বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, এই সরকার যেমন বেআইনি, ভোটারবিহীন, জবরদখলকারী সরকার তেমনি এই নির্বাচন কমিশনও এখন একটি বেআইনি প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিণতি লাভ করেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু করার জন্য নির্বাচন কমিশন যখনই সরকারের সহায়তা চাইবে সরকার তা দিতে বাধ্য থাকবে। নির্বাচন কমিশনের কথা মেনে না থাকলে অবশ্যই সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। নির্বাচন কমিশনের সেই মুহূর্তে উচিত নিজস্ব শক্তি প্রয়োগ করা। আর সেই শক্তি প্রয়োগে সরকার যদি রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করে বাধা দান করে তাহলে নির্বাচন কমিশনের উচিত দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সরকারের সংবিধান লঙ্ঘনের কথা জানিয়ে পদত্যাগ করা।’
রিজভী বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিজেই বলেছেন- রাষ্ট্রযন্ত্র সহযোগিতা করছে না। সুতরাং সেই ক্ষেত্রে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিজস্ব শক্তি প্রয়োগে যাবতীয় ব্যবস্থা নিতে পারতেন। সংবিধান লঙ্ঘনের জন্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করতে পারতেন। কিন্তু তিনি সেটি না করে অনুগত হয়ে প্রভুর মনোবাঞ্ছাই পূরণ করলেন।’
বুধবার বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপি’র স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এবং যুবদল সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নিরবসহ ১৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদ করেন রিজভী। তিনি তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে অভিহিত করেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, তিনি মাঝে মাঝে বজ্রাদপি কঠিন কথা বললেও যখন সরকারের দিকে তাকান তখন কুসমাদপি কোমল হয়ে পড়েন। কারণ তিনি আনুগত্য বিসর্জন দিতে চান না। রক্তস্রোতের মধ্যে নির্বাচনকে ভাসিয়ে দিয়ে হলেও তিনি সরকারের ইচ্ছাপূরণে সর্বোচ্চ আত্মনিয়োগ করেন।
/এসটিএস/এফএস/