X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘ব্লকচেইন প্রযুক্তি’ হতে পারে রাজস্ব আদায়ের নতুন দিগন্ত

মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন
২১ জুন ২০২১, ১৬:১৯আপডেট : ২১ জুন ২০২১, ১৬:১৯

মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন বৈশ্বিক মহামারি মোকাবিলায় পরিবার, সমাজ তথা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে অর্থনৈতিক বিরূপ প্রভাব লক্ষণীয়। ব্যবসা, বাণিজ্য, চাকরি, পেশায় পড়েছে নেতিবাচক বিপর্যয়ে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকল স্তরে দেশে দেশে চলছে নানা প্রস্তুতি ও খাটানো হচ্ছে নানা কৌশল। কাজে লাগানো হচ্ছে নিত্য-নতুন প্রযুক্তি ও এর কৌশলগত প্রয়োগ প্রক্রিয়াকে। এ প্রযুক্তির ব্যবহারে যে যত বেশি আগাম চিন্তা করছে, সে তত বেশি সফলতা পাচ্ছে। সেটা হতে পারে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে।

তাই সমস্যার উদ্ভবের সঙ্গে সঙ্গে সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায়ও খুঁজতে হচ্ছে আমাদের। এটা মানব ইতিহাসের অতীব পরিচিত অধ্যায়। মানুষ সমস্যাকে মোকাবিলা করতে করতেই আজকের সভ্যতায় এসেছে। দরকার শুধু অব্যাহত চেষ্টা আর ধৈর্যের বাধ না ভেঙে একাধারে লেগে থাকা আর অভ্যস্ত হওয়ার মানসিকতা।

আজকের বিষয়ে মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে পাঠক সমাজকে ব্লকচেইন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা দেওয়া প্রয়োজন মনে করছি। ব্লকচেইন হচ্ছে তথ্য সংরক্ষণ করার নিরাপদ, উন্মুক্ত, আধুনিক ও উন্নতি প্রযুক্তির একটি পদ্ধতি। এ প্রযুক্তিকে ডিস্ট্রিবিউটেড ওপেন লেজার বলে। লেজার বলতে আমরা সাধারণত বিভিন্ন অফিসে প্রতিটি লেনদেন সংঘটিত হওয়ার পর শিরোনামভিত্তিক যে খাতায় লেখা হয় তাকে বুঝি। এ খাতা যিনি লেখেন বা সংরক্ষণ করেন তিনি ছাড়া অন্য কেউ দেখতে পারে না। কিন্তু ব্লকচেইন পদ্ধতিতে একই লেজার রাখলে নেটওয়ার্কভিত্তিক সবাই তা দেখতে এবং তথ্য জানতে পারবে।

এ পদ্ধতিতে তৃতীয় পক্ষের কোনোরূপ সাহায্য ছাড়া গ্রাহক থেকে গ্রাহক লেনদেন নিশ্চিত করে। এ লেনদেন হয় নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্তভাবে। এ প্রযুক্তি লেনদেনের সব স্তরে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করে। এতে বিভিন্ন ব্লকে একটির পর একটি চেইনে তথ্য সংরক্ষণ করা হয়। এটি যে শুধু আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তা নয়, সব ধরনের তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এটি তথ্যের সঠিক ব্যবহার ও নিশ্চিত করে। এ সিস্টেমে কোনও তথ্য একবার প্রদান করা হলে কোনও পক্ষ থেকে পরিবর্তন করার সুযোগ থাকে না। যার যেটুকু তথ্য প্রয়োজন সে ততটুকু তথ্য এ সিস্টেম থেকে জেনে নিতে পারে। এটা এমন একটা প্রযুক্তিনির্ভর পদ্ধতি, যা একবার ব্যবহারে অভ্যস্ত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও এর উপকারভোগীরা নিশ্চিতভাবে ও নিরাপদে এমনকি উন্মুক্তভাবে তথ্যভাণ্ডার গড়ে তুলতে সক্ষম হয়।

আমাদের কর ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ব্যাপক হারে কায়িক পরিশ্রমে অভ্যস্ত। করদাতাগণ আয় বছর শেষ হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবে ৫ মাস সময় পেয়ে থাকেন রিটার্ন বা হিসাব জমা দেওয়ার জন্য। আর কর কর্মকর্তারা অধির আগ্রহসহ বসে থাকেন করদাতা কখন আসবেন। তাছাড়া করদাতাদের সহযোগিতার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তি কিছু আসা করার প্রবণতাও দেখা যায়। এটা বহুকালের পথ বেয়ে এখনও চলমান। এ যে দীর্ঘ সময় দেওয়া, আর অপেক্ষায় থাকার মধ্যেই কার্য শেষ না। ট্যাক্স এসেসমেন্ট করা, ভুল সংশোধন করা, রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য হুড়াহুড়ি করা, লাইন ধরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকা, প্রাপ্তি স্বীকার নেওয়ার অপেক্ষায় থাকা, সার্টিফিকেট নিতে হলে মুচলেকা দেওয়া, এক দিনে হবে না, পরের কোনও একদিন আসা, আপনার আগের ট্যাক্স ফাইল খুঁজে পাচ্ছি না ইত্যাদি নানা ধরনের অভিযোগগুলো করাদাতারা করে থাকেন। আবার কর কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকেও বিস্তর অভিযোগ। যেমন, ঠিকমত আয় দেখানো হয় না, সম্পত্তির ওপর সারচার্জ দেয় না, সময় মতো ট্যাক্স জমা দেওয়া হয় না, রিটার্ন জমা দেওয়ার ব্যাপারে উদাসীন, ব্যাপক হারে কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা, কৌশলে আয় গোপন করা, সম্পত্তি থাকলেও তা রিটার্নে না দেখানো, নামে বেনামে আইন-বহির্ভূতভাবে সম্পত্তির মালিক থাকা, ভুলভাবে হিসাব উপস্থাপন ইত্যাদি নানা অভিযোগ রয়েছে। এসবই আমাদের কায়িক পরিশ্রমকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

এক্ষেত্রে ব্লকচেইন প্রযুক্তি হতে পারে কর ব্যবস্থাপনার জন্য একটি আধুনিক ও নিরাপদ ব্যবস্থা। কারণ, ব্লকচেইন পদ্ধতিতে তথ্যের নিরাপত্তা বিধান করে, ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আর্থিক ও অনার্থিক তথ্যের আদান প্রদানকে ডিজিটাল তথ্যের যাচাই করার প্রক্রিয়া সহায়তা করে, সংশ্লিষ্ট পক্ষকে তথ্য পেতে সহায়তা করে, তথ্যের কোনও পরিবর্তন করা যায় না, স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করে, ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিষ্ঠান, গ্রাহক থেকে গ্রাহক নিরাপদে ব্যবহারের সুযোগ আছে, সেহেতু জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে এ ব্লকচেইন পদ্ধতি ব্যবহার করার দিকে দ্রুত এগুতে হবে। কারণ এ পদ্ধতি অনেকটা ইন্টারনেট বা ওয়েবভিত্তিক সেবার তুলনায় আরও একধাপ এগিয়ে সেবা দিতে প্রস্তুত।

ব্লকচেইন কীভাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও করদাতার মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটিয়ে নিরাপদে, ত্রুটিমুক্তভাবে রাজস্ব বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে তা দেখা যাক।

আমাদের দুই ধরনের কর ব্যবস্থা রয়েছে। প্রত্যক্ষ কর ও পরোক্ষ কর। প্রত্যক্ষ কর হলো নাগরিকদের আয় ও সম্পত্তির ওপর নির্দিষ্ট হারে যে রাজস্ব আদায় হয়। আর পরোক্ষ কর পণ্য বা সেবার উৎপাদন বিক্রি, আমদানি ও রফতানি এবং অভ্যন্তরীণ ব্যবসা বাণিজ্যের ওপর আরোপ করা হয়। দুই ধরনের কর ব্যবস্থায় ব্লকচেইন প্রযুক্তি যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে:

১. নিবন্ধিত ব্যবসায়ী করদাতা ব্লকচেইন গ্রুপে যুক্ত হলে যেকোনও দিনের সব ধরনের লেনদেন বা মালামাল তিনি গ্রাহকের নিকট বিক্রি করবেন তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে উক্ত পণ্যের বিক্রি মূল্য, ভ্যাট, পণ্যের অবশিষ্ট মজুত/ স্টক ইত্যাদির তথ্য দিয়ে দেবে। শুধু তা-ই নয়, প্রতিটি স্তরে অটোমেটিক আলাদা লেজার ব্লকে গিয়ে স্থায়িত্বশীল ডাটায় রূপ নেবে। কেউ ইচ্ছা করলে এ ডাটা পরিবর্তন করতে পারবে না। একইভাবে সাপ্তাহিক, মাসিক, ত্রৈমাসিক, অর্ধবার্ষিকী বা বার্ষিক সব ডাটা প্রস্তুত হবে। যার ফলে করদাতাকে যেমন হিসাব প্রস্তুতের জন্য অধিক সময় ব্যয় করতে হবে না, তেমনি এনবিআরও সন্দেহাতীতভাবে অধিকতর স্বচ্ছতার সঙ্গে ভ্যাট আদায় ও মনিটরিং করতে পারবে। নামে মাত্র লোকবল দিয়ে ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিশ্চিত করা সহজ হবে। বিক্রেতার ক্ষেত্রে যেমন সুবিধা ক্রেতার ক্ষেত্রেই একই সুবিধা বিদ্যমান। কারণ, ক্রেতাকে নিরাপদে, দ্রুততম সময়ে সেবা দেওয়া এবং মানসম্মত পণ্য বা সেবা ন্যায্যমূল্যে সরবরাহ করছে কিনা তা যেমন নিশ্চয়তা দেবে, তেমনি ক্রেতার পরিশোধিত ভ্যাট সরকারের কোষাগারে জমা হচ্ছে কিনা, ইচ্ছা করলে ক্রেতা তা যাচাই করতে পারবে।

২. আয়কর আদায়ের ক্ষেত্রে একজন টিআইএনধারী করদাতাকে যদি ব্লকচেইন নেটওয়ার্কের মধ্যে নিয়ে আসা যায়, তাহলে উক্ত করদাতার সকল প্রকার আয়-ব্যয়, বিনিয়োগ, সম্পত্তির আগমন ও প্রস্থান, সম্পদের প্রকৃত মূল্য যাচাইসহ যাবতীয় তথ্য অটোমেটিকভাবে ব্লকচেইন পদ্ধতি স্থায়ীভাবে তথ্য তৈরি হবে, যা দিয়ে করদাতা বছর শেষে আয় ব্যয়ের হিসাব তৈরি করার জন্য অতিরিক্ত সময় ব্যয় করতে হবে না। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্ধারিত ফরমগুলো সংযুক্ত দেওয়া থাকবে এবং অটোমেটিকভাবে তাতে তথ্য সংযোগ হয়ে হিসাব প্রস্তুত হয়ে থাকবে। এনবিআর ইচ্ছা করলে টিআইএন নম্বর চার্জ দিয়ে যেকোনও ডাটা অনায়াসে নিতে পারবেন। মনিটরিং করতে পারবেন।

উপরোক্ত আলোচনায় আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ব্লকচেইন পদ্ধতি চালু করলে আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমস আদায়ের ক্ষেত্রে যে ডিজিটাল পদ্ধতির চলমান আছে এবং আরও ব্যাপক হারে সংযুক্ত করার কথা সরকার প্রতিনিয়ত ভাবছে সেক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে আসা সম্ভব হবে। শুধু তাই নয়, করদাতার দেওয়া তথ্য যাচাই করা, আয়ের উৎস জানা, ব্যাংক বিবরণী যাচাই করা, অপ্রদর্শিত আয় থাকলে তা সহজে বের করা যাবে। একইভাবে করদাতাগণ ও তাদের আয়-ব্যয় এবং আয়করের পরিমাণ, সম্পদের পরিমাণ ইত্যাদি সম্পর্কে সিস্টেম থেকে ইচ্ছা করলেই জানতে পারবে। করদাতাদের করের অর্থ কোথায় কীভাবে ব্যয় হচ্ছে একজন করদাতা তা দেখতে পারবে। সবচেয়ে ইতিবাচক হবে রাজস্ব আদায়ে রাজস্ব কর্মকর্তা ও করদাতার পরস্পরের অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি পাবে। এভাবে ভ্যাট নিবন্ধনধারী ব্যবসায়ী, পেশাদার এবং আয়কর দাতাদের ব্লকচেইনে সংযুক্ত করার মাধ্যমে নিরাপদে, নিশ্চিতভাবে বর্তমান সময়ের তুলনায় রাজস্ব আদায় বহুগণ আদায় করা কর সম্ভব হবে।

ব্লকচেইন প্রযুক্তির ট্যাক্স আদায়ে সুবিধাগুলো এক নজরে এভাবে ব্যাখ্যা করতে পারি:

– প্রশাসনিক জটিলতা ও ট্যাক্স আদায়ের জটিলতা হ্রাস করতে পারে;

– অল্প খরচে বহু সংখ্যক করদাতাকে করজালে নিয়ে আসতে পারে;

– ব্যবসায়ীর সঙ্গে ব্যবসায়ীর, ব্যবসার সঙ্গে কর, এনবিআর, করদাতার সঙ্গে সরকারের একটা সুসম্পর্ক আস্থা তৈরি করতে সক্ষম;

– ভ্যাট কখন কোথায় কত টাকা অর্জিত হয়েছে, তা সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছি কিনা তা নিশ্চিত করতে পারে;

– করদাতা ও সংশ্লিষ্ট পক্ষের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে সক্ষম;

– ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র লেনদেনগুলো দেখা ও মনিটরিং করার ক্ষেত্রে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে পারে;

– পক্ষসমূহের মধ্যে দায়বদ্ধতা তৈরি করে;

– নেটওয়ার্কভুক্ত পক্ষকে একটা নির্দিষ্ট নিয়ম মানার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখার সুযোগ রয়েছে;

–ডাটা সংরক্ষণ ও তথ্যের নিশ্চিত ভাণ্ডার তৈরি একটি দায়বদ্ধতামূলক কর ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহায়তা করতে পারে।

তবে এ ব্লকচেইন প্রযুক্তি রাজস্ব আদায়ে সংযুক্ত করার আগে এনবিআরকে ব্যাপক হারে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। সবার আগে দরকার অভ্যস্ত হওয়ার মানসিকতা। পুরনো পদ্ধতিকে ইতি জানানোর মনোভাব বড় বেশি প্রয়োজন। নতুন পদ্ধতিকে স্বাগত জানানোর মানসিকতা তৈরি করতে পারলেই কেবল তা সম্ভব। তবে প্রযুক্তি কেমন যেন আপন গতিতে চলে, আপনি আমি না চাইলেও আপনা আপনি এসে দরজায় কড়া নাড়তে থাকে। ইচ্ছা না থাকলেও অভ্যস্ত হতে বাধ্য করে। তাই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন প্রযুক্তি অবশ্যই একদিন আসবে। তবে সেটা হলে যেন আমাদের পিছিয়ে পড়তে না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

আমাদের জন্য সুখের খরব হলো, সরকারের পক্ষ থেকে ব্লকচেইন পদ্ধতি প্রয়োগের জন্য মার্চ ২০২০-এ জাতীয় ব্লকচেইন কৌশল প্রণয়ন করা হয়েছে। জাতীয় ব্লকচেইন কৌশলে বলা হয়েছে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব প্রভাব মোকাবিলায় ব্লকচেইন হচ্ছে একটি মৌলিক ও অত্যাবশ্যকীয় চালিকাশক্তি। ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এটি হতে পারে একটি প্রযুক্তিনির্ভর গাইডলাইন, যেখানে অর্থনৈতিক প্রবাহ ঠিক রাখার পাশাপাশি একটি মানসম্মত, স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধতার মূল্যবোধ তৈরি করার সংস্কৃতি সৃষ্টি হতে পারে।

অবশেষে বলা যায়, করদাতা ও রাজস্ব কর্মকর্তা উভয় পক্ষের কোনও রূপ অভিযোগ ছাড়া, নিরাপদে নিশ্চিন্তে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করার স্বার্থে এবং করদাতার কাছে অধিকতর দায়বদ্ধতা তৈরির লক্ষ্যে একমাত্র ব্লকচেইন ব্যবস্থাপনাই কার্যকর পদক্ষেপ হতে পারে।

লেখক: আয়কর আইনজীবী, ঢাকা।

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
এরদোয়ানের যুক্তরাষ্ট্র সফর, যা জানা গেলো
এরদোয়ানের যুক্তরাষ্ট্র সফর, যা জানা গেলো
যুক্তরাষ্ট্রের টি-টোয়েন্টি দলে নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার
যুক্তরাষ্ট্রের টি-টোয়েন্টি দলে নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার
‘আ.লীগকে বর্জন করলেই অন্য পণ্য বর্জনের প্রয়োজন হয় না’
‘আ.লীগকে বর্জন করলেই অন্য পণ্য বর্জনের প্রয়োজন হয় না’
বিজিএপিএমইএ’র নির্বাচনের প্যানেল ঘোষণা, শাহরিয়ার নতুন প্যানেল নেতা
বিজিএপিএমইএ’র নির্বাচনের প্যানেল ঘোষণা, শাহরিয়ার নতুন প্যানেল নেতা
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ