X
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
২৪ বৈশাখ ১৪৩১

শুভেচ্ছা প্রিয় বাংলা ট্রিবিউন

প্রভাষ আমিন
১৪ মে ২০১৬, ১০:৩৬আপডেট : ১৪ মে ২০১৬, ১১:৫২

প্রভাষ আমিন হায়, সময় কত দ্রুত বয়ে যায়। দুই বছর হয়ে গেল। অথচ আমার মনে হচ্ছে, এই সেদিন গীতিকার জুলফিকার রাসেল ফোন করে বললেন, একটা লেখা দিতে হবে। আমাকে যারা চেনেন, তারা জানেন লিখতে আমি খুব ভালোবাসি। আর কেউ লিখতে বললে আমি না করতে পারি না। জুলফিকার রাসেলকেও কিছু জিজ্ঞাসা না করেই হ্যাঁ বলে দিলাম। পরে জানতে চাইলাম, কোথায় লিখতে হবে? তিনি জানালেন, বাংলা ট্রিবিউন নামে একটি নতুন অনলাইন নিউজ পোর্টাল আসছে, ঢাকা ট্রিবিউনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে। সেখানকার জন্য লেখা দরকার। আরও একটি অনলাইন শুনে আমি একটু দমে গেলাম। বাংলাদেশে হাজার হাজার অনলাইন, ব্যাঙের ছাতা বললেও কম বলা হবে। তাতেই যুক্ত হতে যাচ্ছে আরও একটি! আর অনলাইনে আমার লেখালেখির অভিজ্ঞতাও খুব সুখকর নয়। একে তো হাতেগোনা কয়েকটি ছাড়া বাকিগুলোর তেমন পাঠক নেই। আর পেশাদারিত্বেরও কোনো বালাই নেই। তাই আরও একটি অনলাইন শুনে আগ্রহটা একটু কমে গেল। তবু পছন্দের মানুষ জুলফিকার রাসেলকে মুখের ওপর আগ্রহের কমতির কথাটা বলতে পারিনি। মনে মনে ঠিক করলাম, দুয়েক সংখ্যা লিখব, তারপর আস্তে আস্তে কাট মারব। তখনও বুঝিনি বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা এমন কাঁঠালের আঠামার্কা হয়ে যাবে। একটা কথা আছে, আগে দর্শনধারী, পরে গুণবিচারী। বাংলা ট্রিবিউনের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে। প্রথম দেখাতেই আমি প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। দুইটা কারণ- প্রথমত প্রথম দেখাতেই বাংলা ট্রিবিউনকে অনেক গোছানো, দৃষ্টিনন্দন ও নিট মনে হয়েছে। দ্বিতীয়ত বাংলা ট্রিবিউনের প্রথম কলামটি ছিল আমার। প্রথম প্রেম যেমন ভোলা যায় না, তেমনি বাংলা ট্রিবিউনকে ভোলা যায়নি।

আরও পড়তে পারেন: অভিনন্দনে কৃতজ্ঞচিত্তে ভাসছে বাংলা ট্রিবিউন
তবে নিছক প্রথম দেখার ভালো লাগায় সম্পর্ক দুই বছর টিকে থাকার মতো আবেগের বয়স এখন নেই। আবেগের সঙ্গে এখন মিশে যায় অনেক বাস্তবতা। বাংলা ট্রিবিউনকে ভালো লাগার মূল কারণ এর বস্তুনিষ্ঠতা। বাংলাদেশে যখন বানের জলের লাহান অনলাইনের স্রোত, তখন বাংলা ট্রিবিউন উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। নিছক হিট বাড়ানোর জন্য চটকদার নিউজ থাকে না বাংলা ট্রিবিউনে। গণমাধ্যমে আস্থার আকালে বাংলা ট্রিবিউনের ওপর ভরসা রাখা যায়। অনেক বড় বড় সংবাদমাধ্যমের যখন বড় বড় ব্লান্ডারের ইতিহাস আছে, তখন দুই বছরে বাংলা ট্রিবিউন এখনও কোনো বড় ভুল করেনি।
তবে আমার ব্যক্তিগত ভালো লাগাটা হলো, বাংলা ট্রিবিউনের সব মতকে ধারণ করার অদ্ভুত ক্ষমতা। গত দুই বছর আমি প্রায় নিয়মিত লিখেছি। আমার লেখা কখনও আটকায়নি। অমুকের পক্ষে, তমুকের বিপক্ষে লিখতে হবে, এমন কোনো চাপ কখনো ফিল করিনি। আমার যা মনে এসেছে তাই লিখেছি। এটা একটা গণমাধ্যমের জন্য অনেক বড় প্রশংসা। সব গণমাধ্যমেরই কোনো না কোনো রাজনৈতিক অবস্থান থাকে। বাংলা ট্রিবিউনেরও নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু সেই অবস্থানের সঙ্গে আমার লেখার কোনো বিরোধ বাধেনি কখনও। বাংলা ট্রিবিউন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে, অসাম্প্রদায়িক, উদার, গণতান্ত্রিক চেতনাকে ধারণ করে। সব ধরনের গোঁড়ামি, মৌলবাদ, জঙ্গিবাদের বিপক্ষে। এ কারণেই আসলে বাংলা ট্রিবিউনকে আমার এত পছন্দ।
আশা করি, বাংলা ট্রিবিউন এ অবস্থান ধরে রাখবে। এবং আরও অনেকগুলো জন্মদিন আমরা একসঙ্গে পালন করতে পারব।

লেখক: অ্যাসোসিয়েট হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
নির্দেশ উপেক্ষিত হলেও কৌশলে সফল আ.লীগ
উপজেলা নির্বাচননির্দেশ উপেক্ষিত হলেও কৌশলে সফল আ.লীগ
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ