X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার হবে, প্রত্যাবাসন কবে?

এরশাদুল আলম প্রিন্স
২৫ আগস্ট ২০২২, ০০:৩৭আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২২, ০০:৩৭

২০১৭ সালে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধন ও দমন-পীড়ন শুরু করে। জীবন বাঁচাতে লাখো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। এর আগে আরও রোহিঙ্গা এখানে আশ্রয় নিয়েছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১২ লাখ নিবন্ধিত রোহিঙ্গা রয়েছে।

রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ ও নানা দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সঙ্গত কারণে বাংলাদেশই প্রথম প্রতিবাদ করে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে রোহিঙ্গা দমন-পীড়নের ভয়াবহতার কিছু খণ্ডচিত্র প্রকাশিত হওয়ার পর বিশ্ববাসী নড়েচড়ে বসে। কিন্তু জাতিসংঘ বা অন্য কোনও আন্তর্জাতিক সংস্থা মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কার্যকর ও আইনি কোনও পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়।

দুই বছর পর রোহিঙ্গা গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে গাম্বিয়া ২০১৯ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক আদালতের (আইসিজে) শরণাপন্ন হয়। এর তিন বছর পর গত ২২ জুলাই আইসিজে ওই মামলায় একটি অন্তর্বর্তী রায় দেন। রোহিঙ্গা গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে এ আদেশের একটি ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। এ আদেশের মাধ্যমে মিয়ানমারের চূড়ান্ত বিচার হয়নি, বিচারের পথ উন্মুক্ত হলো মাত্র।  সেই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের বাড়ি ফেরার ও তাদের নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টিও ত্বরান্বিত হলো বলেই মনে হয়।  

গাম্বিয়ার মামলার বিরুদ্ধে মিয়ানমার যেসব আপত্তি তুলেছিল আদালত সেসব আপত্তি  খারিজ করে দিয়ে মামলা চলার পক্ষে রায় দিয়েছেন। এর ফলে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত গণহত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলবে।

আদালত বলেছে, গণহত্যাসহ সব ধরনের নিপীড়নমূলক কাজ থেকে মিয়ানমারকে নিবৃত্ত থাকতে হবে। গণহত্যামূলক কাজের সব প্রমাণ সংরক্ষণ করা এবং আদালতের চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত প্রতি ছয় মাসে মিয়ানমারকে একটি স্ট্যাটাস রিপোর্টও আদালতে জমা দিতে হবে।

কিন্তু বিশ্ববাসী দেখেছে গণহত্যার সব আলামত তারা অনেক আগেই নষ্ট করে ফেলেছে। বিশ্ব গণমাধ্যমে যেসব খবর রয়েছে তার বাইরে ঘটনাস্থলের সব আলামতই আজ গায়েব। বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের প্রত্যক্ষ সাক্ষ্যই আজ মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ।

এর আগে আদালত ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের গণহত্যার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য জান্তা সরকারের প্রতি আরেকটি অন্তর্বর্তী আদেশ জারি করেছিলেন। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে কোনও গণহত্যামূলক কাজ প্রতিরোধ করা, তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা ও গণহত্যা ও নৃশংসতার অভিযোগ–সম্পর্কিত কোনও সাক্ষ্য-প্রমাণ যাতে বিনষ্ট করা না হয় আদালত সে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আদালত তখন আদেশে রোহিঙ্গাদের একটি স্বতন্ত্র জাতিগত গোষ্ঠী হিসেবেও স্বীকৃতি দিয়েছেন। ২০২০ সালের ওই আদেশ ছিল মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ও রোহিঙ্গাদের পক্ষে প্রথম ও প্রাথমিক জয়।

আদালতে গাম্বিয়ার অভিযোগ ছিল– মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। তারা যে অপরাধ করেছে তা ‘গণহত্যা কনভেনশনের’ অধীনে অপরাধ। মিয়ানমার শুধু গণহত্যার অভিপ্রায় প্রকাশ করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা কার্যত গণহত্যা চালিয়েছে। রোহিঙ্গাদের আইনি অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া, তাদের বিয়েশাদি ও চলাফেরার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা ও নাগরিক স্বীকৃতি কেড়ে নেওয়ার মাধ্যমে মিয়ানমার যে পরবর্তীতের রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা ও নিধনযজ্ঞ চালিয়েছে সেটাই প্রমাণ করে। এটি নিছক ঘটনাক্রমে ঘটে যাওয়া কোনও দুর্ঘটনা নয়। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর তারা যে নির্যাতন চালিয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবেই মিয়ানমারের অপরাধ প্রমাণের জন্য যথেষ্ট।  

মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রশ্নে বরাবরই আন্তর্জাতিক মহলকে এড়িয়ে চলেছে। বিচারতো অনেক পরের কথা, আইসিজের এখতিয়ার ও গাম্বিয়ার মামলা করার অধিকার নিয়েও তারা প্রশ্ন করেছে। মিয়ানমারের আপত্তি ছিল যে গাম্বিয়ার মামলা করারই এখতিয়ার নেই। কিন্তু আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, মিয়ানমারের এ দাবি গ্রহণযোগ্য নয় কারণ, ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশন অনুযায়ী যে কোনও সদস্য রাষ্ট্রই গণহত্যা প্রতিরোধে বাধ্য। গাম্বিয়া সে উদ্যোগই নিয়েছে। আদালত মিয়ানমারের সে আবেদন গ্রহণ না করে গাম্বিয়ার মামলাটি গ্রহণ করেন ও তখনই (২০২০) অন্তবর্তী আদেশ দেন।

আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা নিষ্পত্তি হতে যথেষ্ট সময় লাগে আমরা জানি। তবে, যত সময়ই লাগুক না কেন আইসিজের সাম্প্রতিক অন্তর্বর্তী আদেশের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত গণহত্যার বিচারের পথ উন্মুক্ত হলো– আপাতত এটিই বড় অর্জন। আদালতের আদেশ তারই ইঙ্গিত বহন করে।

মিয়ানমার এ বিচার প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য নানা টালবাহানা করে যাচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মিয়ানমারের প্রাথমিক আপত্তি আদালত প্রত্যাখ্যান করায় মিয়ানমার বেশ বড় একটা হোঁচট খেয়েছে। মুখ রক্ষার খাতিরে তারা এখন বলছে যে আদালতের আদেশ তাদেরকে হতাশ করেছে। তবে, বিচার প্রক্রিয়া ও বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা যদি অব্যাহত থাকে তবে এ রায়ের মাধ্যমে হয়তো তাদের হতাশার শুরুমাত্র।

আইসিজের রায়ে কোনও সুনির্দিষ্ট ব্যক্তির দায় বা অপরাধের বিচার হয় না। এখানে মূলত পক্ষভুক্ত রাষ্ট্র মানে মিয়ানমারের সামরিক-বেসামরিক নেতৃত্বের জবাবদিহিতা ও দায় নিয়েই আদালতে শুনানি হবে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের দায় নির্ধারিত হলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিচার প্রক্রিয়ায় এর একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। কারণ, আইসিসিতে ব্যক্তির দায় নিয়ে বিচার চলবে যার তদন্ত এখন চলমান।

আইসিজে গাম্বিয়ার অভিযোগকে গণহত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে। জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ীও মিয়ানমার আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য। জাতিসংঘ সনদের ৯৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মিয়ানমার যদি আদালতের সিদ্ধান্ত না মানে তবে নিরাপত্তা পরিষদ রায় কার্যকর করার উদ্যোগ নিতে পারবে। কাজেই, মিয়ানমারের দায় নির্ধারণের বিষয়টি এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। শুধুমাত্র তাই নয়, যারা গণহত্যা করেছে আইসিজে তাদেরকে ট্রাইব্যুনালের সামনে হাজির করার এখতিয়ারও রাখে। আদালত রোহিঙ্গাদের ক্ষতিপূরণ (নাগরিকত্ব ফেরত, প্রত্যাবাসন ইত্যাদি) দেওয়ার ব্যবস্থাও করতে পারবে। মিয়ানমার ভবিষ্যতে আর গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘন করবে না মর্মে আইসিজে মিয়ানমারের কাছ থেকে মুচলেকাও নিতে ‍পারে। এটি রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনকে নিশ্চিত করবে।  

কিন্তু এখানে একটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা হচ্ছে ২০১৭ সালে মিয়ানমারে যারা ক্ষমতায় ছিল এখনও কার্যত তারাই ক্ষমতায় রয়েছে। যারা রোহিঙ্গাদের নিপীড়ন করেছে তারা আজও ক্ষমতায়। তাই মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ সহসা আদালতের এ আদেশের প্রতি নমনীয় হবে সেটি ভাবার কারণ নেই। আদালত যে অন্তবর্তী আদেশ দিয়েছে মিয়ানমার তা সহসা বাস্তবায়ন করবে বলেও মনে হয় না।

তবে, আইসিজের আদেশ ও নির্দেশনার কারণে মিয়ানমার এখন যথেষ্ট চাপের মুখে। এছাড়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। একটি রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বা আইসিসিতে আরেকটি রয়েছে আর্জেন্টিনার একটি স্থানীয় আদালতে। আইসিসির মামলাটির তদন্ত চলছে। আইসিজের মামলার ইতিবাচক ফলাফল আইসিসির মামলায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে যা আগেই বলা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় দায় নির্ধারিত হলে ব্যক্তিগত দায় নির্ধারণ সময়ের ব্যাপার মাত্র। আর আর্জেন্টিনার মামলায় অং সান সু চি নিজেই অভিযুক্ত। আইসিজের মামলার ফলাফলের একটি ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে এ দুটি মামলার ওপর।  

তিনটি মামলাটিই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আইসিজে ও আইসিসির মামলা দুটো আন্তর্জাতিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ। মিয়ানমার এর দায় এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। তিনটি মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ ও নথিপত্রই তিনটি মামলায় রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহারযোগ্য। কাজেই, মিয়ানমার যে এখন ত্রিমুখী মামলার চাপে পিষ্ঠ তা বলাই যায়।

তবে আইসিসিতে মিয়ানমারের বিচারের ক্ষেত্রে দুটি বাধা রয়েছে। প্রথমত- মিয়ানমার রোম সনদে (আইসিসি সনদে) পক্ষরাষ্ট্র নয় এবং দ্বিতীয়ত- সদস্য নয় এমন রাষ্ট্রের ব্যক্তিদের বিচারের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের প্রয়োজন হয়। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের বন্ধু চীনের ভেটোর জন্য তাদের বিচার করা সম্বব হচ্ছে না। তবে আইসিজের মামলার ইতিবাচক ফলাফল হলে চীন যে তার সুর পাল্টাবে না তা বলা যায় না। তাই বলে আইসিসিও বসে নেই। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আপাতত (চীনের কারণে) গণহত্যার বিচার করা গেলেও আইসিসি মামলার তদন্ত ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে কানাডা ও নেদারল্যান্ডসও গাম্বিয়ার মামলায় পক্ষ হয়েছে। এটি আশার কথা। এভাব আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মিয়ানমার জান্তার ওপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করার এখনই উপযুক্ত সময়। 

পাঁচ বছর হয়ে গেছে। সাড়ে ১২ লাখের ওপর রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে আজও তেমন অগ্রগতি নেই। আন্তর্জাতিক বিশ্বও প্রত্যাবাসন নিয়ে কথা বলছে না। ইউএনএইচসিআরও রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়নি বলে পাঁচ বছর ধরে একই কথা বলে যাচ্ছে। কিন্তু এ নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব কার? অথচ দায় বহন করছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে বিভিন্ন সময়েই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে কথা বলেছে। গত ৭ জুলাইও জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ৫০তম অধিবেশনে রোহিঙ্গাদের দ্রুত মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনসহ নানা বিষয়ে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।

কাজেই, একদিকে মামলার চাপ আরেকদিকে আন্তর্জাতিক মহলের দাবির মুখে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের যৌক্তিক ও আইনগত দাবি ও মানবাধিকার ফিরিয়ে দিতে ও প্রত্যাবাসনে বাধ্য হবে। এর কিছু প্রভাবও দেখা গেছে, দীর্ঘ এক বছর পর গত ১৪ জুন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়নামার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছে। এখানেই শেষ নয়, আন্তর্জাতিক গণহত্যা সনদ অনুসমর্থনেও তাদের এখন আপত্তি নেই। এটি সামগ্রিকভাবেই রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার পাওয়ার পথকে আরও প্রশস্ত করবে বলেই মনে হয়।

শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের মতে, এ সংকটের সমাধান মিয়ানমারের হাতেই।  আইসিজের পরবর্তী চূড়ান্ত রায়ের মাধ্যমে মিয়ানমার অপরাধী সাব্যস্ত হলে ও আইসিসির মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের বিচার হলে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের অন্তত কিছুটা প্রতিকার হতে পারে। প্রত্যাবাসনও সে প্রতিকারেরই অংশ। এ মুহূর্তে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপের কোনও বিকল্প নেই। বাংলাদেশকেই এ নিয়ে কথা বলতে হবে। রোহিঙ্গারা যা হারিয়েছে কোনোকিছুই তা আর ফিরিয়ে দিতে পারবে না। কিন্তু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ বিশ্ব হয়তো এর দায় থেকে কিছুটা মুক্ত হতে পারে।  

 

লেখক: আইনজীবী, কলামিস্ট

 

/এসএএস/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ