রাজশাহীর বাঘায় প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ৫০০ বছরের পুরনো বাঘা শাহী মসজিদ। ১৫২৩-১২২৪ খিস্টাব্দে (হিজরি-৯৩০) হোসেন শাহ্ এর ছেলে নুসরাত শাহ এই শাহী মসজিদ নির্মাণ করেন। এই মসজিদের টেরাকোটায় দেখা যায় আমের প্রতিকৃতি। যা থেকে বাঘার আমের সুখ্যাতি প্রাচীন আমল থেকে যে স্বীকৃত, তারই প্রমাণ মেলে।
জানা যায়, জেলায় ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর আমবাগানের মধ্যে বাঘা উপজেলায় আট হাজার ৩৬৮ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। উপজেলায় উল্লেখযোগ্য আমের মধ্যে গোপাল ভোগ, হিমসাগার, আম্রপালি, ল্যাংড়া, তোতাপরি, ফজলি, লক্ষণভোগ জাত উৎপাদন হয়। এই আম রফতানি করা হচ্ছে ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে, পর্তুগাল, ফ্রান্স, রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
এদিকে বিশ্বে বাঘার আমের পরিচিতি বাড়াতে ব্র্যান্ডিং কম্পিটিশন শুরু হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কৃষি অফিসের ব্যবস্থাপনায় ১০ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতা চলবে।
এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এই আয়োজনের মধ্যে উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনা ও নীতিমালা অনুসরণ করে ৮টি শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এ শর্তে যারা জয়ী হবেন তারা পাবেন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ্ সুলতান বলেন, ইতোমধ্যে বাঘার আম দেশে সুপরিচিত। এই আমের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও নিরাপদ আম উৎপাদন এবং বিশ্বে পরিচিত করতে ব্র্যান্ডিং কম্পিটিশন শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচ টনের দুটি চালান গিয়েছে বলে জানান তিনি।