X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলা ট্রিবিউন জরিপ: সরকারের জন্য করণীয় নির্ধারণের সুযোগ

আমিনুল ইসলাম সুজন
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৮:৪৯আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৮:৫৬

আমিনুল ইসলাম সুজন বিভিন্ন বিষয়ে মানুষের মতামত যাচাইয়ের লক্ষ্যে জনপ্রিয় অনলাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘বাংলা ট্রিবিউন’-এর জরিপের ফল সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমান সংসদের দু’বছরের প্রাক্কালে পরিচালিত এই জরিপে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মানুষের অভিমতকে সামনে তুলে এনেছে। এখান থেকে সরকার গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা পেতে পারে। এটি সরকারের জন্য কয়েকটি বিষয়ে করণীয় নির্ধারণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
প্রথমেই জরিপে প্রতিফলিত দলীয় রাজনৈতিক বিষয়ে আলোকপাত করি। অর্থনীতি, ব্যবসাসহ সবকিছুকে প্রভাবিত করে রাজনীতিই। ২০০৮ সালে এক অভূতপূর্ব নির্বাচনের পর থেকে প্রায় সাড়ে সাত বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়কাল ধরে নিলে বিএনপি প্রায় সাড়ে নয় বছর ক্ষমতার বাইরে রয়েছে। মাঝখানে ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করেছে। বিএনপি সংসদ থেকে সম্পূর্ণভাবে ছিটকে পড়েছে। সংবিধান সম্মত হলেও এই নির্বাচনে অর্ধেকেরও বেশি সংসদ সদস্যের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা সাধারণের মনে প্রশ্ন তৈরি করেছিল। যদিও বিএনপিজোটের লাগাতার হরতাল-অবরোধ ও পেট্রোলবোমার ব্যবহার মানুষকে আওয়ামী লীগের ভুলগুলো ভুলিয়ে দিয়েছিল।
তবু, ক্ষমতায় থাকায় গত সাড়ে সাত বছরে আওয়ামী লীগ জনগণের কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ বেশি পেলেও তাদের সব কার্যক্রমই সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। অন্যদিকে, পুলিশের দমননীতিতে বিএনপি প্রায় জনগণবিচ্ছিন্ন হয়েও জনসমর্থনের মধ্যে রয়েছে।  বাংলা ট্রিবিউনের জরিপে এটিও উঠে এসেছে।
এতে দেখা যায়, এ মুহূর্তে নির্বাচন হলে ২৮.২৬% ভোটার বর্তমান সরকারি দল আওয়ামী লীগকে ও ২৩.০৭% ভোটার বিএনপিকে ভোট দেবেন। কিন্তু ৪১.৫৮% এ প্রশ্নের জবাবে নীরব থাকেন। তারাই মূলত সরকার গড়তে ভূমিকা রাখেন। তারা প্রত্যক্ষভাবে কোনও দলকে সমর্থন করেন না। অনেকের মধ্যে ভোট নিয়ে আগ্রহও থাকে না। আবার অনেকে খুব নির্ভেজাল টাইপের মানুষ—সহজে কাউকে বিশ্বাস করেন না। তাই কাকে ভোট দেবেন—তা প্রকাশ করে বিপদে পড়তে চান না। সাধারণত, নীরব ভোটের একটা বড় অংশ ক্ষমতায় থাকা দলের বিরুদ্ধে যায়। এ অংশের কাছে ক্ষমতার বাইরে দলকে পছন্দ না করলেও ক্ষমতাসীন দলের ভুলই বড় হয়ে দেখা দেয়।
পাশাপাশি এ মুহূর্তে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ জিতবে বলে মনে করেন প্রায় ৩৮.৮৭% ভোটার এবং বিএনপি জিতবে বলে মনে করেন ৩০.০৮% ভোটার। এখানে ২৬.৭১% কোনও মন্তব্য করেননি। ভোট দেওয়ার প্রশ্নে নীরব ছিলেন যারা, তাদের একটা বড় অংশ (৩৫.৭৬%) কোন দল জিতবে—সে সম্পর্কে মত ব্যক্ত করেন।

এ ক্যাটাগরিতে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বিদ্যমান নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষের অনাস্থা ফুটে উঠেছে। এতে দেখা যায়, বর্তমান সরকারের অধীন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলে মনে করেন ৬০% মানুষ। ৩৮.৫৫% মানুষ সুষ্ঠু হবে বলে মনে করেন। নির্বাচন ব্যবস্থা সংবিধান সম্মত হলেও এ ব্যবস্থা নিয়ে মানুষের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতার ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে, সিটি নির্বাচন, পৌর নির্বাচনগুলোয় নির্বাচন কমিশনের অসহায়ত্ব মানুষ দেখে হতাশ হয়েছে—যার প্রতিফলনই জরিপে এসেছে। বর্তমান সংসদ চাইলেই নির্বাচন সংক্রান্ত সংবিধানের ধারা পরিবর্তন করতে পারে। অথবা নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীন, স্বতন্ত্র ও শক্তিশালী করার মাধ্যমে এমন একটি নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করতে পারে—যা সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য হবে।

প্রায় একই সংখ্যক মানুষ মনে করে গত দু’দশকে চলমান রাষ্ট্রব্যবস্থা সঠিক (৪৮.৫৯%) ও সঠিক নয় (৪৮.৬১%)। জরিপের এই একটি প্রশ্নে আশ্চর্যরকমের ভারসাম্য লক্ষ্য করা যায়। যেখানে কোনও পার্থক্য নেই। যদিও শ্রেণীবিভাজনে বাংলা ট্রিবিউন উল্লেখ করেছে, চাকরিজীবীদের অধিকাংশ সঠিক এবং ব্যবসায়ীদের অধিকাংশ সঠিক নয় বলে মনে করেন। এটা সত্য, পদমর্যাদা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসহ কারও কারও মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও সরকারি চাকরিজীবীদের একটা বড় অংশ বেতনবৃদ্ধিতে উপকৃত হয়েছেন—যা আরেক প্রশ্নে উঠে আসে। দু’বছরের মধ্যে ৪৪.৬৭% মানুষের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে—যাদের বড় অংশই চাকরিজীবী। অন্যদিকে ৫৫% মানুষের আয় বাড়েনি—যাদের বড় অংশ ব্যবসায়ী।

গত এক বছর পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত হলেও বিগত দু’দশকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় ব্যবসায়ীদের বড় অংশ, বিশেষত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এক শেয়ার বাজারের মাধ্যমেই কয়েক লাখ মানুষ পুঁজি হারিয়েছেন। এসবের প্রভাব জরিপে লক্ষণীয়ভাবে উঠে এসেছে। যে কারণে পরবর্তী এক প্রশ্নের জবাবে সর্বাধিকসংখ্যক মানুষ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে (২৯.৭৮%) গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। এরপরই সংসদ নির্বাচন (২০.৪২%) গুরুত্বপূর্ণ উঠে আসে। গত দু’দশকে (১৯৯৫ সাল থেকে বর্তমান) প্রধান সংঘাতময় পরিস্থিতি তথা রাজনৈতিক অস্থিতিশীল ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুই জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ সময়ের মধ্যে এমন দুটো নির্বাচন হয়, যেখানে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল যথাক্রমে আওয়ামী লীগ (১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি) এবং বিএনপি (২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি) অংশ নেননি। এছাড়া, অর্থনৈতিক উন্নয়ন (১৪.২৪%), জঙ্গিবাদ নির্মূল (১৩.৭৮%), দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ (১০.৭৭%),  মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার (৮.৬৩%) ইত্যাদি বিষয়কেও গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন মানুষ।

অর্থনীতির একটি সাধারণ তত্ত্ব হচ্ছে, আয় বাড়লে ভোগ বাড়ে এবং ভোগ বাড়লে অধিকাংশ ক্ষেত্রে দ্রব্যমূল্য বাড়ে। চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধির ফলে দ্রব্যমূল্যের ওপর প্রভাব পড়েছে। যে কারণে আয় সবার না বাড়লেও ব্যয় সবারই বেড়েছে। গত দু’বছরে ৯২.৩০% মানুষের ব্যয় বেড়েছে। মাত্র ৭.৩৯% এর ব্যয় বাড়েনি। এর অর্থ দুটো; প্রথমত, তাদের আয় না বাড়ায় তারা জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে বাধ্য হয়েছে—তাই ব্যয় বাড়েনি। দ্বিতীয়ত, তাদের আয় বৃদ্ধি অনুপাতে ব্যয় বাড়েনি। এক্ষেত্রে প্রথমটির সম্ভাবনাই বেশি। কারণ, গত দু’বছরে অর্ধেকের বেশি মানুষেরই আয় বাড়েনি। এদের মধ্যে প্রান্তিক মানুষেরাই জীবনযাত্রার ব্যয় কমিয়েছেন বলে ধরে নেওয়া যায়। 

বাজার ব্যবস্থা সাম্প্রতিক সময়ে যথেষ্ট স্থিতিশীল। তবু আয় বৃদ্ধির হারের চাইতে ব্যয় বৃদ্ধির হার অনেক বেশি হওয়ায় বিষয়টি সরকারকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিতে হবে। কারণ, শুধু সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি অন্য সবার ব্যয় বৃদ্ধির কারণ হয়। তাই এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, যেন আয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সবার মধ্যে সমন্বয় থাকে। অথবা সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধির ফলে দ্রব্যমূল্য যেন বৃদ্ধি না পায়, সেদিকে নজর দিতে হবে।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের বিচার প্রক্রিয়া, বিশেষত ফাঁসি নিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন থাকলেও দেশের অধিকাংশ মানুষই এই বিচার প্রক্রিয়াকে যৌক্তিক মনে করেন—এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রায় ৮০% মানুষই মানবতাবিরোধী অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চালিয়ে যাওয়া যৌক্তিক মনে করেন। এটি দৃশ্যমান যে, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারে ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপির সহযোগী রাজনৈতিক দল জামায়াত ইসলামী। তবু মানবতাবিরোধী অপরাদের বিচার চালিয়ে যাওয়াকে যারা সমর্থন করেন, তাদের মধ্যে বিএনপির একনিষ্ট ভোটারও রয়েছেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া যারা সমর্থন করেছেন, তাদের সবাই জামায়াতকে নিষিদ্ধ করাটা সমর্থন করেন না। দেখা যায়,  জামায়ত নিষিদ্ধ করাকে সমর্থন করেন ৫৪% মানুষ এবং সমর্থন করেন না ৪৪.৫৫% মানুষ। এখানে ধর্তব্য যে, আওয়ামীলী সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আইন করে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে চান না। তিনি ইতোপূর্বে একবার বলেছিলেন, তিনি কোনও রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করতে চান না। বিষয়টি তিনি আদালতের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন।

জঙ্গিবাদ সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী এক আগ্রাসী সমস্যা। বাংলাদেশেও জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর ব্যাপক কার্যক্রম পরিলক্ষিত হচ্ছে। সম্প্রতি দেশে জঙ্গি কার্যক্রমে অনেক আটক ও অবৈধ অনেক সরঞ্জাম আটকের ঘটনায় তার প্রমাণ মেলে। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি ৪০জনের মতো শ্রমিককে সিঙ্গাপুর সরকার জঙ্গিবাদের অভিযোগে ফেরত পাঠিয়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশের জঙ্গিদের কেউ কেউ আইএস-এর হয়ে লড়াই করে মারা যাওয়ার খবরও বিশ্ব গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচারিত হয়েছে। তাই জঙ্গিবাদ দমনে সরকারও নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে। কিন্তু সরকারি বাহিনীগুলোর দৃশ্যমান নানা পদক্ষেপে মানুষের আস্থা অর্জন সম্ভব হয়নি। ৭১% মানুষই জঙ্গিবাদকে একটি বড় ঝুঁকি হিসেবে দেখছেন। বিপরীতে ২৭.৫৪% এটিকে কোনও ঝুঁকি মনে করছেন না।

আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় অনেকে বিভিন্ন সময়ে জঙ্গিবাদের জন্য খালেদা জিয়াকে দায়ী করে বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু জরিপে তা প্রতিফলিত হয়নি। বরং, বিএনপির (৬.৫%) চাইতে ৩ গুণেরও বেশি মানুষ জঙ্গিবাদের জন্য সরকারকেই (২১.২১%) দায়ী করে। যদিও বিএনপিরই সহযোগী দল জামায়াতকে দায়ী করেন সর্বাধিক মানুষ (৩৩%)। এছাড়া, আইএস (১২.২৪%) ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (১১.৬৮%), অন্যান্য ইসলামিক রাজনৈতিক দল (৯%) এবং হরকাতুল জিহাদকেও (৪.৬৫%) জঙ্গিবাদের জন্য দায়ী করা হয়। জঙ্গি দমনে মানুষের আস্থা অর্জন জরুরি। সরকার মানুষের এই মতামতকে গুরুত্বসহ বিবেচনায় নিয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারে।

দেশে আইএস নাই—সরকার এটি বিভিন্ন সময়ে বলে আসছে। জরিপে দেখা গেছে, অধিকাংশ মানুষই (৬৫.৭০%) সরকারের অবস্থানকে সমর্থন করেছেন। তার মানে, অধিকাংশ মানুষ সরকারের কথায় আশ্বস্ত ও বিশ্বাস স্থাপন করেছে। যদিও ৩২.৩৮% মানুষ দেশে আইএস আছে বলে মনে করেন।

সরকারের জন্য এখানে দিক নির্দেশনা নির্ধারণে অনেক উপাদান রয়েছে। মানুষের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, সংসদ নির্বাচন ও জঙ্গিবাদ দমন, স্থিতিশীল পরিস্থিতি গড়ে তোলার বিষয়ে মানুষের আস্থা অর্জন জরুরি। ব্যক্তিগতভাবে আমি ব্যয় নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্ব দিতে চাই। কারণ, অন্যান্য বিষয়ে সব মানুষের সমান আগ্রহ না থাকলেও ব্যয় বৃদ্ধির প্রভাব অধিকাংশ মানুষের ওপর পড়ে। সরকারের জনপ্রিয়তা নির্ভর করার ক্ষেত্রে মানুষের ব্যক্তিগত আয় ও ব্যয়ের সমন্বয়ের গুরুত্ব রয়েছে। আশা করি, সরকার আগামী দিনে উল্লিখিত বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করে এগিয়ে যাবে।

অন্যদিকে, এ জরিপ আপাতদৃষ্টিতে বিএনপির জন্য আশাব্যঞ্জক। দীর্ঘদিন জনবিচ্ছিন্ন থাকার পরও হরতাল-অবরোধের মতো ধ্বংসাত্মক কর্মসূচিতে না থাকায় তারা জনসমর্থনে খুব বেশি পিছিয়ে নেই। এছাড়া বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানও তাদের প্রতি সহানুভূতি সৃষ্টি করতে পারে। তবে সহযোগী জামায়াত নিয়ে বিএনপিকে ভাবতে হবে। তারা জামায়াতকে নিয়ে রাজনীতি করবে কি করবে না—এ সিদ্ধান্তে আসা দরকার। তাই সরকারের মতোই বিএনপিও আগামী দিনে করণীয় নির্ধারণের সুযোগ পাবে বলে মনে করছি।

লেখক: সাংবাদিক ও সদস্য, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
দাবদাহে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের তরল খাদ্য দিচ্ছে ডিএমপি
দাবদাহে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের তরল খাদ্য দিচ্ছে ডিএমপি
জাপানি ছবির দৃশ্য নিয়ে কানের অফিসিয়াল পোস্টার
কান উৎসব ২০২৪জাপানি ছবির দৃশ্য নিয়ে কানের অফিসিয়াল পোস্টার
ড্যান্ডি সেবন থেকে পথশিশুদের বাঁচাবে কারা?
ড্যান্ডি সেবন থেকে পথশিশুদের বাঁচাবে কারা?
লখনউর কাছে হারলো চেন্নাই
লখনউর কাছে হারলো চেন্নাই
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ