X
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
৫ বৈশাখ ১৪৩১

অপুর মৃত্যু, শওকতের প্রতিবাদ, আমাদের ‘সিস্টেম’

আমীন আল রশীদ
০৪ অক্টোবর ২০২১, ১৮:২৪আপডেট : ০৪ অক্টোবর ২০২১, ১৮:২৪
আমীন আল রশীদ রাজধানীর চানখারপুল এলাকার একটি মেস থেকে যেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসুদ আল মাহদী অপুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়, সেদিনই রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় পুলিশ ও জনতার সামনে নিজের মোটরবাইকে আগুন ধরিয়ে দেন শওকত আলী সোহেল নামে এক যুবক—যিনি ওই মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন (রাইড শেয়ারিং) করে সংসার চালাতেন।

ন্যায্য দাম না পাওয়ায় রাস্তায় ধান, পেঁয়াজ, আলু বা টমেটো ফেলে দিয়ে কৃষকের প্রতিবাদ নতুন কিছু নয়। একবার নিজের ধানক্ষেতে আগুন দিয়ে আলোচিত সমালোচিত হয়েছিলেন এক কৃষক। কিন্তু শওকত তার মোটরবাইকে আগুন দিয়েছেন পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে—যিনি করোনায় চাকরি হারিয়ে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে সংসারের চাকা ঘোরানোর চেষ্টা করছিলেন। অর্থাৎ এটিই ছিল তার জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। সুতরাং, কতটা ক্ষুব্ধ হলে একজন মানুষ নিজের রুটিরুজিতে আগুন ধরিয়ে দিতে পারেন—তা ভুক্তভোগী ছাড়া কারও পক্ষে আন্দাজ করাও কঠিন।

গত এপ্রিলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) একটি জরিপের ফলাফল প্রকাশ করে বলা হয়, ‘কোভিডের আঘাতে দেশে নতুন করে দরিদ্র হয়েছে ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষ। সবার সঞ্চয় কমেছে আশ্চর্যজনকভাবে। অরক্ষিত অদরিদ্র এবং দরিদ্র নয় এমন শ্রেণির মানুষের সঞ্চয়ের পরিমাণ কোভিড-পূর্ববর্তী অবস্থার চেয়ে নিচে নেমে গেছে। একইসঙ্গে সব শ্রেণিতেই ঋণ গ্রহণের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। কৃষক ছাড়া জরিপে অংশগ্রহণকারী বাকি সব পেশার মানুষের আয় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় কমেছে।’ যাদের আয় কমেছে বা কর্মহীন হয়েছেন, সেই মানুষদেরই একজন শওকত আলী সোহেল—একসময় যার ছোট ব্যবসা ছিল; করোনার কারণে ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। দুই তিন মাস ধরে মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা করছিলেন।

কিন্তু ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে রাজধানীর বাড্ডা-লিংক রোডে ট্রাফিক পুলিশের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। আগের সপ্তাহে ট্রাফিক পুলিশ একটি মামলা দেওয়ার পর এদিন কাগজপত্র দেখতে চাইলে ক্ষোভ থেকে এ কাজ করেছেন বলে জানান শওকত। ঘটনার পরে তাকে একটি মোটরসাইকেল উপহার দেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা গোলাম রাব্বানী। যদিও শওকত আলী সোহেল বলেছেন, রাইড শেয়ারিং অ্যাপসের সিস্টেম যদি না বদলানো হয় এবং রেট যদি কমানো না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে আর পাঠাও চালাবেন না। সেই সাথে রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ সঠিকভাবে আইনের প্রয়োগ করবে বলেও তিনি প্রত্যাশা করেন।

কথা হচ্ছে, এই প্রত্যাশা তো সবারই। কিন্তু কেন বারবার রাস্তায় নাগরিকদের হয়রানির অভিযোগ ওঠে? কেন সিস্টেম বদলানোর দাবি ওঠে? গলদটা কোথায়?

ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে খুব সাধারণ অভিযোগ এবং শওকতের মোটর বাইক জ্বালিয়ে দেওয়ার পরে এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ মানুষ যেসব প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, সেখানেও এই অভিযোগ লক্ষ করা গেছে যে, পুলিশ মোটর বাইকের বিরুদ্ধে অভিযান চালালেও অলিগলি ও মূল রাস্তায় সাইলেন্সারের পাইপ খুলে হেলিকপ্টারের মতো বিকট শব্দে ছুটে চলা বখাটে এবং  চি‌হ্নিত রাজ‌নৈ‌তিক নেতাকর্মীদের হেলমেট ছাড়া দেখলেও আটকায় না বা মামলা দেয় না। অথচ সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে যারা রাইড শেয়ারিং করে সংসার চালান, তাদের আটকায়; গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে মামলা দেয়।

রাস্তায় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ অবশ্যই যানবাহনের কাগজ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করবে—এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই প্রক্রিয়াটি কতটা সমান, অর্থাৎ ট্রাফিক পুলিশ সবার সাথে সমান আচরণ করে কিনা—তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। দ্বিতীয়ত, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় রাইড শেয়ারিং জনপ্রিয় হলেও অনেকেই এর নীতিমালার ব্যাপারে স্পষ্ট নন।

গত ২ অক্টোবর বিবিসি বাংলার একটি সংবাদের শিরোনাম: ‘পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানি করা, চালকদের অদক্ষতার অভিযোগ ও মানুষের আইন ভাঙার প্রবণতা নিয়ে নাকাল ঢাকার ট্রাফিক সিস্টেম’। খবরে বলা হয়, নগরীতে অসহনীয় যানজটের কারণে রাইড শেয়ারিং অ্যাপে মোটর বাইকের ব্যবহার ব্যাপক হারে বেড়েছে। কিন্তু রাস্তার পরিস্থিতি আরও বিশৃঙ্খল হয়ে উঠেছে। মোটর বাইকের জন্য আলাদা কোনও জায়গা বা স্ট্যান্ড না থাকায় যাত্রী নেওয়ার জন্য এখানে-ওখানে বাইক দাঁড়িয়ে থাকে। কিন্তু মাঝে মধ্যেই পুলিশ তাড়া দেয়। চাবি নিয়ে কাগজপত্র চায়। মামলা দেয়।

তবে একতরফা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগেরও সুযোগ নেই। কারণ, মানুষের মধ্যে ট্রাফিক আইন ভাঙার প্রবণতা তীব্র। অনেক পেশা ও পরিচয়ের মানুষ আইন ভাঙার পরে উল্টো পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণও করেন। এখন যারা রাইড শেয়ারিং করছেন, তাদের অনেকেই একসময় অন্য পেশায় ছিলেন। তাদের অনেকেই দক্ষ চালক নন। ফলে মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। সুতরাং, রাইড শেয়ারিংয়ের নামে অদক্ষ চালকরা রাস্তায় নতুন করে ঝুঁকি তৈরি করছেন কিনা—সেটি দেখার দায়িত্বও ট্রাফিক পুলিশের এবং সেই কাজ করতে গেলে তাদের অভিযান চালাতেই হয়। তার সাথে রাস্তার উল্টো দিক দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাওয়া, ফুটপাতে মোটরসাইকেল উঠিয়ে দেওয়া, অহেতুক হর্ন বাজিয়ে মানুষকে বিরক্ত করার মতো ঘটনাও নৈমিত্তিক। সুতরাং এসব নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কঠোর হওয়ার বিকল্প কী? কিন্তু প্রশ্ন হলো, এসব নিয়ন্ত্রণের একমাত্র উপায় কি গণহারে মামলা দেওয়া?

গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিনের একটি খবরে বলা হয়, গত জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৮ মাসে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ট্রাফিক পুলিশ ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৫৬২টি মামলায় জরিমানা করেছে ১৫২ কোটি ৫৬ লাখ ৭০ হাজার ৩৮৭ টাকা। ট্রাফিক পুলিশ কারণে-অকারণে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলেও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।

ঢালাও মামলা ও অযৌক্তিক জরিমানার কারণে বহু বাস মালিকের ব্যবসা বন্ধ হওয়ার পথে উল্লেখ করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেছেন, ‘যে মামলাই ট্রাফিক পুলিশ করুন, জরিমানা গুনতে হয় মালিককে।’ তিনি বলেন, করোনার লকডাউনজনিত কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পরিবহন খাত। মাস দুয়েক হলো রাস্তায় গাড়ি চলছে। কিন্তু সিটি সার্ভিসের গাড়িগুলোসহ অনেক গাড়ির বিরুদ্ধে ট্রাফিক পুলিশ কারণে-অকারণে মামলা দেওয়ায় বহু মালিক এখন নিঃস্ব। মালিকরা গাড়ির ঋণের কিস্তি দেওয়া, এমনকি বাসায় বাজারও করতে পারেন না।’উল্লেখ্য, পাঠাও এবং উবারের মতো রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানের অনেক নিয়ম-কানুনও বাইকারবান্ধব নয় বলেও অভিযোগ আছে। অর্থাৎ এখানেও সিস্টেমের সমস্যা।

২.

অপুর প্রসঙ্গে আসা যাক।

এতক্ষণ যে সিস্টেমের কথা বলা হলো, সেই সিস্টেমের কারণে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপু। এখন পর্যন্ত গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে তা-ই মনে হচ্ছে। গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের মেধাবী ছাত্র অপু দীর্ঘদিন ধরেই চাকরি-বাকরি না পাওয়ায় হতাশ ছিলেন। সে কারণেই শেষমেশ আত্মহননের পথ বেছে নেন।

শুধু অপু নন, করোনা মহামারির সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। এরমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই ১১ জন। কিন্তু এসব শিক্ষার্থী কেন আত্মহত্যা করেছেন, তা জানতে কর্তৃপক্ষের কোনও উদ্যোগ নেই। তবে এই মৃত্যুর পেছনে যে শিক্ষাজীবন নিয়ে হতাশা এবং চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা একটি বড় কারণ, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।

অপুর একজন শিক্ষক ফাহমিদুল হক ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অপুকে ধারণ করার যোগ্যতা সিস্টেমের নেই।’ তিনি যা লিখেছেন তার সারমর্ম মোটামুটি এরকম:  মাসুদ আল মাহাদী (অপু) মেধাবী ছাত্র ছিলেন। সত্যিকারের মেধাবী। ফলাফলও ভালো করতেন। তবে গতানুগতিক ভালো ফলাফল করাদের মতো তিনি ক্লাসে খুব নিয়মিত ছিলেন না। তিনি প্রশ্ন করতেন, প্রতিবাদ করতেন। কিন্তু একজন শিক্ষক একজন শিক্ষার্থীকে কীভাবে টার্গেট করে ক্ষতিগ্রস্ত করেন, তা তদন্ত করার বা ব্যবস্থা নেওয়ার সামর্থ্য বা ইচ্ছা কোনোটাই আমাদের নেই। ফলে আমাদের সিস্টেম অপুদের হতাশ হতে বাধ্য করে।

অপু নিশ্চয়ই শিক্ষক হতে চাইতেন। একাই ১০ জন শিক্ষকের কাজ করার মতো ক্ষমতা তার ছিল। কারণ, তিনি পড়তেন গভীরভাবে, শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করতে শেখাতে পারতেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ। কিন্তু তিনি বা তার শিক্ষকদেরও অনেকে জানতেন যে অপুকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হবে না। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় চায় অনুগত গাধাদের। অপু অনুগত গাধা ছিলেন না। তিনি ছিলেন প্রতিবাদী। সিস্টেম পরিবর্তনের জন্য তিনি আন্দোলন করতেন। নিপীড়নবিরোধী আন্দোলনেও ছিলেন সক্রিয়। সুতরাং বিদ্যমান সিস্টেম তাকে বাঁচতে দেয়নি।

বস্তুত বিশ্ববিদ্যালয়কে যে মুক্তবুদ্ধিচর্চা, জ্ঞান উৎপাদন এবং পুরনো ধ্যান-ধারণা ও চিন্তাকে চ্যালেঞ্জ করার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচনা করা হয়—সেই জায়গা থেকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বহুদূরে সরে গেছে। কারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হন, কোন প্রক্রিয়ায় হন, শিক্ষক হওয়ার পরে তারা গবেষণা ও অ্যাকাডেমিক কাজে কতটুকু সময় ব্যয় করেন আর কতটা সময় দলাদলি/দালালি এবং ‘ক্ষ্যাপ’ মারার কাজে ব্যস্ত থাকেন—তা নিয়ে প্রশ্নের অন্ত নেই। অর্থাৎ পুরো সিস্টেমটাই গলদপূর্ণ। যে কারণে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের নামাঙ্কিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের একজন শিক্ষকও তার ছাত্রদের চুল কেটে দেওয়ার জন্য কাঁচি হাতে নিয়ে পরীক্ষার হলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন এবং ১৪ জন শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেন।

প্রশ্ন হলো, শিক্ষার্থীদের মাথার চুল কেটে দেওয়া যায়, তা বাংলাদেশের কোন ঐতিহ্য বা সংস্কৃতিকে রিপ্রেজেন্ট করে? এ রকম একজন নিম্নরুচির মানুষ কী করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হন। উত্তরটা জানা। ওই যে সিস্টেম। যে সিস্টেম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে আত্মহননের পথে ঠেলে দেয়। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিনের নির্যাতনের শিকার হয়ে তারই একজন ছাত্র আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।

কী ভয়াবহ ব্যাপার! যে শিক্ষক হচ্ছেন একজন শিক্ষার্থীর সবচেয়ে বড় আশ্রয়, সেই শিক্ষকই তার জন্য সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম! সেই শিক্ষকই তাকে চারতলা থেকে লাথি মেরে নিচে ফেলা দেওয়ার হুমকি দেন। অথচ একজন ছাত্র তার শিক্ষকের পায়ের কাছে বসে থাকবেন। তাকে বাবা-মায়ের মতো শ্রদ্ধা করবেন—এটিই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পরীক্ষায় নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রেও শিক্ষার্থীর রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা করেন। কারণ, তিনি নিজেও শিক্ষক হয়েছেন রাজনৈতিক বিবেচনায়। অতএব, তাকে সেই আনুগত্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। শিক্ষক যখন নিজের রাজনৈতিক আনুগত্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ব্যস্ত, তখন আমরা খবর পাই—বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকার তলানিতেও আমাদের দেশের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়, এমনকি দেশের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয়, ভালোবেসে আমরা যাকে ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ বলি—সেই প্রতিষ্ঠানের নামটিও নেই। কারণ, আমাদের ‘সিস্টেম’ ঠিক নেই। উপরন্তু সেই সিস্টেম ঠিক করতে গেলে অপুদের প্রাণ দিতে হয়।

লেখক: কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর, নেক্সাস টেলিভিশন।
/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
বিএনপির চিন্তাধারা ছিল অন্যের কাছে হাত পেতে চলবো: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপির চিন্তাধারা ছিল অন্যের কাছে হাত পেতে চলবো: প্রধানমন্ত্রী
রেকর্ড স্টোর ডে: এবারও বিশেষ আয়োজন
রেকর্ড স্টোর ডে: এবারও বিশেষ আয়োজন
পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ