X
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাড়ির উঠানে কি লাশ দাফনের সময় আসন্ন?

আবদুল মান্নান
০৭ জুলাই ২০২১, ১৬:১৯আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২১, ১৯:৫৯

আবদুল মান্নান খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। মাস চারেক হবে। পাশের দেশ ভারতে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছয় হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। আর বাংলাদেশের পাশের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো দেড়শ’র ওপর। ভারতের জনসংখ্যা ১২৭ কোটি (২০১৫ সালের হিসাব অনুযায়ী), আর পশ্চিমবঙ্গে নয় কোটির কিছু বেশি। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের হাসপাতালে করুণভাবে করোনা রোগীরা মারা গেলো অক্সিজেনের অভাবে। এসব দিক দিয়ে এগিয়ে গেলো উত্তর প্রদেশ ও মহারাষ্ট্র। একসময় পরিস্থিতি এমন গিয়ে দাঁড়ালো মৃত ব্যক্তিদের সৎকার করার কোনও শ্মশানে স্থান সংকুলান হচ্ছিল না। কবরস্থানেরও একই অবস্থা। তখন সারা ভারতবর্ষের অবস্থা ভয়াবহ, মোদি সরকার সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। শ্মশানে বৈদ্যুতিক যত চুল্লি আছে তাতে কাজ হচ্ছে না। এর বাইরে কাঠ দিয়ে শবদেহ সৎকারের ব্যবস্থা আছে কিন্তু কাঠ মিলছে না। মানুষ মৃতদেহকে শ্মশানের বাইরে ফেলে রেখে চলে যাচ্ছে। কোনও কোনও স্থানে দেখা গেলো কুকুর লাশ নিয়ে টানাটানি করছে। লেখিকা অরুন্ধতি লিখলেন, ‘এটি মানবতার বিরুদ্ধে মারাত্মক অপরাধ’।  দুই একটি রাজ্যে মৃতদেহ সৎকারের জন্য সংরক্ষিত জঙ্গল কাটার অনুমতি দেওয়া হলো। উত্তর প্রদেশের কোনও এলাকায় বাড়ির ছাদেও শবদেহ পোড়ানো হয়েছে। আবার মুসলমানরা তাদের বাড়ির আঙ্গিনায় নিজের পরিজনদের কবর দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। দিল্লির অনেক স্কুলের খেলার মাঠকে শ্মশানে পরিণত করতে অনুমতি দিয়েছে। মহারাষ্ট্র ও উত্তর প্রদেশে একই অবস্থা। কোনও কিছুতেই যখন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না তখন মানুষ মৃতদেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া শুরু করলো। উত্তর প্রদেশের বিখ্যাত দেওবন্দ মাদ্রাসাসহ অনেক ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বড় বড় দালান কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর করার অনুমতি দিয়েছে। আগে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হোক, তারপর অন্য বিষয় নিয়ে চিন্তা করা যাবে।

পরিস্থিতির ভয়াবহতা রোধ করার জন্য দিল্লি সরকার (দিল্লিতে পৃথক সরকার। মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল) গত এপ্রিল মাসে টানা সাতদিন লকডাউন দিল। যেদিন লকডাউন দেওয়া হয় সেদিন দিল্লিতে একদিনে ১৭ হাজার মানুষের দেহে সংক্রমণ পাওয়া গেলো (২৫ এপ্রিল)। লকডাউন মানে লকডাউন– বাংলাদেশের মতো কোনও ‘ঠাট্টা মশকরা’ নয়। সড়কে সব ধরনের ব্যক্তিগত গাড়ি বা গণপরিবহন সম্পূর্ণ বন্ধ। সীমিত সময়ের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের কেনাকাটা করার জন্য কাঁচা বাজার ও ওষুধের দোকান খোলা রাখা হলো। কোনও অজুহাতেই কোনও কলকারখানা খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হলো না। সদা জাগ্রত ভারতের রাজধানী এক হুকুমেই নিস্তব্ধ। তামিল নাড়ু, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গসহ অন্যান্য রাজ্যেরও একই ব্যবস্থা। তামিলনাড়ুতে যারা হাওয়া খেতে রাস্তায় বের হয়েছিলেন তারা পুলিশের লাঠির বাড়ি খেয়ে বাড়ি ফিরেছেন। যারা মোটরসাইকেল নিয়ে হাওয়া খাচ্ছিলেন তাদের মোটরসাইকেল জব্দ করা হলো। এতে কাজ হলো। সোমবার পর্যন্ত ভারতের দিল্লিতে মৃতের সংখ্যা ২৩-এ  নেমে এসেছে। ভারতজুড়ে সংক্রমণও অর্ধেকে। পশ্চিমবঙ্গে সোমবার মাত্র ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে আর নতুন আক্রান্ত হয়েছে ৮৮৫ জন। দু’একটি রাজ্য ছাড়া ভারতে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা এখন কমতির দিকে। এটি শুধু লকডাউন দিয়ে হয়েছে তা বললে ভুল হবে। লকডাউন বাস্তবায়ন করতে সরকার সাধ্যমতো ব্যবস্থা নিতে সচেষ্ট ছিল, যা বাংলাদেশে অনুপস্থিত বলে আজ আমরা এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি। সোমবার এই ‘লকডাউন’ আরও এক সপ্তাহ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে (১৪ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত) এবং তা নিয়ে আহাজারি করার জন্য বেশ কিছু মানুষ আগাম প্রস্তুত হয়েছিল। যদিও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সামনের ঈদের আগে এক কোটিরও বেশি পরিবার ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে দশ কেজি করে চাল পাবে।

এটি ঠিক ‘লকডাউনে’র কারণে নিম্নবিত্ত মানুষের কষ্ট বেড়েছে। অনেক মানুষ তাদের জমানো অর্থ ভেঙে দিনযাপন করছে। কিন্তু এই ঠাট্টা মশকরার ‘লকডাউন’ না দিয়ে যদি গত বছর মার্চ এপ্রিলে সরকার লকডাউন কার্যকরের যে ব্যবস্থা নিয়েছিল তা যদি আরও কিছু দিন বজায় থাকতো অথবা প্রয়োজনে কিছু দিন সীমিত আকারে জরুরি সেবা খাতসমূহ খোলা রাখতো, আজ বাংলাদেশের মানুষকে হয়তো এই দুর্গতি দেখতে হতো না। মনে করা হয়েছিল এবার যেহেতু সেনাবাহিনী, বিজিবিসহ অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে রাস্তায় নামানো হয়েছে সেহেতু পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও হতে পারে। কিন্তু দেখা গেলো ‘যেই লাউ সেই কদু’। মানুষ নানা অজুহাতে ঘর হতে বের হচ্ছে। কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ মোটরসাইকেলে। যাদের সামর্থ্য আছে নিজস্ব গাড়িতে। কেউ বাড়ি হতে বের হচ্ছেন ‘লকডাউন’ কেমন হচ্ছে তা দেখতে আবার কেউ কেউ ঘরের ভেতর শুয়ে বসে কাটিয়ে ক্লান্ত হয়ে উন্মুক্ত বায়ু সেবন করতে। পুলিশ একটি ব্যক্তিগত গাড়িকে থামালেন। জানতে চাইলেন কোথায় যাচ্ছেন। ভেতর হতে বেশ কেতাদুরস্থ এক মহিলা কাঁচ নামিয়ে বেশ খুশি খুশি মেজাজ নিয়ে বললেন ‘অনেক দিন তো কোনও ছুটি পাই না,  এখন একটু ছুটি পেয়েছি, তাই বাচ্চাদের নিয়ে একটু ঘুরতে বের হয়েছি’ । রোজার ঈদ গেলো গত মে মাসে। ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরের পাড়ায় মহল্লায় এখনও ঈদের আমেজ রয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন ‘করোনার টিকা আপনাকে যত না নিরাপত্তা দেবে তার চেয়ে অনেক বেশি নিরাপত্তা দেবে মুখে সঠিকভাবে মাস্ক পরলে আর ঘন ঘন হাত ধুলে। জনসমাগম হতে দূরত্ব রাখাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই সব হচ্ছে কিছুই কাটমোল্লাদের  মাহফিলের  মতো। এক কান দিয়ে ঢুকে অন্য কান দিয়ে বের হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ মনে করে সব ঠাট্ট তামাশা।  ক’দিন আগে চট্টগ্রামে পুলিশ এক মাইক্রোবাস আটক করলো। ভেতরে ১২ জন বরযাত্রী। তারা বুঝতে অক্ষম তাদের গাড়িতে যে ১২ জন মানুষ ভ্রমণ করছিল তাদের মাধ্যমে দেশে আরও অনেকের মাঝে করোনাভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা আছে। নতুন ডেল্টা ধরনের  যেহেতু ভারতে উৎপত্তি, কেন ভারতের সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করা হচ্ছে না। সিঙ্গাপুর তো বহির্বিশ্বের সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট মাস্কা ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হলে হাঁঠুর নিচে গুলি করার হুকুম দিয়েছিলেন।

করোনার প্রকোপ যখনই শুরু হলো ১৪ মাস আগে তখন সরকারের কঠোর লকডাউনের প্রতিবন্ধকতা হিসেবে সামনে এসে দাঁড়ালো দেশের প্রায় সকল শিল্প কারখানার মালিকেরা। একেবারে সামনে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকরা। তাদের মতে কারখানা বন্ধ রাখলে তাদের সব অর্ডার বাতিল হয়ে যাবে, দেশের সর্বনাশ হয়ে যাবে। তারা আরও জানালো পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে। কর্মীদের নিজস্ব পরিবহনে কারখানায় আনবে। সরকার তাদের বেশ বড় অঙ্কের একটা প্রণোদনা প্যাকেজও দিলো। বাস্তবে দেখা গেলো অনেক ক্ষেত্রে ঘটনা তারা যা বলেছিল ঠিক তার উল্টো। যাদের জন্য প্রণোদনার প্যাকেজ তাদের অনেকের কাছে তা পৌঁছালো না। তারপর বললেন তাদের শ্রমিকরা কারখানার আশপাশেই থাকেন, যা মোটেও সত্য নয়। গাজীপুর, আশুলিয়া, সাভারে গায়ে গায়ে লাগানো কারখানা। যেকোনও শ্রমিককে কমপক্ষে এক কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে কর্মস্থলে আসতে হয়। এটা ঠিক অনেক কারখানা মালিক তাদের কর্মীদের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু না করার সংখ্যা বেশি। চট্টগ্রাম ইপিজেডে অবস্থিত বিভিন্ন ধরনের কারখানাতে কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করে। তাদের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্ণফুলীর অপর পার হতে সাম্পান, ট্রলারযোগে কর্মস্থলে আসে। তাদের জন্য কি ব্যবস্থা? আর করোনার কারণে বাজার হাতছাড়া হওয়ার অজুহাত ঠুনকো। তৈরি পোশাক শিল্প রাতারাতি গড়ে ওঠে না। যারা এই পোশাক আমদানি করে তাদের কাপড় ব্যবহার করতেই হবে আর তা কিছু দিন বিরতি দিয়ে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো হতেই আমদানি করবে। করোনার শুরুর দিকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র আর ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে তো পোশাক রফতানি এক রকম বন্ধই ছিল। সোমবার একটি জাতীয় দৈনিকে (ঢাকা ট্রিবিউন) সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে গত এক বছরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।

এদিকে সরকারের আর লকডাউনের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র চালু হয়েছে। আই নিউজ বাংলাদেশ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে লকডাউনের বিরুদ্ধে একজন বেশ ‘নাদুস নুদুস’ চেহারার মানুষ, যিনি দাবি করেছেন তিনি নাকি তিন দিন না খেয়ে আছেন, যদি ক্ষমতা পান তাহলে তিনি তিন দিনের মধ্যে দেশের সব সমস্যা সমাধান করে ফেলবেন। তার শারীরিক গঠন দেখলে মনে হবে তিনি সুন্দরবন থেকে বাঘ ধরে আনতে পারবেন। তিনি এও দাবি করলেন দেশে নাকি লকডাউনের কারণে ৭০ ভাগ মানুষ না খেয়ে আছে। বেশ কড়া মেজাজে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করলেন। তিনি শেখ হাসিনাকে উপদেশ দিলেন হজরত (রা.) ওমরের মতো শাসক হতে। এই লোক আর তার আশপাশে যে ক’জন মনেুষ তার এই ভণ্ড হুজুর স্টাইলের বক্তৃতা শুনছিলেন তাদের সবার গলায় মাস্ক ঝুলছিল। করোনা নিয়ে যারা রাতদিন পরিশ্রম করছেন, সরকারকে উপদেশ দিচ্ছেন তাদের তিনি তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেন।  তিনি এও জানিয়ে দিলেন, হায়াত মউত আল্লাহ’র হাতে। করোনাকে তিনি ভয় করেন না। এটি বুঝতে অসুবিধা হয় না পুরো বিষয়টি ছিল সাজানো।

এখন বুঝতে হবে করোনা বাংলাদেশসহ কেন বিশ্বের পিছু ছাড়ছে না সহজে। চীন একশত কোটি মানুষকে টিকা দিয়েছে। তবু চীনের কিছু এলাকায় করোনা ফিরে এসেছে। ইতোমধ্যে চীনের একটি সমুদ্রবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ইরান নিজেই করোনার টিকা আবিষ্কার করেছে। কিন্তু করোনার পঞ্চম ঢেউয়ের শঙ্কায় উদ্বিগ্ন দেশটি। ভারতে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইসরাইল সব নাগরিককে টিকা দিয়েছিল। মৃত্যু শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছিল। কিন্তু সেই ইসরাইলে এখন ব্যাপকভাবে ডেলটা ধরন ছড়িয়ে পড়েছে। একই ধরনে বিপর্যস্ত ইন্দোনেশিয়া। ব্রিটেন কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করেছিল বলে সেই দেশে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয়ে আসছে। বর্তমানে বাংলাদেশে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এটি অনেকাংশে গত ঈদে সরকারের নির্দেশ অমান্য করে গ্রামের বাড়িতে ছোটার প্রতিযোগিতার কারণে। সামনে আর একটা ঈদ আসছে। দেখার অপেক্ষায় সেই ঈদে কী অবস্থা হয়। যেখানে সৌদি সরকার বিদেশিদের জন্য পবিত্র হজ পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সেখানে একটা বা দুটা ঈদে বাড়ি না গেলে কী হয়?  আল্লাহর রাসুল খুব স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, কোনও এলাকায় মহামারি দেখা দিলে কেউ যেন সেই এলাকা ত্যাগ না করেন অথবা সেখানে কেউ যেন প্রবেশ না করেন। যারা এসব বিধিনিষেধ উপেক্ষা করছেন তারা তো আল্লাহর রাসুলের উপদেশ অমান্য করছেন (নাউজুবিল্লাহ)।  

দেশ ও তার জনগণকে বাঁচাতে হলে ১৪ জুলাই মাঝরাত পর্যন্ত যে ‘কঠোর লকডাউনে’র সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে তা চলমান সময়ের মতো ঢিলেঢালাভাবে বাস্তবায়ন করলে কোনও ফল হবে না। এই বর্ধিত লকডাউন হোক কারফিউ ধাঁচের। কলকারখানা কোনও অজুহাতেই চালু রাখা যাবে না। রাস্তায় জরুরি পরিষেবাদানকারীদের যানবাহন ছাড়া কোনও যানবাহন চলবে না। তবে খেয়াল রাখতে হবে দেশের নিম্নবিত্ত মানুষ যেন কেউ অভুক্ত না থাকে। লন্ডন হতে প্রকাশিত বিখ্যাত মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেট ভবিষ্যদ্বাবাণী করেছে, বাংলাদেশের এসডিজি গোল ২০৩০ নাগাদ অর্জিত হলে ২০৮০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের জনসংখ্যা অর্ধেক হয়ে যাবে। এটি হবে জন্মহার কমার কারণে। কিন্তু বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে এটি হতে অতদিন অপেক্ষা করতে হবে না। এমনও হতে পারে কিছু দিন পর এই বাংলাদেশেই বাড়ির উঠানেই স্বজনের লাশ দাফন করতে হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সীমাহীন ব্যর্থতা নিয়ে লেখার ছিল অনেক কিছু। লেখার কলেবর বৃদ্ধি পাবে বলে তা অন্য সময় আলোচনা করার চেষ্টা করবো। আসুন সবাই মাস্ক পরি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি। নিজে বাঁচি অন্যকে বাঁচতে সহায়তা করি। কিছু দিনের জন্য নানা ধরনের অযথা আবেগকে দমন করে রাখি। সাধারণ মানুষের সহযোগিতা ছাড়া বর্তমান ভয়াবহ অবস্থার উন্নতি সম্ভব নয়।

লেখক: বিশ্লেষক ও গবেষক

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
রুশ গুপ্তচর সন্দেহে জার্মানিতে গ্রেফতার ২
রুশ গুপ্তচর সন্দেহে জার্মানিতে গ্রেফতার ২
সংস্কৃতির উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর
সংস্কৃতির উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধান শুকানোর জমি নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধান শুকানোর জমি নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে হাসপাতালে কর্মবিরতির ঘোষণা
দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে হাসপাতালে কর্মবিরতির ঘোষণা
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ