X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনি অঙ্গীকার থেকে দাম্ভিকতা

গোলাম মোর্তোজা
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১১:৩৬আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১১:৪১

গোলাম মোর্তোজাবিএনপি-জামায়াত সরকারের নৈরাজ্য, তারেক রহমানের বন্ধু-আর যুদ্ধাপরাধীদের দাম্ভিকতা, হাওয়া ভবন আতঙ্ক, ক্ষমতার চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কর্ম-কৌশল- সবই মানুষ দেখেছে।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী নেতৃত্বকে হত্যার পরিকল্পনাও মানুষ দেখেছে। তার পরিণতিতে দুই বছরের সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুঃশাসন, দুর্নীতি। এমন অবস্থায় ২০০৮ এর নির্বাচন। সম্ভবত স্বাধীন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে ভালো নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি। জনগণের কাছে আওয়ামী লীগ সুনির্দিষ্ট করে কিছু অঙ্গীকার করে। যুদ্ধাপরাধের বিচার, দুর্নীতি প্রতিরোধ, জিনিসপত্রের দাম মানুষের সাধ্যের মধ্যে রাখা, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি- এসব জনগুরুত্বসম্পন্ন অঙ্গীকার করে আওয়ামী লীগ।
যুদ্ধাপরাধীদের এবং হাওয়া ভবন ঘনিষ্ঠদের দাম্ভিকতায় দেশের সাধারণ মানুষ এবং শিল্পপতি - ব্যবসায়ীরা ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন। ফলে প্রশাসনসহ সম্মিলিতভাবে সবাই আওয়ামী লীগের পাশে দাঁড়িয়েছিল। আওয়ামী লীগ পেয়েছিল বিপুল বিজয়। সরকারে এসে আওয়ামী লীগ সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কতটা সচেষ্ট থাকল? দুর্নীতি-দুঃশাসনের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের অবস্থান কী? জনস্বার্থ দেখার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ কতটা সফল হলো? এসব বিষয় নিয়ে কিছু কথা।
১. অন্যতম অঙ্গীকার যুদ্ধাপরাধের বিচার আওয়ামী লীগ করছে। স্বাধীন বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধী রাজনৈতিক দল জামায়াত ও তার নেতাদের দাম্ভিকতা এখন আর দেশের মানুষকে দেখতে হয় না। রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যুদ্ধাপরাধীদের নিরাপত্তায় ব্যস্ত সময় পার করে না। এটা আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম প্রধান সাফল্য। ইতিহাস এই কাজটির জন্যে আওয়ামী লীগকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আলাদাভাবে মূল্যায়ণ করবে। পৃথিবীর যেখানেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে, সেখানেই বাংলাদেশ এবং শেখ হাসিনা আলোচিত হবেন, প্রশংসিত হবেন।
২. বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদের বছর দুয়েক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি কথা জোর দিয়ে বলতেন, মন্ত্রীদের যোগ্যতা-দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। কিন্তু তাদের নামে দুর্নীতির অভিযোগ নেই। তারপর এই কথাটি বলা বন্ধ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে। মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে আসা দুর্নীতির অভিযোগের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। একজনকে মন্ত্রীত্ব থেকে বাদ দেওয়া হলেও তাকে ‘দেশপ্রেমিক’ আখ্যা দিয়েছেন। পাঁচ বছরের মাথায় এসে কোনও মন্ত্রী ৩ হাজার একর জমির মালিক হয়েছেন, কারও কারও সম্পদ বেড়েছে কয়েক শ’ গুণ। কোনও মন্ত্রীর লোকজন ধরা পড়েছেন বস্তাভর্তি টাকা নিয়ে।
সোনালী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংকসহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ২৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণের নামে লুট হয়ে গেছে। শেয়ারবাজার থেকে লুট হয়েছে ৫০ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা। সরকারের কাছের লোকজনই ছিল যার নেতৃত্বে। এসব  দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
৩. বিগত বিএনপি-জামায়াত সরকারের শেষ দিক থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পুরো সময় বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল। শেখ হাসিনা সরকারের প্রথম দিকে আন্তর্জাতিক বাজারে এক ব্যারেল জ্বালানি তেলের দাম ছিল প্রায় ১২০ ডলার। তারপর দাম আস্তে আস্তে কমতে থাকে। এখন এক ব্যারেল তেলের দাম ৩০ ডলার। প্রতি ব্যারেলে দাম কমেছে প্রায় ৯০ ডলার।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি ছিল, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম যাই হোক না কেন, জিনিসপত্রের দাম জনমানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখা হবে। বাংলাদেশে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, তবে তা খুব অস্বাভাবিক নয়। এর প্রধান কারণ তেলের দাম কমে যাওয়া। আওয়ামী লীগ তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তেলের দাম কমায়নি।
বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমার কোনও সুফল দেশের জনগণ পায়নি, পাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের কথা ভাবছেই না। এক্ষেত্রে তারা নির্বাচনি অঙ্গীকার পরিপূর্ণভাবে ভুলে গেছে।
৪. তেলের দাম না কমানোর সরকারি যুক্তি যুক্তিহীন। ‘বিপিসি বছরে বিপুল পরিমাণ টাকা ভর্তুকি দেয়। এখন ভর্তুকি তুলে নেওয়া হচ্ছে’- এর চেয়ে কূ-যুক্তি আর কিছু হতে পারে না। বিপিসি বা সরকারের কোনও টাকা নেই। সব টাকা জনগণের। জনগণের টাকা জনগণকে দেওয়া হয়েছে, সেই টাকা তুলে নেওয়ার প্রসঙ্গই অবান্তর। এই অবান্তর কথাই দিনের পর দিন বলে চলেছে সরকার। বিপিসি আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের যা দাম তার চেয়ে বেশি দামে তেল কেনে, সরকার আমদানি করা তেল থেকে বছরে ৩০০ কোটি টাকারও বেশি ট্যাক্স নেয়- এসব কথা প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রীরা বলেন না। তারা শুধু এত হাজার কোটি টাকা ভর্তুকির গল্প বলেন। বিপিসির চুরি নিয়ে তারা কোনও কথা বলেন না, দুর্নীতি নিয়ে কোনও কথা বলেন না, ব্যবস্থা নেন না। কম দামে তেল কিনে জনগণের কাছে বেশি দামে বিক্রি করছে  সরকার। জনগণের সঙ্গে ব্যবসা করছে সরকার। যা তার করার কথা ছিল না।
৫. সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছে রেন্টাল, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে। বিরোধিতা করলেও দু’তিন বছরের জন্যে এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা হয়তো জরুরি ছিল। কিন্তু সরকার ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থায়ী ব্যবস্থায় পরিণত করে ফেলেছে। প্রথম মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সময় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো প্রায় ৩ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। এখন উৎপাদন হয় ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার মেগাওয়াট। উৎপাদন সক্ষমতার গল্প শুনি ১৪ হাজার মেগাওয়াটের। পুরোটাই রেন্টাল, কুইক রেন্টাল। সেখানে উৎপাদন হয় ৬ হাজার মেগাওয়াট সেখানে সক্ষমতা ১৪ হাজার মেগাওয়াট করার তাৎপর্য কী?
তাৎপর্য এই যে, দরকারের সময় যাতে বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। আসলে বিষয়টি তা নয়। এটা লুটপাটের একটি কৌশল। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করলেও কুইক রেন্টাল মালিকরা ৩০% ক্যাপাসিটি ট্যাক্স পান সরকারের থেকে। এই যে ৬/৭ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন করতে সক্ষম ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বসে আছে, তারা কিন্তু প্রতিদিন ৩০% বিদ্যুতের মূল্য পাচ্ছে সরকারের থেকে, এক ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেও। এই টাকা কত টাকা? শত কোটি টাকা!  এই কারণেই কুইক রেন্টাল বিশেষ ব্যবস্থা, স্থায়ী নয়। সরকার গত ৭ বছরে একটি বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেনি, কুইক রেন্টাল মালিকদের আয় কমে যাবে বলে। রেন্টাল-কুইক রেন্টাল পদ্ধতিতে ১৪ হাজার মেগাওয়াটের সক্ষমতার কোনও দরকার ছিল না। দরকার ছিল বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ। যা করা হয়নি। তেলের দাম কমার পরও একই দামে বিদ্যুৎ কিনছে সরকার। এক্ষেত্রেও চলছে নজীরবিহীন নৈরাজ্য, দুর্নীতি।
৬. সরকারের অনিয়ম-নৈরাজ্যের আরেকটি দিক ভিওআইপি ব্যবসা। বছরের পর বছর ধরে শুধু কথাই বলা হচ্ছে। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এক্ষেত্রে কার্যকর কিছু ব্যবস্থা নিয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে আবার জমজমাটভাবে চলছে ভিওআইপি ব্যবসা। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান টেলিটকের সিম ব্যবহার করে মূলত এখন চলছে এই ব্যবসা। জনগণের সম্পদ ব্যান্ডউইথ জমা করে রেখে ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়। কথা ছাড়া সরকারের দৃশ্যমান কোনও উদ্যোগ নেই ভিওআইপি ব্যবসা বন্ধের ক্ষেত্রে। প্রতিদিন এই খাত থেকে জনগণের শত শত কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে।
৭. দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার জন্যে যেহেতু জনগণের সমর্থনের ওপর নির্ভর করতে হয়নি, সেহেতু জনস্বার্থ দেখার কোনও অঙ্গীকারই সরকারের কর্মকাণ্ডে দৃশ্যমান নয়। এরশাদের মতো স্বৈরাচার ও তার সহযোগীদের দূত -মন্ত্রী বানিয়ে, এরশাদ আমলের দূর্নীতির রানী তথাকথিত 'ফার্স্ট লেডি' রওশন এরশাদকে বিরোধীদলীয় নেতা বানিয়ে, ভোটারবিহীন নির্বাচন নামক কলঙ্ক তিলক কপালে নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ। সরকারকে পেয়ে বসেছে দাম্ভিকতায়। জনগণ এবং সম্মানিত মানুষদের অসম্মান-অবহেলা করাটা নিয়মে পরিণত করে ফেলা হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে দিয়ে জনগণকে লোডশেডিং শেখাতে চাওয়া হয়। মনে হয় জনগণ ‘প্রজা’, কথা বলছে ‘রাজা’। অথচ দেশটাই ‘প্রজা’ মানে জনগণের, যারা ‘রাজা’ ভাবছেন তাদের একার নয়। প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদের ‘পিপার স্প্রে’ মারে, পুলিশ দিয়ে পেটায়।
ড. ইউনূস, শিক্ষকসহ সবাইকে দ্বিধাহীনভাবে অসত্য তথ্য দিয়ে অসম্মান করা হয়। জনগণের প্রতি সম্মান দেখানোর নীতি নেই। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যে সামরিক বেসামরিক আমলাতন্ত্রের ওপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে সরকার। জনগণের নামে ৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে অস্ত্র কেনে, জনগণের কাছে বেশি দামে তেল বিক্রি করে সেই অর্থ দিয়ে অল্প কিছু মানুষের বেতন বাড়ায় দ্বিগুণ, তিনটি ব্রিজের টাকায় একটি ব্রিজ করে, চারটি ফ্লাইওভারের টাকায় একটি ফ্লাইওভার করে, তাও ভুল নকশায়।
৮. দৃশ্যমান কিছু অবকাঠামো নির্মাণ করে, কথার উৎসবে মেতে ওঠে সরকার। দুর্নীতি শুধু উৎসাহিত হয়। সাংসদ বদি ‘ইয়াবা সম্রাট’ হিসেবে পরিচিতি পায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বদিকে সঙ্গে নিয়ে মাদকবিরোধী প্রচারণা চালায়। একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটে। প্রায় কোনওটির তদন্ত-বিচার হয় না। ত্বকি হত্যাকারীরা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন জনগণের প্রতিপক্ষ। প্রায় কোনও অনিয়মের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। গুম, খুন বৃদ্ধি পায়। মানুষের জীবন চরম নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ে।
সরকারের কর্তাদের মুখে শুধু কথার ফুলঝুড়ি। ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অন্য যে কোনও সময়ের চেয়ে ভালো।... ইউরোপ-আমেরিকার চেয়েও ভালো।’ অথচ নিজেদের নিরাপত্তা দিন দিন শুধু বৃদ্ধি করা হচ্ছে। জনগণ হয়ে পড়ছে নিরাপত্তাহীন।
৯. সরকার নীতি নিয়েছে কথা দিয়ে দেশ পরিচালনার, কাজ দিয়ে নয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনও অদৃশ্য বা বায়বীয় বিষয় নয়। তা দৃশ্যমান, দেখা যায়। ভালো হলে জনগণ দেখতে পেতেন, সরকারের কর্তাদের বারবার বলতে হতো না। বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো, মাথাপিছু আয় বেড়েছে- এসব অসত্য নয়। তবে এর পেছনে যতটা সরকারের অবদান তার চেয়ে অনেক বেশি অবদান দেশের সাধারণ মানুষের। কমপক্ষে ৭৬ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে না গেলে, হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি-লুটপাট না হলে, প্রকৃত অর্থেই দেশের অর্থনীতি ও জনগণের অবস্থা ভালো হতো। সাধারণ প্রবাসীরা দেশে অর্থ পাঠায়, সরকারের দুর্নীতি, নানা অব্যবস্থাপনায় সেই অর্থ পাচার হয়ে যায়, কয়েকজন ‘মৎস্য ব্যবসায়ী’ সেই অর্থের মালিক হয়ে যায়। এই দায় সম্পূর্ণরূপে সরকারের।
এসব চাপা দিয়ে শুধু কথা দিয়ে দেশের উন্নয়ন করা যায় না। জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন করা যায় না। কাজ করার অঙ্গীকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনের নির্বাচনে যা দিয়েছিল, তা ভুলে না গেলে, এখন শুধু কথা দিয়ে দেশ পরিচালনা করতে হতো না।
১০. গণতন্ত্র থাকলে, নির্বাচনি প্রক্রিয়া ধ্বংস করে না দিলে, এতটা জনবিরোধী অবস্থান সরকার নিতে পারত না। জনগণের কাছে ভোটের জন্যে যেতে হবে, এমন অবস্থা থাকলে- একটা ভয় অন্তত থাকত। এখন যা একেবারে নেই। সরকার এখন পুরোপুরি জনবিচ্ছিন্ন। এমন অবস্থায় দাম্ভিকতা-স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতির বিস্তৃতি- সবই ‘স্বাভাবিক’ বিষয়। সুশাসনের বড় রকমের অনুপস্থিতি। নির্বাচনি অঙ্গীকারের সেই সব 'ভালো ' কথা হারিয়ে গেছে দুর্নীতি-দাম্ভিকতার আড়ালে।

লেখক: সম্পাদক, সাপ্তাহিক

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
প্রথম ধাপে ভোটের হার ৬০ শতাংশ, সর্বোচ্চ পশ্চিমবঙ্গে
লোকসভা নির্বাচনপ্রথম ধাপে ভোটের হার ৬০ শতাংশ, সর্বোচ্চ পশ্চিমবঙ্গে
ইসরায়েলি বিমান কীভাবে এল বাংলাদেশে, প্রশ্ন নুরের
ইসরায়েলি বিমান কীভাবে এল বাংলাদেশে, প্রশ্ন নুরের
মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি
মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি
১৬ বছর ধরে পুনরুদ্ধার করা ‘নেপোলিয়ন’ দেখাবে কান
কান উৎসব ২০২৪১৬ বছর ধরে পুনরুদ্ধার করা ‘নেপোলিয়ন’ দেখাবে কান
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ