X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১
গানের শিল্পী, গ্রামোফোন, ক্যাসেট ও অন্যান্য: পর্ব ১১

ভারতে গীতিকার হিসেবে প্রথম সম্মানী পেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ

শহীদ মাহমুদ জঙ্গী
২১ আগস্ট ২০২২, ১০:৩০আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২২, ১০:৩০

রেকর্ড প্রযুক্তির আবির্ভাবের শুরুটা ফোনোগ্রাফ দিয়ে। তারপর আসে গ্রামোফোন। এই দুই মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ জড়িয়ে আছেন। তার অসাধারণ প্রতিভার সঙ্গে তখন পাঠক-শ্রোতার এক ধরণের সখ্যতা গড়ে উঠেছে। সুধীজনের  কাছে রবীন্দ্রনাথ তখন বিশাল মাপের কবি, গীতিকার ও লেখক।
 
রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে বুদ্ধদেব বসুর মন্তব্য এই প্রসঙ্গে স্মরণ করা যেতে পারে। বুদ্ধদেব লিখেছেন, ‘তিনি (রবীন্দ্রনাথ) যে একজন বড় কবি তা অনেক আগেই আমরা জেনে গেছি। কিন্তু যে কথা এখনও আমরা ভালো করে জানি না— কিংবা বুঝি না, সে কথা এই যে বাংলাদেশের পক্ষে বড্ড বেশি বড় তিনি। আমাদের মনের মাপজোকের মধ্যে কুলোয় না তাকে, আমাদের সহ্যশক্তির সীমা তিনি ছাড়িয়ে যান। তবুও আজকের দিনে তার সম্মুখীন হবার সাহস পাওয়া যায়, কেননা ইতিমধ্যে বাংলা সাহিত্যে আরও কিছু ঘটে গেছে- কিন্তু বিশ শতকের প্রথম দশকে- দ্বিতীয় দশকে- কী অবস্থা ছিল?’ 

যদিও আমরা জানি প্রায় একই সময়ে দ্বিজেন্দ্রলাল, রজনীকান্ত আর অতুলপ্রসাদও ছিলেন। তিনজনের প্রতিভাকে রবীন্দ্রনাথ সম্মান করতেন। এবং তাদের সৃষ্টির প্রতিও যথেষ্ট উৎসাহ ছিল তার। এই তিনজনের গানও রেকর্ড মাধ্যমকে সমৃদ্ধ করেছে। রবীন্দ্রনাথের বন্ধুত্বের হাত তাদের প্রতি সবসময় প্রসারিত ছিল। প্রয়োজনে রবীন্দ্রনাথ তাদের পক্ষও নিয়েছেন। যেমন, দ্বিজেন্দ্রলালের সুর নিয়ে যখন কেউ কেউ বিতর্ক সৃষ্টির অপচেষ্টায় ছিলেন, তখন তার প্রতি রবীন্দ্রনাথের সমর্থন প্রকারান্তরে দ্বিজেন্দ্রলালের গানের উচ্চ মানের প্রতিই সমর্থন করেছে। 

রবিবাবুর মন্তব্য, ‘দ্বিজেন্দ্রলালের গানের মধ্যে ইংরেজি সুরের স্পর্শ আছে বলে কেউ কেউ তাকে হিন্দুসংগীত থেকে বহিষ্কৃত করতে চান। যদি দ্বিজেন্দ্রলাল হিন্দুসংগীতে বিদেশী সোনার কাঠি ছুঁইয়ে থাকেন, তবে সরস্বতী নিশ্চয়ই তাকে আশীর্বাদ করবেন। হিন্দুসংগীত বলে যদি কোনও পদার্থ থাকে, তবে তা আপনার জাত বাঁচিয়ে চলুক, কারণ তার প্রাণ নেই, তার জাতই আছে।’

দ্বিজেন্দ্রলালের লেখা গান, নাটক এবং নাটকের গান ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল তখন। দ্বিজেন্দ্রলালের প্রায় কাছাকাছি সময়ে রজনীকান্ত এবং অতুলপ্রসাদের সম্পর্কেও আমরা জানি। তারাও তাদের গানে চারিদিক মাতিয়ে রেখেছিলেন তখন। গ্রামোফোন কোম্পানির চাহিদার তালিকায় তারাও একসময় উঠে আসেন। 

রবীন্দ্রনাথসহ অন্য তিনজন সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় অবদান রেখেছেন। তবে তাদের প্রথম পছন্দ ছিল নিজেদের সৃষ্ট গান। এই চারজনের অনেক পরে নজরুলের আগমন। একইভাবে নজরুলেরও প্রথম পছন্দ ছিল তার নিজের গান। 

সাহিত্যের প্রায় সবগুলো শাখায় বীরদর্পে বিরাজ করেও নিজের গান নিয়ে বাড়তি আত্মবিশ্বাস ছিলো রবীন্দ্রনাথের মনে। তাই তো অকপটে বলেছেন, ‘জোর করে বলা যায় না; যুগ বদলায়, কাল বদলায়, তার সঙ্গে সব কিছু তো বদলায়। আমার অন্য রচনার তুলনায় সবচেয়ে স্থায়ী হবে গান, এটা জোর করে বলতে পারি। বিশেষ করে বাঙালিরা শোকে, দুঃখে, সুখে, আনন্দে, আমার গান না গেয়ে তাদের উপায় নাই। যুগে যুগে এই গান তাদের গাইতেই হবে।’
 
আর দ্বিজেন্দ্রলাল নিজের এবং রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে পুত্র দিলীপকুমারকে বলেছিলেন, ‘না রে না, আমাকে আর রবিবাবুকে ভুলে যাবে না মানুষ। কেন যাবে না জানিস? এই জন্য যে, আমরা রেখে যাচ্ছি যা বাঙালির প্রাণের জিনিস- সুরে বাঁধা গান। আমি যে কী সব গান বেঁধেছি সেদিন তুইও বুঝবিই বুঝবি।’
 
তিনি গেয়েছেন- গানের ভেতর দিয়ে যখন দেখি ভুবনখানি/ তখন তারে চিনি আমি তখন তারে জানি। 

ফোনোগ্রাফে প্রথম রবীন্দ্রনাথের গান রেকর্ড করা হয়। ১৮৭৭ সালে এডিসন ফোনোগ্রাফ আবিষ্কার করেন। 
এর কয়েক বছরের মধ্যে ভারতের তৎকালীন রাজধানী কলকাতায় তা আমদানি করা হয়। তবে ভারতে যে ফোনোগ্রাফ যন্ত্রের আমদানি হয় তা এডিসনের প্রথম আবিষ্কৃত যন্ত্রের উন্নত সংস্করণ। আর এই উন্নতি সাধন সম্ভব হয়েছিল বৈজ্ঞানিক বেল ও তার সহযোগীদের কল্যাণে। তারাই ধাতব নলের গায়ে মোম লাগিয়ে তার ওপর রেকর্ড করে অধিকতর স্পষ্ট ও মিষ্টি স্বর উৎপাদন করার ব্যবস্থা করেন। 

গবেষক এবং প্রেসিডেন্সি কলেজের ফিজিক্স-এর অধ্যাপক আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ১৮৯১-৯২ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজের ল্যাবরেটরিতে এডিসনের ফোনোগ্রাফ যন্ত্রে রবীন্দ্রনাথের গান রেকর্ড করেন। তার লিখিত বিবরণ পাওয়া গেছে ‘পরিচারিকা’ পত্রিকার জ্যৈষ্ঠ ১২৯৮ সংখ্যায়। রবীন্দ্রনাথের কণ্ঠের প্রথম রেকর্ড বিষয়ে এই সংবাদটি বিশিষ্ট গবেষক প্রশান্তকুমার পাল সংগ্রহ করেছিলেন।

১৮৯১/৯২ সালে ফোনোগ্রাফে রেকর্ডিং-এর সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল একত্রিশ। এর বছর দশেকের কিছু পরে হেমেন্দ্রমোহন বসু বাণিজ্যিক উদ্দেশে সিলিন্ডার রেকর্ড তৈরি শুরু করেন। ‘এইচ বোসেস রেকর্ড’-এর যাত্রাও হয়। উপমহাদেশে হেমেন্দ্রমোহন বসুকে সিলিন্ড্রিকাল রেকর্ডের জনক বলা হয়। রবীন্দ্রনাথের নিজ কণ্ঠের অনেক গান ও আবৃত্তি সিলিন্ডার রেকর্ডে ধারণ করা হয়। 

দ্য টকিং মেসিন হল, মার্বেল হাউস কলকাতা থেকে মার্চ ১৯০৬ সালে প্রকাশিত এইচ বোসেস রেকর্ড-এর ক্যাটালগে রবীন্দ্রনাথের কণ্ঠের কিছু রেকর্ডের উল্লেখ আছে-
 
৩৫১ সার্থক জন্ম (সার্থক জনম আমার)
৩৫২ পথের গান (আমরা পথে পথে যাব)
৩৫৩ দেশের মাটি (ও আমার দেশের মাটি)
৩৫৪ দ্বিধা (বুক বেঁধে তুই দাঁড়া দেখি) 
৩৫৫ হবেই হবে (নিশিদিন ভরসা রাখিস)
৩৫৬ বান (এবার তোর মরা গাঙে বান এসেছে)
৩৫৭ একা (যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে)
৩৫৮ মাতৃমূর্তি (আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে)
৩৫৯ বাউল (যে তোমায় ছাড়ে ছাড়ুক)
৩৬০ বাউল (যে তোরে পাগল বলে)
৩৬১ বাউল (যদি তোর ভাবনা থাকে)
৩৬২ বাউল (আপনি অবশ হলি তবে)
৩৬৩ প্রয়াস (তোর আপন জনে ছাড়বে তোরে) 
৩৬৪ বাউল (ঘরে মুখ মলিন দেখে)

কবিকণ্ঠের আরও অনেক গান সিলিন্ডার রেকর্ডে বেরিয়েছিল। অনেক গান রেকর্ড করা হয়েছিল, কিন্তু বাজারে ছাড়া হয়নি। এমন সব রেকর্ডের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি পরে। 

এইচ বোসেস রেকর্ড ছাড়াও প্যাথি রেকর্ডেও রবীন্দ্রনাথের কণ্ঠে রেকর্ড প্রকাশের তথ্য পাওয়া যায়। 

বাজারে ডিস্ক রেকর্ডের আগমন এবং দ্রুত জনপ্রিয়তার কাছে সিলিন্ডার রেকর্ড পিছিয়ে পড়ে। সিলিন্ডার রেকর্ড বাজার হারায়। একসময় বোসেস রেকর্ড ও প্যাথি রেকর্ড-এর ব্যবসায় লোকসান হতে থাকে। এবং কোম্পানি দুটি বন্ধ হয়ে যায়। এ দুটি কোম্পানি ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কণ্ঠধারণকারী প্রথম দিকের কোম্পানি। 

তখন ডিস্ক রেকর্ডের একপিঠ মাত্র বাজানো যেতো। অন্য পিঠে ট্রেডমার্ক-এর ছবি থাকতো অথবা খালি থাকতো। রেকর্ডের দুইপিঠে যাতে গান ধারণ করা যায় এবং বাজানো যায়, এমন রেকর্ড প্রথম বাজারে নিয়ে আসে ইন্টারন্যাশনাল টকিং মেশিন কোম্পানি। যার প্রেসিডেন্ট ছিলেন এফ. এম. প্রেসকোট। এই কোম্পানি ওডিঅন (Odeon) লেবেলে, দুইপিঠ বাজানো যায় এমন রেকর্ড ইউরোপ থেকে বাজারজাত করে। এবং ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে। পরে অন্য কোম্পানিগুলোও তাদের পথ অনুসরণ করে। এই ওডিঅন রেকর্ডেও অনেক রবীন্দ্রসংগীত প্রকাশ হয়েছিল। যদিও তা কবির স্বকণ্ঠের রেকর্ড ছিল না। 

বিভিন্ন দেশের  বিভিন্ন ভাষার নামকরা শিল্পীদের রেকর্ড বের করতো ওডিঅন। কিন্তু সে সময়ে সংগীত রচয়িতার নাম রেকর্ডে দেওয়া হতো না, তাই রবীন্দ্রনাথের নাম রেকর্ডে দেখা যেতো না। 

একটি ওডিঅন রেকর্ডের লেবেল চিত্র—সত্যভূষন গুপ্তের কণ্ঠে ‘সার্থক জনম আমার জন্মেছি এ দেশে’ গানটির সুর ও তাল বলা হয়েছে- ভৈরবী ও একতালা। এবং গায়কের নাম ইংরেজিতে লেখা Sung by Mr. S. B. Gupta, Calcutta, No 94118। কিন্তু গীতিকার হিসাবে কবির নাম দেওয়া হয়নি। 

গ্রামোফোন কোম্পানির অব্যাহত জয়যাত্রায় বিভিন্ন মানের শিল্পীরা বিনা অনুমতিতে রবীন্দ্রনাথের গানের রেকর্ড করতে থাকেন। এই অবস্থায় কবির সলিসিটর খগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় ১০ মার্চ, ১৯১৫ সালে গ্রামোফোন কোম্পানির কাছে চিঠি দেন। এতে তিনি রবীন্দ্রনাথের গানের রয়্যালটি দাবি করেন। কোম্পানির পক্ষে মর্গান এন্ড কোম্পানি কবির সলিসিটরের সাথে যোগাযোগ করেন। কোম্পানি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, কবির রচনা তারা রেকর্ড করেছেন। গ্রামোফোন কোম্পানি ভারতে প্রথমবারের মতো গীতিকারকে সম্মানী দেওয়ার ব্যবস্থা করে এবং  ভারতে প্রথম গীতিকারের সেই সম্মানী পেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। 

১৯২৬ সালের ৫ অক্টোবর, রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে গ্রামোফোন কোম্পানির একটি চুক্তি সাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, কবি কিছু গান রেকর্ড করার অনুমতি দেন। অনুমতি দেওয়া হয় রয়্যালটির বিনিময়ে। ভারতে সেই বছরই গ্রামোফোন কোম্পানিতে বৈদ্যুতিক পদ্ধতিতে রেকর্ডিং করা শুরু হয়। 

একই বছরে গ্রামোফোন কোম্পানির রেকর্ডিং কর্মকর্তা ভগবতীচরণের আপ্রাণ চেষ্টায় এবং অধ্যাপক প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ ও তার ভাই প্রফুল্লচন্দ্র মহলানবিশের উৎসাহে রবীন্দ্রনাথ বেশকিছু গান রেকর্ড করেন। তবে তার সবগুলি প্রকাশ করার অনুমতি দেননি। 

গ্রামোফোন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিতে কবি নিজে স্বাক্ষর করেছিলেন এবং কবির পক্ষে সাক্ষী হিসাবে স্বাক্ষর করেছিলেন প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ। এই চুক্তির ফলে কিছু ইতিবাচক কাজ হয়েছিল যেমন- বিশ্বভারতী মিউজিক বোর্ড গঠন, নির্ভুল সুরে রবীন্দ্রসংগীত গাওয়া বাধ্যতামূলক করা, তৈরি রেকর্ড মিউজিক প্রকাশের আগে বোর্ডের অনুমোদন নেওয়া প্রভৃতি।
 
এই নিয়ম কানুনের ফলে রবীন্দ্রসংগীত বিভিন্ন ধরণের বিচ্যুতির হাত থেকে রক্ষা পায়। এই চুক্তির আগে অল্প সংখ্যক শিল্পী ছাড়া বাকি সবাই ইচ্ছা মতো রবীন্দ্রসংগীতের সুরে কিংবা কথায় পরিবর্তন করে গাইতেন। যেমন- পূর্ণকুমারী ‘পুরানো সে দিনের কথা’ গানটির ‘সে’ শব্দটি ‘পুরানো’ শব্দের আগে নিয়ে এসে গেয়েছিলেন ‘সে পুরানো দিনের কথা’,  কে. মল্লিক ‘আমার মাথা নত করে দাও হে’ গানে ইচ্ছে মতো ‘দয়াল’ শব্দটি যোগ করেছিলেন! রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বিশ্বভারতীর মিউজিক বোর্ড রবীন্দ্রসংগীতের রেকর্ডের তত্ত্বাবধান করতো। তথাপি রবীন্দ্রনাথ নিজে একটা বড় সময় রেকর্ড শুনে অনুমোদন দিতেন বা বাতিল করতেন। তিনি তার গান যেন সঠিক সুরে, তালে, লয়ে গাওয়া হয় সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চাইতেন। তাই প্রয়োজনে একই গান বার বার শুনতেন এবং সন্তুষ্ট হলেই রেকর্ড প্রকাশের অনুমতি দিতেন। 

সেই সময় গ্রামোফোন কোম্পানি ছাড়াও বিদেশী কোম্পানি থাকলেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অন্য কোথাও গান বা কবিতা রেকর্ড করেননি। ১৯৩২ সালে স্বদেশী রেকর্ড কোম্পানি ‘হিন্দুস্তান রেকর্ড’ কার্যক্রম শুরু করলে কবিগুরু  সত্তর ঊর্ধ্ব বয়সে স্বকণ্ঠে আবারও রেকর্ড করতে রাজি হলেন। তিনি ‘হিন্দুস্থান মিউজিকাল প্রডাক্টস’র অক্রুর দত্ত লেনের স্টুডিওতে গেলেন, ১৯৩২ সালের ৫ এপ্রিল। দর্শকের খাতায় মন্তব্য লেখেন, ‘হিন্দুস্থান ম্যুজিক্যাল প্রোডাক্টস্ ভেরাইটি সিন্ডিকেট জয়যুক্ত হৌক। এরূপ প্রতিষ্ঠান এদেশে এই প্রথম। ইহার সফলতায় আমাদের গৌরব।’

এরপর রবীন্দ্রনাথ স্বকণ্ঠে রেকর্ড করলেন, ‘তবুও মনে রেখো যদি দূরে চলে যাই/ যদি পুরাতন প্রেম ঢাকা পড়ে যায় নবপ্রেমজালে...’।

চলবে...

লেখক: গবেষক, প্রাবন্ধিক ও গীতিকবি

তথ্য সহায়তা
দ্বিজুবাবুর গান থেকে দ্বিজেন্দ্রগীতি: সুধীর চক্রবর্তী
প্রবন্ধ সংকলন: বুদ্ধদেব বসু 
কবিকণ্ঠ ও কলের গান: সন্তোষকুমার দে
উদাসী দ্বিজেন্দ্রলাল: দিলীপকুমার রায়
প্রবন্ধ-সংকলন: বুদ্ধদেব বসু 

আরও:

প্রথম পর্ব: অ্যাঞ্জেলিনা ইয়ার্ড থেকে সুপার স্টার গওহর জান হয়ে ওঠার ইতিহাস

দ্বিতীয় পর্ব: শিল্পীদের আয়ের বিজ্ঞানসম্মত পথ খুলে দেয় গ্রামোফোন

তৃতীয় পর্ব: গান-বাণিজ্যে গওহর জান নায়িকা হলে, লালচাঁদ বড়াল নায়ক

চতুর্থ পর্ব: ‘সেকালের কলকাতার লোকেরা ছিলেন সংগীত-ছুট’

পঞ্চম পর্ব: রেকর্ডিং কোম্পানিগুলোর কাছে যোগ্য সম্মানি পাননি কে. মল্লিক

ষষ্ঠ পর্ব: অমলা দাশের কারণেই অনেক প্রতিভাবান শিল্পী এসেছিলেন

সপ্তম পর্ব: প্রথম রেকর্ড হাতে পেয়ে ইন্দুবালা নিজেই ভেঙে ফেলেন!

অষ্টম পর্ব: টাইটানিক থেকে ঢাকা, রেডিওর গপ্পো

নবম পর্ব: দৃষ্টি হারিয়েও সেই যুগের শ্রেষ্ঠ গায়ক কৃষ্ণচন্দ্র দে

দশম পর্ব: আঙ্গুরবালা দেবীর গান গাইতে প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো শিল্পী ভয় পেতেন

/এমএম/
সম্পর্কিত
‘পদ্মশ্রী’ প্রাপ্তিতে সংগীত ঐক্যর পক্ষ থেকে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে ফুলেল শুভেচ্ছা
‘পদ্মশ্রী’ প্রাপ্তিতে সংগীত ঐক্যর পক্ষ থেকে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে ফুলেল শুভেচ্ছা
৫০-এ সোলস: ব্যান্ডের লোগো নির্বাচন ও গান লিখতে পারবেন আপনিও
৫০-এ সোলস: ব্যান্ডের লোগো নির্বাচন ও গান লিখতে পারবেন আপনিও
রবীন্দ্রনাথের সকল গানের ভাণ্ডারি দিনেন্দ্রনাথ
গানের শিল্পী, গ্রামোফোন, ক্যাসেট ও অন্যান্য: পর্ব ১৬রবীন্দ্রনাথের সকল গানের ভাণ্ডারি দিনেন্দ্রনাথ
নজরুল-আব্বাসউদ্দীন: ইসলামি গান সৃষ্টি ও জনপ্রিয়তার নেপথ্য গল্প
গানের শিল্পী, গ্রামোফোন, ক্যাসেট ও অন্যান্য: পর্ব ১৫ (গ)নজরুল-আব্বাসউদ্দীন: ইসলামি গান সৃষ্টি ও জনপ্রিয়তার নেপথ্য গল্প
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
১৬ বছর পর জেনস সুমনের ফেরা (ভিডিও)
১৬ বছর পর জেনস সুমনের ফেরা (ভিডিও)
মা হারালেন বেবী নাজনীন
মা হারালেন বেবী নাজনীন
ওমর: ‘নায়িকাবিহীন’ এক থ্রিলার
সিনেমা সমালোচনাওমর: ‘নায়িকাবিহীন’ এক থ্রিলার