X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমারের পশ্চাৎপদ ক্যু-অভ্যাস

আনিস আলমগীর
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৪:২০আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৫:৪৫

আনিস আলমগীর
তিন মাস আগে বাংলা ট্রিবিউনে মিয়ানমারের নির্বাচন নিয়ে লিখতে গিয়ে বলেছিলাম, ‘সেনাবাহিনী যদি বেসামরিক নেতৃত্বাধীন সরকারের ওপর থেকে তার নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে না নেয়, তবে এটি হবে মিয়ানমারে গণতন্ত্রের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য পশ্চাৎপদ পদক্ষেপ। যদি আমরা যুক্তি দেই যে, এনএলডির প্রথম মেয়াদে অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা তুলনামূলক কম দেখা গেছে, তারপরও সাম্প্রতিক ঘটনাবলি প্রমাণ করেছে যে সেনাবাহিনী নিজেকে সব সময় মিয়ানমারের রাজনীতির কেন্দ্রে পুনঃস্থাপনের অজুহাত খোঁজে এবং আগামীতেও খুঁজবে।’

বাস্তবে তা-ই হয়েছে। গত আট নভেম্বর ২০২০ মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) সরকার গঠনের জন্য দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনের পর পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন বসার দিন ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সেনাবাহিনী ক্ষমতার পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। আইনসভা, নির্বাহী বিভাগ এবং বিচার বিভাগ- দেশটির প্রধান তিনটি বিভাগের ক্ষমতা সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাং-এর হাতে চলে এসেছে। অজুহাত ছিল নির্বাচনে সু চির জালিয়াতি।

সু চির দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই তাকে মধ্যরাতে বন্দি করে সামরিক বাহিনী। তার মন্ত্রিসভার ২৪ মন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হয় এবং অধিকাংশ সিনিয়র সেনা কর্মকর্তাদের দিয়ে নতুন মন্ত্রীদের পদ পূরণ করা হয়। এরমধ্যে কয়েকজন রয়েছেন সেনা সমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি অ‌্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (ইউএসডিপি) সদস্য। ইউএসপিডির অন্যতম নেতা উনা মং লউনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি নভেম্বরের নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন।

মূলত গত সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই সেনা সমর্থিত এই বিরোধী দলটি নির্বাচনের ফলাফল মেনে না নেওয়ায় দেশটিতে সমস্যা চলছিল। নির্বাচনের সময়ই সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাং একটি বিবৃতি দিয়ে নানা অনিয়মের জন্য নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করেন। তিনি এনএলডিকেও দোষী করেছিলেন এবং বলেছিলেন সরকারের ‘অগ্রহণযোগ্য ভুলের’ কারণে তিনি নির্বাচনের ফলাফলটি গ্রহণ নাও করতে পারেন।

যদিও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দল এবং দেশটির নির্বাচন কমিশন এটিকে মোটামুটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বলছে। সু চি দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার প্রধান হতে পারলেন না। আবার মিয়ানমারের অদ্ভুত সংবিধানে এমন সব শর্ত যুক্ত করা হয়েছে যার কারণে অং সান সু চি কোনও দিনই প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী নামে পরিচিত হতেও পারলেন না। তার পদের নাম ছিল স্টেট কাউন্সিলর অব মিয়ানমার।

দীর্ঘ ৫০ বছরের সামরিক শাসনের পর মিয়ানমারে এটি কার্যত দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর আগে সর্বশেষ ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০১০ সালেও অবশ্য একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ব্যাপক প্রশ্নবিদ্ধ ওই নির্বাচনে অংশ নেয়নি সু চির দল। মিয়ানমার ২০০৮ সালে নতুন সংবিধান গ্রহণ করে। নতুন সংবিধান অনুসারে নির্বাচনে শুধু ৭৫% আসন জনগণের ভোটে পূরণ করা হয়, বাকি ২৫ শতাংশ সেনাবাহিনীর জন্য রিজার্ভ। এনএলডি যাতে বৈচিত্র্যময়, বহু জাতিগত রাজনৈতিক ব্যবস্থায় কখনও ক্ষমতায় আসতে না পারে সে জন্যই এমন একটি সংবিধান ডিজাইন করেছিল সেনাবাহিনী।

সু চি ক্ষমতায় আবার এলে সেই সংবিধানটি কি বাতিল করে দিতেন? না, সেই সম্ভাবনা ছিল না। কারণ, সংবিধান পরিবর্তনের জন্য ৭৫ শতাংশ জোগাড় করা সু চির পক্ষে অসম্ভব ছিল। তাহলে সেনাবাহিনী সু চি’র ওপর ক্ষিপ্ত হলো কেন- সেটাই এখন বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। গত ১০ বছর সেনাবাহিনী আস্তে আস্তে বেসামরিক প্রশাসনের কাছে ক্ষমতা ছাড়লেও ঘুড়ির নাটাই আসলে তাদের হাতে ছিল। তারা চায়নি সু চি আবার ক্ষমতায় আসুক। তাদের সমর্থিত ইউএসপিডির গত নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ও তারা হজম করতে পারেনি এবং এক ধরনের আতঙ্ক তাদের মধ্যে কাজ করেছে। সে কারণে তারা নির্বাচনকেই জালিয়াতিপূর্ণ আখ্যা দিয়ে সেটাকেই হাতিয়ার করেছে সু চিকে হটানোর জন্য। সেনাবাহিনী প্রধানের ক’মাস পরে অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। তখন তার স্ট্যাটাস কী হবে এবং রোহিঙ্গা নিধনের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে যদি মিয়ানমার দণ্ডিত হয় তাহলে প্রথম সাজা হবে সেনাপ্রধানের- সেসব ফ্যাক্টরও কাজ করছিল।

মিয়ানমারের সামরিক জান্তার নির্যাতনে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম ২০১৭ সালে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। সব মিলিয়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে শরণার্থী শিবিরে আশ্রিত। রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রশ্নে সেনাবাহিনীর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সু চির ব্যাপক কোনও অমিল ছিল না। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে যে একটি গণহত্যা মামলা আনা হয়েছে, সু চি সে আদালতে সেনাবাহিনীর নৃশংসতার পক্ষে সাফাই দিয়ে তার বর্ণবাদী চেহারা সারা বিশ্বকে দেখিয়েছেন। তার প্রথম মেয়াদকালে, সু চি বিভিন্ন জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে একটি নতুন শান্তি চুক্তি সম্পাদনের চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু দেশের রাজনৈতিক তিনি জটিলতায় হতাশ হয়েছেন। এবারও সু চির দল বলেছিল জাতীয় ঐক্যের সরকারের পক্ষে তারা কাজ করবে। ২০১৫ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরে তারা এমন কথা বলেননি।

মিয়ানমারে ১৩৫টি জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠী রয়েছে, এরা কেন্দ্রীয় সরকারের তোয়াক্কা করে না। এদের অনেক গ্রুপ অস্ত্রে সুসজ্জিত, অবৈধ ব্যবসা থেকে তাদের রয়েছে যথেষ্ট আর্থিক শক্তি। সে কারণে অঞ্চলগুলোতে তারা সরকারের আধিপত্য মানতে রাজি নয়। সার্বিকভাবে এই নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণই ছিল। রাখাইন রাজ্য এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গারাসহ প্রায় ১৫ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিমের ভোটদানের অধিকারই ছিল না। দেশটির সাড়ে পাঁচ কোটি জনসংখ্যার মাত্র চার শতাংশ মুসলমান এবং তাদের কোনও মূলধারার রাজনৈতিক দল নেই। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-ও নির্বাচনকে ‘মৌলিকভাবে ত্রুটিযুক্ত’ বলে অভিহিত করেছে।

মিয়ানমারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েই দেশটির সামরিক বাহিনী ঘোষণা করেছে, নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে এবং নিয়মানুযায়ী ভোটার তালিকা তদন্ত এবং পর্যালোচনা করা হবে; দেশটিতে এক বছরের জন্য জারি করা জরুরি অবস্থা শেষে একটি সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করবে সেনাবাহিনী।

অবশ্য সামরিক জান্তাদের ‘এক বছর’ কয় বছরে শেষ হয় কে জানে! সব ধরনের সংঘাত এড়িয়ে মিয়ানমার সরকার দ্রুত ব্যাপকভিত্তিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং মানবিক সুরক্ষায় মনোনিবেশ করা উচিত ছিল। নির্বাচন যেমনই হোক, সু চির ওই নির্বাচনের ফলাফলটি মিয়ানমারের ট্র্যাজিক্যালি বিভক্ত ও দরিদ্র সমাজের দীর্ঘস্থায়ী বিরোধ কমিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার দিকে মনোনিবেশ করারও সুযোগ এনে দিয়েছিল। সর্বোপরি সুযোগ দিয়েছিল রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করার, যাতে করে আন্তর্জাতিক চাপও কমে আসতো দেশটির ওপর। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি তাদের আবারও চীনের ভেটোর কৃপা নিয়ে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলকে মোকাবিলা করতে হবে।

রোহিঙ্গাদের প্রতি সু চির আচরণ, মানবাধিকারের চূড়ান্ত লঙ্ঘনের পর সু চিকে আন্তর্জাতিক শক্তির গ্রহণ করা অসম্ভব ব্যাপার ছিল কিন্তু গণতান্ত্রিক উপায়ে সদ্য ক্ষমতায়িত এনএলডি সরকারকে সমর্থন অব্যাহত রাখা ছাড়া বিদেশি সরকারগুলোর কাছে বিকল্প ছিল না। সামরিক জান্তার কারণে আবারও তেমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের ক্রাইসিসে সু চির পাশেই থাকছে।

জি-সেভেন সেনা অভ্যুত্থানের কড়া নিন্দা জানিয়েছে। ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়ার সমর্থন নিয়ে সদ্য উৎসাহিত আমেরিকা এই ঘটনা নিয়ে তার প্রথম বৈশ্বিক পরীক্ষার মুখোমুখি। এটি চীনের মুখোমুখি করাবে জো বাইডেনকে। গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার পুনরুদ্ধারকে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রবিন্দু রাখার যে প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছেন তা পূরণ করতে হবে। তবে তার কাছে সীমিত বিকল্প রয়েছে। আমেরিকা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় জড়িত মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে আরও ব্যাপক নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রবর্তন করতে পারে। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়ে মিয়ানমারকে কাবু করা যাবে না। কারণ, মিয়ানমার ইরান নয় যে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে পঙ্গু হয়ে আলোচনার টেবিলে বসতে বাধ্য হবে। ইরানকে তেল রফতানির জন্য ডলারের ওপর নির্ভর করতে হয়, মিয়ানমারের অর্থনীতি ডলারের ওপর নির্ভরশীল নয়। দেশটির ভারত, চীন ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে জোরালো বাণিজ্য রয়েছে, এর বেশিরভাগই অবৈধ। আর দেশটি বছরের পর বছর বিচ্ছিন্ন হয়ে চলার নজির রেখেছে। অবশ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশের জোট আসিয়ানের থাইল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ তাদের সদস্য মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানকে ‘অভ্যন্তরীণ’ ব্যাপার বলে বিবেচনা করছে। জোটের পক্ষ থেকে অথবা সদস্য দেশগুলোর পক্ষ থেকে মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের সরাসরি কোনও নিন্দা করা হয়নি।

মিয়ানমারের অভ্যুত্থান নিয়ে প্রতিবেশী দেশ চীন খুবই সতর্ক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন তাদের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সংক্ষিপ্ত এবং সতর্ক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, মিয়ানমারের ঘটনাবলির দিকে চীন নজর রাখছে, এবং ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে। অবশ্য চীনের প্রতিক্রিয়া যাই হোক, এই বিষয়ে মঙ্গলবার ২ ফেব্রুয়ারি নিরাপত্তা পরিষদে যে বৈঠক হতে যাচ্ছে চীন সেখানে মিয়ানমারকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসবে। মিয়ানমার ইস্যুতে ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের বিপরীতমুখী অবস্থান তাদের শীতল যুদ্ধে জড়ালে মিয়ানমারের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ, ভূ-রাজনীতি এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন দুরূহ হয়ে পড়বে।

অভ্যুত্থান নিয়ে ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আর বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় দেশটিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছে। সেই সঙ্গে আশা প্রকাশ করেছে যে, প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।

বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়ায় একটি বিষয় স্পষ্ট যে, বাংলাদেশ মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা ঘামাতে রাজি না। সরকারে যেই থাকুক, সম্পর্ক আগের মতোই থাকবে, রোহিঙ্গাদেরও ফেরত নিতে হবে। কারণ, রোহিঙ্গা শরণার্থী ফেরত নেওয়ার চুক্তি সরকারের সঙ্গে হয়েছে। সু চি ক্ষমতায় থাকতেই রোহিঙ্গা ঢল বাংলাদেশে এসেছিল এবং তার ক্ষমতাকালেই ফেরত নেওয়ার ক্ষেত্রে টালবাহানা অব্যাহত ছিল। সেখানে সু চিকে গণতন্ত্রের ‘মহান নেত্রী’ চিন্তা করে তার পক্ষ না নিয়ে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করাই বাংলাদেশের জন্য উত্তম হবে। অবশ্য মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বাংলাদেশের জন্য নতুন কিছু না।

তারপরও বলবো, মিয়ানমারের সরকারের ওপর রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এবং বাকস্বাধীনতার সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ করা অব্যাহত রাখতে হবে। সেখানে বাংলাদেশের পিছপা হওয়ার সুযোগ নেই। চীনের মধ্যস্থতায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীন-বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে যে ত্রিদেশীয় আলোচনা শুরু হয়েছে, তাকে এগিয়ে নিতে হবে।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট, ইরাক ও আফগান যুদ্ধ-সংবাদ সংগ্রহের জন্য খ্যাত।

[email protected]

 

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ