X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রশাসনের কর্মকর্তাদের হাতে দেশ যেন নাজেহাল

নাসরীন সুলতানা
২১ অক্টোবর ২০২২, ১৮:২১আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২২, ২০:০৬

কয়েক দিন ধরেই প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের কার্যক্রম অনলাইন এবং প্রিন্ট মিডিয়ার প্রধান আকর্ষণ। মাসখানেক আগেই একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক কেন্দ্রের ৯ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেন, যা আমার কাছে ক্ষমতার অপব্যবহার মনে হয়েছে। দুদিন আগেই এক নিউজে দেখলাম, একজন নির্বাহী কর্মকর্তা মা ইলিশ নিধন রোধ করার অভিযান পরিচালনাকালে কারেন্ট জাল এবং মাছ ধরার ট্রলার পোড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং অন্যরা এ বিষয়ে সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন। একজন নাবালকের হাতে ধারালো অস্ত্র তুলে দিলে সে যেমন সঠিক ব্যবহার করতে জানে না, তেমনি প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার আচরণ দেখে মনে হচ্ছে অপরিপক্ব অবস্থায় অতি গুরুদায়িত্ব তাদের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাসহ রাষ্ট্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ধান কাটার ছবি আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হতে দেখেছি। কিছু দিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরও একটা নিউজ ভাইরাল হয়েছিল। কোনও এক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সময় পেলেই স্কুলে ছুটে যান ক্লাস নিতে। নিজে ক্লাস করান। ‘তার ওপর সরকারি অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালনের পাশাপাশি সময় পেলেই ছুটে যান উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া এগিয়ে নিতে নিজেই ক্লাস নেওয়া শুরু করেন তিনি। ... ওই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ধর্ম শিক্ষা ও পঞ্চম শ্রেণির গণিত ক্লাস নেন তিনি (‘সময় পেলেই বিদ্যালয়ে ছুটে গিয়ে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেন ইউএনও’; শিক্ষা তথ্য, অনলাইন পোর্টাল)।

আরেকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত অন্য একটি সংবাদ ছিল এরকম– ‘হাতে সময় পেলেই তিনি ছুটে যান কাছের কোনও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে ঢুকে পড়েন কোনও ক্লাসে। শুরু করেন ক্লাস নেওয়া (‘স্কুলের টিচার যখন কেরানীগঞ্জের ইউএনও!’; যুগান্তর অনলাইন, ১৫ জানুয়ারি ২০২০)।
 
কথা হচ্ছে তারা কখন ক্লাস করান? নিশ্চয়ই অফিসের সময়ে। তারা নিশ্চয়ই সান্ধ্যকালীন সময়ে স্কুলের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেন না। আমি মনোযোগ দিয়ে দেখলাম ফেসবুকের কমেন্ট থ্রেডে সাধারণ মানুষের প্রচুর বাহবা পড়েছে এবং সবাই মনে করছেন যে এই ধরনের অফিসার আমাদের সমাজে খুব দরকার। এই ধরনের অফিসার প্রতি উপজেলায় থাকলে দেশ বদলে যাবে। সত্যি তাই, এই ধরনের অফিসার যদি প্রতি উপজেলায় একজন করে থাকে দেশ বদলে যাবে। দেশে এখনও পর্যন্ত যতটুকু আছে তার আর কিছু অবশিষ্ট থাকবে না। দেশের সিস্টেম একেবারে তলানিতে নেমে যাবে।

প্রথমত, মাঠে গিয়ে ধান কাটা কিংবা শ্রেণিকক্ষে ক্লাস নেওয়া কোনও জেলা প্রশাসক কিংবা কোনও নির্বাহী অফিসারের কাজ নয়। তার কাজ নির্বাহী দায়িত্ব পালন করা; একটি বিদ্যালয় ঠিকমতো পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট প্রদান করা। তিনি যখন অফিস টাইমে নিজের নির্বাহী দায়িত্বকে তুচ্ছজ্ঞান করে শ্রেণিকক্ষে পড়ানোর দায়িত্ব পালন করেন, তখন একদিকে তিনি যেমন নিজের দায়িত্বকে অবহেলা করেন অন্যদিকে একজন শিক্ষকের দায়িত্বকে অস্বীকার করেন। ছাত্র পড়ানোর দায়িত্ব একজন শিক্ষকের, কোনও কর্মকর্তার নয়।

দ্বিতীয়ত, একজন নির্বাহী কর্মকর্তার একঘণ্টার বেতন এবং একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের এক ঘণ্টার বেতনের ব্যবধান অনেক। তিনি যে সময়টাতে কোনও শিক্ষকের প্রক্সি দিচ্ছেন সেই সময়ের জন্য তিনি তার বেতন ছাড় দিচ্ছেন কিনা সেটা অবশ্য নিউজে প্রকাশ করা হয়নি।

তৃতীয়ত, একজন নির্বাহী কর্মকর্তার ক্লাস করার পর ছাত্রদের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের ক্লাস ভালো নাও লাগতে পারে। কারণ, আমরা আমাদের প্রাথমিকের শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে সবাই কম বেশি জানি। তাই আপাতদৃষ্টিতে বিষয়টি পজিটিভ মনে হলেও এর সুদূরপ্রসারী ফল কিন্তু নেতিবাচক।

আমি অবাক হয়ে সদ্য অপসারিত তথ্য সচিবের বক্তব্য শুনছিলাম। তিনি হয়তো আবেগের বশেই কথাগুলো বলেছেন। তাকে যখন সব নিয়ম অনুসরণ করে অপসারণ করা হয়েছে তখন বারবার বলছিলেন তিনি ক্ষমতাসীন দলের একজন, তিনি সৃষ্টিকর্তাকে যেভাবে স্মরণ করেন, সেভাবে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করেন। আমার এই ক্ষুদ্র জ্ঞানে আমি যতটুকু বুঝি, যদিও আওয়ামী লীগ এখন দেশ পরিচালনা করছে, সরকার এবং আওয়ামী লীগ (একটি রাজনৈতিক দল) কিন্তু এক জিনিস নয়। আজ আওয়ামী লীগ সরকারে আছে, কিন্তু কয়েক বছর আগে এই দল প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করেছে। তাই একটি সরকার এবং একটি রাজনৈতিক দলের আইডেন্টিটি সম্পূর্ণ আলাদা। দর্শনের ভাষায় ‘আওয়ামী লীগ= বাংলাদেশ সরকার’ বাক্যটি আজ সঠিক হলেও কয়েক বছর আগে তো ছিল না। সুতরাং, একজন কর্মকর্তা আওয়ামী লীগকে মনেপ্রাণে সমর্থন না করেও দেশের স্বার্থে সরকারকে অকুণ্ঠ সমর্থন করতে পারেন, নিজের সততা এবং দায়িত্বশীল আচরণ দিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে পারেন। অর্থাৎ, একজন কর্মকর্তা রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্তের সাথে দ্বিমত পোষণ করেও সরকারি সিদ্ধান্তের সাথে একমত পোষণ করতে পারেন, সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারেন।

অফিসারের কোনও দল নেই, একজন অফিসার রাষ্ট্রের সম্পদ। আমি সত্যি খুব আশাহত হয়েছি যখন তিনি নিজে তার অপসারণের কারণ অবহিত না হয়েও বারবার তার পারিবারিক দলীয় পরিচয়কে হাইলাইট করছিলেন। যদিও তার অসহায়ত্ব দেখে অনেকের মতো আমারও খারাপ লাগছিল, কিন্তু আমার মনে হয়েছে এভাবে তিনি মিডিয়ার সামনে বারবার নিজেকে আওয়ামী পরিবারের পরিচয় দিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন। আওয়ামী লীগ তার দলের নেতাকর্মীকে প্রশ্রয় দিতেই পারে, কিন্তু সরকার নিশ্চয়ই তার নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনও কর্মকাণ্ড সহ্য করবে না। যাহোক, সরকার নিশ্চয়ই জেনেবুঝেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সবকিছু নিয়মমাফিক প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করেছে।

সব সংবাদকে ছাপিয়ে একটি সংবাদ যেন এখন সবার মুখে মুখে। দুজন কর্মকর্তার জন্য দুটি বিলাসবহুল প্রাসাদ তথা বাড়ি নির্মাণের খবর হটকেক। কিছু দিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশের সরকার এবং রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করে দেশে এসে সকলকে কৃচ্ছ্রসাধনের পরামর্শ দিয়েছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশে একজন বিশ্ববিদ্যালয় লেকচারার যখন বসার জন্য একটি অফিস কক্ষ বরাদ্দ পায় না, ক্লাস নোট তৈরি করার জন্য একটি ল্যাপটপ পায় না, কনফারেন্সে যোগদানের জন্য টিএডিএ পায় না, একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র যখন তার পড়াশোনার জন্য লাইব্রেরিতে একটি ভালো অ্যাকাডেমিক বই পায় না, একজন প্রাথমিকের শিক্ষককে যখন দশম গ্রেডের জন্য আন্দোলন করতে হয়, সাধারণ মানুষ যখন দুইবেলা আমিষের চাহিদা মেটাতে গিয়ে নাজেহাল, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন সবাইকে কৃচ্ছ্রসাধনের পরামর্শ দেন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি এবং বৈদ্যুতিক সংকটে জনজীবন যখন দুর্বিষহ, তখন দুইজন কর্মকর্তার জন্য এই ধরনের অতি বিলাসী প্রস্তাব দেশের সব সংকটের মুখে বৃদ্ধাঙ্গুলির নামান্তর।

আমার ভাবতে অবাক লাগে আমরা আসলে কোন পথে হাঁটছি। ছোটবেলা থেকে ‘চক্ষুলজ্জা’ শব্দের ব্যবহার অনেক শুনে এসেছি। আমাদের কর্মকর্তাদের আচরণ দেখলে মনে হয় না তাদের চক্ষুলজ্জা বলে কিছু আছে। যে রিকশাওয়ালা সারা দিন নিজের পাঁজরের হাড় ক্ষয় করে দুইবেলা আমিষের চাহিদা ঠিকমতো মেটাতে পারে না, তার ভ্যাটের টাকায় নির্মিত সুইমিংপুলে সাঁতার কাঁটার স্বপ্ন দেখার আগে তাদের চক্ষুলজ্জা হয় না। যে গার্মেন্টস শ্রমিক ঠিকমতো সন্তানের জন্য দুধের জোগান দিতে পারে না তার ভ্যাটের টাকায় নির্মিত প্রাসাদের কোটি টাকার ফার্নিচারে নিদ্রাযাপনের স্বপ্ন দেখতে তাদের চক্ষুলজ্জা হয় না। আমাদের দুর্ভাগ্য আমাদের এখন আর চক্ষুলজ্জা নেই।

এমনিতেই প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাদের জন্য যেগুলো প্রয়োজনীয় নয় এমন অনেক সুবিধা রাষ্ট্রের কাছ থেকে ভোগ করছেন। একজন কর্মকর্তার জন্য তার দায়িত্ব পালনের জন্য সবচেয়ে জরুরি বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং, অন্যদিকে একজন শিক্ষকের জন্য জরুরি উচ্চশিক্ষা। অথচ দেশের ৫৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য লেকচারার যেখানে আর্থিক সংকটের কারণে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন না, দেশের সরকারি কলেজগুলোর শিক্ষকরা উচ্চশিক্ষার অভাবে ছাত্রদের ভালোমানের শিক্ষা প্রদান করতে পারছেন না, সেখানে ২ কোটি টাকার প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপের বেশিরভাগ অংশই প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ। শিক্ষা একটি প্রডাকটিভ খাত। একজন শিক্ষক উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হলে তিনি যতদিন চাকরিতে থাকবেন, ছাত্রদের শিক্ষা দেবেন ততদিন তার শিক্ষা দ্বারা দেশ সমানুপাতিক হারে লাভবান হবে। তার ছাত্রদের দ্বারা দেশ লাভবান হবে। অন্যদিকে একজন কর্মকর্তার সার্ভিস কেবল তার যতদিন অ্যাকটিভ সার্ভিস আছে ততদিন।

উচ্চশিক্ষা ব্যয়বহুল এবং সময়সাপেক্ষ বলে সারা পৃথিবীতে কেবল শিক্ষকতা এবং গবেষণায় যারা আগ্রহী তারাই উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে। বাকিদের ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা ডিসকারেজ করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশের সরকারি কর্মকর্তারা নিজেরা নির্বাহী দায়িত্ব পালন করবেন, নিজেদের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় না হলেও দেশের টাকা খরচ করে পিএইচডি করবেন, শিক্ষকের পরিবর্তে নিজেরা ক্লাস নিয়ে ছাত্রদের তাক লাগিয়ে দিবেন এবং নিজেদের জ্ঞানের পরিধি জাহির করবেন। ধীরে ধীরে সমগ্র জাতিকে পঙ্গু করে সব সেক্টর নিজেদের দখলে নিয়ে নেবেন।

দার্শনিক প্লেটো তার রিপাবলিক গ্রন্থে একটি আদর্শ বা ন্যায় রাষ্ট্রের রূপরেখা দিয়েছেন। যেখানে তিনি বলেছেন, একটি আদর্শ রাষ্ট্র হবে এমন রাষ্ট্র, যেখানে রাষ্ট্রের শাসক শ্রেণি, যোদ্ধা শ্রেণি এবং উৎপাদক শ্রেণির প্রত্যেকে তাদের নিজেদের কাজ পরিচালনা করবে এবং কেউ অন্যের কাজে হস্তক্ষেপ করবে না। আর এই চর্চার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হবে একটি আদর্শ রাষ্ট্র। আমাদেরও এখন সময় এসেছে, রাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের তাদের সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া, কার কাজের পরিধি কতটুকু এবং প্রত্যেকে যাতে তার পরিধির বাইরে হস্তক্ষেপ না করে, নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার না করে সে বিষয়ে নজর দেওয়া। কোটি টাকার বিলাসী প্রাসাদের স্বপ্নপূরণের চেয়ে সাধারণ মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দেওয়া, বিদ্যুতের অভাবে যাতে কারখানার চাকা অচল হয়ে না যায় সেদিকে নজর দেওয়া, শিক্ষা ব্যবস্থা যাতে তার স্বাভাবিক গতি ফিরে পায় সেদিকে নজর দেওয়া। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের ক্রান্তিলগ্নে অনেক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আমি আশা করি এবারও তিনি তার বিচক্ষণতা দিয়ে এই ধরনের অন্যায় এবং অনুপযোগী সিদ্ধান্ত এবং কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করবেন।

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, এবং পিএইচডি শিক্ষার্থী, ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অন্টারিও, কানাডা।
[email protected]

 
 
/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
হলও ছাড়েননি আন্দোলনেও নামেননি চুয়েটের শিক্ষার্থীরা
হলও ছাড়েননি আন্দোলনেও নামেননি চুয়েটের শিক্ষার্থীরা
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
মারা গেলো গাজায় নিহত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটি
মারা গেলো গাজায় নিহত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটি
বিক্রির জন্য সবজি কিনে ফেরার পথে দুই ব্যবসায়ী নিহত
বিক্রির জন্য সবজি কিনে ফেরার পথে দুই ব্যবসায়ী নিহত
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ