X
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১
সাক্ষাৎকার

ফিকশন এখন ননফিকশনের সঙ্গে মিলে যাওয়ার পথে : আফসানা বেগম

সাক্ষাৎকার গ্রহণ : হেমায়েত উল্লাহ ইমন
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩১আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২২:২০

আফসানা বেগম জন্ম ২৯ অক্টোবর ১৯৭২ সালে ঢাকায়। উল্লেখযোগ্য বই : প্রতিচ্ছায়া, বেদনার আমরা সন্তান, আমি অথবা আমার ছায়া, দিনগত কপটতা। অনুবাদ করেছেন নাদিন গর্ডিমার, উইলিয়াম ফকনার, হুলিও কোর্তাসার, অ্যালিস মানরো, আইজাক আসিমভ, ফিদেল কাস্ত্রোসহ অন্যান্য লেখকের কালজয়ী রচনা। পেয়েছেন জেমকন সাহিত্য পুরস্কার। হেমায়েত উল্লাহ ইমনের লিখিত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি।

হেমায়েত উল্লাহ ইমন : একুশ শতকের কথাসাহিত্যকে আপনি কীভাবে চিহ্নিত করেন?

আফসানা বেগম : একুশ শতকের প্রায় সিকি ভাগ মাত্রই অতিক্রান্ত। এরমধ্যেই চিহ্নিত করতে হলে, এই শতকের কথাসাহিত্য আগের সময়ের থেকে পৃথক বলেই মনে করি। পৃথক মূলত বহু রকমের মাধ্যম ও প্রযুক্তির উপস্থিতির কারণে। প্রযুক্তির উৎকর্ষ ব্যবহারকারীদের, অর্থাৎ লেখক ও পাঠকের মনস্তত্ত্ব বদলে দিয়েছে, যার প্রভাব যেমন জীবনের সর্বস্তরে পড়েছে, কথাসাহিত্যেও পড়তে বাধ্য। সাহিত্য তো জীবনের কথাই বলে, তাই তা জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। জীবনের যাপন যখন বদলায় তখন সাহিত্যও বদলাবে। এই শতকের শুরুর আগে আমরা ভাবতেও পারিনি ব্লগ, ফ্ল্যাশ ফিকশন, গ্রাফিক নভেল, ই-বুকস কিংবা অনলাইন রিডিং বিষয়গুলো আমাদের জীবনে এত সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠবে। তাই এক কথায় বলা যায়, একুশ শতকের সাহিত্য প্রযুক্তির ব্যবহার কিংবা অপব্যবহারে বহুমুখী হয়ে উঠেছে।

হেমায়েত উল্লাহ ইমন : একুশ শতকে আঙ্গিক ও বিষয়ে মৌলিক কী পরিবর্তন এসেছে বলে মনে করেন?

আফসানা বেগম : কেবল প্রযুক্তির উপস্থিতি বা উৎকর্ষই নয়, বিশ শতকব্যাপী কিংবা একুশ শতকের গোড়ার কয়েক বছরে সমাজে বেশ কিছু নতুন ধারণা বা জীবনাচরণ চর্চার সূচনা হয়েছে। সেসমস্ত ইতিবাচক ও নেতিবাচক পরিবর্তনের হাত ধরে সাহিত্যে মৌলিক কিছু পরিবর্তন এসেছে বইকি। অন্যদিকে, লেখক-পাঠকের মনস্তত্ত্ব বদলে যাওয়াতে কথাসাহিত্যের আঙ্গিক ও বিষয়বস্তু নির্বাচনে মৌলিক পরিবর্তন আসা স্বাভাবিক।

বিশ শতকের মাঝামাঝি পৃথিবীতে নারীর ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পরপরই নারী স্বাধীনতা বা নারীর ক্ষমতায়নের কথা উঠেছে; লিঙ্গসমতাভিত্তিক সমাজের ধারণা কাজে না হলেও আলাপে প্রবর্তিত হয়েছে। অন্যদিকে, অবহেলিত জাতি হিসেবে নারীর মতোই, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অবস্থান ও ভালো-মন্দ নিয়ে সোচ্চার হয়েছে মানুষ। বিপরীতমুখী হলেও একইসঙ্গে বিশ্বায়ন ও জাতীয়তাবাদের উত্থান পরিলক্ষিত হয়েছে। তাই, একুশ শতকের কথাসাহিত্যে সাংস্কৃতিক, জাতিগত এবং লিঙ্গসমতাভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকটভাবে লক্ষণীয়।

একুশ শতকে কাগজের বইয়ের জায়গায় ই-বুকস, নানারকমের অনলাইন পাঠের সাইট, ব্লগ ইত্যাদির আবির্ভাব ঘটেছে। তাই বলা যায় একুশ শতকে শুরু হয়েছে ডিজিটাল সাহিত্য। এখন ডিজিটাল মাধ্যমে যারা পড়ছে তাদের পাঠরুচি সাহিত্যকে প্রভাবিত করে। বিষয়বস্তু তাদের দ্রুতগামী জীবনের সঙ্গে মানানসই হওয়া বাঞ্ছনীয়, এমনকি অল্প সময়ে পড়ে ফেলার জন্য সাহিত্যের আকার-আকৃতিতেও পরিবর্তন এসেছে। অলস দুপুরে নিস্তব্ধতার মধ্যে শুয়ে স্বাস্থ্যবান উপন্যাস পড়ার দিন ডিজিটাল প্রজন্মের না-ও আসতে পারে।

যেহেতু আঙুলের ছোঁয়ায় পৃথিবীর তাবৎ তথ্য পাঠকের সামনে উপস্থিত হচ্ছে, তাই তারা তথ্য অবাধ প্রবাহে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। পৃথিবীর আনাচে কানাচে যা ঘটছে, সবকিছু তাদের চোখের সামনেই ঘটছে। আমরা জানি, ফিকশন পাঠককে কল্পনা করায়, এবং পাঠকের নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার সঙ্গে লেখকের কল্পনাকে মিলিয়ে নিতে সাহায্য করে। কিন্তু তথ্যভাণ্ডারে অবিরাম জোগানের কারণে তাদের কল্পনা করার সুযোগ কমে গেছে কিংবা কল্পনার চর্চা নেই বললেই চলে। এমতাবস্থায় কল্পনার প্রাচুর্যের অভাবে পাঠক ননফিকশনের দিকে ঝুঁকে গেছে। এ তো গেল, পাঠকের রুচির বদল, কিন্তু সাহিত্যে এর যে প্রভাব পড়েছে, তা হল ফিকশন এখন ননফিকশনের সঙ্গে মিশে গিয়ে মিলে যাওয়ার পথে। যে কারণে বিচিত্র জনরার সাহিত্যের মধ্যে যে কঠোর সীমারেখাগুলো ছিল, তা ক্রমশ বিলীন হয়ে আসছে। এখন প্রবন্ধের সঙ্গে নিবন্ধের বা গল্পের পার্থক্য থাকছে অল্প। কখনো জীবনী বা ইতিহাসের বর্ণনায় লেখা হচ্ছে উপন্যাস। কখনো গল্পের ভাষা আর প্রবন্ধের ভাষার পার্থক্য থাকছে নামমাত্র। কখনো প্রবন্ধ লেখা হচ্ছে ব্যক্তিগত গদ্যের আদলে।

একুশ শতকে একটি ভীতিকর বিষয় হিসেবে তুমুল আলোচিত হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে দেশের মানচিত্র থেকে শুরু করে তার নদ-নদী, অরণ্য, মানুষের বাসস্থান বা খাদ্যাভাস, তাদের আয়ব্যয়—সমস্তকিছুর সরাসরি সম্পর্ক আছে। তাই আলোচিত বিষয় হিসেবে একুশ শতকের শিল্প-সাহিত্যে জলবায়ু পরিবর্তন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে এসেছে। এর প্রত্যক্ষ প্রমাণ আছে দেশি বা বিদেশি চলচ্চিত্রে। দেশের কথা ধরলে, শুধু দু-এক বছরেই জলবায়ু পরিবর্তন বা প্রাকৃতিক দুর্যোগকে কেন্দ্র করে ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’, ‘সাঁতাও’, ‘নোনা জলের কাব্য’, ইত্যাদি বহু চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।

বর্তমানে সাহিত্য রচনার ক্ষেত্রে পরীক্ষামূলক কাজের প্রতি লেখকদের ঝোঁক বেড়েছে। বর্ণনা-শৈলি, কাঠামো, পটভূমি ও দৃষ্টিভঙ্গি আগের সাহিত্যের চেয়ে এখন বিচিত্র চেহারায় পাঠকদের সামনে উপস্থিত। এক্ষেত্রে আঞ্চলিক ভাষার প্রচুর ব্যবহার, প্রযুক্তির উপস্থিতিতে জীবন যাপনের আমূল পরিবর্তন সম্পর্কিত বর্ণনা লক্ষণীয়।

আগের শতকে চরিত্রদের মধ্যকার মানসিক টানাপোড়েনই একসময় সাহিত্যের প্রধান ও কেন্দ্রীয় বিষয় ছিল। চরিত্ররা এই সমাজেরই অংশ, পাঠকের এটুকু বুঝলেই চলত। তাদের অবস্থান, রুচি বা রাজনৈতিক বিশ্বাস নিয়ে পাঠক মাথা ঘামাত না। কিন্তু এখন পাঠক সম্পূর্ণ চিত্রটি চায় বিধায় সাহিত্য চরিত্রের আপাদমস্তক বর্ণনায় ও পটভূমি নির্বাচন থেকে শুরু করে কাহিনির উত্থান-পতনে সামাজিক ও রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা দাবি করে। অন্যদিকে সাধারণ জীবনের সামাজিক টানাপড়েন এখন আর পাঠককে আকৃষ্ট করে না বলে রহস্য গল্প বা থ্রিলারের প্রচলন অনেক বেড়েছে। এ যেন পাঠকের মননে কোমলতার পরিবর্তে সজোরে আঘাত করার প্রয়াস। 

এই শতাব্দীর আগে সাহিত্য প্রকাশ একটি বিশেষ বিষয় ছিল যা অনেক বাধা অতিক্রম করে ঘটাতে হত। কিন্তু বর্তমানে স্বাধীন প্রকাশনা বা স্ব-প্রকাশনার কারণে সাহিত্যের অবাধ প্রবাহের সৃষ্টি হয়েছে। এই কারণে সাহিত্যকে একটি মানদণ্ডে নির্মাণ করা দুরূহ হয়ে পড়েছে।

বিশ্বায়ন বর্তমান সামাজিক কাঠামোতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এমতাবস্থায় মানুষের খাদ্যের রুচিতে বা পোশাকে যেখানে উচ্চমাত্রার ফিউশন ঘটছে, তখন সাহিত্য কেবল দেশীয় সংস্কৃতিকে অবলম্বন করে গড়ে উঠবে, তা হয় না। তাই সাহিত্যের ফর্মে নানারকমের মিশেল দেখা যাচ্ছে। বিশ্বায়নের কুপ্রভাব হিসেবে আসা ভিন্ন দেশের পোশাকের প্রচলনের মতো ধর্মভিত্তিক বকংবা ধর্মীয় ইতিহাসভিত্তিক সাহিত্যের জনপ্রিয়তা দেখা যাচ্ছে। পৃথিবীময় অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা বৃদ্ধির ফলে সেই সাহিত্যকে মানুষ আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করছে। পাঠক অস্থিরতা প্রশমনে কিংবা জীবনের দিক নির্দেশনার প্রয়োজনে জীবন উন্নয়নমূলক বা ধর্মভিত্তিক সাহিত্যেরই দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে, যদিও ‘বিষাদসিন্ধু’র মতো চিরায়ত সাহিত্য কিংবা ডেল কার্নেগির মতো মানসিক উৎকর্ষ আনয়নের দাবিদার হিসেবে কাউকে এখনো চিহ্নিত করা যায় না।

আগে লেখক থাকতেন নিভৃতে। এখন টিভি, লাইভ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইত্যাদি পাঠককে সরাসরি লেখকের সঙ্গে সংযোগ করিয়ে দিতে পারে। এই সংযোগ অবশ্যই লেখকের ভিতরে লেখার বিষয়বস্তু নির্বাচন ও পাঠকের সন্তুষ্টি জোগানোর বিষয়ে উৎসাহিত করে যার প্রভাব সাহিত্যে পড়তে বাধ্য।

হেমায়েত উল্লাহ ইমন : দেশে দেশে নানান অরাজকতা, যুদ্ধবিগ্রহ, মন্দা ও করোনা মহামরি কারণের বৈশ্বিক নানান প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হয়েছে—এইসবের প্রভাব কথাসাহিত্যে দেখা যাচ্ছে?

আফসানা বেগম : একুশ শতকের সাহিত্যে যেহেতু সামাজিক ও রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা দেখা যাচ্ছে তাই পৃথিবীব্যাপী অরাজকতা ও যুদ্ধ, জোরপূর্বক অভিবাসন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহজেই সাহিত্যে চলে আসছে। আলবেয়ার কামু যেমন ‘প্লেগ’ লিখেছিলেন, বর্তমানেও করোনা নিয়ে প্রচুর সাহিত্য রচিত হয়েছে। যার কোনোটা চিরায়ত হবে কি না তা হয়ত সময় বলে দেবে। ভাষা সাহিত্যের প্রাণ। অরাজকতার মতো যে কোনো ঘটনার ছোঁয়া ভাষাতেও লাগে। যেমন এখন, কাউকে দুর্বল বোঝাতে বলা হয় ‘রোহিঙ্গা’। সাহিত্যের ভাষাও এই ঘটনাগুলোর কারণে পরিবর্তিত হয়। 

হেমায়েত উল্লাহ ইমন : বিশ শতকের গল্প-উপন্যাসে বলা যায় নানান মতবাদ রাজত্ব করেছে। গল্পে ‘নৈতিক’ একটা বিষয় লক্ষ্য করা যায়। একুশ শতকের গল্প আসলে কোনদিকে যাচ্ছে?

আফসানা বেগম : যেহেতু এই শতক মানুষের মত প্রকাশের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের হাতের নাগালে প্রচার মাধ্যম থাকাতে যে যেমন খুশি মত প্রকাশ করতে পারে। সেখানে নীতিগতভাবে ‘সঠিক’ হবার একটা পারিপার্শ্বিক চাপ থাকে। সাহিত্যেও তেমনি, ‘রাজনৈতিকভাবে সঠিক’ হবার চাপে লেখকের কল্পনা অনেকসময় বাধাগ্রস্ত হয়। গল্পের পটভূমি বা চরিত্রের চলনের এই বিষয়টি লক্ষণীয়। গল্প কখনো হয়ত তার সৌন্দর্য হারাচ্ছে এই কারণে।  

হেমায়েত উল্লাহ ইমন : বাংলা সাহিত্যে বিশেষ করে একুশ শতকের বাংলাদেশের কথাসাহিত্য নিয়ে বলুন।

আফসানা বেগম : একুশ শতকের বাংলাদেশের কথাসাহিত্য পৃথিবীর অন্যান্য জায়গার প্রচলনের বাইরে নয়। বাংলা সাহিত্যেও তাই ইতিমধ্যে আলোচিত প্রবণতাগুলো দেখা যাচ্ছে।  

/জেড-এস/
সম্পর্কিত
সৈকতে জনসমুদ্র!
চিড়িয়াখানায় মানুষের ঢল
জঞ্জালের নগরে প্রাণ ভরানো সবুজের খোঁজে...
সর্বশেষ খবর
বরুণের স্পিনের পর সল্ট ঝড়ে দিল্লিকে হারালো কলকাতা
বরুণের স্পিনের পর সল্ট ঝড়ে দিল্লিকে হারালো কলকাতা
বেতন বৈষম্যে উচ্চশিক্ষার মান হারাচ্ছে বেসরকারি কলেজগুলো
বেতন বৈষম্যে উচ্চশিক্ষার মান হারাচ্ছে বেসরকারি কলেজগুলো
খিলগাঁও তালতলা মার্কেটে ক্যাশলেস লেনদেন চালু
খিলগাঁও তালতলা মার্কেটে ক্যাশলেস লেনদেন চালু
ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ১২ লাখ ইয়াবা উদ্ধার, নদীতে ঝাঁপিয়ে পালালো পাচারকারীরা
ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ১২ লাখ ইয়াবা উদ্ধার, নদীতে ঝাঁপিয়ে পালালো পাচারকারীরা
সর্বাধিক পঠিত
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
আজ কি বৃষ্টি হবে?
আজ কি বৃষ্টি হবে?
জালিয়াতির মামলায় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তার ২৬ বছরের কারাদণ্ড
জালিয়াতির মামলায় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তার ২৬ বছরের কারাদণ্ড
মঙ্গলবার দুই বিভাগের সব, তিন বিভাগের আংশিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে
মঙ্গলবার দুই বিভাগের সব, তিন বিভাগের আংশিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে