‘বেসরকারি রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ নিজেকে সুধী ও ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি বলে দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে সে একজন ধুরন্ধর, অর্থলিপ্সু ও পাষণ্ড প্রকৃতির লোক। অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রশ্নে তার কাছে মানুষের জীবন বা মৃত্যুর কোনও মূল্য নেই।’ বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক এসএম গাফ্ফারুল আলম সাহেদের রিমান্ড আবেদনে এসব কথা উল্লেখ করেন।
তিনি রিমান্ডের আবেদনে আরও বলেন, ‘সাহেদ তার সহযোগীদের সহযোগিতায় কোভিড- ১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট ও চিকিৎসা উভয় ক্ষেত্রেই প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। কোনও রোগী প্রতারণার কথা বুঝতে পারলে তার প্রতিবাদ করতে চাইলে তাকে হুমকি-ধামকি দিত সে। ফলে কোনও রোগী প্রতিবাদ করতে সাহস পেত না। কোভিড- ১৯ পরীক্ষার ফরমে বিনামূল্যে লিখা থাকলেও পরীক্ষা বাবদ ৩৫০০ থেকে ৪০০০ টাকা নেওয়া হতো।’
মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে ও পলাতক আসামিদের খুঁজে বের করতে ১০ দিনের রিমান্ডের প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন। এই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
একইসঙ্গে প্রতারণার ওই মামলায় তার দুই সহযোগীরও রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিজেন্ট হাসপাতালের এমডি মাসুদ পারভেজকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।সাহেদের আরেক সহযোগী ও রিজেন্ট হাসপাতালের কর্মী তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীর পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আবার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-
কাঠগড়ায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাহেদের দাবি, ‘আমি নিজেও করোনা রোগী’
বোরকা পরে সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সাহেদ: র্যাব
সাহেদের খোঁজে সাতক্ষীরাজুড়ে দিনরাত চলে চিরুনি অভিযান
প্রতারণার জগতে সাহেদ আইডল: র্যাব
সাহেদ ও সাবরিনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি
মৌলভীবাজারে খোঁজ মেলেনি সাহেদের
রিজেন্ট হাসপাতালের প্রতারণা মামলা ডিবিতে
রিজেন্ট গ্রুপের এমডি মাসুদ গ্রেফতার
রিজেন্টের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতর চুক্তি করে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে
সাহেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
সাহেদের অপরাধের বিচার চান স্ত্রীও
রিজেন্ট হাসপাতালের ভবনগুলো দখল করেছিলেন সাহেদ