X
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
১৭ আষাঢ় ১৪৩২

তৎকালীন আ. লীগ সরকার ভারতকে ফারাক্কা বাঁধের অনুমতি দেয়: ফখরুল

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৫ মে ২০২০, ২১:১২আপডেট : ১৫ মে ২০২০, ২১:১৪

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের মতামতকে অগ্রাহ্য করে ভারতকে কয়েকদিনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালুর অনুমতি দেয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (১৫ মে) ‘ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস’ উপলক্ষে এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশগত মানকে বিবেচনা না করে এবং প্রাকৃতিক ও মানবিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনাকে উপেক্ষা করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের মতামতকে অগ্রাহ্য করে ভারতকে কয়েকদিনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালুর অনুমতি দেয়। কিন্তু ভারত সেই সুযোগ নিয়ে অব্যাহতভাবে আজ  পর্যন্ত তা চালু রেখেছে।’

তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার এই অন্যায়ের প্রতিবাদ না করে নির্লজ্জভাবে তা মেনে নিয়েছিল বলে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ফলে বাংলাদেশের জনগণ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘১৯৭৬ সালের ১৬ মে ‘ফারাক্কা দিবস’ আমাদের জাতীয় আন্দোলনের এক ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ দিন। ৪১ বছর আগে আফ্রো-এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকার অবিসাংবাদিত মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ডাকে সারাদেশ থেকে লাখো জনতা ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত গঙ্গা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের সংগ্রামে ফারাক্কা অভিমুখে ঐতিহাসিক মিছিলে অংশ নেয়। দেশের প্রকৃতিক বিপর্যয়ে জনদুর্দশার আশঙ্কায় প্রাজ্ঞ ও দূরদর্শী ভাসানী জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ফারাক্কা অভিমুখে ঐতিহাসিক মিছিল করে ভারত সরকারের কাছে প্রতিবাদ করেন এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেন। তখন থেকে ব্যাপক মানববিপর্যয় সৃষ্টিকারী ফারাক্কা বাঁধের বিষয়টি আন্তর্জাতিক মঞ্চে আলোচিত হতে থাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভারতে গঙ্গা নদীর ফারাক্কা পয়েন্টে বাঁধ নির্মাণ করে অভিন্ন নদীর পানি একতরফা প্রত্যাহার শুরু করা হয়। এর ফলে বাংলাদেশের উত্তর- পশ্চিমাঞ্চল আজ  প্রায় মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন-কানুন ও কনভেনশনের তোয়াক্কা না করে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত ৫৪টি অভিন্ন নদীতে একের পর এক বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এসব নদীর ধারাকে বাধাগ্রস্ত করে ভারত একতরফা নিজেদের অনুকূলে পানি প্রত্যাহারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উদ্যোগী হয়েছে। সর্বশেষ টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ বাস্তবায়িত হলে এবং তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা না পেলে বাংলাদেশকে আরেক প্রাকৃতিক মহাবিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হবে। এই অবস্থা চলতে থাকলে বাংলাদেশ একসময়ে নিষ্ফলা উষর ভূমি হয়ে উঠবে বলে দুই দেশের বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যেই অভিমত প্রকাশ করেছেন।’

 

 

/এএইচআর/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
জুলাই-যোদ্ধাদের স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বালন
চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ শ্রমিক দল-ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে
‘বাংলাদেশ ভারতের ওপর নির্ভর করে থাকবে না, নিজের পায়ে দাঁড়াবে’
সর্বশেষ খবর
জলবায়ু অভিযোজনে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ
জলবায়ু অভিযোজনে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ
শতবর্ষী গাছের গোড়ায় জ্বলছে আগুন, ডাল দিয়ে বের হচ্ছে ধোঁয়া!
শতবর্ষী গাছের গোড়ায় জ্বলছে আগুন, ডাল দিয়ে বের হচ্ছে ধোঁয়া!
আলকারেজের কষ্টের জয়, বিদায় মেদভেদেভের 
আলকারেজের কষ্টের জয়, বিদায় মেদভেদেভের 
শেফালির মৃত্যু: কারিনা বললেন, ‘আমি বোটক্সের বিরুদ্ধে’
শেফালির মৃত্যু: কারিনা বললেন, ‘আমি বোটক্সের বিরুদ্ধে’
সর্বাধিক পঠিত
সঞ্চয়পত্রে কমলো মুনাফার হার, কার্যকর ১ জুলাই থেকে
সঞ্চয়পত্রে কমলো মুনাফার হার, কার্যকর ১ জুলাই থেকে
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা মুখোমুখি
প্রশাসনে থামছে না আন্দোলনঅন্তর্বর্তী সরকার ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা মুখোমুখি