পোশাক কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার ব্যর্থ হলে সাত দিনের জন্য সব কারখানা বন্ধ করে দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সাধারণ সভায় এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এসময় আইন উপদেষ্টার সমালোচনার পাশাপাশি বিজিএমইএ নেতারা বলেন, শিল্পের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে পদত্যাগ করতে হবে শ্রম উপদেষ্টাকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া, কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ বিভিন্ন বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে জরুরি সাধারণ সভায় বসেন বিজিএমইএ নেতারা।
সেখানে আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, দেশে চলমান শ্রমিক অসন্তোষের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পোশাক কারখানাগুলো। এ অবস্থায় কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার ব্যর্থ হলে সাত দিনের জন্য সারাদেশের সব কারখানা বন্ধ করে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত মাসের শেষ দিকে এসে হঠাৎই অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে দেশের প্রধান এই রফতানিখাত। এরপর শ্রমিক, মালিক, সরকার, স্থানীয় রাজনীতিবিদ সকলের প্রচেষ্টায় এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করলেও এখনও স্বাভাবিক উৎপাদনে ফিরতে পারেনি কারখানাগুলো।
সোমবারের সভায় বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, আমাদের প্রথম দাবি নিরাপত্তা। আমরা বলছি, নো ওয়ার্ক নো পে। তারা এসে পাঞ্চ করে চলে যাবে আর আমরা বেতন দিব সেটা আমরা মানবো না। সভায় দাবি উঠেছে, শ্রমিক অসন্তোসের মুখে যেসব কারখানা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে তাদের।
বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, দিনের পর দিন বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করার পরও দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতির কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। মজুরি কাঠামো পুনর্নির্ধারণ করে পোশাক শ্রমিকদের বেতন ও বেতন বৃদ্ধির হার (ইনক্রিমেন্ট) বাড়ানো সম্ভব নয়। কারণ বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম, শিল্পের অক্ষমতা এবং উৎপাদনের খরচ বেড়েছে।
বিজিএমইএর তথ্য বলছে, আশুলিয়া এলাকার মোট ২৭২টি রফতানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানার মধ্যে আজ বন্ধ ছিল ২৭টি। কারখানার খোলার পর কাজ বন্ধ রাখা হয় বা ছুটি দেয়া হয় এমন কারখানার সংখ্যা ১২টি আর স্বাভাবিক উৎপাদনে ছিল ২৩৩টি তৈরি পোশাক কারখানা।