সিরিয়ায় চলমান গৃহযুদ্ধে রমজানের প্রথম সপ্তাহে অন্তত ২২৪ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস। এর মধ্যে সিরীয় এবং রুশ বাহিনীর বিমান হামলায় সবচেয়ে বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
সিরিয়ান অবজারভেটরি জানায়, ৬ জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত, রমজান মাসের প্রথম সপ্তাহে হেলিকপ্টার থেকে ফেলা ব্যারেল বোমায় অন্তত ১৪৮ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। তার মধ্যে ৫০ জন শিশু এবং ১৫ জন নারীও রয়েছেন।
আইএস এবং বিদ্রোহীদের ছোড়া গোলার আঘাতে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এই সময়ে আইএস অন্তত একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে বলে জানা গেছে।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘সিরীয় জনগণের বিরুদ্ধে এমন অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পরেও আন্তর্জাতিক মহল নিশ্চুপ থাকায় আমরা আবারও এর নিন্দা জানাচ্ছি।’
রবিবার সিরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের ইদলিবে এক বিমান হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
ইদলিবে হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ। তবে রুশ কর্তৃপক্ষ ওই দাবি নাকচ করেছেন। ওই এলাকাটি আল-নুসরা ফ্রন্টসহ কয়েকটি জঙ্গি গোষ্ঠীর জোটের দখলে রয়েছে। ওই জোট আর্মি অব কনকুয়েস্ট নামে পরিচিত। জোটটি সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে শান্তি আলোচনার অংশ নয়।
সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২ লাখ ৮০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। দেশটির প্রায় অর্ধেক মানুষ ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।
সূত্র: আলজাজিরা।
আরও পড়ুন:
সাধারণ মানুষের ভিড়ের সঙ্গে মিশে ফালুজা ছাড়ছে আইএস
‘আইএস ছাড়া অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রতিও অনুগত ছিলেন মতিন’
যেভাবে জঙ্গিতে পরিণত হন ওমর মতিন
/এসএ/