X
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
৩ বৈশাখ ১৪৩১

আপনার বিবেক বলবে ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মাসুদা ভাট্টি
২৫ জুন ২০২২, ১২:২৯আপডেট : ২৫ জুন ২০২২, ১২:২৯

১৯৮০ সালের কথা স্মরণ করি। দৌলতদিয়া ঘাটে বাস, ট্রাক আর ব্যক্তিগত গাড়ির সারি। অপেক্ষমাণ ফেরির জন্য। দূরে ফেরি দেখা যাচ্ছে। অসংখ্য মানুষ, অবশ্যই এখনকার তুলনায় কম। ঘাট অনেক দূরে। অনেকটা পথ বালিময়, তার ভেতর দিয়ে গিয়ে গাড়িগুলো ফেরিতে ওঠে। কেউ কেউ লঞ্চেও পার হয়, তাদের আরও কষ্ট। বাক্সপেটরা,সন্তান-সন্ততি নিয়ে তারা গিয়ে লঞ্চে ওঠেন। বর্ষাকাল হলেও পদ্মায় দাঁড়ানো লঞ্চে উঠতে অনেক ঝক্কি। আর শীত গ্রীষ্মে তো কথাই নেই। ফেরি এসে লাগছে ঘাটে, আরিচা থেকে আসা গাড়িগুলো নামার আগেই দৌলতদিয়া পাড়ের দাঁড়ানো গাড়িগুলো প্রতিযোগিতা শুরু করে কার আগে কে উঠবে। সে এক দেখার মতো বিশৃঙ্খলা। এরমধ্যে সরকারি কিংবা ক্ষমতাবান কারও গাড়ি থাকলে তো কথাই নেই, মৃত্যু পথযাত্রী রোগীকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স হোক কিংবা যত জরুরি কাজেই কেউ আসুন না কেন, তাদের আগে ফেরিতে উঠতে দিতে হবে। দায়িত্বরত পুলিশ আছেন ঠিকই কিন্তু তাদের ক্ষমতার দৌড় কতই বা। এরকমই এক অসুস্থ প্রতিযোগিতায় যখন ফেরিতে ওঠার জন্য গাড়িগুলো বিকট চেষ্টা করছে, তখন আমাদের সামনে দাঁড়ানো একটি ট্রাক তার সামনের একটি বাসকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে বাসটি সরাসরি পদ্মার পানিতে গিয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে কান্নার রোল ওঠে, শুরু হয়ে যায় চরম অরাজক পরিস্থিতি। যদিও নিয়ম হচ্ছে ফেরিতে ওঠার আগে গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়ানো কিন্তু কতজন শোনে সে কথা। গাড়িতে কতজন ছিল সে হিসাব জানা বা বোঝার বয়স আমার হয়নি তখনও। আমি দেখলাম চোখের সামনে প্রবল স্রোতের পদ্মার ভেতর বাসটি যেন মিলিয়ে গেলো। অনেকটা দূরে গিয়ে কিছু কিছু লোক ভেসে উঠতে লাগলো। শিশুমনে সেই দৃশ্য বহু দিন আমাকে তাড়িয়ে ফিরেছে। খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেছি কতজন মানুষ মারা গেলো, কিন্তু সে খবর আমি পরেও জোগাড় করতে পারিনি। দুঃস্বপ্নের মতো সে দৃশ্য আমি মনের মধ্যে বয়ে বেড়াচ্ছি আজও।

১৯৮৯ সালের কথা। বয়স একটু বেড়েছে, পত্রপত্রিকা পড়ি। সিনেমা-টেলিভিশনের খবর রাখি। সীমানা পেরিয়ে, সূর্যকন্যা ছবি দেখেছি, বুঝেছি কতটা জানিনে, কিন্তু এটা জেনেছি যে আলমগীর কবীর এ দেশের একজন প্রথিতযশা চলচ্চিত্রকার। নাম শুনেছি টিনা খানেরও। তাকে প্রধান চরিত্রে রেখে একটি সিনেমাও বেরিয়েছে, নাম প্রিন্সেস টিনা খান। তাকে নিয়ে, আলমগীরকে নিয়ে তখন আলোচনা যে বাংলাদেশের সিনেমা জগৎ এরকম সু-অভিনেত্রী আর পরিচালক পেয়ে এগিয়ে যাবেই যাবে। কিন্তু জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখে বগুড়ায় একটি চলচ্চিত্র উৎসব থেকে ফেরার পথে নগরবাড়িতে ফেরির জন্য অপেক্ষাকালে পেছন থেকে এক ট্রাকের ধাক্কায় তাদের বহনকারী গাড়িটি যমুনায় পড়ে যায় এবং আলমগীর কবীর ও টিনা খান মৃত্যুবরণ করেন। বেঁচে ফিরে আসেন আরেক প্রথিতযশা চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী। আমার মনে ফিরে আসে ১৯৮০ সালের সেই ভয়ংকর স্মৃতি। আমি আর পত্রিকার পাতা খুলতে পারি না। মনের ভেতর সারাক্ষণ ফিরে ফিরে আসে চোখের সামনে তীব্র স্রোতের ভেতর নেমে যাওয়া সেই বাসখানি। ভেতরে কতজন যাত্রী ছিল আজও জানতে পারিনি।

পদ্মা বদলেছে। নতুন ঘাট হয়েছে মাওয়ায়। ওপারে বাংলাবাজার। মা বেঁচে থাকতে দেশে এলে তো মায়ের কাছেই পদ্মার ওপারে থাকতে হতো। আর যতবার এই ভয়ংকর পদ্মা পার হতে হতো ততবার মনে হতো, বিশ্ব থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ দিকটা কি তবে আলাদা? যেখানে যেতে হলে হাতের ভেতর প্রাণটা নিয়ে তবে যেতে হয়? বাংলাদেশের বয়স বাড়ছিল, উন্নতির ছোঁয়া লাগছিল সর্বত্র। প্রথমে মেঘনা ও গোমতিতে দুটি সেতু হলো, তারপর সিলেট যাওয়ার পথে সেতুটিও হলো ভৈরবে। হঠাৎ আমরা দেখতে পেলাম যে বাংলাদেশের উত্তর দিককার অংশটি রাজধানীর সঙ্গে জুড়ে গেলো বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে। মঙ্গা চলে গেলো জাদুঘরে এবং সেটা রাতারাতি। তখন মনে হতে লাগলো যে বাংলাদেশে এটা তবে সবচেয়ে বড় বৈষম্য যে দেশের ২১টি জেলার সঙ্গে রাজধানীর আসলে প্রত্যক্ষ কোনও সংযোগ নেই। একটি বিশাল ও বিপদময় নদী পার হয়ে তবে রাজধানীতে পৌঁছতে হতো। এরকম আলোচনায় প্রায়ই মাকে বলতে শুনতাম, ‘ভেবে দেখো তো, এই এপার থেকেই তো, গোপালগঞ্জের মতো জায়গা থেকে বঙ্গবন্ধু বের হয়ে গিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন। তারও আগে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক বরিশাল থেকে বেরিয়ে গিয়ে উপমহাদেশের নেতা হয়েছেন”। কথা সত্য এবং বিস্ময়করও বটে। কারণ, আমাদের সময়েই ভাঙ্গা থেকে ঢাকার গুলিস্তানে এসে পৌঁছাতে সময় লাগতো পাক্কা দশ ঘণ্টা কিংবা তারও বেশি সময়। আর বঙ্গবন্ধুরকালে গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসতে প্রথমে নৌকা, তারপর লঞ্চে করে এসে সদরঘাটে নামতে হতো। বাসে যাতায়াত শুরু হলো তো এই সেদিন!

পদ্মায় আরও শত শত প্রাণ নিলো, জল কমলেও পদ্মার জৌলুস কমলো না। ১৯৯৮ সালে যমুনার ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতু খুলে দেওয়া হলো, সেটার ওপর দিয়ে রেলপথও সংযুক্ত করলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু পদ্মার কথা কেউ ভাবে না। শুধু মাঝে মাঝে শেখ হাসিনা তার বক্তৃতায় বলেন, সুযোগ এলে তিনি পদ্মা সেতু করবেন। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেই তিনি দক্ষিণবঙ্গবাসীকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন পদ্মা সেতুর। তখন কারও অসুখ হলে ঢাকায় নিয়ে আসার কথা ভাববার আগে পদ্মাকে অভিশাপ দিতে দেখেছি বয়স্ক গ্রাম্য নারীদের। বিলাপ করে বলতে শুনেছি, ‘পদ্মায় সব্বনাশ করবে, পদ্মা কি আর কাউরে ফিরায়ে দেয়?’ কিন্তু মানুষের ভেতর স্বপ্ন তৈরি হয়েছিল। কারণ, শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে গিয়েছিলেন ২০০১ সালে নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে এ দেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে। ওপারের মানুষের মধ্যে স্বপ্নটা কী পরিমাণ বিস্তৃত হয়েছিল তার একটা উদাহরণ দিই। এক আত্মীয়ের বাড়ি ছিল শিবচরে, এখন যেখান দিয়ে পদ্মা সেতু নেমেছে তার কাছেই। পদ্মা সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে যখন জাপান সমীক্ষা চালায় তখন এসব এলাকায় জাপান থেকে আসা প্রকৌশলী কিংবা বিশেষজ্ঞরা গিয়েছেন, সঙ্গে এ দেশের সহযোগীরা। তাদের দেখে সেই আত্মীয় ভদ্রলোক তার সন্তানদের বলেছেন, মরে গেলেও এক ছটাক জমি কেউ বিক্রি করবি না, এ জমির দাম একদিন সোনার মতো মূল্যবান হবে। সত্যি তা-ই হয়েছে, এখন সেই আত্মীয় ভদ্রলোক নিজেই গর্ব করে বলেন যে তিনি ‘কয়েক কোটিপতি’, ছেলে-ছেলের বউ-নাতিদের নিয়ে তিনি থাকেন পদ্মার ওপারে নির্মিত পুনর্বাসন আবাসিক এলাকায়। যেখানে তার নাতিরা স্কুলে পড়ে, কথায় কথায় তিনি এখন আমাদের বলেন, ‘তোমরা গিয়া ঢাহায় থাহো, শ্যাখ হাছিনায় আমারে এহানেই গুলশান বানাইয়া দেছে’।

একজন ব্যক্তিমাত্রের অভিজ্ঞতার কথা বলছি পদ্মাকে ঘিরে। পুত্রের বয়স সাত বছর তিন মাস। পদ্মা পার হওয়ার অভিজ্ঞতা তারও কম নেই। অসংখ্যবার ফেরিঘাটে তুমুল যুদ্ধ করে কখনও কখনও (বিশেষ করে ঈদে-চাঁদে) সতের/আঠার ঘণ্টা ফেরির জন্য অপেক্ষায় থেকে পদ্মা পার হতে হয়েছে তাকেও। একবার নিষ্ঠুর এক প্রয়োজনে তাকে স্পিডবোটে করে পদ্মা পার হতে হয়েছিল, তখনও তার বোঝার মতো বয়স হয়নি। বিরাট ঢেউ আর প্রবল স্রোত বয়স্ক মানুষের ভেতরই প্রবল ভয়ের জন্ম দেয়, ও তো শিশু। স্পিডবোটে পদ্মা পার হওয়া শিশুটিকে যখন বলা হলো পদ্মা সেতু নিয়ে কয়েকটি লাইন লিখতে, তখন সে লিখলো, ‘পদ্মা একটি ভয়ের নদী। সমুদ্রের মতো দেখতে। একবার স্পিডবোটে করে পদ্মা পার হয়েছিলাম আমি। আমি রাতে দুঃস্বপ্ন দেখেছিলাম অনেক দিন, দেখেছিলাম পদ্মায় ডুবে যাচ্ছি। ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’ এর একটি বাক্যও তাকে কেউ শিখিয়ে দেয়নি। তার সাত বছরের জন্মদিনে পদ্মা সেতুই নাকি তাকে দেওয়া দেশের সবচেয়ে বড় উপহার। এ শুধু তার একার কথা নয়, এটা দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে জন্মসূত্রে যুক্ত প্রতিটি শিশুর কথা। যে শিশুটি আজ ভূমিষ্ঠ হবে সে যেমন বলবে, ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে এই সেতুটি উপহার দেওয়ার জন্য, তেমনি একজন অশীতিপর বৃদ্ধও বলবেন, ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে জীবনের শেষ সময়ে এসে কোনোরকম অপেক্ষা ছাড়া ভয়াল পদ্মা পাড়ি দেওয়ার আতঙ্ক থেকে বাঁচানোর জন্য। কোথায় কমসে কম ছয় ঘণ্টা আর কোথায় ছয় মিনিট। আরও কুড়ি বছর আগে পদ্মা সেতু হলে কমপক্ষে আরও ছয় হাজার মানুষের প্রাণ বাঁচানো যেতো, যারা ঢাকায় আসতে আসতে কিংবা পদ্মা পার হওয়ার কষ্টের কথা ভেবে ঢাকায় আসেননি চিকিৎসা নিতে, অসংখ্য ছাত্রের উচ্চশিক্ষা হয়নি, কোটি কোটি মণ সবজি-ফুল-দুধ-মাছ সাশ্রয় হতো, যা পথে নষ্ট হয়েছে কিংবা কোনও উদ্যোক্তা মূল্যবৃদ্ধির শঙ্কায় তা ঢাকায় পাঠাতেই চাননি। কুড়ি বছরের কথা এ কারণেই বলা যে মাঝখানে এ দেশের ক্ষমতা এমন এক শাসকগোষ্ঠীর হাতে গিয়েছিল, যাদের পদ্মা সেতু বানানোর সক্ষমতা তো ছিল না, তারা চানওনি কখনও। তাদের নিজেদের পেটগহ্বর ভরা হলে তবেই না এমন জাতীয় স্বার্থকে সমুন্নত করার জন্য স্থাপনা করবেন! যদিও এখন মিথ্যা বলছেন যে তারা পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তরও নাকি উদ্বোধন করেছিলেন। আজ সেই প্রস্তর ফলক কোথায় তা কীর্তিনাশা পদ্মারও জানা নেই। জানবে কী করে, যা হয়নি তা নিয়ে যাই-ই বলা হোক তা তো মিথ্যাচার। সেসব আজকে থাক। আগামী দিন বলবো।

আজকে শুধু এটুকু বলে শেষ করি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে নৌকা কিংবা লঞ্চে করে বেরিয়ে একটি স্বাধীন দেশ দিয়েছেন বাঙালি জাতিকে। দূরত্ব কিংবা পথের ভয়াবহতা তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সেই টুঙ্গিপাড়াতেই জন্মেছেন। প্রথম ঢাকায় এসেছিলেন নৌকায় করে। আজ তিনি দেশকে দিলেন একটি সেতু, সর্বনাশা পদ্মাকে তিনি উন্নয়নের সুতোয় বুনে দিলেন। বাংলাদেশের কোনও অংশই এখন আর বিচ্ছিন্ন থাকলো না, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া যুক্ত হলো এই পদ্মা সেতু দিয়েই। বাংলাদেশের মানচিত্রের দিকে তাকান, শুধু বাংলাদেশ যুক্ত হলো সকল অংশের সঙ্গে নাকি রাজধানী ঢাকাকেও বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত করে দিলো এই সেতুটি? ভাবছেন অতিশয়োক্তি হচ্ছে? সকল কু-প্রচার আর কুৎসিত মিথ্যা থেকে বিবেকে সরিয়ে চোখ বন্ধ করে নিজেকে প্রশ্ন করুন তো, প্রমত্তা পদ্মা আপনাকে পৃথিবীর সঙ্গে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল কিনা? আর পদ্মা সেতু আপনাকে পৃথিবীর সঙ্গে জুড়ে দিলো কিনা? আপনার মন সঠিক উত্তর দিতে দ্বিধা করবে না, মানুষ নিজের সঙ্গে নিজে ছলনা করতে পারে না। আপনার বিবেক আপছে বলবে, ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আপনি শত বাধা অতিক্রম করে একটি পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন, আপনার কাছে কৃতজ্ঞতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

লেখক: এডিটর ইনচার্জ, দৈনিক আমাদের অর্থনীতি

[email protected]

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
লেবাননে এক হিজবুল্লাহ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
লেবাননে এক হিজবুল্লাহ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
মুজিবনগর দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী
মুজিবনগর দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী
আইইউবিতে অনুষ্ঠিত হলো জলবায়ু বিজ্ঞানী সালিমুল হক স্মারক বক্তৃতা
আইইউবিতে অনুষ্ঠিত হলো জলবায়ু বিজ্ঞানী সালিমুল হক স্মারক বক্তৃতা
আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ