X
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
২৫ বৈশাখ ১৪৩১

আটকেপড়া পাকিস্তানি, আটকেপড়া ভারতীয়!

প্রভাষ আমিন
২৫ মার্চ ২০২১, ১৬:৫৯আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২১, ১৬:৫৯

প্রভাষ আমিন
বাংলাদেশে বেশ কিছু আটকেপড়া পাকিস্তানি আছে। এই মুহূর্তে সংখ্যাটা কত ঠিক জানি না। তবে ঢাকার মিরপুর, মোহাম্মদপুর এবং সৈয়দপুরের বিভিন্ন ক্যাম্পেই মানবেতর জীবনযাপন করেন আটকেপড়া পাকিস্তানিদের বেশিরভাগ। তবে তাদের কেউ কেউ নানা পেশায় সফল হয়ে ক্যাম্প ছেড়ে স্বাধীন জীবনযাপন করছেন। তবে এই সংখ্যাটা অল্প। ক্যাম্পে আটকানো জীবনই বেশিরভাগের নিয়তি। এই আটকেপড়া পাকিস্তানিরা পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্ভাগা জনগোষ্ঠীর একটি। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর হিন্দুদের অনেকে তখনকার পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে যান। আবার ভারত থেকে মুসলমানদের অনেকে তখনকার পাকিস্তানে চলে আসেন। কিন্তু তখন পাকিস্তান ছিল দুই ভাগে। বর্তমান বাংলাদেশ ছিল তখন পূর্ব পাকিস্তান। নৈকট্য বিবেচনায় ভারত থেকে আসা অনেকে পশ্চিম পাকিস্তানে গেছেন, অনেকে এসেছেন তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে। আর পূর্ব পাকিস্তানে যারা এসেছিলেন, তাদের বেশিরভাগ ছিলেন বিহারে। তাই বাংলাদেশে তারা ‘বিহারি’ হিসেবেই পরিচিত। কিন্তু এই বিহারিরা বিপাকে পড়ে একাত্তর সালে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নেয়। শুধু অবস্থান নিয়েই ক্ষান্ত থাকেনি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মিলে তারা নানান যুদ্ধাপরাধে জড়িয়ে পড়ে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। এমনকি ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের পরও বিহারিরা অনেক এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখার চেষ্টা করে। যদিও সফল হয়নি। এই দুর্ভাগা জনগোষ্ঠী নিজেদের মাতৃভূমিকে হেলায় ছেড়ে এসেছে। আর যে দেশকে নিজের দেশ ভেবে তারা এসেছিল সেই পাকিস্তানের দেখাই পায়নি তারা। স্বাধীনতার পর তারা আটকে যায় বাংলাদেশে। যে দেশের স্বাধীনতা ঠেকাতে তারা শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে, সেই দেশেই তাদের অনিচ্ছায় থাকতে হচ্ছে। আর পেয়ারের পাকিস্তান এখন তাদের স্বীকারই করছে না। একাত্তরের পর এ নিয়ে অনেক দেনদরবার হলেও শেষ পর্যন্ত আটকেপড়া পাকিস্তানিদের কোনও গতি হয়নি। একাত্তরের পরের জন্ম নেওয়া অনেকে এখন বাংলাদেশকেই তাদের দেশ মনে করে। তারা ভোটার তালিকায়ও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

এ তো গেলো শারীরিকভাবে আটকেপড়া পাকিস্তানিদের কথা। তাদের বেশিরভাগ যেহেতু একটা নির্দিষ্ট এলাকায় থাকে, তাই তাদের সহজেই চেনা যায়। কিন্তু শারীরিকভাবে আটকেপড়াদের মতো মানসিকভাবে পাকিস্তানকে নিজের দেশ মনে করা অনেকেও এখন বাংলাদেশে আটকে পড়েছেন। তারা একাত্তর সালে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিলেন। শান্তি কমিটি, আল বদর, আল শামস নানান বাহিনী গড়ে তারা পাকিস্তানি হানাদারদের সহায়তা করেছে। স্বাধীনতার পর আটকেপড়া পাকিস্তানিদের মতো মানসিকভাবে পাকিস্তানকে নিজের দেশ মনে করা একটা গোষ্ঠীও বাংলাদেশে আটকা পড়ে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও এই গোষ্ঠীটি বাংলাদেশকে নিজেদের দেশ মনে করতে পারেনি। বরং এই ৫০ বছরে তারা ঝাড়ে-বংশে বেড়েছে। শারীরিকভাবে আটকেপড়া পাকিস্তানিদের নতুন প্রজন্ম নিজেদের বাংলাদেশের নাগরিক মনে করলেও মানসিকভাবে আটকেপড়া পাকিস্তানিদের উত্তরসূরিরা এখনও পুরোপুরি বাংলাদেশি হতে পারেনি। একসময় তারা পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে বাংলাদেশের স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে যেতো। প্রবল সামাজিক প্রতিরোধের মুখে চক্ষুলজ্জার কারণে এখন আর অতটা বেশরম হতে পারেন না। কিন্তু তারা হৃদয়ে পাকিস্তানকেই ধারণ করে। পাকিস্তানকে নিয়ে কিছু বললেই তারা লাফিয়ে এসে নিজেদের হৃদয়কে খুলে দেন। গত সপ্তাহে এই কলামে ‘খোদাকে ওয়াস্তে হামে বাংলাদেশ বানা দো’ লেখায় ৫০ বছরে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া আর পাকিস্তানের ক্রমশ পিছিয়ে যাওয়া নিয়ে কিছু তথ্য ও পরিসংখ্যানভিত্তিক তুলনা ছিল। তাতেই সেই মানসিকভাবে আটকেপড়া পাকিস্তানিরা তাদের বিষাক্ত চেহারা নিয়ে বেরিয়ে আসে। লেখাটি ফেসবুকে শেয়ার করলে সেখানে মানিসকভাবে আটকেপড়া পাকিস্তানিরা তাদের সব ক্ষোভ-বিদ্বেষ আর পাকিস্তানের প্রতি দরদ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাংলাদেশের তুলনায় পাকিস্তান খারাপ, এটা বলাতেই তাদের যত ক্ষোভ। তারা ভারত কী কী খারাপ করেছে, তার ফিরিস্তি তুলে ধরে। যেন পাকিস্তানকে খারাপ বলতে হলেই ভারতকেও খারাপ বলতে হবেই। তাদের যুক্তি হলো, পাকিস্তান যা করেছে, তা তো করেছে ৫০ বছর আগে; আর ভারত তো এখন প্রতিদিন বাংলাদেশের ক্ষতি করছে। তারা বারবার প্রমাণের চেষ্টা করছেন, বাংলাদেশের জন্য পাকিস্তানের চেয়েও ভারত কত বেশি ক্ষতিকর।

পাকিস্তান-ভারত দুটি আলাদা রাষ্ট্র। প্রতিটি রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আলাদা আলাদা। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাংলাদেশ-পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে এক পাল্লায় মাপার সুযোগ নেই। প্রত্যেকটি সম্পর্ককে আলাদাভাবেই বিবেচনা করতে হবে। একাত্তর সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে। আর ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে থেকে যুদ্ধ করে, জীবন দিয়ে বাংলাদেশের বিজয় ত্বরান্বিত করেছে। একাত্তরে ভারত অর্থ দিয়ে, অস্ত্র দিয়ে, কূটনৈতিক যুদ্ধে এবং সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশের দুই কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। অনেকে বলেন পাকিস্তান ভাঙতেই ভারত বাংলাদেশকে সহায়তা করেছে। যে কারণেই করুক, ভারতের সহায়তা ছাড়া আমরা নয় মাসে বিজয় অর্জন করতে পারতাম না, এটা সত্যি। তবে এটাও ঠিক, একাত্তরের সেই বন্ধু ভারতকে আমরা সব সময় পাশে পাইনি। ভারত বাংলাদেশের বৃহত্তম প্রতিবেশী। মিয়ানমারের অল্প একটি সীমান্ত বাদ দিলে স্থলপথে বাংলাদেশ আসলে ভারতবেষ্টিত। বন্ধু বদলানো যায়, কিন্তু প্রতিবেশী বদলানো যায় না। তাই বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে একটা বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক দুই দেশের স্বার্থেই দরকার। সমস্যাটা হলো ভারতের অনেকে এখনও মনে করে, তারা পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। তাই বাংলাদেশকে চিরদিন তাদের কাছে নতজানু হয়ে থাকতে হবে। তাদের কেউ কেউ সব সময় বাংলাদেশের ওপর দাদাগিরি ফলাতে চান। তারা ভুলে যান বা ইচ্ছা করে বাংলাদেশকে হেয় করেন। ব্যক্তিপর্যায়ে তো বটেই, কখনও কখনও রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও এই প্রবণতা দেখা যায়। একটা বিষয় স্পষ্ট করা প্রয়োজন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র। আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই, বিশেষ করে নিকট প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে। কিন্তু বন্ধুত্বটা হতে হবে পারস্পরিক স্বার্থ, মর্যাদা ও সম্মানের ভিত্তিতে। অনেকে ভাবেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে বুঝি বাংলাদেশের স্বার্থই বেশি।

বৃহৎ প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থ হয়তো বেশি, তবে ভারতের স্বার্থও কম নয়। বিশেষ করে কানেক্টিভিটির মাধ্যমে ভারত নানান সুবিধা পেয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো বলেই 'সেভেন সিস্টার্স' নামে পরিচিত সাত রাজ্যে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। পাকিস্তান এবং চীনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে ভারতকে সারাক্ষণই টেনশনে থাকতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে তারা নিশ্চিন্তে থাকতে পারে। কিন্তু এই নিশ্চিন্তের বিনিময়টা ভারত দেয় বড় নিষ্ঠুরভাবে। সীমান্তে বাংলাদেশিদের প্রাণ দিতে হয় নিয়মিতভাবে। সীমান্ত হত্যা বন্ধ নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার না করার ব্যাপারে সম্মত হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। তবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সীমান্ত চুক্তি, ফারাক্কা চুক্তি হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক অনেক সমস্যা মিটেছে, সম্ভাবনার নতুন নতুন দুয়ার খুলেছে, যোগাযোগের দ্বার অবারিত হয়েছে। কিন্তু তিস্তার পানি পায়নি বাংলাদেশ।

এটা ঠিক ‘ভারত বিরোধিতা’ বাংলাদেশের রাজনীতির একটা বড় ট্রাম্প কার্ড। অন্ধ ও একপেশে ভারত বিরোধিতা বাংলাদেশের প্রায় সমান বয়সী। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ ১০ দিনের আয়োজন করেছে। সে আয়োজনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা অংশ নিচ্ছেন। কেউ কেউ অংশ নিচ্ছেন ভার্চুয়ালি। এরইমধ্যে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটানের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা বাংলাদেশ সফর করেছেন। এ আয়োজনের শেষ দিনে অংশ নেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার এই সফর নিয়ে বাংলাদেশের রাজপথ এখন উত্তাল। অনেকেই এই সুযোগে ‘ভারত বিরোধিতা’র কার্ড খেলতে চাইছেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি নরেন্দ্র মোদিকে চরম ঘৃণা করি। আমি সব সময় রাজনীতিতে ধর্ম টেনে আনার বিপক্ষে। আর মোদি ধর্মকে পুঁজি করেই ভারত জয় করেছেন। ধর্মনিরপেক্ষ ভারতকে মোদি হিন্দু রাষ্ট্র বানাতে চাইছেন। আর ভারতে ধর্মীয় উগ্রতা প্রশ্রয় পেলে বাংলাদেশেও তার প্রভাব পড়ে। মোদি আর ট্রাম্পের মতো উগ্র জাতীয়তাবাদী নেতারা বিশ্বেরই দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করেছেন। আমি সব সময় চাই মোদির রাজনীতির অবসান ঘটুক, বিজেপির শাসন শেষ হোক। কিন্তু এটা মানতেই হবে, নরেন্দ্র মোদি আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে।

একাত্তর সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের যে ভূমিকা, তাতে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে ভারতের বড় অংশগ্রহণ থাকবে, এটাই প্রত্যাশিত। আমরা অকৃতজ্ঞ জাতি নই। কিন্তু বাংলাদেশের আলট্রা ডান আর আলট্রা বাম মোদির সফর ঠেকাতে রাস্তায় আন্দোলন করছে। রাষ্ট্রীয় অবস্থান বিবেচনায় মোদির সফর সাফল্য হিসেবেই বিবেচিত হবে। আবার রাজপথে যারা বিরোধিতা করছে তাদের যুক্তি আছে এবং অধিকারও আছে। কিন্তু সরকারের সহিষ্ণুতার লেভেল শূন্যে নেমে এসেছে। রাজপথ থেকে উঠে আসা দল আওয়ামী লীগ এখন রাজপথে মানুষ দেখলেই মনে হয় ভয় পায়। সাম্প্রদায়িক শক্তিই কেবল এখন নিশ্চিন্তে মাঠে নামতে পারে। আর কেউ নামলেই পুলিশ জিরো টলারেন্স পিটুনি দেয়।

শুরুতে যেমন বলেছি, বাংলাদেশে মানসিকভাবে আটকেপড়া অনেক পাকিস্তানি আছেন, তেমনই মানসিকভাবে আটকেপড়া অনেক ভারতীয়ও আছেন। সংখ্যাটা অনেক কমেছে, তবে এখনও অনেকে হৃদয়ে ভারতকে ধারণ করেন। ভারতের সবকিছুই তাদের ভালো লাগে। ভারতকে কেউ কিছু বললেই তারা লাফিয়ে ওঠেন। তারা সব সময় ভারতকে ‘দাদা দাদা’ বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলেন। এই আটকেপড়া ভারতীয়দের জন্য ভারত ‘দাদাগিরি’ করার সাহস পায়। স্বাধীনতার পর পর বাংলাদেশের অস্তিত্ব নিয়ে যারা সন্দিহান ছিল, ৫০ বছর পর তারা মুখ লুকাতে পারলে বাঁচে। নিন্দুকদের মুখ তো বন্ধ হয়েছেই, বরং সেই মুখেই এখন প্রশংসার ফুলঝুরি। সামর্থ্যে-সক্ষমতায় বাংলাদেশ পাকিস্তানকে ছাড়িয়েছে অনেক আগেই, কোনও কোনও সূচকে ভারতকেও টেক্কা দিচ্ছে। বাংলাদেশের অর্জন অনেক। আমরা এখন বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলতে পারি, বুক ফুলিয়ে বলতে পারি, ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি...।’

প্রিয় ভাই ও বোনেরা, যারা হৃদয়ে পাকিস্তান বা ভারতকে ধারণ করে বসে আছেন, তারা হৃদয়ের দুয়ার খুলে দিন। পাকিস্তান বা ভারতের প্রতি অন্ধ আনুগত্যের ঠুলি যাদের চোখ অন্ধ করে দিয়েছে; তারা সেই ঠুলিটা ফেলে দিন। দু’ চোখ ভরে দেখুন প্রিয় বাংলাদেশকে। শুধু পাকিস্তান বা ভারত নয়; বিশ্বের যেকোনও দেশের সঙ্গেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমাদের একমাত্র বিবেচনা হবে বাংলাদেশের স্বার্থ। ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন শক্ত ভিতের ওপর দাড়ানো। সক্ষমতায়, সামর্থ্যে, মর্যাদায় আমরা এখন আগুয়ান। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ। আমাদের সবার ভালোবাসায় উন্নয়নশীল থেকে উন্নত দেশের পথে হাঁটতে পারবে বাংলাদেশ। এই দেশকে কেউ ‘দাবায়া’ রাখতে পারেনি, পারবেও না।


লেখক: হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু
প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু
পিএসজিকে হারিয়ে ফাইনালে ডর্টমুন্ড
চ্যাম্পিয়নস লিগপিএসজিকে হারিয়ে ফাইনালে ডর্টমুন্ড
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ