মাঠের লড়াইয়ের চেয়ে ব্রাজিল-উরুগুয়ে ম্যাচে শরীরী ঝাঁজটাই ছিল বেশি। তার পরেও দ্বিতীয়ার্ধে ১০ জনের দল নিয়ে খেলা উরুগুয়ের বিপক্ষে একজন বেশি নিয়ে খেলার সুবিধাটা কাজে লাগাতে পারেনি ব্রাজিল। তাতে বড় টুর্নামেন্টে টানা দ্বিতীয়বার কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে তারা বিদায় নিয়েছে। সর্বশেষ কাতার বিশ্বকাপেও শেষ আটে শুটআউটে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরেছে। কোপা আমেরিকা থেকে বিদায়ের পর কঠিন সময়ে ব্রাজিলিয়ান সমর্থকদের পাশে চাইছেন ভিনিসিয়ুসের জায়গায় খেলা এন্দ্রিক।
কার্ড নিষেধাজ্ঞায় ব্রাজিলের প্রাণভোমরা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে পারেননি। স্ট্যান্ডে বসে দর্শকের ভূমিকায় খেলা দেখেছেন। তার জায়গায় দলে সুযোগ পাওয়া এন্দ্রিকের জন্য ম্যাচটা ছিল কঠিন পরীক্ষার। শরীর নির্ভর ফুটবলে ১৭ বছর বয়সী কিশোরকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে। হাইপ্রেসিং ফুটবল খেলা উরুগুয়ে তাকে দাঁড়িয়ে শ্বাসটাও নিতে দেয়নি। একবার তো তাকে মাটিতেই ফেলে দেন আরাউহো। যে ঘটনা নিয়ে ব্রাজিল অধিনায়ক রাফিনহা উরুগুয়ের সেন্টার ব্যাকের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতেও জড়িয়েছেন! তার পরেও একজন কম নিয়ে খেলা উরুগুয়েকে বিপদে ফেলতে পারেনি তারা। হতাশার হারের পর এন্দ্রিক তাই স্বদেশী ভক্তদের পাশে চাইছেন, ‘আমরা জানি এখন কঠিন সময়। কিন্তু আমরা ব্রাজিলিয়ান সমর্থকদের সমর্থনের আশা রাখি।’
পুরো টুর্নামেন্টে ব্রাজিলের নৈপুণ্য আহামরি ছিল না। গ্রুপ পর্বে একটি ম্যাচ জিতলেও ড্র ছিল দুটি। গ্রুপ পর্বে গোলের খোঁজে থাকা সেলেসাওদের কোয়ার্টার ফাইনালেও সংগ্রাম করতে হয়েছে। আরেকটি ব্যর্থতা সঙ্গী হওয়ায় ব্রাজিলের মনোযোগ এখন বিশ্বকাপ বাছাইয়ে। এন্দ্রিকের কথায়, ‘আমরা ব্রাজিলকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিতে চেয়েছি। এখন আমরা নিজেদের কাজটা চালিয়ে নিতে চাই। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য প্রস্তুত হতে চাই।’