বিভিন্ন খবরে বলা হচ্ছে চীনে ব্যাপক হারে hMPV নামের নতুন এক ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এ খবর শুনে স্বভাবতই আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। বিশেষত যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করা হলো, চীনের হাসপাতালগুলোতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এই আক্রান্তদের শরীরে দেখা যাচ্ছে মারাত্মক সব উপসর্গ। এমনকি চীনে আবারও আসতে যাচ্ছে লকডাউনের মতো সিদ্ধান্ত, ইত্যাদি।
সাধারণ মানুষের উদ্বেগ আরও বেড়েছে যখন খবরে দাবি করা হলো hMPV ইতোমধ্যে জাপান, মালয়েশিয়া সহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আমি ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কিছু ভিডিও দেখেছি। যেখানে দেখা যাচ্ছে চীনের হাসপাতালগুলোতে মাস্ক পরা রোগীদের দীর্ঘ সারি। সত্যি বলতে ২০২০ সালের পর এবারই প্রথম কোভিড আতঙ্ক ছাড়া বছর শুরু হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু তা আর হয়নি। উল্টো অনেকেই মনে করছেন, এই ভাইরাস হয়তো কোভিড-১৯-এর মতো নতুন মহামারির সূচনা হতে পারে।
এখন প্রশ্ন হলো, এই উদ্বেগগুলো কতটা বাস্তবসম্মত? এই ভাইরাসের মাধ্যমে সত্যিই কি মহামারির মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা আছে?
প্রকৃতপক্ষে hMPV (Human Metapneumovirus) একটি মৌসুমি ভাইরাস। ২০০১ সালে এটি প্রথম আবিষ্কৃত হয় নেদারল্যান্ডসে। সে সময় ডাচ ভাইরোলজিস্টরা বেশ কিছু শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের নমুনা পরীক্ষা করছিলেন। কিন্তু তারা বুঝতে পারছিলেন না, ঠিক কোন ভাইরাস এই সংক্রমণের জন্য দায়ী। যখন তারা বিগত ২০ বছরে এমন সংক্রমণে আক্রান্ত ২৮ জন শিশুর নাক থেকে সংগৃহীত স্যাম্পল পরীক্ষা করেন, তখন তারা একটি নতুন প্যারামাইক্সোভাইরাস (Paramyxovirus) শনাক্ত করেন। পরবর্তীতে সেরোলজিক্যাল বিশ্লেষণের মাধ্যমে তারা বুঝতে পারেন, এই ভাইরাসটি অন্তত ৫০ বছর ধরে মানুষকে সংক্রমিত করে আসছে। তাদের এই গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারটি ২০০১ সালের জুন মাসে ‘নেচার মেডিসিন’ নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়।
এখন আসি hMPV-এর কথায়। সহজ করে বলা যায় এটি একটি সাধারণ ভাইরাস। সাধারণত শীত এবং বসন্তের শুরুতে আমাদের শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়। ৫ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়স্করা এই ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হয়। তখন ফ্লুয়ের মতো কিছু উপসর্গ সৃষ্টি করে। যেমন- কাশি থেকে শুরু করে শ্বাসকষ্ট পর্যন্ত, নাক দিয়ে পানি ঝরা, জ্বর, গলা ব্যথা, ত্বকে র্যাশ বা ফুসকুড়ি। শিশু বয়সে একবার আক্রান্ত হওয়ার পর আবারও এই ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়া সম্ভব। তবে প্রথম আক্রমণের ফলে শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি একটা সময় পর্যন্ত থেকে যায়। যার ফলে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে উপসর্গগুলো সাধারণত হালকা হয়। অনেক সময় আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেই বুঝতে পারে না। আর একটি খুশির খবর হলো এককভাবে hMPV কখনও প্রাণঘাতী আকার ধারণ করেনি। তবে যেসব রোগী আগে থেকেই শ্বাসতন্ত্রের সমস্যায় ভুগছে, যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল, তাদের ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া, কিংবা অ্যাজমার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে প্রাণঘাতী আকার ধারণ করাও সম্ভব। যেমনটি দেখেছি গত কয়েক দিনে আগে বাংলাদেশে একজন hMPV-তে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর মাধ্যমে।
যাহোক, ফিরে আসি ভাইরাসের কথায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা hMPV নাকি RSV (Respiratory Syncytial Virus) তা নির্ণয় করতে সমস্যা পড়ে যাই। ফলে hMPV কে RSV-এর সঙ্গে মিলিয়ে ফেলি। কারণ হলো, দুটো ভাইরাসই একই পরিবারভুক্ত (Paramyxovirus)। এই ভাইরাস দুটো আক্রান্তের শরীরে একই ধরনের উপসর্গ সৃষ্টি করে। তবে এদের মধ্যে একটি সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। ৬ থেকে ১২ মাস বয়সী শিশুরা hMPV-তে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যদিকে, RSV-তে, ৬ মাসের কম বয়সী শিশুদের জন্য বেশি আক্রান্ত হয়। বিভিন্ন গবেষণা ফলাফল অনুযায়ী, বর্তমানে শিশুদের শ্বাসতন্ত্রের অসুস্থতার প্রায় ১০ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ hMPV-এর কারণে হয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বর সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় না। আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশ থেকে ১৬ শতাংশ শিশুর ক্ষেত্রে নিউমোনিয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায়।
hMPV কীভাবে ছড়ায়? hMPV সংক্রমিত ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শে আসলে অথবা ভাইরাস দ্বারা দূষিত জিনিস স্পর্শ করার মাধ্যমে ছড়ায়। ছড়ানোর উপায়গুলো ফ্লু কিংবা করোনাভাইরাসের মতোই। যেমন, আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি, তার সঙ্গে হাত মেলানো, ভাইরাস দ্বারা দূষিত দরজার হাতল, গণপরিবহন, কিবোর্ড বা খেলনা মতো জিনিস স্পর্শ করার মাধ্যমে। এই ভাইরাসে সাধারণত ৫ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সের মানুষজন বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তবে যে কেউ hMPV-তে আক্রান্ত হতে পারে। যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই দুর্বল, বিশেষ করে যারা ক্যানসার, এইচআইভি, অটোইমিউন ডিজঅর্ডার, হাঁপানিসহ বিভিন্ন গুরুতর রোগে আক্রান্ত কিংবা যারা করটিকোস্ট্রেরয়েডের মতো ইমিউনিটি কমিয়ে ফেলে এমন ওষুধ সেবন করেন তাদের ঝুঁকির মাত্রা তুলনামূলক অন্যদের চেয়ে বেশি।
বর্তমানে আক্রান্ত ব্যক্তির উপসর্গ, পূর্বের স্বাস্থ্য ইতিহাসের ওপর ভিত্তি করে প্রাথমিকভাবে hMPV শনাক্ত করা হচ্ছে। তবে যারা গুরুতরভাবে আক্রান্ত তাদের ক্ষেত্রে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ল্যাবে নাক বা গলা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আরটি-পিসিআর (RT-PCR)-এর মাধ্যমে ভাইরাসের জেনোম শনাক্ত করা হয়। তবে, সাধারণ সিজনাল ফ্লুয়ের মতো উপসর্গ দেখা গেলে ল্যাবে পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। যাদের উপসর্গ গুরুতর আকার ধারণ করে তাদের ক্ষেত্রে পিসিআর (PCR)-এর পাশাপাশি, ফুসফুসের কোনও সমস্যা তৈরি হয়েছে কিনা তা বোঝার জন্য অনেক সময় ব্রংকোস্কপি বা বুকে এক্স-রে করা হয়। প্রশ্ন হলো, একজন গুরুত্বর আক্রান্ত রোগীর ঠিক কী কী ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে? এক্ষেত্রে প্রথমে যে বিষয়গুলো আসে তা হলো, ব্রঙ্কিওলাইটিস, ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, হাঁপানি বা COPD-এর তীব্রতা বেড়ে যাওয়া, কান ইনফেকশন (অটাইটিস মিডিয়া) ইত্যাদি। এমনকি কোনও কোনও ক্ষেত্রে প্রাণঘাতী হয়ে যেতে পারে। আর, চিকিৎসার ক্ষেত্রে যাওয়ার আগে প্রথমেই একটি কথা বলে নেওয়া উচিত তা হলো, hMPV-এর জন্য সরাসরি কোনও অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নেই। তাই এর চিকিৎসা মূলত সিম্পটমেটিক। যেন যতটুকু সম্ভব উপসর্গ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। একটা খুশির কথা হলো, বেশিরভাগ মানুষ তাদের ঘরে বসেই উপসর্গ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এমনকি সময়ের সাথে সাথে সুস্থ হয়ে যায়। তবে যদি কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়, এক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হতে পারে।
স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সে অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করে, যেমন- অক্সিজেন থেরাপি, আইভি ফ্লুইডস, কর্টিকোস্টেরয়েডস ইত্যাদি। যেহেতু এটি ভাইরাল রোগ, তাই কোনও অ্যান্টিবায়োটিক এই ভাইরাস প্রতিকারে কাজ করবে না। তবে কারো যদি hMPV থেকে নিউমোনিয়া হওয়ার পাশাপাশি যদি ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ (সেকেন্ডারি সংক্রমণ) দেখা দেয়, তাহলে চিকিৎসকরা অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারেন। hMPV ভাইরাসে আক্রান্ত হলে লক্ষণসমূহ সাধারণত কয়েক দিন থেকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়। তবে কেউ যদি গুরুতর অসুস্থ হয়, তাহলে সুস্থ হতে বেশি সময় লাগতে পারে। এছাড়া কাশির মতো কিছু লক্ষণ আরও কিছু দিন স্থায়ী হতে পারে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে আমরা কীভাবে hMPV ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারি।
সত্যি বলতে এই ভাইরাসের প্রতিরোধের উপায়সমূহ ইতোমধ্যে আমরা জানি। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আমরা যে সমস্ত আগাম ব্যবস্থা নিয়েছিলাম, hMPV ভাইরাসের ক্ষেত্রেও একই ধরনের সতর্কতা গ্রহণ করা যায়। যেমন নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নিতে পারেন:
বাহির থেকে ঘরে এসে প্রথমেই সাবান হাত ধোয়া। যদি সাবান এবং পানি ব্যবহার সম্ভব না হয়, তাহলে অ্যালকোহলভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা।
বাহিরে বের হওয়ার সময় মুখে মাস্ক ব্যবহার করা। হাঁচি বা কাশির সময় নাক ও মুখ ঢেকে রাখা।
ঠান্ডা বা সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা। নিতান্তই প্রয়োজন হলে মুখে মাস্ক ব্যবহার করা এবং আক্রান্ত ব্যক্তিকেও মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহিত করা।
অযথা হাত দিয়ে মুখ, চোখ, নাক স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা।
অন্যদের সাথে খাবার বা ব্যবহারের উপকরণ (কাঁটা চামচ, চামচ, কাপ) ভাগাভাগি না করা।
গণপরিবহনের চলাচল করার সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা।
অনেকে জিজ্ঞাসা করেন Hmpv কি প্যান্ডেমিকে রূপ নিতে পারে? আমার মতে, hMPV-এর প্যান্ডেমিক হওয়ার সম্ভাবনা কম। এটি বলার কয়েকটি কারণ রয়েছে। কোভিড-১৯-এর ক্ষেত্রে আমরা দেখেছিলাম, করোনাভাইরাসের সম্পূর্ণ নতুন একটি স্ট্রেইন প্রাণীদেহ থেকে চীনে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে সারা বিশ্বে সৃষ্টি হয় মহামারি। আবার, মানুষ এবং প্রাণীর ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের স্ট্রেইন সংমিশ্রণ হয়ে নতুন স্ট্রেইন তৈরি করতে পারে। যাকে আমরা বিজ্ঞানের ভাষায় বলি অ্যান্টিজেনিক শিফট। সংমিশ্রণের ফলে তৈরি হওয়া নতুন স্ট্রেইনও কিন্তু মহামারির আকারে ছড়িয়ে যেতে পারে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, ২০০৯ সালের সোয়াইন ফ্লুর কথা। তবে hMPV-এর জন্য একটি বড় সুখবর হলো, এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসের কোনও প্রাণী রিজার্ভয়ার (reservoir) পাওয়া যায়নি। এর অর্থ হলো, এই ভাইরাসটি শুধু মানুষের মধ্যেই বিদ্যমান। যেহেতু hMPV কেবল মানবদেহেই সীমাবদ্ধ, তাই এর দ্বারা প্যান্ডেমিক সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। আসলে hMPV কয়েক দশক ধরে মানুষের মধ্যেই রয়েছে। ফলে বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে কিছুটা প্রাক-বিদ্যমান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে। যদিও hMPV সময়ের সাথে সাথে মিউটেট করে এবং নতুন স্ট্রেইন তৈরি হয়, তবে তার মাধ্যমে মহামারির মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যুক্তি হিসাবে বলা যায়, hMPV-এর মিউটেশন খুব ধীরে ঘটে। ফলে নতুন স্ট্রেইন দ্বারা সংক্রমিত হলেও আগের স্ট্রেইনের সঙ্গে কিছুটা সামঞ্জস্য বজায় থাকে। ফলে শরীরে পূর্বে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি আংশিক হলেও প্রতিরোধ গড়ে তোলে। পাশাপাশি, কয়েক দশকের সংক্রমণের কারণে মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা হার্ড ইমিউনিটি গড়ে উঠেছে, যা নতুন স্ট্রেইনকেও কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।
প্রশ্ন হলো, hMPV প্রতিরোধী ভ্যাকসিন আছে কিনা। উত্তর হলো না, এই মুহূর্তে নেই। তবে বেশ কিছু ভ্যাক্সিনের কাজ প্রি-ক্লিনিক্যাল থেকে শুরু করে ক্লিনিক্যাল ট্র্যায়াল পর্যায়ে রয়েছে। যেমন, মডার্নার hMPV প্রতিরোধী mRNA ভ্যাকসিনের কথা বলা যায়। এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা দল।
গত বছরের মাঝামাঝি শুরু হওয়া এই ভ্যাকসিনের ফেজ ১ ট্রায়ালের ফলাফলের ভিত্তিতে ফেজ ২ ও ৩ ট্রায়াল পরিচালিত হবে। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কয়েক বছর সময় লাগবে। শেষ কথা হলো, hMPV একটি সাধারণ ভাইরাস, যা আগেও ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। অযথা উদ্বিগ্ন হবেন না। যদি আপনার বয়স ৫ বছরের বেশি হয়, তবে সম্ভবত আপনি ইতোমধ্যে অন্তত একবার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাই নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে, যদি আবার আক্রান্ত হন, আশা করা যায় আপনি কয়েক দিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠবেন। সাধারণ ঠান্ডাজনিত লক্ষণের মতো কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এর বেশি কিছু হবে না। তবে যদি কোনও শিশু বা প্রাপ্তবয়স্ক hMPV-তে আক্রান্ত হয়ে শ্বাসকষ্ট বা গুরুতর কোনও অসুস্থতার লক্ষণ দেখায়, তবে দ্রুত নিকটস্থ চিকিৎসাকেন্দ্রের সেবা নিন। ছোট শিশু এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য বিশেষ যত্ন নিশ্চিত করুন।
লেখক: পোস্ট ডক্টরাল রিসার্চার, ভাইরাল ভ্যাক্সিন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ন্যাশনাল হেলথ রিসার্চ ইনস্টিটিউট, তাইওয়ান।
[email protected]
*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।