X
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

ডলারের গন্তব্য ও আমাদের দেশপ্রেম

প্রণব মজুমদার
২৫ মার্চ ২০২৩, ১৭:৩৪আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৩, ১৭:৩৪

ছেলেবেলার বন্ধু ডলার। বেশ চটপটে। বেশিক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকতে পারতো না। তবে সে যেমন মেধাবী, তেমনি ছিল দুষ্টু। মিশুক প্রকৃতির ডলারকে প্রায় সবাই ভালোবাসে। যার যার প্রয়োজনে ওকে কাছে টেনে নেয় অনেকে। উপকারভোগী মানুষের কাছ থেকে ডলার মাঝে মাঝে এমন সব বিনিময় ছিনিয়ে নিত যা ছিল ওর শ্রমের তুলনায় বেশি। চার দশক আগে জানতে পারি ছেলেবেলার বন্ধুটি দেশে নেই। জীবনের প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আশায় পাড়ি দেয় বিদেশে।

ক’ মাস আগে জানলাম মায়ের অনেক গহনা বন্ধক রেখে এবং বাবার টাকা পয়সা নিয়ে সে ইতালি চলে যায়। ডলার এখন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক। বেশ স্বচ্ছল। সুইস ব্যাংকে অনেক আমানত তার। বিদেশি মুদ্রার আধিক্যে ডলারও পুঁজিপতি অনেকের মতো অর্থনীতির শাসক। নিয়ন্ত্রক। জুরিখে ডলারের যে অর্থ সম্পদের সাম্রাজ্য তাতে মনে হয় না শেষ বেলায় সে দেশে ফিরে আসবে।

ডলারের কথা মনে পড়ে গেলো দেশের অর্থ ব্যবস্থাপনার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে। তার চরিত্রের সঙ্গে আমাদের ব্যবসায়ী, শিল্পপতিদের বাস্তবিক রূপ ও প্রকৃতির অনেকটা মিল দেখতে পাচ্ছি। দেশপ্রেম শুধু আমরা বক্তৃতা ও সেমিনারের ভাষণে রেখেছি। অন্তরে পরশ্রীকাতরতা, বিদেশে অর্থ পাচার ও উন্নয়ন স্বপ্ন আর ওপরে দেশপ্রেমের বুলি শুধু।

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও দেশে রফতানি আয়, প্রবাসীদের অর্থ প্রেরণ (রেমিট্যান্স) আসছে। রয়েছে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিশ্রুত প্রথম কিস্তির সহযোগিতা। 

সাম্প্রতিককালে দেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে অলোচিত বিষয় হচ্ছে মার্কিন মুদ্রা ‘ডলার’। রফতানিকারকদের সুবিধা দেওয়ার অজুহাতে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দাম বাড়িয়ে আবারও তা পুননির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

দেশে মার্কিন ডলারের দাম বেড়েই চলছে। ব্যাংকের বাইরে এক মার্কিন ডলার পেতে দিতে হচ্ছে ১১৩ টাকা। ডলার বাজার দর কোথায় গিয়ে পৌঁছাবে তা রীতিমত আশঙ্কাজনক। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ডিসেম্বরে বলেছিলেন– ফেব্রুয়ারিতে ডলার সংকট থাকবে না। মার্চও চলে যাচ্ছে কিন্তু ডলারের সরবরাহ বাড়ছে না। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, প্রায় তিন মাস পর সামগ্রিকভাবে ব্যাংকগুলোর ডলার ধারণের সীমা ‘নেট ওপেন পজিশন লিমিট’ (এনওপি) ইতিবাচক ধারায় এসেছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি এনওপি দাঁড়িয়েছিল ৮ কোটি ডলারে।

সাম্প্রতিক সময়ে এনওপি সর্বোচ্চ ৫১ কোটি ৫৪ লাখ ডলার ঋণাত্মক হয় গত ৩০ নভেম্বরে। ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ ছিল ৩৩৩ কোটি ডলার। কিছুদিন আগেও যা ২০০ কোটি ডলারের সামান্য বেশি ছিল।

বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর সূচক বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কমে সম্প্রতি ৩১ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবে এই রিজার্ভ ৭ বিলিয়ন ডলার কম। অর্থাৎ ২৪ বিলিয়ন ডলার। ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের শর্তে আইএমএফের হিসাবে রিজার্ভের হিসাব করতে রাজি হয়েছে সরকার। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে সেই হিসাব এখনও প্রকাশ করছে না বাংলাদেশ ব্যাংক।

নানান আইনি কাঠামো ও আদালতের নির্দেশনার পরও সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোয় বাংলাদেশিদের টাকা জমানো কমছেই না। বরং টাকা জমানোর পরিমাণ আগের রেকর্ড ভেঙেছে। শুধু গত ১২ মাসে দেশটির ব্যাংকগুলোয় বাংলাদেশিরা জমা করেছেন ২ হাজার ৯২৮ কোটির টাকার বেশি। সব মিলিয়ে বাংলাদেশিদের মোট জমার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা। এ অর্থ আগের যে কোনও সময়ের চেয়ে বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ।

সাম্প্রতিককালে সুইজারল্যান্ডের ন্যাশনাল ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনের ডাটা অংশে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বরাবরের মতোই টাকা জমা করা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করেনি সুইস ব্যাংকগুলো। সেই সঙ্গে কোনও বাংলাদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি নিজের জাতীয়তার পরিবর্তন ঘটিয়ে অর্থ আমানত করে সে হিসাবও নেই এ ৮ হাজার ২৭৫ কোটি টাকার মধ্যে।

পাশাপাশি কেউ যদি সোনা, হীরা বা মূল্যবান কোনও সম্পদ সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোয় রাখেন সে অর্থও নেই এ হিসাবে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বাংলাদেশের নিয়ম অনুযায়ী যে কোনও ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন অন্তত ৫০০ কোটি টাকা হতে হয়। সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের যে টাকা এখন জমা আছে তা অন্তত ১৬টি ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনের সমান। জানা যায়, সারা বিশ্ব থেকেই অসংখ্য মানুষ সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোয় বৈধ-অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থ জমা রাখে। সুইস ব্যাংকে টাকা পয়সা রাখতে সারা দুনিয়ার মানুষ সবচেয়ে বেশি আগ্রহ বোধ করে তাদের গোপনীয়তা নীতির কারণে।

সুইজারল্যান্ডের একটি আইন দ্বারা এ গোপনীয়তা স্বীকৃত, যার ফলে ব্যাংকগুলো কোনও অবস্থাতেই তাদের গ্রাহকদের তথ্য প্রকাশ করতে কারও কাছে বাধ্য থাকে না। ফলে কে, কেন বা কীভাবে উপার্জিত অর্থ ব্যাংকে রাখছে, সেই গ্রাহকদের সম্পর্কে ব্যাংকগুলো কাউকে কোনও তথ্য দেয় না। এ আইন বদল করতে হলে সেটা গণভোট অথবা পার্লামেন্টে পাল্টাতে হবে।

আমদানির তুলনায় রেমিট্যান্স বাড়ে, রফতানি বৃদ্ধি পায় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর পদক্ষেপ ও তদারকি; তবু কেন বৈদেশিক মুদ্রা হ্রাস পায়? ডলার সংকট যায় না কেন? আমাদের অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা তো কমেনি। তাহলে ডলার যায় কোথায়? সুইস ব্যাংকে? অর্থমন্ত্রী বাজেটে রাখঢাক না রেখেই বলেছিলেন, ‘দেশের ডলার বিদেশে পাচার হয়ে গেছে।’

বাংলাদেশ দুটো ক্ষেত্রে পৃথিবীর শীর্ষ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। এক হলো কোটিপতি উৎপাদনে, আরেক হলো, দেশের টাকা বিদেশে পাচারে। দেশ থেকে ডলার বিদেশে পাচার করে বড়লোক ও শিক্ষিতরা। লন্ডন, কানাডা, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, দুবাই, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ডে যারা আছে, তারা পেশাজীবী ও শিক্ষিত। তারা সেখানে গিয়ে বাড়ি-গাড়ি করার জন্য দেশে অন্যায় পথে অর্জিত জমিজমা, ফ্ল্যাট বিক্রি করে কাঁড়ি কাঁড়ি ডলার অবৈধভাবে পাচার করে নিয়ে যায়। এছাড়া দেশে যারা নানা পর্যায়ে অবৈধ আয় করে; যেমন– সরকারি চাকরি করে কোটি কোটি টাকা ঘুষ খাওয়া, ঋণ পরিশোধ করতে হবে না এই চিন্তা থেকেই ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া, চোরাকারবারি, মাদক কারবারি, শেয়ার বাজার লুটেরা, ভেজাল ব্যবসাদার, বিদেশে লোক পাচারকারী, দখল-চাঁদাবাজ ইত্যাদি। তাদের প্রতিক্ষণই ভাবনা হলো, এতো টাকা দেশের কোথায়, কী করে, কার কাছে রাখবো? আয়ের উৎস দেখাব কী করে? নিরাপত্তাই বা কী? তাছাড়া আগামী এক বছর পরে নির্বাচন, দেশের অবস্থা কী হয়, না হয়!

ইতিপূর্বে ‘গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইনটিগ্রিটি’ এর পক্ষ থেকে ডলার পাচারের একটা চমকপদ তথ্য পেয়েছি আমরা। তা হলো, ২০১৪ সালে নির্বাচনের আগে বিদেশে টাকা পাচারের হার বেড়ে গিয়েছিল ৫০ শতাংশ। ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা সরকারি ঠিকাদারির ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধাভোগী একটি অংশ সরকারের মেয়াদের শেষদিকে দেশের বাইরে অর্থ-সম্পদ সরিয়ে নেয়, যেটা বিভিন্ন দেশেই দেখা যায়।

অন্যদিকে আমাদের রেমিট্যান্স আনে বিশেষত মধ্যপ্রাচ্য ও মালয়েশিয়ার গরিব শ্রমিকেরা। দেশের দিন মজুরেরা, যারা কল-কারখানায় মাথার ঘাম পায়ে ফেলে চাকা ঘোরায়, ফসল ফলায়– তারাই রেমিট্যান্স আনে। অল্প মজুরির পোশাক শ্রমিকরা আমাদের অর্থনীতি চাঙা রাখে। আর কতিপয় শিক্ষিতজনদের কাজই হলো বিদেশে টাকা পাচার করা।

এছাড়া অর্থ পাচার সবচেয়ে বেশি হয় বাণিজ্যের আড়ালে। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান জানিয়েছেন, আমদানি পণ্যের দাম ২০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেখানোর ঘটনা ঘটেছে। ব্যাংকিং ও কাস্টমস পরিভাষায় এই বাড়িয়ে দেখানোর নাম ‘ওভার ইনভয়েসিং’। বাংলাদেশের অর্থ পাচারের বেশিরভাগ সংঘটিত হয় আমদানি ও রফতানি বাণিজ্যে ‘মিস ইনভয়েসিং’ বা চালান জালিয়াতির মাধ্যমে, যার ফলে একদিকে যেমন ব্যাপক কর ফাঁকি সংঘটিত হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনই বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে।

যদি প্রশ্ন করা হয়, কীভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে পাচার হয়? সহজ কথায় জবাব– ‘ওভার ইনভয়েসিং’। অর্থাৎ, কর ফাঁকি দিতে, কোম্পানির মুনাফা লুকাতে এবং অন্যান্য কারণে পণ্য আমদানি ও রফতানিতে অনেক সময় পণ্যের প্রকৃত মূল্য দেখানো হয় না। অর্থাৎ, কেউ ১০০ টাকার পণ্য আমদানি করবে, দেখানো হলো পণ্যের দাম ১৫০ টাকা। এর ফলে ৫০ টাকা পাচার হয়ে গেলো। রফতানির ক্ষেত্রে করা হয় উল্টোটা। ১০০ টাকার পণ্য রফতানি করলো, কিন্তু দেখানো হলো ৫০ টাকা। বাকি ৫০ টাকা বিদেশে রয়ে গেলো।

এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে পণ্য সরবরাহকারী কিংবা ব্যাংক বা শুল্ক কর্মকর্তাদেরও যোগসাজশ থাকেই। যদি বাড়তি ব্যয় দেখানো না হতো, তাহলে আমদানি ব্যয় এত হতো না। গত ১৪ নভেম্বর ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ‘আন্ডার ইনভয়েসিং’ বা পণ্যের দর কম দেখানোর চিত্র তুলে ধরেছেন। তিনি উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছেন, ‘এক কেজি কমলা ১২ টাকা কিংবা আপেল ১৮ টাকায় আমদানির তথ্য পাওয়া পাচ্ছে। এর মাধ্যমে একদিকে কর ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে অর্থ পাচারের মাধ্যমে পণ্যমূল্যের বাকি অংশ অবৈধভাবে পরিশোধ করা হচ্ছে।’

দেশ থেকে প্রতি বছর অন্তত ৭১ হাজার কোটি টাকা পাচার হলেও তা প্রতিরোধে কিংবা পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে কার্যকর কোনও পদক্ষেপ কেন গ্রহণ করা যাচ্ছে না? দেশের অর্থ ও সম্পদ রক্ষায় দুর্নীতিবিরোধী একমাত্র স্বাধীন প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর তাহলে কি কাজ?

তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ও বিশ্বায়নের ফলে দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে দুর্নীতি বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হচ্ছে। হুন্ডি, ‘ওভার ইনভয়েসিং’, ‘আন্ডার ইনভয়েসিং’, ‘পানামা পেপারস’, ‘প্যারাডাইস পেপারস’ কেলেঙ্কারি, ‘সেকেন্ড হোম’ প্রকল্প, ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি’ ছাড়াও শেল ব্যাংকিং কোম্পানিসহ নতুন নতুন অনুষঙ্গ যোগ হওয়ার বদৌলতে এসব ক্ষেত্র ব্যবহার করে ছদ্মবেশে বিদেশে বিপুল অঙ্কের অর্থ পাচার হচ্ছে, যা প্রতিরোধ করা নিঃসন্দেহে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। এ অবস্থায় জনগণের বিশ্বাস ও আস্থার জায়গাটি অটুট রাখতে হলে দু’দককে অবশ্যই তার কার্যকারিতার প্রমাণ রাখতে হবে; এমন আইন প্রণয়ন করতে হবে, যাতে বিদেশে অর্থ পাচারকারীরা কোনোমতেই পার না পেতে পারে।

ভাবতে অবাক লাগে দেশে যারা বাণিজ্যের চালক, তারাই বিদেশে অর্থ পাচার করে, সুইস ব্যাংকে অর্থ জমা রাখে এবং সেকেন্ড হোম বানায়। তাহলে কী ভাববো, কর ফাঁকি দেওয়া ব্যবসায়ী, বিদেশে অবৈধভাবে অর্থ পাচার করা প্রভাবশালীরা দেশ মিত্র নন; শত্রু? আর বিদেশে কর্মরত প্রবাসী ‘রেমিট্যান্স’ যোদ্ধা ও তৈরি পোশাক শ্রমিকেরাই কি শুধু দেশপ্রেমিক?

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি মহানায়ক দেশপ্রেমিক শেখ মুজিবুর রহমানের অভাব তীব্রভাবে অনুভূত হচ্ছে। দেশের স্বার্থরক্ষায় উন্নয়নশীল সোনার বাংলা গড়তে এমন দেশপ্রেমিকের আজ বড় প্রয়োজন ছিল। অর্থনীতি সুদৃঢ় করতে একমাত্র দেশপ্রেমের বিকল্প নেই। বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের আনুষ্ঠানিকভাবে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে গণঘৃণার সময় এখনই। কেননা, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরইমধ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো ট্রলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেছেন।

লেখক: কথাসাহিত্যিক; সম্পাদক, অর্থকাগজ

[email protected]

/এসএএস/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
কাপ্তাইয়ে পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সাবস্টেশনে আগুন
কাপ্তাইয়ে পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সাবস্টেশনে আগুন
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় হামাস যোদ্ধাসহ ৫ ফিলিস্তিনি নিহত
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় হামাস যোদ্ধাসহ ৫ ফিলিস্তিনি নিহত
তারেক রহমানের এপিএসসহ ৭ জনের অভিযোগ গঠন শুনানি অব্যাহত
তারেক রহমানের এপিএসসহ ৭ জনের অভিযোগ গঠন শুনানি অব্যাহত
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ