X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কী?

আমীন আল রশীদ
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৮:১৬আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৮:১৬

আমীন আল রশীদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কী? এই প্রশ্নটি তুলেছেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। জিনিয়া নামে ওই শিক্ষার্থী একটি ইংরেজি দৈনিকের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থানে, তাঁর নামে স্থাপিত বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর ম্যুরাল নির্মাণে অনিয়মের সংবাদ তৈরি করতে গিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বিশেষ করে উপাচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিনের রোষানলের শিকার হন বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। এ কারণে তার শিক্ষাজীবনই শুধু নয়, তার নিজের জীবনও বিপন্ন হতে বসেছিল, এরকম খবরও শোনা যাচ্ছে। এরকম বাস্তবতায় ওই শিক্ষার্থী ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে যে প্রশ্নটি তুলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কী’—তখন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের উচিত এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে একটি বিবৃতি দেওয়া। আরও ভালো হয় যদি দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা একত্র হয়ে একটি বিবৃতি দেন এবং সেই সঙ্গে এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী প্রশ্ন উত্থাপনের জন্য ওই শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানান।
একজন সাধারণ শিক্ষার্থী এমন এক সময়ে প্রশ্নটি তুললেন যখন দেশের অন্যতম প্রধান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগরে উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ থেকে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনকে চাঁদা দেওয়া এবং উপাচার্যের পরিবারের লোকজনের অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর নিয়ে গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়া সরগরম। যে ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির ঘটনা এটিই প্রথম নয়।

গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী এমন এক সময়ে এই প্রশ্নটি তুলেছেন যখন আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কতটি আসলেই বিশ্ববিদ্যালয়, আর কতটি কলেজের উন্নত সংস্করণ, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। তিনি এই প্রশ্নটি এমন এক সময়ে তুললেন যখন দুই-চারজন ব্যতিক্রম বাদ দিলে আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ভিসিই কোনও না কোনও কারণে বিতর্কিত। তিনি এই প্রশ্নটি এমন এক সময়ে তুললেন যখন একাডেমিশিয়ান তো বটেই, সাধারণ মানুষের মনেও এই প্রশ্ন রয়েছে, কোন যোগ্যতায় এবং কোন কোন মানদণ্ড বিবেচনায় একজন ভিসি হন। তিনি এই প্রশ্নটি এমন এক সময়ে তুললেন যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে প্রতিটি স্তরে দলবাজি-অনিয়ম-দুর্নীতি ওপেন সিক্রেট। সুতরাং ছোট্ট এই প্রশ্নটি গুরুত্বসহকারে আমলে নিয়েই এখন রাষ্ট্রের উচিত পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থার একটা রিভিউ করা।

এই অভিযোগ বহু পুরনো, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আসলে কলেজেরই উন্নত সংস্করণ। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজ যে গবেষণা, দুয়েকটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় যেমন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্য কোথাও আসলেই কী গবেষণা এবং সেসব গবেষণা নিয়ে কতটা আলোচনা হয়, তা দেশবাসীর অজানা নয়। আমরা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে চোখ বুলালে দেখব, প্রায়ই বিভিন্ন সময়ে গবেষণার ফল প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এবং তা নিয়ে গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ শিরোনাম হয়। দেশের সবচেয়ে বড় এবং স্বনামখ্যাত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবশেষ কবে এরকম সংবাদ শিরোনাম হয়েছে? বরং উল্টো হয়েছে। মেডিসিন অনুষদের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বাজারে পাওয়া দুধের মান নিয়ে গবেষণা করে যে ফল প্রকাশ করেছেন, সেটি ভুল প্রমাণ করার জন্য একটি প্রভাবশালী পক্ষ যেখানে রাষ্ট্রেরও অংশ আছে, তারা উঠেপড়ে লাগেন এবং খোদ রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহীও ওই অধ্যাপকের গবেষণা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্মরণকালের কবে কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গবেষণা করেছে এবং সেই গবেষণার ফল আমলে নিয়ে রাষ্ট্র একটি বড় নীতি প্রণয়ন, পরিবর্তন বা বড় কোনও সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এরকম ঘটনা কবে ঘটেছে?

ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যদি দর্শনগত কোনো পার্থক্য নাই থাকে, তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও প্রয়োজনীয়তা থাকে না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি কলেজেরই উন্নত সংস্করণ হয়, তাহলে সারা পৃথিবীতে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার প্রয়োজন হতো না। সুতরাং গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী যে প্রশ্নটি ‍তুলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কী’—সেই প্রশ্নের জবাব রাষ্ট্রকেই দিতে হবে।

এই প্রশ্নের যদি মীমাংসা হয়, তাহলে আমাদের এ প্রশ্নও তুলতে হবে—কারা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, অধ্যাপক ও উপাচার্য হচ্ছেন? তাদের অ্যাকাডেমিক যোগ্যতার চেয়েও এখন তিনি কোন এলাকার সন্তান এবং রাজনৈতিকভাবে কোন দলের অন্ধ সমর্থক ও অনুগত—সেটিই কি প্রধান বিবেচ্য নয়? যদি তাই হয়, তাহলে একজন পুলিশ সদস্য, একজন সরকারি অফিসের পিয়ন, একজন চায়ের দোকানদারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের কী তফাৎ?

উত্তরবঙ্গের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের খোদ রেজিস্ট্রার আমাকে বলেছেন, তার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটা বড় অংশেরই কলেজের শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা নেই। কিন্তু তারা একটি বিশেষ এলাকার লোক—শুধু এই পরিচয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছেন। তাহলে ওই শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার্থীদের কী পড়াবেন?

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিসটিংগুইশড প্রফেসর আলী রিয়াজকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম, প্রফেসর বলতে আমরা কী বুঝব? স্যার বলেছিলেন, ‘প্রফেসর হচ্ছেন একটি বটবৃক্ষ, যাকে দূর থেকে দেখা যায়। যাকে কাছ থেকে দেখলে শ্রদ্ধায় আপনার মাথা নত হয়ে আসবে।’ স্যারের এই কথা শোনার পরে মনে মনে ভাবলাম, এ মুহূর্তে দেশের কোন কোন অধ্যাপকের নাম মনে হলে শ্রদ্ধায় আমাদের মাথা নত হয়ে আসে? কিন্তু দেখা গেলো সেই তালিকাটি খুবই ক্ষুদ্র। বরং স্কুলে শৈশব-কৈশোরের কয়েকজন শিক্ষকের চেহারা মনে এলো। কিন্তু তারা কেউই প্রফেসর নন।

একজন প্রফেসরের অ্যাকাডেমিক যোগ্যতা ও অর্জন কী, তার চেয়ে বড় প্রশ্ন হওয়া উচিত তার নৈতিক মানদণ্ড কেমন। তার আচরণ, ভাষা, মানুষ সম্পর্কে তার বোধ ও মমতা, দেশ নিয়ে তার ভাবনা ইত্যাদি। কিন্তু একজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি যে ভাষায় মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন, যে অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়েছে, সেই ভাষা একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তো দূরে থাক, আমরা একজন পিয়ন বা নৈশপ্রহরীর কাছ থেকেও প্রত্যাশা করি না। সুতরাং কেউ যদি এখন এই প্রশ্ন তোলেন, এই ভাষা ও সন্তানতুল্য ছাত্রীর সঙ্গে এমন আচরণের একজন লোক কী করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি তো দূরে থাক, তিনি অধ্যাপকই বা হলেন কী করে, সেটি খুব খারাপ শোনাবে? সম্প্রতি শাড়ি নিয়ে একটি নিবন্ধে নারীকে শরীরসর্বস্ব প্রাণী হিসেবে উপস্থাপনের অভিযোগে কড়া সমালোচনার শিকার হয়েছেন আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে পরিচিত অধ্যাপক আব্দুলাহ আবু সায়ীদও।

প্রখ্যাত লেখক আহমদ ছফা ‘গাভী বিত্তান্ত’ নামে একটি উপন্যাস লিখেছিলেন, যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কল্পিত চরিত্র তুলে আনা হয়। ছফা বেঁচে থাকলে দেখতেন তার সেই কল্পিত ভিসিরাই এখন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ‘দায়িত্ব পালন’ করছেন। কিন্তু আমরা প্রফেসর ও উপাচার্য বলতে এরকম গাভী নয়, বরং একজন বটবৃক্ষকে চাই, যিনি শুধু তার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরই ছায়া হবেন না, বরং তিনি পুরো জাতি এবং রাষ্ট্রেরও অভিভাবক ও ছায়া হবেন। আমরা এমন কাউকে ভিসি হিসেবে চাই না, যিনি তার সন্তানতুল্য ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন ভাষায় কথা বলেন। আমরা এমন কোনও ভিসি চাই না, যিনি আন্দোলনের মুখে রাতের অন্ধকারে ক্যাম্পাস ছেড়ে পালিয়ে যান। আমরা এমন কোনও ভিসি চাই না, যিনি বিশেষ কর্মকর্তার পদ তৈরি করে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের চাকরি দেন এবং তার পক্ষে সাফাই গান।

বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে নেতৃত্ব তৈরির কারখানা। কিন্তু প্রশ্ন হলো, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কী ধরনের নেতৃত্ব তৈরি করছে? ছাত্ররাজনীতির নামে সেখানে চাঁদাবাজি, মাস্তানি আর প্রতিপক্ষ ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের ঠেঙানো ছাড়া আর কী শেখানো হয়? একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা জানি যার সামনের হাইওয়ে দিয়ে যত পাবলিক পরিবহন চলে, তাদের নিয়মিত মাসোহারা দিতে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের নেতাদের। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা সেখানের উপাচার্যের লাঠিয়াল হিসেবে কাজ করেন। তাহলে এই বিদ্যা শেখানো হচ্ছে?

দেশের সবচেয়ে গর্বের প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ-ডাকসুর নির্বাচনে কী হয়েছে? একজন নির্বাচিত ভিপিকে রাস্তায় কুকুর বিড়ালের মতো মারছে তারই সতীর্থরা। ডাকসু ভিপির ওপর হামলা শুধু একজন ব্যক্তির ওপর হামলা নয়, বরং এটি প্রকারান্তরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপরেই হামলা। কিন্তু ভিপি নুরুল হকের ওপর এই হামলার প্রতিবাদে উপাচার্য কোনও ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরে থাক, তিনি একটি বিবৃতিও কি দিয়েছেন?  

২৮ বছরের প্রতীক্ষার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু নির্বাচন নিয়ে শুধু এই বিদ্যাপীঠের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাই নন, বরং দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাধারণ মানুষেরও ব্যাপক আগ্রহ ছিল। যে কারণে ভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন থেকেই কোনও না কোনোভাবে ডাকসু নির্বাচনের ইস্যুটি গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়।

জাতীয় রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চরম বৈরিতা থাকলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ দুটি দলের ছাত্র সংগঠনের মধ্যে আপাতদৃষ্টিতে একটা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান দেখা গেছে, যা রাজনীতিতে অনেক সমস্যার মধ্যেও মানুষকে আশাবাদী করে তুলেছিল। দীর্ঘদিন পরে ক্ষমতাসীন ও ক্ষমতার বাইরে থাকা ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি, সংবাদ সম্মেলন সেই সহাবস্থানে নতুন মাত্রা যোগ করে। মানুষের মনে এই বিশ্বাস তৈরি হয়, জাতীয় রাজনীতিতে যত সংকটই থাকুক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেই স্রোতে গা ভাসায় না। বরং এখানে এক ধরনের সহনশীলতা ও ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধার চর্চা আছে। ভোটের আগের দিন পর্যন্ত অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ যাই থাকুক না কেন, মানুষের মনে এরকম একটি বিশ্বাস ছিল, দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে আর যাই হোক একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এখানে যে ধরনের ভোট হলো, তাতে আর ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে কারো আগ্রহ আছে কি না সন্দেহ।

সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কী—এই প্রশ্নের পাশাপাশি আমাদের এখন প্রশ্নও তুলতে হবে, ছাত্ররাজনীতি ও নেতৃত্ব বিকাশের নামে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আসলে কিসের চর্চা হচ্ছে এবং জাতীয় স্বার্থে সেগুলো আর কতদিন চলতে দেওয়া হবে?

লেখক: বার্তা সম্পাদক, চ্যানেল টোয়েন্টিফোর।

/এমএমজে/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
নারায়ণগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ, আহত ৩
নারায়ণগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ, আহত ৩
সুন্দরবনে আগুন ছড়ানো রুখতে দেওয়া হয়েছে বেরিকেট
সুন্দরবনে আগুন ছড়ানো রুখতে দেওয়া হয়েছে বেরিকেট
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ