নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, একই সংসদীয় আসনে নারী-পুরুষের দ্বৈত জনপ্রতিনিধি থাকলে সেটি কতটুকু কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার।
তার মতে, এমনটি হলে গ্রাম বাংলার প্রবাদ অনুযায়ী এক ঘরে দুই পীর থাকতে পারে না।
রবিবার (১৫ জুন) বিকালে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের সম্মেলন কেন্দ্রে নাগরিক কোয়ালিশনের আয়োজনে ‘নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে সংসদে সরাসরি ভোটে নারী প্রতিনিধিত্ব নির্বাচন: প্রয়োজনীয়তা, চ্যালেঞ্জ ও সমাধান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, বর্তমান নির্বাচন পদ্ধতিতে অনেক এমপিরা সংরক্ষিত আসনের নারীদের নানা ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত করেন। সেখানে একই আসনে দুই নির্বাচিত এমপি কঠিন বিষয়। আর সংরক্ষিত নারী আসন ৫০-এর জায়গায় ১০০টি করা হলে মনোনয়ন–বাণিজ্য আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে তার ধারণা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তার মাধ্যমে সারা দেশে একঝাঁক নারী নেতৃত্ব বের হয়ে আসবে। এতে ভবিষ্যতে সংরক্ষণ পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা থাকবে না।
রাজনীতিতে নারীর সুষ্ঠু প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতে আগামী সংসদে নারী প্রতিনিধিদের সরাসরি নির্বাচন পদ্ধতি প্রবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় নির্বাচনী আইন ও সংবিধানে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।