X
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
১৭ বৈশাখ ১৪৩১

পুতুলের জয়ে বিজয়ী শেখ হাসিনার কূটনীতি

মো. আবুসালেহ সেকেন্দার
০৭ নভেম্বর ২০২৩, ১৯:৪১আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ১৯:৪১

২০২৩ সালের শুরু থেকেই বাংলাদেশ-আমেরিকা সম্পর্কে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। বাংলাদেশে পশ্চিমা ধাঁচের গণতান্ত্রিক শাসনের ভিত আরও মজবুত করতে আমেরিকা বেশ জোরেশোরেই তৎপর হয়েছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধে এলিট ফোর্স র‌্যাবের ওপর তারা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

মানবাধিকার রক্ষায়, মুক্ত স্বাধীন গণমাধ্যম তথা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সুশাসন নিশ্চিতে তারা ২০২৪ সালে বাংলাদেশে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করছে। আমেরিকার ওই কূটনৈতিক চাপকে পুঁজি করে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। ক্রমাগতভাবে আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ করতে, সরকার হঠাতে বিরোধী দলগুলো নানা রাজনৈতিক কর্মসূচি দিচ্ছে। হরতালের পরে ধারাবাহিক অবরোধ চলছে। রাজনীতির কারণে আবারও প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। গাড়িতে আগুন, সংঘর্ষ-হত্যার রাজনীতিতে ফিরেছে দেশ। বাংলাদেশের শান্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি হঠাৎ অশান্ত হবার পেছনে আমেরিকার কূটনৈতিক তৎপরতা ও ভিসা স্যাংশনের প্রভাব রয়েছে তা স্পষ্ট।

তাই সুপারপাওয়ার আমেরিকা ও বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার (২০১৮-২০২৩)-এর মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে আন্তর্জাতিক কোনও সংস্থায় সরাসরি ভোটে ক্ষমতাসীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী কন্যার বিজয়ী হওয়া তথা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে বিজয়ী হওয়া নিঃসন্দেহে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য বিরাট সুখবর। শেখ হাসিনার কূটনৈতিক জয়। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ও তার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে মিত্রহীন নন তারও বড় প্রমাণ। প্রধানমন্ত্রীকন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ওই বিজয়ে সন্দেহাতীতভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই পদের জন্য উপযুক্ত প্রার্থী ছিলেন। তিনি আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিমান একজন মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজম বিশেষজ্ঞ। আন্তর্জাতিক পরিসরে কাজ করার অভিজ্ঞতাও তার রয়েছে, তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মহাপরিচালকের উপদেষ্টা। ফলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কন্যা তার এই পরিচয় বাদ দিলেও একজন ব্যক্তি হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে লড়াই করে জয়ী হবার মতো ব্যক্তিগত পরিচিতি তার রয়েছে। বর্তমান বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আমেরিকার বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ওপর কূটনৈতিক চাপের কালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কন্যার আন্তর্জাতিক কোনও ফোরামে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। পুতুলের যত ব্যক্তিগত যোগ্যতা থাক না কেন, তিনি শেখ হাসিনা কন্যা– এটাই তার অযোগ্যতা হয়ে উঠতে পারতো!

কূটনৈতিক খেলায় তিনি হেরে যেতে পারতেন! কিন্তু রাজনীতিতে সাহসীরাই বিজয়ী হয় তা আবারও প্রমাণিত হলো।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুতুলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে নির্বাচনে দাঁড় করিয়ে রাজনৈতিক-কূটনৈতিক ট্রামকার্ড খেলেছিলেন। ওই খেলায় তিনি আপাতত সফল হয়েছেন।

বর্তমান বাংলাদেশ-আমেরিকা সম্পর্ক, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বলয়ে আমেরিকার ভূমিকা ইত্যাদি বিষয় এই প্রশ্ন সামনে আনছে যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন ট্রামকার্ডে জয়ী হওয়া কি তাহলে আমেরিকার কূটনৈতিক পরাজয়? অথবা আমেরিকা কী ওই নির্বাচনে বাংলাদেশকে সমর্থন করেছিল অথবা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রীর “তলে তলে লিয়োজোঁর” দাবি কী তাহলে সত্যি? একজন কূটনীতি-রাজনীতি বিশেষজ্ঞ হিসেবে সার্বিক ঘটনা পর্যালোচনা করে মনে হয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে আমেরিকার কোনও লিয়াজোঁ এখনও হয়নি। বরং এই বিজয় এসেছে ভিন্ন কারণে।

বাংলাদেশ প্রশ্নে আন্তর্জাতিক কূটনীতি এখন দুই বলয়ে বিভক্ত: একপক্ষে রয়েছে আমেরিকা-ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও তার মিত্র দেশগুলো এবং অন্য পক্ষে রয়েছে ভারত-চীন-রাশিয়া বলয়ের দেশগুলো। চীন ও ভারতের মধ্যে দ্বৈতরথ থাকলেও বাংলাদেশ প্রশ্নে তারা একই বলয়ে কাজ করছে, তা সাম্প্রতিক তাদের নানা পদক্ষেপ ও তৎপরতা থেকে বোঝা যায়। আওয়ামী লীগ সরকার হচ্ছে ভারতের জন্য ভূ-রাজনৈতিক রক্ষাকবচ। দিল্লির মসনদে কোনও কম বুদ্ধির শাসক ক্ষমতা গ্রহণ করলেই কেবল আওয়ামী লীগ ও ভারতের ওই মিত্রতা ভাঙতে পারে, নচেৎ নয়। অন্যদিকে চীনের বড় অর্থনৈতিক মিত্র বাংলাদেশ। চীন আওয়ামী লীগের উন্নয়নযাত্রার অন্যতম অংশীদার। সেই কারণে ভারতের সঙ্গে তাদের ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও তারা বাংলাদেশ প্রশ্নে এক বলয়ে কাজ করছে। এক্ষেত্রে রাশিয়া ‘তলে তলে’ ভূমিকা রাখছে। রাশিয়ার সঙ্গে চীন ও ভারত উভয় রাষ্ট্রেরই মিত্রতা রয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশে আমেরিকার প্রভাব বাধাগ্রস্ত করতে রাশিয়া সদা তৎপর। সেই কারণেও নিজেদের মধ্যে ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভুলে চীন ও ভারত বাংলাদেশ প্রশ্নে এক সুরে গান গাইছে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদের নির্বাচনের ভোটগুলো পর্যালোচনা করলেও তার প্রমাণ মেলে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সদস্য ১১টি রাষ্ট্রের মধ্যে পূর্ব তিমুর ছাড়া অন্য কোনও দেশ আমেরিকা বলয়ের রাষ্ট্র নয়। মিয়ানমার চীন-রাশিয়া-ভারতের ঘনিষ্ঠ মিত্র হলেও বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক না থাকায় তারা ভোটদানে বিরত ছিল। মিয়ানমারের বাংলাদেশের বিপক্ষে ভোট না দেওয়া বলে দেয় তার উপযুক্ত মিত্র রাষ্ট্রগুলোর অবস্থান বাংলাদেশের পক্ষে ছিল। চীন-ভারত-রাশিয়া বাংলাদেশকে জয়ী করতে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার বাংলাদেশের পক্ষে ভোট দেওয়াও এই দাবির আরও একটি প্রমাণ।

প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দেশ নেপাল এবং ভোটদানে বিরত থাকা মিয়ানমারকে বাদ দিলে বাকি নয়টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ আটটি ভোট পেয়েছে। কোন দেশ বাংলাদেশকে ভোট দেয়নি তা গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়নি। কিন্তু এই বিষয়টি পরিষ্কার যে আমেরিকার অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র পূর্ব তিমুর বা তিমুর লেস্তে নেপালের পক্ষ নিয়েছে। কারণ, তিমুর লেস্তে ছাড়া অন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলো ও তাদের বর্তমান সরকারের ওপর চীন-ভারত-রাশিয়ার প্রভাবের কথা বাদ দিলেও দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ও তার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মিত্রতা রয়েছে।

এর মধ্যে দুই অঞ্চলের রাষ্ট্র রয়েছে: দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্র।

দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ মিত্র। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে একসময় পড়ালেখা করেছেন। তার বাংলাদেশের প্রতি এক ধরনের স্মৃতিঋণ আছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক বেশ ভালো। ভারত বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ মিত্র। মালদ্বীপ বর্তমানে চীন বলয়ের দেশ। তবে ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশ এবং মালদ্বীপ প্রায় সর্বদা পরস্পর সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে। শ্রীলঙ্কাও বাংলাদেশের অন্যতম মিত্র। সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সংকটের সময় বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে অর্থ ধার দিয়ে সহায়তা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রীলঙ্কাকে ওই অর্থসাহায্য দেশের মধ্যে অনেকেই রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমালোচনা করেন। তবে বাংলাদেশের ডলার সংকটকালে প্রতিবেশীর বিপদে পাশে দাঁড়ানোর যে কূটনৈতিক দূরদর্শিতা শেখ হাসিনা দেখিয়েছিলেন তা যে ঠিক ছিল তা সাম্প্রতিক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক পদের নির্বাচনে শ্রীলঙ্কার বাংলাদেশকে সমর্থন করা প্রমাণ করছে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পূর্ব তিমুর বা তিমুর লেস্তের কথা ওপরের আলোচনায় বলা হয়েছে। বাকি থাকা অন্য দুটি দেশ থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার ওপর আমেরিকার ওই অর্থে প্রভাব নেই। ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারি ফরেন পলিসি ম্যাগাজিনে প্রকাশিত ব্ল্যাক হারজিঙ্গগার তার লেখা “সাউথইস্ট এশিয়া ইজ গেটিং স্কুইজড বাই আমেরিকা’স এমবারেছ: ফোরসিং স্টেট টু চুজ বিটিউইন ওয়াশিংটন অ্যান্ড বেইজিং ইজ আ এসট্রাটেজিক মিসটেক” প্রবন্ধে বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সিঙ্গাপুর আমেরিকার ঘনিষ্ঠ মিত্র। অন্য রাষ্ট্রগুলোয় আমেরিকা তার অর্থনৈতিক প্রভাব বাড়াতে চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ব্ল্যাক হারজিঙ্গগারের প্রবন্ধের বক্তব্য পর্যালোচনা করলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ড যে আমেরিকা বলয়ের রাষ্ট্র নয় তা স্পষ্ট হয়। বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চীন ও আমেরিকার প্রভাব বিস্তারের ওই লড়াইয়ের ফায়দা তুলেছে তা বলা যায়। যদিও মুসলিম রাষ্ট্র হওয়ায় ওআইসিভুক্ত অন্য রাষ্ট্রগুলোর মতোই ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ ভালো। সুতরাং বাংলাদেশ সহজে ইন্দোনেশিয়ার সমর্থন পেয়েছে।

পুতুলের এই বিজয় শেখ হাসিনার কূটনৈতিক দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞার ফলে ঘটেছে। কিন্তু ওই জয়ই বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক করতে এবং আমেরিকার ক্রমাগত চাপ মোকাবিলা করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য যথেষ্ট নয়।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনসহ নানা অর্থনৈতিক ইস্যুতে বাংলাদেশের বিবিধ স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা আন্তর্জাতিক ফোরামে এখনও আমেরিকা এককভাবে প্রভাবশালী রাষ্ট্র। তাই বাংলাদেশের স্বার্থে আমেরিকার সঙ্গে স্থায়ী বৈরী সম্পর্ক স্থাপন শুভদায়ক হবে না। বাংলাদেশের উচিত কূটনৈতিক ইতিহাসের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আমেরিকা ও তার পশ্চিমা মিত্র এবং একই সঙ্গে রাশিয়া-চীন-ভারত বলয়ের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখা। ভারসাম্যপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা সরকারের যে সুনাম রয়েছে তা আগামী দিনে অব্যাহত রাখলেই বাংলাদেশ ভূ-রাজনৈতিক গোলকধাঁধার চক্র থেকে রক্ষা পাবে।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

[email protected]

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
টিভিতে আজকের খেলা (৩০ এপ্রিল, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (৩০ এপ্রিল, ২০২৪)
রাজশাহীতে গরমে নাকাল প্রাণিকুল, মারা যাচ্ছে পাখি
রাজশাহীতে গরমে নাকাল প্রাণিকুল, মারা যাচ্ছে পাখি
দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুর পৌর মেয়র বরখাস্ত
দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুর পৌর মেয়র বরখাস্ত
মাটি কাটার সময় ‘গরমে অসুস্থ হয়ে’ নারী শ্রমিকের মৃত্যু
মাটি কাটার সময় ‘গরমে অসুস্থ হয়ে’ নারী শ্রমিকের মৃত্যু
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ