কানাডার সঙ্গে যে কূটনৈতিক উত্তেজনা চলছে তাতে করণীয় নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নতুন সংসদ ভবনে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুজনের মুখোমুখি আলাপ হয়। ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমে জানা গেছে, এই মুহূর্তে কানাডার সঙ্গে আগ বাড়িয়ে বাণিজ্যিক বা কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করবে না দিল্লি। তবে অটোয়ার পক্ষ থেকে কোনও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া এলে জবাব দেওয়া হবে।
তবে মোদি-জয়শঙ্করের আলোচনার বিষয়বস্তু আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি দিল্লি।
কানাডায় ভারতের খালিস্তানি নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার খুন হওয়াকে কেন্দ্র করে ভারতকে কাঠগড়ায় তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সোমবার হাউজ অব কমন্সে দেওয়া ভাষণে ট্রুডো বলেছিলেন, কানাডার নাগরিক নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের গুপ্তচরদের জড়িত থাকার গ্রহণযোগ্য অভিযোগ তদন্ত করছে কানাডীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
যদিও ট্রুডোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এই অভিযোগ অযৌক্তিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একই অভিযোগ আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে করেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী এবং আমরা তা সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছি।
মঙ্গলবার ভারতের সঙ্গে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, তিনি ভারতকে উসকানি বা উত্তেজনা বাড়াতে চান না। কিন্তু তিনি চান দিল্লি যেন শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার হত্যাকাণ্ডকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে।
উল্লেখ্য, কানাডার নাগরিক ও ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘খালিস্তান টাইগার ফোর্সের’ (কেটিএফ) প্রধান হারদীপ সিং নিজ্জারকে গত (১৮ জুন) গুলি করে হত্যা করা হয়। ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের পাঞ্জাবি অধ্যুষিত শিখদের ধর্মীয় উপাসনালয়ের পার্কিংয়ে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে। দীর্ঘদিন হারদীপ সিংকে খুঁজছিল নিরাপত্তা বাহিনী। তার মাথার দাম ১০ লাখ রুপি ঘোষণা করেছিল ভারত সরকার।
আরও পড়ুন:
- ভারত-কানাডা উত্তেজনা, কে ছিলেন নিহত নিজ্জার?
- নিজ্জার হত্যায় ভারতকে কানাডার দায়ী করা নিয়ে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র
- অটোয়ায় বহিষ্কৃত ভারতীয় কূটনীতিক র-এর কানাডা প্রধান
- কানাডার কূটনীতিককে পাল্টা বহিষ্কার করে ভারতের ‘আল্টিমেটাম’
- ভারত-কানাডার সম্পর্কে শীতলতা বাড়ছে, কূটনীতিককে বহিষ্কার করলো অটোয়া
- ভারত-কানাডার সম্পর্কে ফাটল, ‘বাণিজ্য মিশন’ স্থগিত
- ভারতের খালিস্তানপন্থি শীর্ষ নেতা কানাডায় খুন