সেন্ট ভিনসেন্টে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন ক্রিকেটাররা। সেখানে সোমবার ঈদুল আজহা হলেও বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা স্থানীয় একজন ইমাম ডেকে নিজেদের হোটেলে আজই ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। নামাজের আগে যথারীতি খুতবা পড়া আর বয়ান করা হয়।
আমেরিকা, ইংল্যান্ড, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখেই ঈদ পালন করা হয়েছে। আমেরিকার পাশের দেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এখানকার দ্বীপ সেন্ট ভিনসেন্টে ঈদ ১৬ তারিখ নাকি ১৭ তারিখ তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বাংলাদেশ থেকে আসা অনেকেও আজ (১৬ জুন) ঈদের নামাজ পড়ার সিদ্ধান্ত নেন। কেউ কেউ আবার আগামীকাল (১৭ জুন) পড়বেন। ক্রিকেটাররা নিজেদের অনিশ্চিত শিডিউলের কারণে ১৬ জুনই ঈদ উদযাপন করেছেন। এছাড়া স্থানীয় সময় অনুযায়ী রবিবার রাতে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ জিতলে তারা সুপার এইটে চলে যাবে। ফলে পরদিনই আইসিসিরি চাটার্ড বিমানে শান্তদের এন্টিগাতে রওনা হতে হবে। নির্ধারিত সময় ফিক্সড না হওয়ায় ক্রিকেটাররা রবিবারই ঈদের নামাজ আদায় করে নেন।
ঈদের দিনটিকে আনন্দমুখর করে তুলতে অনেক আগে থেকেই ব্যাপক প্রস্তুতি নেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। কিন্তু আন্তর্জাতিক ব্যস্ত সূচির কারণে ক্রিকেটারদের প্রায়ই ভিন দেশে ঈদ করতে হয়। এবার বিশ্বকাপ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অবস্থান করছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সোমবার বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে পাঁচটায় নেপালের বিপক্ষে মুখোমুখি হবে তারা। তার আগে রবিবার ক্যারিবীয় দ্বীপে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন শান্ত-সাকিবরা। ১ লাখ মানুষের ছোট্ট এই দেশটিতে মুসলমান মাত্র ২ হাজারে মতো। ফলে ঈদের পরিবেশ এখানে খুব একটা নেই। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো এর মাঝেই ঈদের আনন্দ খুঁজে নেন ক্রিকেটাররা।
রবিবার নামাজ শেষে ক্রিকটারদের পছন্দে বিশেষ ব্যবস্থায় তৈরি করা হয় নাস্তা। যেখানে মেন্যু ছিল পরোটা, মুরগির মাংস ভুনা, ডিম, মিক্সড ভেজিটেবল, চানা মসলা। দুপুরের খাবারেও রাখা হয়েছে বিশেষ মেন্যু- পোলাও, নানরুটি, খাসির মাংস ভুনা, মুরগি ভুনা, মিক্সড সালাত প্রভৃতি। আয়েশা নামের স্থানীয় এক মুসলিম নারী ক্রিকেটারদের জন্য রান্না করে দেন।
বিশ্বকাপে সুপার এইটের সাতটি দল চূড়ান্ত হলেও বাকি আছে একটি। ডি গ্রুপ থেকে সেই দলটি কালই চূড়ান্ত হয়ে যাবে। একই গ্রুপ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার সুপার এইট নিশ্চিত করেছে। দ্বিতীয় দল হিসেবে বাংলাদেশ কিংবা নেদারল্যান্ডস যাবে সুপার এইটের এক নম্বর গ্রুপে। কাগজে কলমে নেদারল্যান্ডসের সুযোগ থাকলেও শেষ দল হিসেবে সুপার এইটে ওঠার দৌড়ে এগিয়ে টাইগাররা। কাল নেপালকে হারাতে পারলে কোনও সমীকরণের সামনে পড়তে হবে না তাদের। এখন অপেক্ষা নেপালকে হারিয়ে ভক্তদের ঈদের আনন্দ দ্বিগুণ করতে পারেন কিনা বাংলাদেশ।