বলিউড তারকা সালমান খান ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়ায় ভুগছেন। এটি একটি স্নায়বিক রোগ যাতে তীব্র মুখ ব্যথা হয়। খেতে গেলে, কথা বলতে গেলে কিংবা ব্রাশ করতে গেলেও শুরু হতে পারে ব্যথা। এমনকি মুখ স্পর্শ করার মতো দৈনন্দিন কার্যকলাপের ফলেও হতে পারে। কখনও কখনও কোনও কারণ ছাড়াই তীব্র ব্যথায় কাবু হয়ে যান রোগীরা। এই রোগে তীক্ষ্ণ, গুলি করা বা বৈদ্যুতিক শকের মতো ব্যথা সাধারণত মুখের এক পাশে হয়। কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট স্থায়ী হতে পারে এই ব্যথা। বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকারে সালমান খান জানান, মুখে ক্রমাগত ঘুষির মারার মতো অনুভূতি হয় এই রোগে। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যথার ধরন ভীষণ কষ্টদায়ক একে সুইসাইড ডিজিজও বলা হয়।
মুখের স্বাভাবিকতার জন্য যেসব স্নায়ু কাজ করে, তারই একটি হলো ট্রাইজেমিনাল স্নায়ু। কোনও কারণে এই স্নায়ুর ওপর চাপ সৃষ্টি হলে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। হয়তো একটি ধমনি ওই স্নায়ুকে বেশ চেপে রইল। সেই চাপের কারণেই তীব্র ব্যথা অনুভব করেন রোগী। কোনো টিউমার যদি স্নায়ুটিকে চাপ দেয়, তাহলেও এমনটা হতে পারে। অন্যান্য কিছু স্নায়বিক রোগেও এমন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
এই রোগ হলে ওষুধ খাওয়া ছাড়া তেমন কোনও উপায় নেই। স্নায়ুর ব্যথা কমানোর ওষুধ কিন্তু সাধারণ ব্যথানাশকের চেয়ে আলাদা। তাই অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে ওষুধ। প্রয়োজনে করতে হতে পারে অস্ত্রোপচার।
সালমান খান জানান, ২০০৭ সালের দিকে 'পার্টনার' ছবির শুটিং করার সময় ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়ার লক্ষণগুলো প্রথম অনুভব করতে শুরু করেন। এরপর বেশ কয়েক বছর ধরে তীব্র মুখের ব্যথা সহ্য করে ২০১১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্রোপচার করেন তিনি।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া