X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২১ বৈশাখ ১৪৩১

ভোটের মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সমুন্নত থাকে

ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন
১৮ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:২২আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:২২

পৃথিবীতে রাষ্ট্র পরিচালিত হয় যতগুলো পন্থায় তার মধ্যে গণতন্ত্র সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত। কারণ, গণতন্ত্র বেশিরভাগ দেশে বিদ্যমান। তার মানে এই নয় যে, রাষ্ট্র পরিচালনায় গণতন্ত্রই সবচেয়ে উত্তম মাধ্যম। অনেক গণতান্ত্রিক দেশ থেকে রাজতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক দেশের মানুষ সুখী। এটা থেকে রাজতন্ত্র বা সমাজতন্ত্রকে গণতন্ত্র থেকে ওপরে রাখার কোনও কারণ নেই। এটা নির্ভর করে দেশ যিনি পরিচালনা করেন তার যোগ্যতা-দক্ষতা-ইচ্ছা ও জনগণের শক্তিমত্তার ওপর। একটি কথা খুব প্রচলিত আছে, ভালো ছাত্র ভালো শিক্ষক তৈরি করেন; ভালো জনগণ ভালো শাসক তৈরি করেন।

ছাত্র বা জনগণের মধ্যে যদি জ্ঞান ও ভালো কিছুর ক্ষুধা এবং তা নিবারণের জন্য পরিশ্রম-ত্যাগ না থাকে তবে ভালো শিক্ষক যেমন পাওয়া যায় না তেমনি ভালো শাসকও পাওয়া যায় না। ভালো শাসক পেতে গেলে জনগণকে যেমন ঠিকঠাক নেতা নির্বাচন করতে হয়। আবার নেতাকেও জনগণের প্রতি দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো রাখতে হয়। আর যে পন্থায় তা হয়ে থাকে তা হলো ভোট। ভোটের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সমুন্নত থাকে।

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক যে রাষ্ট্রটির জন্ম হয়েছিল সেই রাষ্ট্র ১ বছরের মধ্যেই শাসনতন্ত্র বা সংবিধান প্রণয়ন করতে সক্ষম হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সংবিধান আমাদেরকে দিয়েছিলেন তার মূলনীতিগুলোর (৪টি মূলনীতি) মধ্যে গণতন্ত্র অন্যতম। প্রকৃতপক্ষে ভারত বিভক্ত হওয়ার পরে পাকিস্তান নামক যে রাষ্ট্রটির সৃষ্টি হয় সেই রাষ্ট্রে গণতন্ত্র না থাকার ফলে এবং জবরদস্তিতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবার কারণেই গণতন্ত্রের সংগ্রামের প্রয়োজন পড়ে। আর সেই সংগ্রামের অগ্রনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রথমে মুহম্মদ আলী জিন্নাহ পরে জেনারেলদের স্বৈরশাসন পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে যে অর্থনৈতিক বৈষম্য সৃষ্টি করেছিল তার জন্যই বঙ্গবন্ধুর মতো নেতার প্রয়োজন হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু জনগণের প্রত্যাশা পূরণের জন্য রাজনীতির ময়দানে এসেছিলেন। বিশেষ করে এক রাষ্ট্রে যখন দুই নীতি চলে তখন সেখানে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি সেটি বুঝতে কারও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। বিশেষ করে ইস্কান্দার মির্জা, আইয়ুব খান ও ইয়াহিয়া খানের স্বৈরাচারী শাসন থেকে এদেশের মানুষের মুক্তির বিকল্প ছিল না।

১৯৫৪ সালে পূর্ব বাংলা তথা পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের ভোটে পূর্ববাংলার প্রতিনিধিরা যখন ক্ষমতায় আসীন হয় তখন পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের তা সহ্য হয়নি। আবুল কাশেম ফজলুল হকের মন্ত্রিসভা টিকতে পারেনি তাদের কাছে। বঙ্গবন্ধুও পারেননি। সময়ের প্রয়োজনেই বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ৬ দফা ঘোষণা করেন। যার ফলই আসলে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের জনগণ ৭০-এর নির্বাচনের সাড়ে তিন বছরের মাথায় আবার ভোট দিতে সক্ষম হয়। যা বাংলাদেশ সৃষ্টির পরে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বাংলাদেশের জনগণ কেন, কোনও বিদেশিও ভাবতে পারেননি বঙ্গবন্ধু এত তাড়াতাড়ি ভোটের আয়োজন করবেন এবং জনগণের ইচ্ছের প্রতিফলন ঘটতে দেবেন। ইতিহাস বলে বঙ্গবন্ধু সেই আয়োজন করতে কিছুমাত্র দ্বিধাগ্রস্থ হননি। এরই ধারাবাহিকতায়ই কি বাংলাদেশে ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে? উত্তর অবশ্যই না।

১৯৯১ সালের আগে ৩টি জাতীয় নির্বাচন হয়েছে সামরিক শাসনের অধীনে। এমনকি এদেশে হ্যাঁ/না ভোটও হয়েছে জেনারেল জিয়ার আমলে। সেখানে প্রকৃতপক্ষে জনরায়ের প্রতিফলন হয়নি। কারণ, তখন দেশে স্বৈরাচার বিরাজমান; জেনারেল জিয়া ও পরবর্তীতে জেনারেল এরশাদ দেশের প্রেসিডেন্ট। ফলে আওয়ামী লীগকে রাজপথে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে হয়েছে। বিষয়টা এই যুগের তরুণ সমাজের অনেকেরই ভালোভাবে জানা নেই। কেউ কেউ খণ্ড খণ্ড জানেন। কেউ ভুল জানেন। সত্য জানাটা জরুরি। শেখ হাসিনার গণতন্ত্রের লড়াইটা সহজ ছিল না। এর জন্য অনেক জীবনমূল্যও দিতে হয়েছে। আমরা ১৯৬৯ সালের আসাদ-শামসুজ্জোহাকে যেমন ভুলতে পারি না তেমনি ভুলতে পারি না ১৯৮৭ সালে নুর হোসেনের মতো গণতন্ত্রের জন্য জীবন দেওয়া মানুষগুলোকে।

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার, রাজবন্দীদের মুক্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নিমিত্তেই ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল। যেখানে ছিল সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। ঊনসত্তরে বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধুর জন্য একইসাথে এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য যেমন গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল, তেমনি ঊন-নব্বইয়ের যে গণআন্দোল তা সংগঠিত হওয়ার পেছনে বড় কারণ ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে এদেশের মানুষের ১৫ বছরে কিছু না পাওয়ার বঞ্চনা। এর পর থেকে গণতন্ত্র মাঝে মাঝে হোঁচট খেলেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্র এবং বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে চলেছে। সেই সাথে বাংলাদেশের মানুষ দেখতে পারছে উন্নয়নের জোয়ার। সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল, ঢাকা-কক্সবাজার, ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-বেনাপোল রেল যোগাযোগ। কয়েক বছর আগেও যা ছিল স্বপ্নের মতো। বাংলাদেশের মানুষ কখনও ভাবতে পারেনি কক্সবাজার ট্রেনে চেপে যাওয়া সম্ভব। এতকিছু সম্ভব হয়েছে গণতন্ত্রের কারণে। গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনার কারণে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা উন্নয়নের ধারাবাহিকতার নিয়ামক হিসেবে এখন প্রতীয়মান। বাংলাদেশের মানুষের সিদ্ধান্তকে শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শ্রদ্ধা করে। সাংবিধানিক উপায়েই বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে যেমন বাংলাদেশের পাওয়ার প্রশ্নটি আছে তেমনি হারানোর প্রশ্নও আছে। বাংলাদেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা চলবে নাকি আরেকটি নাসিরনগর বাংলাদেশ দেখবে সেই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জনগণকেই নিতে হবে। গণতন্ত্রে জনগণই সব। জনগণের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। জনগণ যা চায় তাই হবে। জনগণ যা চায় না তা হবে না। জনগণের জন্য যে রাজনৈতিক দল তাকে জনবান্ধব রাজনৈতিক দল বলে। কিন্তু আমাদের দেশের সব দল জনবান্ধব নয়।

বিএনপি গত ২৮ অক্টোবর নয়া পল্টনে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছিল। গণতান্ত্রিক দেশে সে অধিকার তাদের আছে। শুধু তারা কেন নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলই সমাবেশ করতে পারে। সমাবেশ করার অধিকার আছে বাংলাদেশের প্রতিটি জনগণের। কিন্তু ওই দিনকে কেন্দ্র করে মানুষের মনে যে ভয়ের-শঙ্কার অনুভূতি জেগেছিল তাই বাস্তবায়িত হয়েছে। আমরা দেখলাম রাজপথে বিএনপির তাণ্ডব। বিএনপির একদল সমর্থক পুলিশ সদস্যকে যেভাবে রাজপথে পিটিয়ে হত্যা করলো তা বর্তমান সময়ে নজিরবিহীন। তারপর থেকেই চলছে হরতাল-অবরোধ। মানুষের শত ইচ্ছা থাকলেও আগের মতো তারা রাস্তায় বের হতে পারছে না। ২০১৪ সালের পেট্রোল বোমার ক্ষত এখনও মানুষের মনে আছে। ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ১৫৪টি অগ্নি সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে। আমরা যাই বলি না কেন বিএনপি ২০১৪ সালের ভীতিকর পরিবেশ আবার ফিরিয়ে আনতে চাইছে। তবে জনগণ এবার অনেক সচেতন।

বাংলাদেশে কোনও স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ নেই। তারপরও ছাত্র-ছাত্রীদের বাবা-মাকে চিন্তিত থাকতেই হচ্ছে।

কোনও সভ্য দেশের মানুষ ঘরে ফেরা নিয়ে শঙ্কায় থাকে না। বাংলাদেশের মানুষকে থাকতে হচ্ছে। কোনও দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও দলের থেকে এটা কখনোই প্রত্যাশা করা যায় না। সারাদেশে এখন স্কুলগুলোতে এখন দ্বিতীয় অর্ধবর্ষ পরীক্ষা হচ্ছে। আমরা এটাকে ফাইনাল পরীক্ষাও বলি। কোটি কোটি ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষা দিচ্ছে। এই অবস্থায় জনমনে অস্বস্তি জাগায়, ভীতির সঞ্চার করে, আশঙ্কা তৈরি করে এমন কোনও কর্মসূচি কারও কাছেই কাম্য নয়। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত এদেশের মানুষের কথা ভাবছে না। তারা শুধু একটি জিনিসই বোঝে আর তা হলো ক্ষমতা। এদেশের কোটি কোটি শিক্ষার্থীর কথাও তারা ভাবে না। হরতাল অবরোধের অর্থনৈতিক ক্ষতির কথা না হয় বাদই দিলাম। মানুষের মনের ওপর যে প্রভাব পড়ছে তা-তো মিথ্যা নয়। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা কিছুটা হলেও ব্যাহত হচ্ছে।

এত কিছুর পরেও বাংলাদেশের মানুষ যথেষ্ট সাহস সঞ্চার করেছে। বাংলাদেশের মানুষ সাহসী হয়ে উঠেছে। শেখ হাসিনার ওপর তাদের ভরসা আছে। পিতা-মাতা তাদের সন্তানকে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছে। পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হার প্রায় শূন্য। এটা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার একটি বিরাট উদাহরণ। বাংলাদেশের মানুষ বুঝে গেছে যারা এমন কর্মসূচি দিতে পারে তাদের কাছ থেকে আসলে এদেশের মানুষের পাওয়ার কিছু নেই। তাই এদেশের মানুষ হরতাল-অবরোধ ঠেলে রাস্তায় বের হয়েছে। নিজেদের মতো করে কাজ করার চেষ্টা করছে। এবং তারা তাতে সফলও হচ্ছে। বাংলাদেশ পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর। তারা জনগণের জান-মালের নিবাপত্তা দিতে বদ্ধ পরিকর। তাই যাদের মনে এখনও ভয় আছে তাদের বলব ঘর থেকে বের হয়ে আসুন। আপনার বের হয়ে আসাটা অগ্নি সন্ত্রাসের জন্য সবচেয়ে বড় জবাব। বাংলাদেশের মানুষ আর মধ্যযুগের রাজনীতি বিশ্বাস করে না।

এদেশের তরুণদেরকে বিশেষ করে বর্তমানে যারা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে তাদের বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। তারা আসলে কী চায়। তাদের চাওয়ার ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। ২০০৮ সালে তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন আমরা ঘটতে দেখেছি। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন। তাদের ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে। ভোট দিতে হবে। তারা প্রতিনিধি নির্বাচনে ভুল করবে না। তারা ভুল করলে যে বাংলাদেশ পথ হারিয়ে ফেলবে। আগামীতে বাংলাদেশকে তারাই নেতৃত্ব দেবে। এদেশের মানুষের আশা ভরসার স্থান তারাই। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তারাই যোগ্য নেতৃত্বকে বাছাই করে নেবে। আগামী জানুয়ারিতে আমরা সব তরুণকেই ভোট কেন্দ্রে দেখতে চাই। তাদের এক একটি সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের আশা-আকাঙ্ক্ষার সমান।

লেখক: অধ্যাপক; সদস্য, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি); পরিচালক, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল); সভাপতি, এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম, বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি); সহ-সভাপতি, আমরাই ডিজিটাল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন

 

/এসএএস/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পাচ্ছেন শাকিব খান!
আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পাচ্ছেন শাকিব খান!
১৭ রোগীকে হত্যার দায়ে যুক্তরাষ্ট্রে এক নার্সকে ৭৬০ বছরের কারাদণ্ড
১৭ রোগীকে হত্যার দায়ে যুক্তরাষ্ট্রে এক নার্সকে ৭৬০ বছরের কারাদণ্ড
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সফলতায় কিছুটা দায়মুক্ত হয়েছি: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সফলতায় কিছুটা দায়মুক্ত হয়েছি: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
ক্রিমিয়ায় মার্কিন নির্মিত ৪টি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিতের দাবি রাশিয়ার
ক্রিমিয়ায় মার্কিন নির্মিত ৪টি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিতের দাবি রাশিয়ার
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ