হ্যামিল্টনে ডেথ ওভারে পাকিস্তানের নির্বিষ বোলিংয়ের সদ্ব্যবহার করে নিউজিল্যান্ড ২৯২ রান তোলে। অথচ এর আগে সফরকারী বোলাররাই ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন। মোহাম্মদ আব্বাস ও মিচেল ব্রেসওয়েল প্রতিরোধ গড়ার পর শেষ দিকে মিচেল হে ঝড়ো ইনিংস খেলেন। এক রানের জন্য তার সেঞ্চুরি হয়নি। ২৯৩ রানের কঠিন লক্ষ্যে নেম বেন সিয়ার্সের বোলিংয়ে বিধ্বস্ত হয় পাকিস্তান। তবে শেষ দিকে ফাহিম আশরাফ ও নাসিম শাহের হাফ সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মান বাঁচানো লড়াই করে ৮৪ রানে হার মানে তারা। এক ম্যাচ হাতে রেখেই তিন ওয়ানডের সিরিজ জিতলো নিউজিল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ডের শুরু ও শেষে ছিল মিল, আক্রমণাত্মক ব্যাটিং। অভিষিক্ত রাইস মারিউর সঙ্গে ৬.২ ওভারে ৫৪ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান নিক কেলি (৩১)। এরপর টপ অর্ডার ভেঙে পড়ে কিউইদের। ২৭তম ওভারে ১৩২ রানে পাঁচ উইকেট হারায় তারা। মারিউ ও ড্যারিল মিচেল সমান ১৮ রান করেন, হেনরি নিকোলস (২২) ও অধিনায়ক ব্রেসওয়েল (১৭) বড় ইনিংস খেতে ব্যর্থ হন।
আব্বাস ও হে ৭৭ রানের জুটিতে পাকিস্তানের ওপর দাপট দেখান। আব্বাস ৪১ রানে থামেন। ৪৫তম ওভারে ছক্কা মেরে ৬১ বলে ফিফটির দেখা পান হে। সেঞ্চুরিও পেয়ে যেতেন। ৭৭ রানে শেষ ওভারে খেলতে নেমে শেষ চার বলে দুটি করে ছয় ও চার মেরে ২২ রান তোলেন। আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান করলেও মাত্র এক রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি। ৭৮ বলে সাতটি করে চার ও ছয়ে ৯৯ রানে অপরাজিত ছিলেন হে।
মোহাম্মদ ওয়াসিম ও হারিস রউফ ১০ ওভারে যথাক্রমে ৭৮ ও ৭৫ রান দিয়ে হতাশ করেন। সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন ওয়াসিম ও সুফিয়ান মুকিম।
লক্ষ্যে নেমে জ্যাকব ডাফি ও বেন সিয়ার্সের বোলিংয়ে ধসের মুখে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ। ৩২ রানে পাঁচ উইকেট হারায় তারা। একশর আগে নেই সাত উইকেট। এর মধ্যে কেবল তৈয়ব তাহির (১৩) দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছান।
দলীয় ৯৩ রানে রউফ রিটায়ার্ড হার্ট হন। ২৫তম ওভারে উইলিয়াম ও’রোর্কের একটি বাউন্সার তার হেলমেটে আঘাত করে। কনকাশন টেস্ট শেষে তাকে মাঠের বাইরে নেওয়া হয়।
১১৪ রানে আকিফ জাভেদ অষ্টম ব্যাটার হিসেবে আউট হলে কনকাশন সাব হন নাসিম শাহ। তার সঙ্গে ফাহিম আশরাফের জুটি জমে ওঠে। নবম উইকেটে ৬০ রানের জুটি গড়েন তারা। ফাহিম ৮০ বলে ৭৩ রান করেন ছয়টি চার ও তিনটি ছয়ে। তার বিদায়ের পর নাসিমের ব্যাটে দুইশ পার করে সফরকারীরা।
৪১তম ওভারে চার মেরে ৪১ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করেন নাসিম। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মোহাম্মদ আমিরের পর পাকিস্তানের প্রথম কোনও ১১তম ব্যাটার পঞ্চাশ রান করলো। পরের ওভারে নাসিমকে নিজের পঞ্চম শিকার বানান সিয়ার্স। ৪৪ বলে ৫১ রান করেন পাকিস্তানি ব্যাটার। ২০৮ রানে অলআউট পাকিস্তান।
দারুণ এক ইনিংস খেলার পর চারটি ক্যাচ নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন হে। সিয়ার্স ৯.২ ওভারে ৫৯ রানে পাঁচ উইকেট নেন।