চলতি মৌসুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস ও লখনউ সুপার জায়ান্টস। আশুতোষ শর্মার ব্যাটিং তাণ্ডবে ওই ম্যাচে ১ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছিল দিল্লি। মঙ্গলবার দ্বিতীয়বারের দেখায় অনেকটা একপেশে লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলো তারা। এবার তারা বল হাতেই জয়ের পথ তৈরি করেছিল।
মুকেশ কুমারের বোলিং নৈপুণ্যে লখনউকে এবার বড় স্কোর করতে দেয়নি দিল্লি ক্যাপিটালস। শুরুটা দারুণ হলেও ৬ উইকেটে ১৫৯ রানে থামে লখনউ। মুকেশ নিজের প্রথম ও শেষ ওভারে জোড়া আঘাত হানেন। তারপর অভিষেক পোরেল ও লোকেশ রাহুলের হাফ সেঞ্চুরিতে ১৩ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে দিল্লি।
৮ ম্যাচে ষষ্ঠ জয়ে আইপিএল টেবিলের শীর্ষে থাকা গুজরাট টাইটান্সের (১২) পয়েন্ট ছুঁয়েছে দিল্লি। এক ম্যাচ বেশি খেলে লখনউ ১০ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটিতে মার্করাম ও মিচেল মার্শ ৮৭ রান তোলেন। ৪৬ রানে জীবন পাওয়া মার্করাম ৩৩ বলে ৫২ রানে দুষ্মন্ত চামিরার শিকার হন।
এরপর ১৪তম ওভারে মার্শকে (৪৫) ফিরিয়ে মুকেশ কুমার জোড়া আঘাতে লখনউ রানের লাগাম টেনে ধরেন। ১১০ রানে চার উইকেট হারানোর পর আয়ুশ বাদোনি ইনিংস এগিয়ে নিতে থাকেন। যদিও রান খুব একটা জমা হতে পারেনি বোর্ডে।
ডেভিড মিলারের সঙ্গে বাদোনি ৪৯ রানের জুটি গড়ে ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে মুকেশের শিকার হন। ৩৬ রান করেন তিনি। শেষ বলে রিশাভ পান্তকে ফিরিয়ে চতুর্থ উইকেট তুলে নেন মুকেশ। তিনি চার ওভারে ৩৩ রান দেন। ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে তার হাতে।
লক্ষ্যে নেমে ওপেনার করুন নায়ার (১৫) দলীয় ৩৬ রানে ফিরে যান। তারপর অভিষেক ও রাহুল ৬৯ রানের জুটি গড়ে সহজ জয়ের ভিত তৈরি করেন।
৩৬ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৫১ রান করে থামেন অভিষেক। তারপর রাহুল ও অক্ষর প্যাটেল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ৫৬ রানে অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে।
৪২ বলে তিনটি করে চার ও ছয়ে ৫৭ রানে অপরাজিত ছিলেন রাহুল। ১৩০তম ইনিংসে আইপিএলের দ্রুততম পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক ছোঁন এই কিপার ব্যাটার, পেছনে ফেলেন ডেভিড ওয়ার্নারকে (১৩৫)।
২০ বলে ১ চার ও ৪ ছয়ে ৩৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন অক্ষর। ১৭.৫ ওভারে ২ উইকেটে ১৬১ রান করে দিল্লি।
দিল্লির দুটি উইকেটই মার্করামের।