X
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪
২১ বৈশাখ ১৪৩১

শোক হোক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের শক্তি

ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন
১৬ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০আপডেট : ১৬ আগস্ট ২০২৩, ০০:০৩

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। ইতিহাসের নারকীয়, বর্বরোচিত, দানবীয়, জঘন্যতম, নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে ১৯৭৫ সালের এই দিনে। এই দিন গোটা বাঙালি জাতিকে স্তব্ধ-কলঙ্কিত করেছিল সেনাবাহিনীর উচ্ছৃঙ্খল কিছু বিপথগামী সদস্য এবং তার পেছনের অপশক্তি। সেদিন রাতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের ঐতিহাসিক বড়িতে ঘাতকের নির্মম বুলেট বিদ্ধ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বুক। বাঙালি জাতির ললাটে এঁটে দেয় কলঙ্কের তিলক। যে কলঙ্ক থেকে দেশ-জাতি আজও মুক্ত হতে পারেনি। বাঙালি হারায় স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। অকুতোভয় বঙ্গবন্ধু ঘাতকের বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েও খুনিদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন ‘তোরা কী চাস? আমাকে কোথায় নিয়ে যাবি?’ বঙ্গবন্ধুকে দেখেও হাত কাঁপেনি খুনিদের। গুলি চালিয়েছে ঘাতকেরা। সঙ্গে সঙ্গে স্তব্ধ হয়ে গেছে সবকিছু; মাঠ, নদীর স্রোত, পাখির কলতান, কৃষকের চঞ্চল চোখ, মাঝির কপালের ঘাম, শ্রমিকের চোখের বারুদ- সব। স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হৃদয়। স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল স্বাধীনতা। কি যেন নেই, কে যেন নেই, বাঙালি জাতি কাকে যেন হারায়ে খোঁজে। কিছু হারানো এমন– যা কখনোই, কোনোভাবেই,  কোনোকিছু দিয়েই পূরণ করা যায় না। যে ক্ষতির কোনও ক্ষতিপূরণ হয় না। বঙ্গবন্ধু তেমন ক্ষতি হয়ে যাওয়া নক্ষত্র।

সেদিন ঘাতকের হাতে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল, রোজী জামাল, ভাই শেখ নাসের, কর্নেল জামিল। খুনিদের বুলেটে সেদিন আরও প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শিশু বাবু, আরিফ রিন্টু খানসহ অনেকে। ওই সময় দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নীলনকশা আগেই করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বিষয়টি জানতেন না এমন নয়। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে কোনও বাঙালি তাঁর নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে– এ কথা তিনি বিশ্বাস করতে চাইতেন না। সেজন্য তিনি গণভবনের পরিবর্তে থাকতেন ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসভবনে। যে বাড়িটি বাঙালির স্বাধিকার-স্বাধীনতা আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে অসম্ভব প্রিয় ছিল বঙ্গবন্ধুর। যুক্তরাষ্ট্রের ফাঁস হওয়া নথি, ভারতের গোয়েন্দা রিপোর্ট, র, আনন্দবাজারসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে জানা যায়, অন্তত তিনবার তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। অনেকে বলেন, বঙ্গবন্ধু সিরাজউদ্দৌলার মতো সব ষড়যন্ত্রের কথা জানতেন, কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নেননি। এটি তার নেতৃত্বগুণের অভাব, দূরদর্শিতার অভাব; এটি তার উদাসীনতা। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো, তিনি চাননি এসব সাধারণ মানুষ জানুক। একই সঙ্গে এটাও চাননি যে বিদেশিরা এটা জানুক।  

১৯৭৪ সালের ২২ জানুয়ারি বিকালে কাকরাইলে, ১৯৭৫ সালের ২১ মে বাসায় ফেরার পথে, ৭৫ সালের ১৪ জুন চট্টগ্রামের বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তবে তৃতীয়বার বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতির আগেই টাইমবোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছিল। কাকরাইলের ঘটনায় তিন জন নিহত হন। ২১ মে তারিখের ঘটনায় ২ জন আহত হন। তিনবারই তিনি পুরোপুরি অক্ষত থাকেন। সরকারিভাবে এটি প্রচার হতেও তিনি দেননি। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মিস্টার বোস্টার বেতার বার্তায় নিজ দেশে সঠিক খবরটি পাঠাতে পারেননি। তবে এসব ঘটনায় শুধু দেশি নয়, বিদেশিরাও জড়িত ছিল।

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বগুণ, দূরদর্শিতা ও দার্শনিকতা ফুটে ওঠে বাংলাদেশের সংবিধান দেখে। মুজিববাদ হলো বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের চর্চিত ও প্রচারিত রাজনৈতিক দর্শন বা মূল্যবোধের সমষ্টি। মুজিবের রাজনৈতিক দর্শনের মূল চারনীতি হলো জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। ১৯৭২ সালের ৭ জুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিনি বলেন, “আগে স্লোগান ছিল ৬ দফা, এখন ৪টা স্তম্ভ।” ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণীত হলে মুজিববাদের চার স্তম্ভ, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা বাংলাদেশ রাষ্ট্রপরিচালনার চার মূলনীতি হিসেবে গৃহীত হয়। বঙ্গবন্ধু বলেন, “আমি মনে করি বাংলাদেশকেও অগ্রসর হতে হবে জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র এই চারটি মূল সূত্র ধরে, বাংলাদেশের নিজস্ব পথ ধরে।....আমি চাই আমার চিন্তাধারার বাস্তব রূপায়ণ। আমি চাই শোষণমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ! আমি চাই আমার স্বপ্ন সোনার বাংলা নির্মাণের পূর্ণ বাস্তবায়ন।”

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিশ্বনেতা ও মহান ব্যক্তিবর্গের মন্তব্য থেকেই বোঝা যায় তাঁর ব্যক্তিত্ব, তাঁর নেতৃত্বগুণ। ফিদেল কাস্ত্রো বলেছেন, “আমি হিমালয় দেখিনি কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব এবং সাহসিকতায় তিনিই হিমালয়।” হেনরি কিসিঞ্জার বলেছেন, “আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের মতো তেজি এবং গতিশীল নেতা আগামী বিশ বছরের মধ্যে এশিয়া মহাদেশে আর পাওয়া যাবে না।”

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন একটি নাম, যাঁর অঙ্গুলি হেলনে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ নিজেদের জীবন চালিত করেছে একাত্তরে। স্কুলে পড়ার সময়েই নেতৃত্বের গুণাবলি ফুটে ওঠে তাঁর মধ্যে। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন বাংলার অধিকার আদায়ের শেষ আশ্রয়স্থল। প্রখর স্মৃতিশক্তির অধিকারী ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এ বরেণ্য নেতার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের মূল লক্ষ্য ছিল বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করা। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ এ বাঙালি বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেন। ১৯৪৮ সালে তার প্রস্তাবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, তমদ্দুন মজলিশ ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে সাধারণ ধর্মঘট পালনকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৫৮-এর আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ৬২-এর শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলন, ৬৬-এর ছয় দফা, ৬৮-এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ৭০-এর নির্বাচন এবং ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে পরিচালিত হয়।

মাত্র সাড়ে তিন বছরে অজস্র সীমাবদ্ধতা সত্ত্বে বঙ্গবন্ধু সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, প্রশাসনিক বিন্যাস ও উদ্যোগ, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাবলীল উপস্থিতি ও পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ, শাসনতন্ত্র প্রণয়ন ও শাসন ব্যবস্থা পুনর্বিন্যাস ইত্যাদি দ্রুতলয়ে করা সম্ভব হয়েছিল। সদ্য স্বাধীন দেশে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও সীমাবদ্ধতা ছিল। আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠনে প্রয়োজনীয় সদস্যপদ ও চুক্তি ছিল না। বিকল্প ব্যবস্থায় তখন বহির্বাণিজ্য পরিচালনা করতে হয়েছে। তিনি তদানীন্তন বিশ্ব বাস্তবতার চেয়েও অগ্রবর্তী থেকে সমুদ্রসীমা আইনসহ রাষ্ট্র পরিচালনায় অত্যাবশ্যক আইন বিনির্মাণ ও অধ্যাদেশ জারি করেন। মাত্র দশ মাসে তার নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে প্রণীত হয় একটি অসাম্প্রদায়িক, সম-অধিকার সমুন্নতকারী, ন্যূনতম সংস্কারমুক্ত আমাদের পবিত্র সংবিধান। যুদ্ধোত্তর দেশে ব্যাপক পুনর্বাসন কর্মকাণ্ড হাতে নেন বঙ্গবন্ধু। একটি উদার ও অসাম্প্রদায়িক সংবিধান প্রণয়নের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সংখ্যালঘু সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন ১৯৭২ প্রণয়ন করা হয়। মাত্র সাড়ে তিন বছরে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের এ অগ্রসরমানতা ছিল অভাবনীয় ঘটনা। সব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সোনার বাংলাদেশ গড়ার অভীষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে তিনি ১১৬টি দেশের স্বীকৃতি ও ২৭টি আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যপদ লাভ করেন।

মহাত্মা গান্ধী, মার্টিন লুথার কিং,আব্রাহাম লিংকন, লুমুম্বা, জন এফ কেনেডি, ইন্দিরা গান্ধী পর্যন্ত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। কিন্তু কাউকেই বঙ্গবন্ধুর মতো সপরিবারে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হয়নি। এমনকি বঙ্গবন্ধুর শিশুপুত্র শেখ রাসেলও এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। যে কাজটি বর্বর হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীও করার সাহস করেনি, সেটিই করলো এ দেশের কিছু কুলাঙ্গার। স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি চক্রের ষড়যন্ত্রের শিকার হলেন স্বাধীনতা আন্দোলনের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গঠন করতে দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছিলেন, তখনই ঘটানো হয় এ নৃশংস ঘটনা। পরিসমাপ্তি ঘটে একটি ইতিহাসের। সে থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম বাংলার আকাশ-বাতাস-মানুষের মন থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছে ষড়যন্ত্রকারী ঘাতকরা। যা কোনও দিন হয়নি, হবেও না। পৃথিবীতে বাঙালি জাতি যতদিন থাকবে ততদিনই থাকবে বঙ্গবন্ধুর নাম, তার কর্ম। ২০০৯ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক ৫ খুনির ফাঁসি কার্যকর হয়। পরবর্তীতে আরও ১ জনের ফাঁসি কার্যকর হয়। ১ জন জিম্বাবুয়েতে মৃত্যুবরণ করে। এখনও ৫ জন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও বিভিন্ন দেশে পলাতক আছে। আমদের প্রত্যাশা, ইন্টারপোল এবং ওই দেশগুলো খুনিদের ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে এবং তাদেরও ফাঁসি কার্যকর হবে।
 
আসুন আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারানোর শোককে শক্তিতে রূপান্তর এবং দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করি। জাতির পিতা ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন দেখেছিলেন। আমাদের দায়িত্ব হবে দেশকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করে জাতির পিতার সেই স্বপ্ন পূরণ করা। তাহলেই তাঁর আত্মা শান্তি পাবে এবং আমরা এই মহান নেতার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে পারবো।

লেখক: অধ্যাপক, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, সদস্য, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি); পরিচালক, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল); সভাপতি, এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম, বাংলাদেশ (ইআরডিএফ); সহ-সভাপতি, আমরাই ডিজিটাল বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি, আমরাই ডিজিটাল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন।

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
জিরোনার মাঠে বার্সেলোনার নাটকীয় হারে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল
জিরোনার মাঠে বার্সেলোনার নাটকীয় হারে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল
‘ফাইভ স্টার’ ম্যানসিটি, চার গোল হাল্যান্ডের
‘ফাইভ স্টার’ ম্যানসিটি, চার গোল হাল্যান্ডের
ঢাকায় পুনর্মিলন সেরে ক্যাঙ্গারুর দেশে...
ঢাকায় পুনর্মিলন সেরে ক্যাঙ্গারুর দেশে...
নিষ্পত্তির অপেক্ষায় হেফাজতের ২০৩ মামলা
নিষ্পত্তির অপেক্ষায় হেফাজতের ২০৩ মামলা
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ