অবৈধভাবে ডিসপেন্সিং মেশিনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ করতে গাজীপুর জেলা প্রশাসককে চিঠি দেওয়ার সিন্ধান্ত নিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। জ্বালানি বিভাগ সূত্র বলছে, গাজীপুরে কিছু ছোট ছোট দোকানে ডিসপেন্সিং মেশিন বসিয়ে জ্বালানি তেল কেনাবেচা করছে কিছু মানুষ। যা অবৈধ। এই প্রক্রিয়ায় এক দিকে সাধারণ ভোক্তা ঠকছে। অন্যদিকে ভেজাল জ্বালানি বিক্রি বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি তাদের কাছে বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে। যেসব অভিযোগে বলা হয়েছে, গাজীপুরের কিছু এলাকায় পেট্রোল পাম্পের মতো দোকানের মধ্যে ডিসপেন্সিং মেশিন বসিয়ে পেট্রোল বিক্রি করা হচ্ছে। তদন্ত করে এসব বিষয়ে সত্যতাও মিলছে।
পেট্রোল একটি দাহ্য পদার্থ এসব পদার্থ বিক্রির ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। পেট্রোল পাম্পগুলোর অনুমোদনের ক্ষেত্রে সেসব সতর্কতা মেনে চলতে বাধ্য করা হয়। এসব পেট্রোল পাম্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে সরকারের কিছু দফতর থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়।
কিন্তু অবৈধভাবে এসব দোকানপাটে তেল বিক্রি হলে তার জন্য কারও কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়া হয় না।
সম্প্রতি জ্বালানি বিভাগের বৈঠকে সারাদেশের ভেজাল জ্বালানি তেল বিক্রি এবং পরিমাপে কম দেওয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এতে অবৈধভাবে গাজীপুর এলাকাতে তেল বিক্রির বিষয়টি উঠে আসে।
জ্বালানি সচিব ড. মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান মজুমদার গাজীপুরের ডিসিকে চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন।
জ্বালানি বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, পেট্রোল পাম্পকে ফায়ার সার্ভিস ডিফেন্স সেন্টার, বিপিসি, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর, বিস্ফোরক পরিদফতর, পরিবেশ অধিদফতরের অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু এসব স্থাপনাকে তেল বিক্রির কোন অনুমোদন দেওয়ার কোনও বিধান নেই।
সরকার এখন পেট্রোল পাম্পের স্থলে সারাদেশে মডেল পেট্রোল পাম্প নির্মাণ করছে। বড় আকারের এসব পেট্রোল পাম্প এক দিকে যেমন জ্বালানি বিক্রি করবে, অন্যদিকে যাত্রীদের নানা রকম সেবা দেবে। সেখানে এ ধরনের অনুমোদন বিহিন তেল বিক্রির স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে।
দেশে গত মাসে চার জেলায় পেট্রোল পাম্পে অভিযানের চিত্র বলছে, বগুড়ায় ৮৫ হাজার, খাগড়াছড়িতে ৯ হাজার, টাঙ্গাইলে ৩০ হাজার এবং ময়মিনসিংহে ৭১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসব পেট্রোল পাম্প ২০১৮ সালের বিএসটিআই মান অনুযায়ী তেলের যে পরিমাপ দেওয়ার কথা তা দেওয়া হচ্ছিলো না।