পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া নাচ-গান এবং ড্রামসসহ বাদ্যযন্ত্র বাজানো নিষিদ্ধ করেছে। পুরো রমজান মাসজুড়ে দেশব্যাপী এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে দেশটির পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
গাম্বিয়া পুলিশের নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়, ‘রমজান মাসে দিনে অথবা রাতে এমন কোনও অনুষ্ঠান আয়োজন করা যাবে না, যেখানে নাচ-গান এবং ড্রামস বা অন্য কোনও বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করা হয়। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের গ্রেপ্তার করা হবে এবং কোনও ছাড় না দিয়েই আইনের আওতায় নেওয়া হবে।’
সোমবার (১৩ জুন) পুলিশের মুখপাত্র লামিন এনজি ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপি-কে বলেন, ‘পুলিশের নিষেধাজ্ঞা জনগণ মেনে নিয়েছে। এখনো পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা অমান্যের কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’
গত ডিসেম্বরে গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া জামেহ দেশটিকে ইসলামী রাষ্ট্র ঘোষণা করেন। তবে সংখ্যালঘু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ে
লোকদের নিজধর্ম পালনের সম্পূর্ণ অধিকার দেওয়া হয়। একইসঙ্গে নারীদের জন্য নির্দিষ্ট কোনও পোশাকের বিধান রাখা হয়নি। তবে ইসলামিক রাষ্ট্র ঘোষণার কয়েক সপ্তাহ পরই সরকারি নারী কর্মচারীদের মাথা ঢেকে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। সরকারি ফাঁস হওয়া নথিতে ওই নির্দেশের কথা জানা যায়। পরে প্রেসিডেন্ট ওই নির্দেশ তুলে নেওয়ার কথা জানান। আর এবার নাচ-গান নিষিদ্ধের আদেশ দেওয়া হলো।
সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশ গাম্বিয়ার জনসংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। এর মধ্যে ৯০ শতাংশই মুসলমান। বাকি জনগোষ্ঠীর ৮ শতাংশ খ্রিস্টান এবং ২ শতাংশ অন্যান্য ধর্মে বিশ্বাসী। ৫০ বছর বয়সী গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া জামেহ সাবেক সামরিক কর্মকর্তা। ১৯৯৪ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর থেকে তিনিই দেশ শাসন করছেন।
সূত্র: আলজাজিরা।
আরও পড়ুন:
‘আইএস ছাড়া অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রতিও অনুগত ছিলেন মতিন’
সিরিয়ায় রমজানের প্রথম সপ্তাহে সহিংসতায় নিহত দুই শতাধিক
যেভাবে জঙ্গিতে পরিণত হন ওমর মতিন
/এসএ/