পুলিশের বিভিন্ন চেকপোস্টে আটকা পড়লেই নানান যুক্তি দেখাচ্ছে জনগণ। কেউ চিকিৎসার অজুহাত, কেউবা গিয়েছেন শ্বশুরবাড়ি, কেউ মুভমেন্ট পাস সম্পর্কে কিছু জানেন না, কারও বিভিন্ন ধরনের কেনাকাটা—নানা জনের নানা যুক্তি।
মোহাম্মদ লোকমান হোসেন গিয়েছিলেন সাভার। ঢাকায় ফেরার পথে গাবতলী পুলিশ চেকপোস্টের সামনে পুলিশি জেরার মুখে পড়েন। একেক সময় একেক ধরনের তথ্য পুলিশকে দিতে থাকেন। তার কাছে মুভমেন্ট পাস সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, বিষয়টি তিনি জানেন না। বাইরে বের হওয়ায় ট্রাফিক পুলিশ মামলা ঠুকে দেন তার নামে।
আমিন বাজারের বাসিন্দা রাকিব হোসেন যাচ্ছিলেন কল্যাণপুর। গাবতলী চেকপোস্টে জেরার মুখে একেক সময় একেক কথা বলেন। একসময় বলেন হাসপাতাল যাচ্ছেন, তার আত্মীয় অসুস্থ। তবে মুভমেন্ট পাস না থাকায় তাকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
মো. এনামুল পরিচয় দিয়েছিলেন জেনারেটরের মেকানিক হিসেবে। জেনারেটর সারাতে যাওয়ার কথা জানান তিনি। কিন্তু কোথায় কার কাছে যাচ্ছেন সে বিষয়ে যুক্তিযুক্ত কোনও উত্তর মেলেনি। ফলে পুলিশ সদস্যরা তাকে ফেরত পাঠিয়ে দেন।
এ সময় কনস্টেবল তামজীদ হোসেন তাদের উদ্দেশে বলেন, দেখুন বিয়ের মেহেদির দাগ এখনও হাত থেকে যায়নি। এরপরও আপনাদের নিরাপত্তায় দেশের নিরাপত্তায় কাজ করছি। আপনারা ভালো থাকলেই আমাদের সার্থকতা। এভাবে অযথা ঘোরাফেরা করবেন না।
দারুস সালাম থানার উপ-পরিদর্শক সুলতান মাহমুদ শাকিল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, যারা মুভমেন্ট পাস দেখাতে পারছে তাদের আমরা ছেড়ে দিচ্ছি। যারা মুভমেন্ট পাস দেখাতে পারছে না তাদের আমরা ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছি। মুভমেন্ট পাস থাকলেও যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে কিনা সে বিষয়টিও আমরা খতিয়ে দেখছি।
সার্জেন্ট নুরুন্নবী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, যাদের বাইরে বের হওয়ার কারণ ও প্রয়োজন জরুরি মনে হয়নি, তাদের নামে আমরা মামলা দিচ্ছি। বিনা প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে কাউকে না বের হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
ছবি: নাসিরুল ইসলাম ও রিয়াদ তালুকদার।
আরও পড়ুন-
১ লাখ ৩৩ হাজার মুভমেন্ট পাস ইস্যু, মিনিটে ১৪ হাজার ভিজিট
৭ দিনের ‘সর্বাত্মক বিধিনিষেধ’ শুরু: যা করবেন না
যেসব কারণে পুলিশের মুভমেন্ট পাস নেওয়া যাবে