X
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ইউপি নির্বাচনে জয়-পরাজয়: স্বস্তি ও অস্বস্তি

বিভুরঞ্জন সরকার
১৬ জুন ২০১৬, ১২:২৫আপডেট : ১৬ জুন ২০১৬, ১২:৩২

বিভুরঞ্জন সরকারইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষ হলেও নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। জয়পুরহাটে নবনির্বাচিত একজন চেয়্যারম্যান নিহত হয়েছেন। ১৪ জুন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনি সহিংসতায় কমপক্ষে ১১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কয়েক হাজার। প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে এবার ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
এবারের নির্বাচনেই সব চেয়ে বেশি সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ২২ মার্চ থেকে ৪ জুন পর্যন্ত মোট ৬ ধাপে দেশের ৪ হাজার ১০৪টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের মতে অর্ধেকের বেশি কেন্দ্রে নানা ধরনের অনিয়ম হলেও ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে মাত্র ১০৪ টি ইউনিয়নের। ফলাফল ঘোষিত হয়েছে  ৪ হাজার ইউপির। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিপুলভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তারা জিতেছেন মোট ২ হাজার ৬৬৭টি ইউপিতে । আর আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি জিতেছে মাত্র ৩৬৭টিতে।
সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি জিতেছে ৫৭টিতে। ১৪ দলীয় জোটের শরিক জাসদ ৫টি, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জেপি ৫টি এবং ওয়াকার্স পার্টি ৩টি ইউপিতে জয় পেয়েছে। এর বাইরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৩টি এবং জমিয়তে উলামায়ের ইসলাম ও জাকের পার্টি একটি করে ইউনিয়নে জয়ী হয়েছে। সিপিবিসহ আরও বেশ কয়েকটি দল নির্বাচনে অংশ নিলেও তাদের কেউ জয়ের মুখ দেখতে পারেননি। এবারের নির্বাচনে আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয়জয়কার। ৮৮৮ ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছেন। এর মধ্যে ৫শতাধিকই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। বিএনপির বেশ কয়েকজন বিদ্রোহী প্রার্থীও নির্বাচনে জিতেছেন।
এবারের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়ারও রেকর্ড তৈরি হয়েছে। ২০৭ জন চেয়্যারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ‘নির্বাচিত‘ হয়েছেন। এর মধ্যে ২০৪ জনই আওয়ামী লীগের বাকি তিন জন স্বতন্ত্র। ৫৫৪টি ইউপিতে বিএনপি কোনও প্রার্থী দিতে পারেনি। তিনটি ইউপিতে প্রার্থী ছিল না আওয়ামী লীগের। ১০২টি  ইউপিতে বিএনপি কোনও প্রার্থী খুঁজে পায়নি।
বাকি গুলোতে হয় সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের বাধার মুখে বিএনপি প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি অথবা জমা দেওয়ার পরও চাপের মুখে প্রত্যাহারে বাধ্য হয়েছেন। কয়েকটি ইউপিতে বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিলও হয়েছে।
নির্বাচনে অত্যন্ত ভালো ফল করেও আওয়ামী লীগ খুব স্বস্তিতে নেই। বিশাল জয় নিয়ে দলের মধ্যে কোনও উচ্ছ্বাসের খবর পাওয়া যায়নি। ইউপি নির্বাচনে যে পরিমাণ অনিয়ম হয়েছে, বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছে এবং অনেক ক্ষেত্রেই দল মনোনীত প্রার্থীরা বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাছে পরাজিত হওয়ায় কার্যত আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় দলের সাংগঠনিক শক্তি ও জনপ্রিয়তার বহিঃপ্রকাশ না হয়ে দল এবং সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
অন্যদিকে, ইউপি নির্বাচনে কম আসন পেয়েও বিএনপি খুব একটা অখুশি নয়। বিএনপি শুরু থেকেই এই নির্বাচনের ব্যাপারে খুব বেশি সিরিয়াস ছিল না। তারা ধরেই নিয়েছিল সরকার পক্ষের বাধার মুখেই তাদের নির্বাচন করতে হবে। আর সরকার পক্ষ নিজেদের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনার জন্য সম্ভব সব কিছুই যে করবে সেটাও তারা বুঝেছিল। নির্বাচন করা না- করা নিয়েও বিএনপির দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছিল। মাঝপথে নির্বাচন বর্জনের কথাও ভেবেছিল। কিন্তু নির্বাচনে শেষপর্যন্ত থাকাটাই লাভজনক বিবেচনা করে বিএনপি সরে দাঁড়ায়নি। সামান্য সংখ্যক ইউপিতে জিতেও বিএনপি মনে করছে এই নির্বাচনে অংশ নিয়ে তারা রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে লাভবান হয়েছে। কিছু ইউনিয়নে প্রার্থী না থাকলেও যে সব ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থী ছিল সে সব জায়গায় নেতা–- কর্মীরা মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছে। সরকারি দলের সমর্থকদের বাধা এবং প্রশাসনের অসহযোগিতা সত্ত্বেও তারা মানুষের কাছে দলের বক্তব্য পৌঁছে দিতে পেরেছে। দলকে সংগঠিত করার যতোটুকু সুযোগ পেয়েছে ততোটুকুকেই বিএনপি তাদের অর্জন বলে মনে করছে।

ইউপি নির্বাচনে বিএনপির সবচেয়ে বড় লাভ এটাই যে, একমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনও দল এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা এই নির্বাচনকে একটি ভালো নির্বাচনের উদাহরণ হিসেবে দেখছে না । জাল ভোট, কেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই, বাক্স ছিনতাই, ভোটারদের ভয় দেখানো, কেন্দ্রে যেতে বাধাদানসহ সব অনিয়মই এবারের নির্বাচনে হয়েছে। বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয় বলে বিএনপির পুরনো অভিযোগ এবার নতুন করে অধিকমাত্রায় বিশ্বাসযোগ্যতা পেয়েছে। বিএনপি মনে করছে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের তাদের যে দাবি তা দেশে বিদেশে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য হবে।

আমাদের দেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনা অতীতে একেবারেই ঘটেনি তা নয়। এরশাদ আমলে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনেও সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু এবার সহিংসতা অতীতের সব মাত্রা ছাড়িয়ে নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে। অস্ত্র ও পেশি শক্তিনির্ভর এবারের ইউপি নির্বাচনে বিরুদ্ধপক্ষ প্রবলভাবে মাঠে না থাকায় হতাহতের ঘটনা বেশি ঘটেছে আওয়ামী লীগের মধ্যেই। এ পর্যন্ত নিহত ১১৬ জনের মধ্যে ৭১ জনই আওয়ামী লীগের সমর্থক। মাত্র ৭ জন বিএনপির নেতা-কর্মী-সমর্থক নির্বাচনি সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা ৬০ জন। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও অন্য দলের সংঘর্ষে ১৪জনের মৃত্যু হয়েছে। একেবারে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতাহীন ৩৮জন নিরীহ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে নির্বাচনি সংঘাত। এদের মধ্যে যেমন দুই কিশোর ও এক শিশু আছে, তেমনি আছে রিকসাচালক ও চা-বিক্রেতা।

নির্বাচনি সহিংসতাও অন্যন্য অনিয়ম বন্ধে নির্বাচন কমিশনের দৃশ্যমান কোনও উদ্যোগ ছিল না। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসনের ওপর নির্বাচন চলাকালে নির্বাচন কমিশনের কর্তৃত্ব থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে এবার সেটা একেবারেই অনুপস্থিত ছিল বলে মনে হয়েছে। ইউপি নির্বাচন পরিচালনার নিয়ন্ত্রণ নিবার্চন কমিশনের পরিবর্তে যেন অস্ত্র ও পেশিশক্তি নিয়েছিলো । আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসন মিলিত ভাবে নির্বাচনি অনিয়মে সহযোগিতা করেছে বলে ব্যাপক অভিযোগ সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনের হাতে যে ক্ষমতা আছে সেটা কোনও অজ্ঞাত কারণে প্রয়োগ করতে দেখা যায়নি নির্বাচন কমিশনকে। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যেই কার্যত ভোট ডাকাতি হলেও প্রতিকারের কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশনকে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অসহায় বলে মনে হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এই নিষ্ক্রিয় অবস্থান এবং সরকারি দলের সমর্থকদের লাগামহীন স্বেচ্ছাচারিতা নির্বাচন ব্যবস্থাকেই তছনছ করে দিয়েছে। এর সুদুর প্রসারী, বহুমুখি ক্ষতিকর প্রভাব অবশ্যই পড়বে। নির্বাচন ব্যবস্থা মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেললে তা আবার ফিরিয়ে আনা খুব সহজ কাজ হবে না। এবারের ইউপি নির্বাচন তৃণমুলের গণতন্ত্রের ভিতকে মজবুত না করে বরং নরবড়ে করে দিতেই সহায়তা করলো।

ইউপি নির্বাচনে যে ব্যাপক সহিংসতা হলো তার দায় কার? নির্বাচন অনুষ্ঠান ও পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করার কথা সরকারের। তাই নির্বাচন যদি যথাযথভাবে অনুষ্ঠিত না হয়, মানুষ যদি তার ইচ্ছা ও পছন্দ অনুযায়ী ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে, যদি নির্বাচনি সহিংসতায় কারও জীবন চলে যায় তাহলে তার দায় মূলত নির্বাচন কমিশনের । সরকারও দায় এড়াতে পারে না । নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বলেছেন, নির্বাচনে যে সহিংসতা হয়েছে, সেটা দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির ফসল। এর জন্য এককভাবে কমিশনকে দায়ী করলে চলবে না। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হলে দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। সেই দায়িত্ব দলগুলোকেই নিতে হবে।

নির্বাচন কমিশনের এই দায় এড়ানোর মনোভাব একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। শান্তিপূর্ণ পরিবেশের সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা অবশ্যই প্রয়োজন। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলের নেতা-কর্মী- সমর্থকদের জয়লাভের বেপরোয়া মনোভাবের কারণেই প্রধানত সহিংসতা হয়ে থাকে। রাজনৈতিক দলেরই দায়িত্ব নিজনিজ সমর্থকদের নিয়ন্ত্রনে রাখা । আর এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে খোলামেলা কথা বলা, তাদের সহযোগিতা চাওয়া নির্বাচন কমিশনের কর্তব্য। কিন্তু এবার ইউপি নির্বাচনের আগে কারও সঙ্গে কোনও আলাপ-আলোচনার প্রয়োজন বোধ করেনি নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের একটা প্রধান স্টেকহোল্ডার রাজনৈতিক দল। অথচ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন বোধ না করে নির্বাচন কমিশন খুব সুবুদ্ধির পরিচয় দিয়েছে বলে মনে হয় না।

এবারের ইউপি নির্বাচনে যা যা ঘটেছে তার দায় সরকার এবং সরকারি দলও কোনোভাবে এড়াতে পারবে না। সরকারি দল নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য বলেছে। দায়িত্বশীল নেতারা একেকজন একেকভাবে আত্মতুষ্টি মুলুক কথা বলেছেন। প্রাণহানি ও বিনা ভোটে জয়ের রেকর্ড করা এই নির্বাচন সম্পর্কে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কাব্য করে বলেছেন, ‘স্বপ্নটা চোট খেয়েছে, ভেঙ্গে যায়নি’। সবচেয়ে বেশি প্রাণঘাতী নির্বাচন সম্পর্কে আরেক নেতা বলেছেন, প্রথমবার দলীয় প্রতীকে ইউপি নির্বাচন হওয়ায় অভিজ্ঞার অভাবে কিছু অনিয়ম ও সহিংসতা হয়েছে। আরেকজন বলেছেন, ‘নির্বাচনের সহিংসতা সামাজিক দ্বন্দ্ব ও অস্থিরতার বহিঃপ্রকাশ’। প্রশ্ন হলো, কেন এই সামাজিক অস্থিরতা? এই অস্থিরতা দূর করার দায়িত্ব কার? সরকার দেশে ব্যাপক উন্নয়ন করছে। মানুষের আয় বাড়ছে । তাহলে অস্থিরতার কারণ কী? কোথাও কি কোনও বৈষম্য হচ্ছে? কেউ পাচ্ছে, কেউ একেবারেই পাচ্ছে না ‘এই অবস্থার কারণেই কি সমাজে অস্থিরতা?’ সরকারকেই এই অস্থিরতার দূর করতে হবে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলো কেন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে তার কারণ খুঁজে বের করে সে গুলো দূর করতে না পারলে আমাদের অন্য সব অর্জন ম্লান হয়ে যাবে। 

লেখক: সাংবাদিক, কলামিস্ট

[email protected]

আরও পড়তে পারেন: ‘আমরা কোনও অন্যায় করিনি, তাহলে সাজা কেন পাবো?’

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
ইন্দোনেশিয়ার রুয়াং আগ্নেয়গিরিতে আবারও অগ্ন্যুৎপাত,সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি
ইন্দোনেশিয়ার রুয়াং আগ্নেয়গিরিতে আবারও অগ্ন্যুৎপাত,সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি
ধর্ষণের পর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ, ৩ জন গ্রেফতার
ধর্ষণের পর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ, ৩ জন গ্রেফতার
রাজধানীতে মাদকদ্রব্যসহ গ্রেফতার ২০
রাজধানীতে মাদকদ্রব্যসহ গ্রেফতার ২০
লেভার হ্যাটট্রিকে দুইয়ে ফিরেছে বার্সা
লেভার হ্যাটট্রিকে দুইয়ে ফিরেছে বার্সা
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ