X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্মার্টফোনে ব্যস্ত পাঠক, একের পর এক বন্ধ হচ্ছে গ্রন্থাগার

সালেহ টিটু, বরিশাল
১০ মার্চ ২০২২, ১১:০০আপডেট : ১০ মার্চ ২০২২, ১৮:২১

পাঠক নেই, আছেন একজন কেয়ারটেকার। যিনি বছরের পর বছর ধরে ১৬৬ বছরের পুরনো বরিশাল পাবলিক লাইব্রেরিতে দায়িত্ব পালন করছেন। বয়সের ভারে কেয়ারটেকার যেমন ন্যুব্জ পড়েছেন, তেমনি লাইব্রেরি ভবনটিও জরাজীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। দীর্ঘ ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে এই লাইব্রেরিতে পাঠক আসেন না। একই সঙ্গে বরিশাল জেলার ৫৫টি লাইব্রেরির অধিকাংশই পাঠক শূন্যতায় এখন তালাবদ্ধ। সাত-আটটি ছাড়া বাকি সবগুলো লাইব্রেরি বন্ধ রয়েছে। যেগুলো খোলা আছে সেগুলোতেও পাঠক নেই। বই ছেড়ে স্মার্টফোনে ব্যস্ত পাঠকরা। এজন্য লাইব্রেরিগুলো বন্ধ হওয়ার পথে। এমনটি জানিয়েছেন শিক্ষার্থী-শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

বরিশাল পাবলিক লাইব্রেরি বন্ধের কারণ

২০১৩ সালে বরিশাল পাবলিক লাইব্রেরি পরিচালনা পর্ষদের সর্বশেষ গঠিত কমিটির সদস্য কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, পূর্ববঙ্গ, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও উড়িষ্যা চারটি প্রদেশের মধ্যে সবচেয়ে পুরনো পাঠাগার হচ্ছে বরিশাল পাবলিক লাইব্রেরি। পূর্বে লাইব্রেরিটি ছিল নগরীর বিবির পুকুর পাড়ের ব্রিটিশ আমলের একটি ভবনে। পরবর্তী সময়ে ওই ভবনটি পৌরসভার কাছে ভাড়া দিয়ে লাইব্রেরি সরিয়ে বরিশাল নগরীর বাধ রোডে নেওয়া হয়। এটাই ছিল ভুল সিদ্ধান্ত। শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে লাইব্রেরি সরিয়ে নেওয়ায় পাঠক বিমুখ হওয়া শুরু হয়।

শিবলু আরও বলেন, ২০০৪ সাল থেকে পাঠক কমতে থাকে। ধীরে ধীরে এর সংখ্যা শূন্যের কোঠায় চলে আসে। একপর্যায়ে পাঠক আসা বন্ধ হলে লাইব্রেরি অযত্ন ও অবহেলায় বছরের পর বছর পড়ে থাকে। ওই সময়ের মধ্যে ভবনের অবস্থাও জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। তার মধ্যে বর্ষা মৌসুমে কক্ষগুলোতে পানি পড়ে। এজন্য সংস্কার করা হলেও তাও বেশিদিন টেকেনি। একমাত্র কেয়ারটেকার মো. শহিদ সেখানে অবস্থান করছেন। আর কোনও কর্মচারী না থাকায় সেখানে ঝাড়ু দেওয়া হয় না। ১৫ বছরের ধুলাবালুতে একাকার হয়ে আছে লাইব্রেরিটি। কেয়ারটেকারকে কিছু বলার নেই। সেও ঠিকমতো বেতন পায় না। তারপরও বই পাহারা দিচ্ছেন। তা না হলে যেটুকু ছিল তাও লুটপাট হয়ে যেতো। এজন্য স্থানীয় জেলা প্রশাসনকে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানাই। 

নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান বই ও আসবাবপত্র

১৯৮৫-৮৬ সালের দিকে ৫৪ শতাংশ জমির ওপর দোতলা ভবন নির্মাণ করে বরিশাল পাবলিক লাইব্রেরি সরিয়ে আনা হয় বাধ রোডে। সেখানে ইতিহাস-ঐতিহ্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন মূল্যবান ৩০ হাজার বই ছিল আলমারিগুলোতে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বহু মূল্যবান বই লাইব্রেরি থেকে উধাও হয়ে গেছে। নষ্টের তালিকায় রয়েছে ১০ হাজারের অধিক বই। অথচ যেসব বই নষ্ট হয়েছে সেগুলো দুর্লভ। এখানে বিভিন্ন ধরনের সংবাদপত্রও রাখা হতো। জ্ঞান অর্জনের জন্য যা কিছু প্রয়োজন সবই ছিল লাইব্রেরিতে। 

বরিশাল পাবলিক লাইব্রেরির কেয়ারটেকার মো. শহিদ কাজী

পাঠক টানতে নেই কোনও ধরনের পদক্ষেপ

লাইব্রেরির বড় দুটি হলরুমে কমপক্ষে ১০০ পাঠক একসঙ্গে বই পড়তে পারতেন। সে অনুযায়ী সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। স্থান পরিবর্তনের পর পাঠক ধরে রাখতে কোনও ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ কারণে একসময় পাঠক শূন্যতা দেখা দেয়। পাঠক থেকে শুরু করে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদেরও আসা-যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ফলে  লাইব্রেরির জায়গা দখল করে নিয়েছে ময়লা-আবর্জনা ও ধুলাবালু। বইয়ের সঙ্গে নষ্ট হচ্ছে আলমারি থেকে শুরু করে সব ধরনের আসবাব। এখানে পাঠকের সদস্য পদ পেতে হলে পাসপোর্ট সাইজের ছবি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড এবং ৩০ থেকে ৫০ টাকা ফি লাগতো। প্রতি মাসে দিতে হতো ১০ টাকা। পরবর্তী সময়ে তা ২০ টাকা করা হয়।

জেলার অন্যান্য পাবলিক লাইব্রেরির অবস্থা

একই অবস্থা বরিশাল জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গড়ে ওঠা পাবলিক লাইব্রেরিগুলোর। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বরিশালের ১০ উপজেলায় ৫৫টি পাবলিক লাইব্রেরি আছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ বছরের পর বছর তালাবদ্ধ। তালার চাবি কার কাছে তাও জানা নেই। 

বানারীপাড়া উপজেলার পাবলিক লাইব্রেরি কবে বন্ধ হয়েছে তা কেউ জানে না। বর্তমান প্রজন্ম জানে না সেখানে একটি পাবলিক লাইব্রেরি আছে। উপজেলা সদরের ১০ জন বাসিন্দার কাছে লাইব্রেরিটির কথা জানতে চাওয়া হয়েছে। তারা সবাই বলেছেন, ‘আপনি ভুল করছেন। আমাদের জানামতে, বানারীপাড়ায় কোনও পাবলিক লাইব্রেরি নেই।’ 

একই চিত্র নগরীর দক্ষিণ ‍আলেকান্দার নজরুল পাঠাগারের। সেখানে ‍আলমারিতে বই ‍আছে। চেয়ার-টেবিল কিছুই নেই। তালাবদ্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন।

ব্যতিক্রম বরিশাল বিভাগীয় সরকারি গ্রন্থাগার

পাঠক সংকটের মধ্যেও কিছু পাবলিক লাইব্রেরিতে রয়েছে তরুণদের যাতায়াত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বরিশাল বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার। এটি সরকারি বিএম কলেজ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত। সেখানে ৬৫ হাজারের অধিক বই রয়েছে। প্রতিদিন অর্ধশতাধিক পাঠক এখানে যান জ্ঞান আহরণের জন্য।  

নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বরিশাল পাবলিক লাইব্রেরির বই ও আসবাবপত্র

একাধিক পাঠক বলেন, বিএম কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বইয়ের রেফারেন্স বই রয়েছে। এছাড়া ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নোট করতে বহু বই পড়তে লাইব্রেরিতে আসতে হয়। এই লাইব্রেরিতে যাদের দেখছেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগই বিএম কলেজের শিক্ষার্থী। এছাড়া অনেকের ক্লাস বন্ধ থাকে। ওই সময় যারা নিরিবিলি থাকতে চান তারা এখানে জ্ঞান আহরণের মধ্য দিয়ে সময় কাটান। তবে আগে অনেক পাঠক ছিল। এখন কমে গেছে। সবার হাতে স্মার্টফোন। কেউ ইন্টারনেটে খুঁজে বই পড়েন। আবার অধিকাংশ শিক্ষার্থী স্মার্টফোনে অকাজে সময় কাটান। 

পাঠকমুখী করতে কি কি প্রয়োজন

অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, ২০১৯ সালে বরিশাল জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক এবং লেখক ও গবেষক দেবাশিষ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, প্রথমে পাবলিক লাইব্রেরি পরিচালনায় নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। এর সঙ্গে প্রয়োজন নতুন অবকাঠামো। তার সঙ্গে যুক্ত হবে বর্তমান প্রজন্মের জন্য পাবলিক লাইব্রেরি ডিজিটালাইজেশন করা। সেক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার নিশ্চিতকরণ ও ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন বাধ্যতামূলক। কারণ সবাই স্মার্টফোনে ঝুঁকেছেন। এরপর প্রতিটি জাতীয় অনুষ্ঠান পাবলিক লাইব্রেরিতে করতে হবে। সেই অনুষ্ঠানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের আসা বাধ্যতামূলক থাকবে। এতে লাইব্রেরি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া তরুণ সমাজ আবারও লাইব্রেরিমুখী হবে বলে আশা করছি। 

তিনি আরও বলেন, যারা লেখক ও গবেষক রয়েছেন তাদেরকে পাবলিক লাইব্রেরির সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। তাদের মাধ্যমে পাবলিক লাইব্রেরি প্রাণ ফিরে পাবে। তবে যত দ্রুত সম্ভব এই উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নের দাবি জানাই। 

বরিশালের উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে কর্মরত লেখক ও সাংবাদিক আরিফ আহমেদ বলেন, পাঠকদের লাইব্রেরিমুখী করতে প্রয়োজন নাগরিক সচেতনতা ও পাঠাগারের আধুনিকায়ন। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাঠাগারগুলোতেও কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। অনলাইনে বই পড়ার সুবিধা ছাড়াও পাঠাগারকেন্দ্রিক আরও বিনোদন কেন্দ্রের ব্যবস্থা করতে হবে। ডাক বিভাগের ই-সেন্টার কার্যক্রমকেও পাঠাগারের সঙ্গে যুক্ত করা যেতে পারে। এতে করে ডাক বিভাগেরও উপকার হবে। কেননা, উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে বেশিরভাগ ডাক বিভাগের ই-সেন্টার কার্যক্রম আছে, যন্ত্রপাতি সব আছে। অথচ নিজস্ব কোনও ঘর নেই। 

৩০ হাজার বই ছিল আলমারিগুলোতে, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বহু মূল্যবান বই লাইব্রেরি থেকে উধাও হয়ে গেছে

বর্তমানে দেশের বেশিরভাগ স্কুল-কলেজ পড়ুয়াদের হাতে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট রয়েছে। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ক্রমশ মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে যাচ্ছে। করোনাকালীন সংকটের অজুহাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে প্রশাসন ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ ব্যবহারে বাধ্য করছেন শিক্ষার্থীদের। যা বই পড়ার ন্যূনতম আগ্রহকে গলা টিপে হত্যা করেছে। তাই এই ইন্টারনেট সেবাকে কাজে লাগিয়ে পাঠাগারগুলোকে নতুন করে সাজাতে হবে।

পাবলিক লাইব্রেরিগুলোকে পাঠকমুখী করতে বরিশাল সবুজ আন্দোলনের সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান বলেছেন, লাইব্রেরির পরিবেশ আধুনিকায়ন করা প্রয়োজন। আলো-বাতাস, এসি, আরামদায়ক বসার ব্যবস্থা, মানসম্মত ওয়াশরুম থাকা বাঞ্ছনীয়। লাইব্রেরি ব্যবস্থাপনা, শেলফ সজ্জিতকরণ হবে আধুনিক, সময়োপযোগী। প্রশিক্ষিত দক্ষ গ্রন্থাগার কর্মীর সঙ্গে কিছু স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেওয়া লাগবে। পাঠাভ্যাস বৃদ্ধিকল্পে বিভিন্ন জাতীয় দিবসে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে রচনা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা আহ্বান করে পুরস্কৃত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আলোচনা সভা, পাঠচক্র হতে পারে। বিশেষ দিনগুলোতে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে কম বয়সীদের প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা এবং পথশিশুদের নিয়ে মাসে একাধিক প্রদর্শনীর উদ্যোগ নিতে হবে। সেই সঙ্গে লাইব্রেরিতে ইন্টারনেট সুবিধা, প্রিন্টার, ফটোকপি মেশিন, ওয়েবসাইট, ই-মেইল, ফোন থাকতে হবে। লাইব্রেরির সংগ্রহ হবে এমন যেন পাঠকের তথ্য, গবেষণা, শিক্ষা, এবং বিনোদন চাহিদা মেটাতে সহায়তা করে। দৈনিক পত্রিকা, ম্যাগাজিন, সাময়িকী পড়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে।

ব্যতিক্রম বরিশাল বিভাগীয় সরকারি গ্রন্থাগার

তিনি বলেন, বইয়ের ডিজিটাল ক্যাটালগ থাকতে হবে। বই সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সব তথ্যা জানতে কম্পিউটারাইজড সুবিধা থাকতে হবে। যারা রাজনীতি করতে আগ্রহী তাদের সদস্যপদ গ্রহণের যোগ্যতা অর্জনের লক্ষ্যে নির্দিষ্ট সিলেবাসের ওপর লাইব্রেরিতে পড়াশোনা বাধ্যতামূলক করা যায়। ভালো পরিবেশের লাইব্রেরি হতে পারে প্রবীণদের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র। নামাজের স্থান থাকলে ভালো হবে। থাকতে হবে ক্যাফেটেরিয়া, নিরাপদ পার্কিং সুবিধা। লাইব্রেরির সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। লাইব্রেরিতে ভাষা শিক্ষা কোর্স চালু করলে জমজমাট হবে। প্রকৃতপক্ষে সরকারি উন্নয়ন সহায়তা প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৬৪টি জেলায় ৬৪টি এবং আটটি বিভাগীয় শহরে আটটি মোট ৭২টি মডেল লাইব্রেরি পুনরায় নির্মাণ, আধুনিকায়ন করা হলে পাঠক আকৃষ্ট হবে, বেশ কিছু কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে।

যা বললেন বরিশালের জেলা প্রশাসক

বরিশালের জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দার বলেন, বর্তমানে যেখানে পাবলিক লাইব্রেরি রয়েছে তা জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। সেখানে অত্যাধুনিক বহুতল ভবন করা হবে। এছাড়া পাবলিক লাইব্রেরি যাতে বর্তমান প্রজন্মকে আকৃষ্ট করে এজন্য কম্পিউটার ও ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটানোর উদ্যোগ রয়েছে।

বরিশালের গ্রন্থাগারগুলো নিয়ে যা বললেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ইন্টারনেট সেবাকে কাজে লাগিয়ে গ্রন্থাগারগুলোকে নতুন করে সাজাতে হবে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি বলেন, প্রতি জেলায় সরকারি গণগ্রন্থাগারগুলোকে আধুনিকায়ন করার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বরিশালের ইতিহাস ঐতিহ্য নির্ভর গণগ্রন্থাগারগুলোকে আধুনিকায়নের চেষ্টায় আছি আমরা। গ্রন্থাগারকেন্দ্রিক সাংস্কৃতিক বলয় তৈরিতে জোর দিচ্ছি আমরা। প্রধানমন্ত্রী নিজে বই পড়তে ভালোবাসেন। তার দিক-নির্দেশনায় আমাদের গ্রন্থাগারগুলো আরও সমৃদ্ধ হবে।

/এএম/
টাইমলাইন: কেমন আছে গ্রন্থাগারগুলো
১০ মার্চ ২০২২, ১১:০০
স্মার্টফোনে ব্যস্ত পাঠক, একের পর এক বন্ধ হচ্ছে গ্রন্থাগার
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২:০০
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:৩৮
সম্পর্কিত
যেকোনো জায়গায় মোবাইল হারালে উদ্ধার করে দেবে বরিশাল জেলা পুলিশ
মোবাইল অপারেটররা দিতে পারবে ওয়াই-ফাই সেবা, আপত্তি আইএসপি অপারেটরগুলোর
নৌকায় বিদ্যালয়, হলো সূর্যোদয়
সর্বশেষ খবর
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট শুরু
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট শুরু
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
টিভিতে আজকের খেলা (২৬ এপ্রিল, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (২৬ এপ্রিল, ২০২৪)
ট্রাকেই পচে যাচ্ছে ভারত থেকে আনা আলু, বাজারে ৫৫ টাকা কেজি
ট্রাকেই পচে যাচ্ছে ভারত থেকে আনা আলু, বাজারে ৫৫ টাকা কেজি
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ