চীনের কাছ থেকে দশ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা পেয়েছে নিকারাগুয়া। তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের কয়েক দিনের মাথায় বেইজিংয়ের কাছ থেকে এই অনুদান পেয়েছে তারা। রবিবার (১২ ডিসেম্বর) এই অনুদানের খবর নিয়ে মধ্য আমেরিকার দেশটিতে ফিরে গেছেন সরকারি প্রতিনিধিরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সম্প্রচারমাধ্যমে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, এয়ার চায়নার একটি বিমান সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের দুই লাখ ডোজের প্রথম চালান নিয়ে নিকারাগুয়ায় অবতরণ করেছে। কর্মকর্তারা বলছেন, বেইজিং ফের সম্পর্ক স্থাপন করায় আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।
নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগার ছেলে এবং তার অন্যতম উপদেষ্টা লরেয়ানো ওর্তেগা মুরিল্লো বলেন, ‘আমরা এই সুসংবাদ নিয়ে ফিরে এসেছি যে নিকারাগুয়ার জনগণের জন্য আমরা দশ লাখ ডোজ টিকা অনুদান নিয়ে এসেছি।’ নিকারাগুয়ার বর্তমান প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর ৩৮ শতাংশ পূর্ণ ডোজ টিকা পেয়েছে কিন্তু ৬৭ শতাংশ পেয়েছে প্রথম ডোজ।
চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে গত সপ্তাহে তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে নিকারাগুয়া। এতে ক্ষুব্ধ হয় তাইওয়ানের কর্তৃপক্ষ। তাইপে জানায় নিকারাগুয়া বহু দিনের বন্ধুত্ব ছিন্ন করায় তারা গভীর দুঃখ পেয়েছেন।
তাইওয়ান আগে নিকারাগুয়ার গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সহযোগী ছিলো। তবে গত সপ্তাহে নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন যে, তারা তাইওয়ানকে চীনের অবিভক্ত অংশ বলে স্বীকার করে নিচ্ছে।
তাইওয়ানকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন হতে চাওয়া প্রদেশ মনে করে চীন। বেইজিং মনে করে একদিন প্রদেশটি ফের চীনের অংশ হবে। তবে তাইওয়ান নিজেকে গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত একটি স্বাধীন দেশ মনে করে। তবে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কখনওই স্বাধীনতা ঘোষণা করেনি।