X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বাজেট ২০২৩-২০২৪: কিছু প্রস্তাবনা

ড. খুরশিদ আলম
১৯ মে ২০২৩, ১৫:৫৮আপডেট : ১৯ মে ২০২৩, ১৬:০৪

জুন মাসে আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রদান করা হবে। সংবিধান অনুযায়ী এটি সরকারের জন্য বাধ্যবাধকতা। সংসদে এটি পাস না হলে জুলাই মাস থেকে সরকার আর এক টাকাও খরচ করতে পারবে না। প্রশ্ন হচ্ছে, সরকার প্রতি বছর যে বাজেট প্রদান করছে তার প্রস্তুতির মান কতটা উন্নত করতে পেরেছে? এর মধ্য দিয়ে সরকার তার আয় এবং ব্যয়ের ক্ষেত্রে কতটা দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে? এর মান উন্নয়নের আর কোনও সুযোগ রয়েছে কিনা?

প্রথমে সরকারের আয়ের বিষয়ে উল্লেখ করা দরকার। সরকার যে বাজেট দিচ্ছে তাতে দুটো ভাগ থাকে- একটি রাজস্ব বাজেট আর আরেকটি উন্নয়ন বাজেট, যা মোটামুটি সবার জানা। মোটাদাগে রাজস্ব বাজেট সরকার তার পরিচালনার জন্য ব্যয় করে থাকে। আর উন্নয়ন বাজেটের কিছু অংশ সরকার নিজস্ব আয় থেকে সংগ্রহ করে আর বাকি অংশ সরকার ঋণ বা সাহায্য নিয়ে করে থাকে। যদি সরকার যা আয় করে তাই ব্যয় করে তাহলে তা দেশের জন্য কল্যাণকর নয়। কারণ, তাহলে তা দিয়ে খুব সামান্য উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব হবে। ফলে স্বল্প উন্নত দেশগুলোতে সবসময় ঘাটতি বাজেট তৈরি করা হয়। আবার বেশি করে কর ধার্য করে টাকা সংগ্রহ করে সরকার যদি ব্যয় করে তাহলে মানুষের ব্যক্তিগত খাতে ব্যয় করা কিংবা বিনিয়োগ করার সামর্থ্য কমে যাবে। তাই এ কাজটি করার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত খাতকে যতদূর সম্ভব অক্ষত রেখে কেবল তার একটি অংশ নেওয়ার চেষ্টা করে সরকার। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সরকার যা করছে তা ঠিক আছে কি-না এবং জনগণ থেকে আরও বেশি টাকা সংগ্রহ করে উন্নয়ন খাতে এবং শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাতসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক খাতে আরও বিনিয়োগ করতে পারে কিনা?

বস্তুত কোনও দেশে করকে কর-জিডিপি অনুপাত দিয়ে মাপা হয় অর্থাৎ একটা দেশে মানুষ সব মিলিয়ে বছরে কত উৎপাদন করে এবং তার কত অংশ সরকারকে কর হিসেবে প্রদান করে। দেখা যায়, আইএমএফ বাংলাদেশে কর জিডিপি ৭ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ করার কথা বলেছে। বাংলাদেশে কর-জিডিপির হার দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে কম। ২০২১ সালের এক তথ্যে দেখা যায়, ভারতে ১৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ, নেপালে ২১ দশমিক ৫০ শতাংশ, পাকিস্তানে ১৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং শ্রীলংকায় ১২ দশমিক ৭৪ শতাংশ। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এর হার হচ্ছে গড়ে ২৪ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং উন্নত দেশগুলোতে ৩৫ দশমিক ৪১ শতাংশ।

এই হার বাড়ানো কি সরকারের পক্ষে সম্ভব কিনা? আমার মনে হয়েছে, বাংলাদেশে এই হার কম হওয়ার পেছনে প্রধান কারণ হলো সরকার এর চেয়ে বেশি টাকা ব্যয় করতে পারে না। এমনকি সরকারি টাকার অপচয়ের পরিমাণ বাড়ার অন্যতম কারণ হলো এই টাকা খরচ করতে না পারা।

দ্বিতীয়ত, সরকার যে ঋণ নিচ্ছে তা দিয়ে অর্থনীতিতে পুঁজি বাড়াচ্ছে, অর্থনীতির আকার বড় হচ্ছে। আবার অন্যদিকে ব্যক্তিপর্যায়ে সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ বেড়ে আর্থিক সামর্থ্য বাড়ছে। তাহলে কি বৈদেশিক ঋণের প্রয়োজন নেই? বস্তুত এই বিদেশি সাহায্য বা অনুদান ও ঋণ নেওয়ার ফলে দেশের উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগ কম সময়ে বেশি হয়েছে এবং হচ্ছে। এই অনুদানের টাকা ফেরত দিতে হয় না এবং ঋণের জন্য সুদের হার অত্যন্ত কম বিধায় এটিকে ইতিবাচকভাবে নিচ্ছে সরকার।      

আবার আয়ের দিক থেকে দেখলে এখনও মাত্র ২৩-২৫ লক্ষ ব্যক্তি আয়কর দিয়ে থাকে। এ অবস্থার কি উন্নয়ন করা সম্ভব নয়? বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী মাত্র ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ লোক গরিব। এর সঙ্গে যদি আরও ২০ শতাংশকে স্বল্প আয়ের মানুষ ধরা হয় তাহলেও বাকি ২ দশমিক ২৫ কোটি পরিবারের লোক কর দেওয়ার কথা। কিন্তু তন্মধ্যে কেবল ২৫ লাখ কর দিচ্ছে, বাকিরা দিচ্ছে না। আর বিভাগীয় কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের জনবলের অভাবে তারা তা আদায় করতে পারছে না। তারা দিচ্ছে না নাকি নিচ্ছে না সেটি একটি বড় প্রশ্ন। রাজস্ব বিভাগ রাজস্ব আয়ে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনও গবেষণা করে বলে জানা নাই। তবে যে অভিযোগ সব সময় শোনা যায়, তা হচ্ছে যারা কর দেয় তাদের কেবল তাড়া দেয়। কর আদায়ের চেয়ে ভ্যাট আদায়ের ক্ষেত্রে রাজস্ব বিভাগ আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয় হয়েছে এবং তা আদায়ের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। এখন ভ্যাট অফিসে গেলে মাসের শুরুতে অনেক সময় প্রচুর লোককে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

কিন্তু যে পরিমাণ লোকেরা ভ্যাট দিচ্ছে সেভাবে লোকেরা কর দিচ্ছে কিনা তা দেখে বুঝা যায় না। তবে সব মানুষ পরোক্ষ কর দিয়ে থাকে। তাই যেসব পণ্য আমদানি করা হয় সেগুলো থেকে যে কর আদায় করা হয় তা সব মানুষ দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে বলা যায় যে দেশের ভিক্ষুকও কর দিয়ে থাকে, যেমন তেল বা রুটি কেনা থেকে। কারণ, সেগুলো তাদের মতো হতদরিদ্রকেও ব্যবহার করতে হয়।

সরকার যে আয়কর ঠিকমতো আদায় করছে না তার ফলাফল কি হতে পারে? প্রথমত, যারা কর দিচ্ছে না তারা সেগুলো বিনিয়োগ এবং ভোগ করতে পারে। ফলে তা অর্থনীতিতে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আর যারা মনে করে যে তার করযোগ্য আয় থেকে কর দেওয়া উচিত কিন্তু দিচ্ছে না, তারা এর এক অংশ বিদেশে পাচার করার চেষ্টা করবে। তাদের ছেলেমেয়েদের বিদেশ পাঠিয়ে দিয়েছে পড়ালেখা করার নামে এবং তার মাধ্যমেও টাকা পাচার হচ্ছে। তারা সেখানে পড়ালেখা না করে যদি চাকরি করে এবং তারপরও যদি টাকা পাঠানো হয়, এ বিষয়ে সরকারের পক্ষে কতটা তথ্য রাখা সম্ভব হচ্ছে। সুতরাং এগুলো আদায় না করলে এর একটি অংশ বিদেশে পাচার হতে পারে।

দেশের দ্রব্যমূল্য নিয়ে সাধারণ মানুষের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা চরমে থাকলেও তা নিরসনে কোনও কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায় না। বর্তমানে একদিকে ১ কোটি লোককে সরকার ভর্তুকি দিয়ে বিভিন্ন জরুরি পণ্য সরবরাহ করছে, কিন্তু সে টাকা আবার ব্যবসায়ীদের জিনিসের দাম বাড়ানোর জন্য সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে কিনা? এভাবে বিষয়টি দেখলে দেখা যাবে যে দেশের ব্যবসায়ী শ্রেণি এর একটি সুযোগ নিচ্ছে বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কিন্তু এটি আর্থিক বৈষম্য দূরীকরণে কোনও ভূমিকা রাখছে বলে মনে হয় না। বরং সরকারের দেওয়া এ বিশাল ভর্তুকি ব্যবসায়ী শ্রেণির অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধিকে এক ধরনের বৈধতা দিচ্ছে বলে মনে করার কারণ রয়েছে। আবার অন্য দিকে এ মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে সরকারি এবং বেসরকারি খাতে মজুরি বৃদ্ধির যুক্তি প্রবল হচ্ছে। এভাবে চক্রাকারে বাড়িভাড়াসহ বিভিন্ন কিছুতে প্রভাব ফেলবে।

আবার এ অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি থেকে অর্জিত অর্থের এক অংশ বিদেশে পাচারের সম্ভাবনা রয়েছে। তারা এ থেকে অর্জিত অর্থ কখনও তাদের আয়ের হিসাবে দেখাবে না। কারণ, তাহলে তাদের অসাধুতা ধরা পড়বে। সুতরাং এটি দেশের আম-জনতার অর্থ আত্মসাৎ এবং তা পাচারের একটি প্রক্রিয়া হিসেবে কার্যকর থাকবে।  

বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকার ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছে, যা এবারকার বাজেটে অব্যাহত থাকবে বলে মনে হয়। এই ভর্তুকি সম্পর্কে সবার ধারণা পরিষ্কার নয়। সরকারের এই ভর্তুকির সুফল সবার কাছে পৌঁছাচ্ছে কিনা সে বিষয়টি মনিটরিংয়ের মাধ্যমে নিশ্চিত করা দরকার। যেমনটি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অর্থ সবাই পাচ্ছে কিনা? এখানে সরকারের মহৎ উদ্দেশ্যগুলো ব্যাহত হতে পারে।

সরকারের ব্যয়ের আরও গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য অনেক ক্ষেত্র রয়েছে, যেমন এখনও কোনও প্রকল্পের বাজেটকে অর্থ বিশ্লেষক (ফাইন্যানসিয়াল এনালিস্ট) দিয়ে পরীক্ষা না করে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। ফলে এ বরাদ্দের একটি অংশ অপচয় হয়, দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ হয়, যা বন্ধ হওয়া দরকার।  

অনেক দিন ধরে বিআইএসআর থেকে আমরা বলে আসছি যে বাংলাদেশের বাজেটের মান উন্নয়ন না করলে অপচয় বন্ধ করা যাবে না, বিশেষ করে চাহিদা ভিত্তিক বাজেট চালুর কথা বলছি। আবার সঙ্গে সঙ্গে এর সঠিক প্রয়োগও হবে না। বর্তমানে যে বাজেট তৈরির ব্যবস্থা আছে, তাতে এ ধরনের অপচয় বন্ধ করা সম্ভব নয়।    

সম্প্রতি বিবিএস তথ্য প্রকাশ করেছে যে এই প্রান্তিকে বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা হচ্ছে ২৫ লক্ষ ৯০ হাজার। পৃথিবীর কোনও দেশ কিন্তু বেকারত্বমুক্ত নয়। তাই বলে এ বেকারত্ব দূর করার জন্য তেমন কোনও চেষ্টা থাকবে না তা নয়। তবে দেখা যায় যে সরকারের জনশক্তি এবং কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মসংস্থান শাখায় তেমন কোনও জনবল নেই বা সক্রিয় নয়। এই মন্ত্রণালয়কে আরও গতিশীল করার জন্য দেশের বিশিষ্ট কোনও ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত। আর এ থেকে দেশে এক বিরাট আর্থিক এবং সামাজিক পরিবর্তন আনা সম্ভব।  

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার কারণে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু যাদের এ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা রয়েছে তাদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়া মানে হচ্ছে পুরস্কৃত করা নয় কি? তাহলে বাকি আমজনতা যে নিরলস কাজ করে দেশটাকে ধরে রেখেছে এবং সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতার জোগান দিচ্ছে, তাদের এর বিনিময়ে কী দেওয়া যাবে। সুতরাং এ ধরনের পথে না হাঁটাই উত্তম হবে। কারণ, ইতোমধ্যে সরকারি এবং বেসরকারি খাতের বেতন বৈষম্য দ্বিগুণ পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাছাড়া বর্তমানে সরকারি কর্মচারীরা দৈনিক একঘণ্টা কাজ কম করে সমপরিমাণ বেতন নিচ্ছে, এ সময়টিতে নিম্ন আয়ের সরকারি কর্মচারীরা অন্য কোনও কাজ করার সুযোগও পাচ্ছে।    

পরিশেষে, সরকারের আয়ের জন্য আমাদের সুপারিশ হচ্ছে - ১. করযোগ্য সবার কাছ থেকে প্রত্যক্ষ কর আদায় করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা; ২. ঢাকাসহ প্রধান প্রধান শহরে প্রাইভেট গাড়ির ওপর বাৎসরিক কর বৃদ্ধি করা; ৩.  সরকারের প্রতিটি বিভাগকে আয়ের একটি নির্দিষ্ট টার্গেট দেওয়া; ৪. স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ আয়ের টার্গেট দেওয়া এবং কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো; ৫. স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজস্ব আয়ে উদ্বুদ্ধ করা; ৬.  বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নিয়মিত সরকারি পাওনা টাকা আদায় করা; ৭. দ্বৈত কর যথাসম্ভব পরিহার করা; ৮. সম্পদ কর চালু করা; ৯. বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে তা থেকে আয় বৃদ্ধি করা; ১১. হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড, যথা যার কোনও আয় নেই তার ট্যাক্স রিটার্ন প্রদান বাধ্যতামূলক না করা এবং তাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাতা প্রদান করা।

আর সরকারের ব্যয়ের ক্ষেত্রে প্রধান প্রধান করণীয় হচ্ছে -১. চাহিদাভিত্তিক বাজেট তৈরি করা এবং তা দিয়ে ১০-১৫ শতাংশ অপচয় কমানো; ২. আর্থিক বিশ্লেষক নিয়োগ করে প্রতিটি প্রকল্পের ব্যয় ১০-১৫ শতাংশ কমানো; ৩. সরকারের আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যাপকভাবে জনকল্যাণে ব্যয় বৃদ্ধি করা; ৪. ভর্তুকির ক্ষেত্রে আরও বেশি ফলাফল যাচাই করে তা অব্যাহত রাখা এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা কমানো এবং কিছু ক্ষেত্রে বৃদ্ধি করা যেমন, তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের ক্ষেত্রে কমানো আর সার, কীটনাশক ইত্যাদির ক্ষেত্রে তা বাড়ানো; ৫. চাল, ডাল, পেঁয়াজ, লবণ, চিনি, আটা, ময়দা, ভোজ্যতেলসহ নিত্যপণ্যের দাম যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ে রাখা, অর্থাৎ উৎপাদনকারী এবং ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি গড় দাম ঠিক করা; ৬. বেকারত্ব দূরের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে আরও সক্রিয় করা, বিশেষ করে কর্মসংস্থান শাখাকে সক্রিয় করা, যা বর্তমানে খুবই সীমিত পরিসরে রয়েছে; ৭. গরিবদের জন্য বিভিন্ন ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করা এবং তাদের জন্য রেশনের ব্যবস্থা করা; ৮. ৮টি বিভাগে অন্তত ৮টি মানসিক হাসপাতাল স্থাপন করা এবং রাস্তায় ভ্রাম্যমাণ মানসিক রোগীদের রাষ্ট্রীয় খরচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার মাধ্যমে তাদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা; ৯. গবেষণা খাতে কমপক্ষে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ঝুঁকি হ্রাস করা; ১০. ওষুধের মূল্য এবং চিকিৎসকের ফি বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে গণঅসন্তোষ নিরসন করা; ১১. শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বরাদ্দ বৃদ্ধি করে উন্নয়ন এবং উৎপাদনে অবদান রাখা; ১২. বয়স্ক নাগরিকদের কমমূল্যে ওষুধ এবং রেশন দিয়ে বয়স্ক দারিদ্র্য কমিয়ে আনা; ১৩. পিপিপি ব্যাপকভাবে চালু করে সরকারি ব্যয় কমানো; ১৪. আয়বৈষম্য কমিয়ে আনার জন্য বাজেটে ব্যয়ের ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া; ১৫. কমপক্ষে প্রধান দুটি বিশ্ববিদ্যালয় তথা ঢাবি এবং বুয়েটকে রিসার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার জন্য বরাদ্দ প্রদান করা; এবং ১৬. দেশের সব প্রবীণকে পেনশনের আওতায় নিয়ে আসা।

লেখক: সমাজবিজ্ঞানী ও গবেষক। চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশাল রিসার্চ ট্রাস্ট।

[email protected]

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
একসঙ্গে এই অভিনেতারা...
একসঙ্গে এই অভিনেতারা...
প্যারিস অলিম্পিকে ফিলিস্তিনি অ্যাথটলেটদের আমন্ত্রণ জানাবে আইওসি
প্যারিস অলিম্পিকে ফিলিস্তিনি অ্যাথটলেটদের আমন্ত্রণ জানাবে আইওসি
তাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
প্রাক-প্রাথমিক বন্ধই থাকছেতাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
ঘামে ভেজা চুলের যত্নে কী করবেন
ঘামে ভেজা চুলের যত্নে কী করবেন
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ