।’
বড় দল হতে হলে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে নিজেদের উজার করে দিতে হবে মনে করেন সাউথগেট। এবার কি সেই কাজটাই করে দেখাবে ইংল্যান্ড?