X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রজন্ম ধ্বংসের হাতিয়ার সব গেমস-অ্যাপসকে ‘না’ বলি

ড. জেবউননেছা
০২ জুন ২০২১, ১৫:১৩আপডেট : ০২ জুন ২০২১, ১৫:১৩

ড. জেবউননেছা কয়দিন আগে একটি রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলাম। সেখানে ঠিক আমার পাশের টেবিলে বসলেন এক দম্পতি। দুজনে খাবার অর্ডার করলেন, দুজনেই খেলেন। কিন্তু কেউ কারও সঙ্গে কোনও কথা বলার সময় নেই। স্ত্রী বিভিন্ন ঢংয়ে ছবি তোলায় ব্যস্ত। কয়টি ছবি তুললেন,খাওয়া শেষ হলো চলে গেলেন। এরপর একই টেবিলে পরবর্তীতে এলেন তিন জন। তিন জনই পাঞ্জাবি পায়জামা পরা। তাদের তিন জনের হাতেই মুঠোফোন। তারাও বসে ছবি তোলা শুরু করলেন। পেছনে তাকিয়ে দেখি আর একটা টেবিলে ৬ জন যুবক, তারাও ছবি তোলায় ব্যস্ত। তার পাশের টেবিলে বাচ্চাসহ পরিবার, তাদের হাতেও মুঠোফোন। তারাও ছবি তোলায় ব্যস্ত। আমার চোখ তখন খুঁজতে চাইলো পুরো রেস্তোরাঁয় কী অবস্থা। পর্যবেক্ষণ করে দেখলাম রেস্তোরাঁয় প্রায় ৪০টি টেবিল। ৪০টি টেবিলের সবাই মোবাইলে ব্যস্ত। কেউ ব্যস্ত ছবি তোলায়। কেউবা গেমস খেলায়। যাই হোক, রেস্তোরাঁ থেকে বেরিয়ে রাস্তায় এসে দেখি রেস্তোরাঁর পাশের দোকানের সিঁড়িতে সাত আট জন যুবক। তাদের সবার হাতে মোবাইল। সবই গেমস খেলছে। সময় কিন্তু তখন রাত আটটা। বাসায় এসে দেখি আমার ছেলেটাও গেমস খেলায় ব্যস্ত। আমি হতাশ হয়ে পড়ি। কী হবে এই প্রজন্মের। কোথায় যাচ্ছি আমরা?

করোনাকালে অনলাইন ক্লাসের ভেতরেই শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করছে খেলায়। ক্লাসে ভিডিও বন্ধ করে দেদার মেসেঞ্জারে গেমস খেলছে। শাসন করতে গেলেই শিক্ষার্থীরা উদ্ভট আচরণ করছে। আমার জানামতে একজন শিক্ষার্থীকে দেখেছি সে টপআপ কেনার জন্য তার বন্ধুকে বাবার মানিব্যাগ থেকে টাকা চুরির পরামর্শ দেয়। সেটা অভিভাবক জানতে পারলে সেই শিক্ষার্থীর মাকে বিষয়টি অবহিত করলে সেই শিক্ষার্থী বন্ধুমহলে সেই বিচার দেওয়া অভিভাবকের সন্তানকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। বন্ধুমহল থেকে বাদ পড়ায় সেই শিক্ষার্থী ঘরের মধ্যে তার পিতামাতার সঙ্গে আগ্রাসী আচরণ করে। অথচ অনলাইনে পাঠদান করা কতটুকু কষ্টের তা শিক্ষক হিসেবে আমি জানি। এই পরিশ্রমের কথা শিক্ষার্থীদের বোঝাবে কে?

আমার বাসার গৃহপরিচারিকা প্রতিদিন এসে আমাকে বলে, ‘আপা আমার মেয়ে ফেসবুকের মাধ্যমে একটি ছেলের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। খবর নিয়ে দেখি সেই ছেলেটা এক কর্মকর্তার ছেলে। আমি শাসন করেছি বলে মেয়ে আমার সঙ্গে কথা বলে না।’ মেয়েটি দশম শ্রেণির ছাত্রী। করোনাকালীন এই সময়ে তার হাতে ক্লাসের জন্য বেশিরভাগ সময় মুঠোফোন থাকায় সে এই সুযোগটি নিয়েছে। আমার জানামতে একটি অভিজাত পরিবারে দেখেছি তার সন্তান স্মার্ট টেলিভিশনে সারা দিন গেমস নিয়ে পড়ে থাকে। শাসন করতে গেলেই অমূলক আচরণ করে। রাতের বেলা বাবা-মা ঘুমিয়ে পড়লে মুঠোফোন চুরি করে সারা রাত গেমস খেলে।

সম্প্রতি এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এ বছর প্রথম চার মাসে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে প্রায় ১৭ হাজার শিশুকে চোখের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে এ বছর প্রথম তিন মাসে ২১ হাজার শিশুকে চোখের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখন বাচ্চারা একত্রিত হলে কার পয়েন্ট কত এটা নিয়ে আলোচনা করে থাকে। শুধু কী তাই, আমার জানামতে এমন একজনকে দেখেছি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে সারা দিন ল্যাপটপে গেমস খেলে। এমনও দেখেছি, ভীষণ মেধাবী ছাত্র সারা দিন ট্যাব নিয়ে পড়ে থাকায় জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পায়নি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অতিমাত্রায় গেমস খেলাকে মনোস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে গ্রহণ করেছে ২০১৮ সালে। এর ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালে প্রকাশিতব্য আইসিডি-১১ শীর্ষক রোগ নির্ণয়ে গাইডবুকে এটি সংযুক্ত করা হয়েছে।

এক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৩৫% হচ্ছে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী। এসব বাচ্চার জীবনের সব আনন্দের উৎস গেমসে। যে কারণে লেখাপড়ায় তারা মন দিতে পারে না। মেজাজ খিটখিটে থাকে,আচরণ আগ্রাসী, ইন্টারনেট না থাকলে অস্থিরতা করে। এতে তারা দিনে ঘুমাচ্ছে, রাতে জাগছে, সামাজিকতা কমে যাচ্ছে।

আমার এক পরিচিতজনের দুই সন্তান, একজন কলেজে পড়ে আর একজন স্কুলে। তারা দুই জন সারা রাত জেগে মুঠোফোনে সময় কাটায়। আমি একদিন তাদের বাড়িতে বেড়াতে যাই। ফজরের নামাজের জন্য ওজু করতে বের হয়ে দেখি কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী মুঠোফোনে ব্যস্ত। আমি হতাশ হয়ে পড়ি। মনে মনে ভাবি এ কোন যুগে এসে পড়লাম, কীভাবে রক্ষা পাবে এই আসক্তি থেকে তারা। তার মাকে বলতেই সে বললো, ‘দুজনে সারা রাতই জেগে থাকে। আমি আমার মতো করে রুমে ঘুমিয়ে পড়ি। কী করবো,কিছু বলা যায় না’। এই দুই জন সহজে কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানেও যেতে চায় না। দুজনেই স্থূলকায়। আমি বিস্মিত হয়ে পড়ি। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী হওয়ার কারণে ব্যক্তিগতভাবে আমাকে এসব সামাজিক ব্যাধি ভীষণ পীড়া দেয়। যে কারণে এসব ব্যাধি চোখে পড়ে বেশি।

যুক্তরাজ্যের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৩-১৭ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি শিশু সপ্তাহে ৩০ ঘণ্টার চেয়ে বেশি সময় ব্যয় করে ভিডিও গেমস,কম্পিউটর, ই-রিডার্স, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য স্ক্রিনভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পেছনে। পৃথিবীতে প্রায় ২২০ কোটি মানুষ নিয়মিত অনিয়মিতভাবে ভিডিও গেমস খেলে। আর এসব গেমস দিয়ে বর্তমানে বেশি পয়সা আয় করা সেক্টর হিসেবে রূপলাভ করছে।

পাবজি খেলায় ব্যস্ত থাকে বাংলাদেশ প্রতিদিন ১ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ। অথচ এই গেমসটি একটি হিংস্র গেমস। মনোবিজ্ঞানীরা মনে করছেন,পাবজি গেম সহিংস মনোভাব তৈরি করছে। এ ধরনের গেমস যারা খেলে তারা ধীরে ধীরে একাকী হয়ে যায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই গেমসটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে উপমহাদেশে সর্বপ্রথম নিষিদ্ধ হয় ভারতে। এরপর নিষিদ্ধ হয় নেপালে,ইরাকে,জর্ডানে এবং চীনে। তবে পাবজি ছাড়াও ক্ল্যাশ অব ক্ল্যান,ভাইসসিটি, ডটা টু, মনস্টার হান্টার ওয়ার্ল্ড এবং হাঙ্গারগেমে মানুষের আসক্তি রয়েছে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে এ সময়ে বেশি খেলা হচ্ছে পাবজি, কল অব ডিউটি, ফিফা-২০২০, ফ্রি ফায়ার, ভ্যালোরেন্ট, লিগ অব রিজেন্ড, ফোর্টনাইট। অন্যদিকে অ্যান্ড্রয়েডে ফ্রি গেমসগুলো হচ্ছে সাবওয়ে সারফার্স, ক্ল্যাশ রয়েল, লুডো স্টার ইত্যাদি। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, পাবজি গেমের ইন এপ পারচেজে মাসে অন্তত ৭০ থেকে ৯০ কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে চলে যাচ্ছে। গেমসের বিশাল বাজার বাংলাদেশে। ব্যবসায়ীরা তাদের মুনাফা বাড়াচ্ছেন,কিন্তু নীরবে ধ্বংস করে দিচ্ছে আমাদের প্রজন্মকে।

শুধু যদি পাবজি গেমসের ক্ষতিকর দিকটি বিশ্লেষণ করি, দেখা যায় গেমসটি মানুষকে মানসিকভাবে চরম সহিংস, আসক্তি সৃষ্টি করে, সামাজিক মিথস্ক্রিয়া হ্রাস করে, শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি করে, ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায় এবং অন্যান্য কাজ করার সময় কমে যায়। এই একটি গেমস যদি এতটা ক্ষতি করে তাহলে যত গেমস রয়েছে তত গেমস কতটুকু ক্ষতি করে তা সহজেই অনুমেয়। ভারতের মধ্য প্রদেশে একজন পাবজি গেমস আসক্ত টানা ৬ ঘণ্টা খেলার পর হেরে যাওয়ায় উত্তেজনায় মৃত্যুবরণ করে।

ক’দিন যাবৎ শুনতে পাচ্ছি পাবজি এবং ফ্রি ফায়ার নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। এটি নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আমি এ বিষয়টি অবহিত হবার পর সামাজিক মাধ্যমে লিখলাম, ‘পাবজি, ফ্রি ফায়ার এবং অন্যান্য গেমস বন্ধ হয়ে গেলে আমি হবো পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী একটি মানুষ। কারণ, এই গেমসগুলো পরবর্তী প্রজন্মকে নীরবে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এই গেমস যারা বন্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রইলো।’ এটি লেখার পর একজন লিখলেন, ‘ম্যাম ঘরে ভাইয়ের মধ্যে এত বাজে প্রভাব পড়ছে এসব গেমসের। এই গেমসগুলো সত্যিই যদি বন্ধ করা যায়, অন্য অ্যাপসের মাধ্যমে যদি খেলা না যায় তাহলে অনেক পরিবারেই শান্তি আসবে। এসব গেমসের প্রভাব যে কতটা খারাপ হয়, তা আমি প্রত্যক্ষদর্শী।’ অন্য আর একজন লিখেছেন,‘ম্যাম আসলে এ ব্যাপারটি নিয়ে আমাদের এত খুশি হয়ে লাভ নেই। যারা পাবজি খেলতে পারে তারা ভিপিএন ইউজ করাও জানে ম্যাম, তারা ভিপিএন ব্যবহার করে খেলবেই’।

বিষয়টি নিয়ে আমি যখন লিখছি, তখন আমার ছেলে আমাকে বলছে ,মা,‘পাবজি আর ফ্রি ফায়ার বন্ধ করার কথা লিখছো যেহেতু, সেহেতু, টিকটক, লাইকি, ভিগো, স্ট্রেম, ফেসবুক, মাদকপাচার এগুলো বন্ধ করার কথাও লিখো। দুটো বিষয় বন্ধ করার কথা লিখছো, বাকিগুলো বন্ধ করার কথা বলছো না, তা কি হয়? এগুলো কি নেশা নয়? বন্ধ করলে সব বন্ধ করতে হবে।’ আমার মনে হলো ওর কথা শতভাগ সঠিক। মোদ্দা কথা, যে সফটওয়্যার সমাজের জন্য দেশের জন্য ক্ষতিকর, সেগুলো বন্ধ করতেই হবে।

মনে পড়ে, শৈশবে বহুবার বাবার হাত ধরে লক্ষ্যা নদীর পাড়ে গিয়েছি, শিশু পার্কে গিয়েছি। বাবা আমাকে বিভিন্ন সাহিত্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিয়ে গেছেন। বাবা আমাদের তিন ভাইবোনের জন্য ক্যারম বোর্ড, বাগাডুলি, রেকেট, দাবা, লুডু, দড়ি লাফানো কিনে দিয়েছেন।

এখনকার অভিভাবকদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, কয়জন যাই বাচ্চাদের নিয়ে নদীর ধারে? কয়জন বাচ্চাকে লুডু খেলায়, দাবা খেলায় সময় দেই? দাদা-দাদি, চাচা ফুফুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা, তাদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলার জন্য কয়জন তাগিদ দেই?

এগুলো না করে আমরা সুযোগ পেলে রিসোর্টে যাই, সুযোগ পেলে বুফে রেস্তারাঁয় যাই। আজকের এই দৈন্যদশার জন্য আমরাই দায়ী। যে সোনালি শৈশবে মাটির কাছে আমরা বড় হলাম, এমন কী হয়ে গেলো যে বাচ্চাগুলোকে একরকম ‘পোলট্রি ফার্মে’র মতো ঘরবন্দি করে রেখে তাদের জনবিচ্ছিন্ন করে তোলার। সামাজিক মূল্যবোধ চর্চার অভাব, একক পরিবার গঠন, স্বার্থপরতা বাচ্চাদের অতিমাত্রায় মুঠোফোনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে একথা স্বীকার করতেই হবে।

তাই প্রজন্ম ধ্বংস হওয়ার হাতিয়ার গেমস, টিকটক, লাইক, ভিগো,স্ট্রেমকে ‘না’ বলি সবাই। বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটাই। বাচ্চারা কোথায় যাচ্ছে, কার সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে, মুঠোফোনে কি করছে তার দিকে কড়া নজর রাখি। সবাই মিলে সুস্থ পৃথিবী গড়ে তোলার মন্ত্রে এগিয়ে যাই।

১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘে প্রদত্ত ভাষণে বলেছিলেন, ‘জনগণের ঐক্যবদ্ধ ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই আমরা আমাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হতে পারি, গড়ে তুলতে পারি উন্নততর ভবিষ্যৎ’। আমিও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে একমত। চলুন, সবাই মিলে বাচ্চাদের জন্য বাসযোগ্য সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলি। বাচ্চাগুলোর মানসিক গঠনে সাহায্য করি। নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের কথা না ভেবে পরিবার, সমাজ তথা দেশের জন্য ভাবী। দেশকে ভালোবাসি।

লেখক: অধ্যাপক, লোকপ্রশাসন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
চুক্তিতে না থাকলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার আশা স্টয়নিসের
চুক্তিতে না থাকলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার আশা স্টয়নিসের
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নিতে এসে ১৭৩ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়ে গেলো মিয়ানমার
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নিতে এসে ১৭৩ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়ে গেলো মিয়ানমার
প্রার্থিতা নিয়ে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা দলীয় নির্দেশনা না মানলে ব্যবস্থা
উপজেলা নির্বাচনপ্রার্থিতা নিয়ে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা দলীয় নির্দেশনা না মানলে ব্যবস্থা
মোংলায় নামাজ পড়ে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা
মোংলায় নামাজ পড়ে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ