X
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ হাসিনার ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ

ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম
২০ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:৫৮আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:৫৯

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, গত ৭ অক্টোবর দেশের প্রথম ও বৃহত্তম হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন করেছেন। দুই লাখ ৩০ হাজার বর্গ মিটার আয়তনের তিনতলা ওই টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি উড়োজাহাজ পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। বাংলাদেশ ‘ডিজিটাল’ থেকে ‘স্মার্ট’-এ প্রবেশ করছে। যদিও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার উদ্দেশ্যে ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগেই ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি রূপকল্প ২০২১, ২০৩১ ও ২০৪১ ঘোষণা করেছিলেন। ওই রূপকল্পগুলোতে, তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, ওই রূপকল্পে ২০৩১ সালে বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে দারিদ্র্য পরাজিত করে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করার বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত রূপকল্প অনুযায়ী বর্তমান বাংলাদেশ ডিজিটালের সীমানা অতিক্রম করে স্মার্টের দিকে অগ্রসর হয়েছে। তিনি স্মার্ট বাংলাদেশের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করার উদ্দেশ্যে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

ডিজিটাল বাংলাদেশের ৪টি পিলার রয়েছে। পিলারগুলো হলো– মানবসম্পদের উন্নয়ন, ডিজিটাল সরকার ব্যবস্থা, ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে জনগণের মধ্যে সংযোগ স্থাপন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে তথ্য ও প্রযুক্তির বহিঃপ্রকাশ। অন্যদিকে স্মার্ট বাংলাদেশেরও চারটি পিলার রয়েছে। ওই পিলারগুলো হলো দেশের জনগণের মধ্যে স্মার্টের বিকাশ, স্মার্ট সরকার ব্যবস্থা, দেশের অর্থনীতিতে স্মার্টের স্পর্শ ও স্মার্ট সামাজিক কাঠামো। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এ তথ্য ও প্রযুক্তিকে গুরুত্ব দিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিষয়টি  সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। ফলে ওই ধারণাটি নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী বিজ্ঞানসম্মত পদক্ষেপ; যার মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ স্মার্টের দিকে অগ্রসর হয়েছে। সেই লক্ষ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশকে, স্মার্ট বাংলাদেশের পিলারও বলা যেতে পারে।

সুতরাং “ডিজিটাল বাংলাদেশ” ও “স্মার্ট বাংলাদেশ” একে অপরের পরিপূরক। দেশের উন্নয়নে একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটিকে কল্পনা করা যায় না।

যাহোক, “স্মার্ট বাংলাদেশ” কীভাবে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারে সেই বিষয়ে সুস্পষ্ট পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। স্মার্ট বাংলাদেশের ৪টি পিলারের মধ্যে প্রথমটি হলো রাষ্ট্রের নাগরিকদেরকে স্মার্ট হতে হবে। সেই ক্ষেত্রে দেশের নাগরিকগণ কীভাবে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্থানীয় ও অন্যান্য সমস্যা সমাধান করতে পারবে সেদিকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ফলে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। যদিও বিগত দশকে বাংলাদেশ, কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষায় অনেকটা অগ্রসর হয়েছে।

বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৭০ মিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেটের সুবিধা পাচ্ছে, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪২ শতাংশ। ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৭০ মিলিয়ন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে ২০২৩ সালের মধ্যে আরও ২ মিলিয়ন জনসংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রায় ১৮৬ মিলিয়ন মোবাইল ফোনের গ্রাহক রয়েছে। তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে প্রায় ৬৩ শতাংশের বেশি মানুষ স্মার্ট ফোন ব্যবহারের আওতায় আসবে।

যাহোক, স্মার্ট নাগরিকদের কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। তথ্য ও  উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। সেই লক্ষ্যে, যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটা স্মার্ট। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ক্ষমতা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, যুক্তরাষ্ট্রে কম্পিউটার সায়েন্স, আইন, কৃষি, ব্যবসা, ও প্রকৌশলের ওপর ব্যাপক গুরুত্ব দেওয়া হয়। ফলে, গ্র্যাজুয়েটরা সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষায় জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমগ্র বিশ্বের ছাত্র অধ্যয়নরত রয়েছে। তাছাড়া প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২০ শতাংশের বেশি শিক্ষক অন্যান্য দেশে থেকে কর্মরত রয়েছে। ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে সংস্কৃতির দিক দিয়েও দূরত্ব অনেকটা কম। তাছাড়া র‌্যাংকিং অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শীর্ষস্থানে জায়গা করে নিয়েছে। অনেক সময় গ্র্যাজুয়েটরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জন শেষে উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে থাকে। সুতরাং স্মার্ট বাংলাদেশে প্রযুক্তিগত শিক্ষার বিকল্প নেই। কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার উন্নয়নে নাগরিকদের প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা সম্ভব।

উন্নয়নের লক্ষ্যে, বর্তমান সরকারের দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ ধীরে ধীরে সেদিকেই ধাবিত হচ্ছে।

যাহোক, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে শিক্ষার গুরুত্বও অপরিসীম। বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত উন্নত দেশের ন্যায় কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার গুরুত্ব বাড়াতে হবে। সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে শিক্ষক নিয়োগ, কোর্স কারিকুলাম, ক্লাসরুমে গবেষণাভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা, প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও বিস্তারে নৈতিকতার গুরুত্ব বাড়াতে হবে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে উচ্চ শিক্ষা ও উদ্ভাবিত প্রযুক্তির মাঠ পর্যায়ে জনগণের নিকট হস্তান্তরের বিষয়ে গুরুত্ব বাড়াতে হবে। উদ্ভাবিত প্রযুক্তি দ্বারা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করে কীভাবে ভেজালবিহীন খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো যায় সেদিকেও নজর বাড়াতে হবে। সেই লক্ষ্যে সরকার, রাজনীতিবিদ, জনগণ ও গবেষকদের সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

অন্যদিকে পরিবেশ সংরক্ষণের ওপর স্মার্ট বাংলাদেশে অবাধ তথ্যের সরবরাহ থাকতে হবে। বর্তমানে, সমগ্র বিশ্ব, জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন। জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য  হলো লবণাক্ততা, খরা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অসহনীয় তাপমাত্রার বৃদ্ধি। এসব প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলায় গবেষণালব্ধ তথ্য ও তত্ত্বের অবাধ সরবরাহ থাকতে হবে।

খরা, লবণাক্ততা ও তাপমাত্রা সহিষ্ণু ফসলের জাত কৃষকদের মধ্যে সরবরাহ নিশ্চিতকরণ অতীব জরুরি। যদিও বিজ্ঞানীরা উপরোক্ত বিষয়ে অনবরত গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে, বনায়ন ও ইকোসিস্টেমের ভারসাম্য কীভাবে সংরক্ষণ করা যায় সেই বিষয়ে জনগণকে প্রযুক্তিগত তথ্যের অবাধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের মানুষ স্মার্ট নাগরিকে পরিণত হবে। ভবিষ্যতে প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে স্মার্ট নাগরিকরা পরিবেশ সংরক্ষণে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারবে। যদিও বর্তমান সরকার পরিবেশ সংরক্ষণের ওপর অনবরত কাজ করে যাচ্ছে।  ইতোমধ্যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জাতিসংঘ কর্তৃক “চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ” পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন যা, স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হওয়ায় সুস্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।

অন্যদিকে “স্মার্ট বাংলাদেশ” গঠনে “স্মার্ট সরকারের” গুরুত্বও বিবেচনায় আনতে হবে। সরকারের অধীনস্থ মন্ত্রণালয়, অধিদফতর ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক জনগণকে নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদানই  স্মার্ট সরকারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। খাদ্য উৎপাদন, বাসস্থান, শিক্ষা, ব্যবসা, চিকিৎসা, ভূমি ক্রয় ও বিক্রয়সহ সকল সেবাই সরকার কর্তৃক জনগণকে কোনও প্রকার বাধা ছাড়া সঠিক সময়ে পৌঁছে দেওয়াই স্মার্ট সরকারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

যদিও বর্তমান সরকারের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেবা ডিজিটাল সিস্টেমে জনগণ কর্তৃক গৃহীত হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, দক্ষ জনশক্তি তৈরি, দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, পরিবেশ সংরক্ষণে উন্নত প্রযুক্তি, আইন, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পরিবহন ও যোগাযোগ সেক্টরে উন্নয়নের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে, যা স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরে সহায়ক হবে। ভবিষ্যতে উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হওয়ার বিষয়টিকে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। সেই লক্ষ্যে বাঙালি জাতি, স্মার্ট বাংলাদেশের মাধ্যমে উন্নত ও টিকসই জীবনযাপনের দিকে অগ্রসর হবে।

যদিও বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল সিস্টেমে উন্নত ও টিকসই সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সেবা নাগরিক কর্তৃক গৃহীত হলেই স্মার্ট সমাজের আবির্ভাব হবে। অন্যদিকে জনগণকে আইন-কানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে প্রযুক্তি দ্বারা সমাজের উন্নতিতে অনবরত কাজ করে যেতে হবে। সরকার প্রণীত কৃষি, মৎস্য, ভূমি, ভেজালবিহীন খাদ্য উৎপাদন ও পরিবেশ সংরক্ষণে প্রযুক্তিগত তথ্যের বাস্তব প্রয়োগই স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নও বৃদ্ধি পাবে।

সুতরাং স্মার্ট বাংলাদেশ হবে পরিবেশবান্ধব, উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর, অর্থনৈতিকভাবে গতিশীল ও অবাধ তথ্যে সমৃদ্ধ টিকসই সমাজ ব্যবস্থা। স্মার্ট অর্থনীতিতে নতুন নতুন প্রযুক্তি, প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যতা, টিকসই ও উন্নত সমাজ ব্যবস্থার বহিঃপ্রকাশ দেখা যাবে। স্মার্ট অর্থনীতি, পরিবেশবান্ধব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য উৎপাদন ও জলবায়ু পরিবর্তনে সুষ্ঠু বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে। অন্যদিকে, ক্যাশলেস ক্রয়-বিক্রয়ও স্মার্ট অর্থনীতির চাকাকে ত্বরান্বিত করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে। উন্নত দেশের দিকে তাকালে দেখা যায়, ক্রয় বিক্রয়, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ফি প্রদানসহ সবকিছু ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। স্মার্ট বাংলাদেশে প্রবেশে, ক্যাশলেস ক্রয় বিক্রয় অর্থাৎ অনলাইনে ডেবিট/ ক্রেডিট কার্ডে ক্রয় বিক্রয় বাড়াতে হবে। পরিশেষে বলা যায়, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা একে অপরের পরিপূরক। সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সচেতন হলেও জনগণের সাহায্য ছাড়া কখনও স্মার্ট দেশে রূপান্তর সম্ভব নয়। পরিবেশ সংরক্ষণকে প্রাধান্য দিয়ে উন্নত ও টিকসই প্রযুক্তিই বাংলাদেশকে “স্মার্ট বাংলাদেশে” রূপান্তর করতে পারে।

বর্তমান সরকার মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশকে “স্মার্ট বাংলাদেশে” পরিণত করার জন্য অনবরত কাজ করে যাচ্ছে। সেই লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত ৩ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলটি উদ্বোধন করবেন। গত ২ সেপ্টেম্বর হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটারের এলিভেটর এক্সপ্রেসওয়েটি উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এখন মাত্র ১০ মিনিটে অতিক্রম করা যায় এক্সপ্রেসওয়েটি। বর্তমান সরকার যানজটবিহীন স্মার্ট শহরায়ণের পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে যুগান্তকারী উদাহরণ হিসেবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের উদ্বোধন সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের রূপকল্প অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট ও উন্নত দেশে পরিণত হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

লেখক: অধ্যাপক;  বিশেষজ্ঞ সদস্য, বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
বালুবাহী বলগেট থেকে নদীতে পড়ে শ্রমিক নিখোঁজ
বালুবাহী বলগেট থেকে নদীতে পড়ে শ্রমিক নিখোঁজ
পিনাকীসহ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র, মুশফিককে অব্যাহতি
পিনাকীসহ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র, মুশফিককে অব্যাহতি
৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ
৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধির পূর্বাভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধির পূর্বাভাস
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ