সোনিয়া খাতুনকে পাওয়া গেলো অলিম্পিক ভিলেজে। দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। ভিলেজের রান্না করা খাবারে তেল, মশলা কিংবা লবণ কম। সোনিয়া তাই আলাদা করে পাশে লবণ রেখেছিলেন। খেতে খেতে নিজের ইভেন্ট নিয়ে নানান আশা-নিরাশার কথা শোনালেন।
বাংলাদেশের পাঁচজন ক্রীড়াবিদের মধ্যে একমাত্র নারী সাঁতারু সোনিয়া খাতুন। একমাত্র ইভেন্ট ৫০ মিটার ফ্রি স্টাইলে শনিবার পুলে লড়বেন। এই ইভেন্টে তার সেরা টাইমিং ৩০.১১ সেকেন্ড, হাংজুর এশিয়ান গেমসে। সোনিয়া বাস্তবতা বুঝেই নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন, ‘নিজের টাইমিং আরও একটু কমিয়ে আনতে চাই। মাত্র দেড় মাসের অনুশীলনে অলিম্পিকে এসেছি। আপনারাও জানেন এখানে কেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়ে থাকে। তবে সেদিকে না তাকিয়ে আমার লক্ষ্য ক্যারিয়ার সেরা টাইমিং করা।’
প্যারিসে এসে সামিউল ইসলাম রাফি নিজের সেরা টাইমিং করেছেন। তার উদাহরণ টেনে আনতেই সোনিয়া বললেন, ‘রাফি থাইল্যান্ডে উন্নত প্রশিক্ষণে আছে। সেখানে ট্রেনিংয়ের ফল ও এখানে পেয়েছে। আমি তেমন কোনও সুযোগ সুবিধা ছাড়াই ভালো করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। দেখা যাক কতটুকু কী করতে পারি।’
এখানে এসে সব কিছু দেখে নিজের কাছে কিছুটা খারাপও লাগছে সোনিয়ার, ‘এখানে যারা ভালো সাঁতারু, তাদের সবারই আলাদা করে সাঁতারের ইন্সট্রুমেন্ট আছে। আছে ম্যাসাজমেন থেকে অনেক কিছু। আমরা তো এটা চিন্তাও করতে পারি না। সবাই শুধু সাফল্য চায়। আমরা কীভাবে লড়বো, তা কতজন জানে। তারপরও আমি চেষ্টা করবো ভালো কিছু করার, যেন অলিম্পিকে ভালো টাইমিং হয়।’
জাতীয় আসরে ৩৭ সোনার পদক জিতেছেন। গতবার ছিলেন দেশসেরা সাঁতারু। এবার অলিম্পিক সোনিয়ার জন্য চ্যালেঞ্জই।